Umar received his MA in Philosophy from Dhaka University and his BA Honors degree in PPE (Philosophy, Politics and Economics) from Oxford University. Umar began his academic career as a teacher at Dhaka University on a temporary basis. In 1963, he joined Rajshahi University as the founder-chair of the Political Science department. He also founded the department of Sociology at the same university, but he resigned from his university positions during the hostile times of the then East Pakistan governor Abdul Monem Khan to become increasingly more active and engaged as a full-time leftist political activist and public intellectual to fight for the cause of oppressed peasants and workers in Bangladesh.
As a follower of Marxist-Leninist principles, Umar began writing anti-colonial articles from the 1970s. In the 1960s he wrote three groundbreaking books––Sampradayikata (Communalism, 1966), Sanskritir Sankat (The Crisis of Culture, 1967), and Sanskritik Sampradayikata (Cultural Communalism, 1969)––that theorize the dialectics of the political culture of ‘communalism’ and the question of Bengali nationalism, thus making significant intellectual contributions to the growth of Bengali nationalism itself. In 1969, Umar joined the East Pakistan Communist Party (Marxist-Leninist), and from February 1970 to March 1971, Umar edited the mouthpiece of the East Pakistan Communist Party––Saptahik Ganashakti—which published essays and articles about the problems and prospects of the communist movement in Pakistan. He was president of both Bangladesh Krishak Federation (Bangladesh Peasant Federation) and Bangladesh Lekhak Shibir–the country’s oldest organisation of progressive writers, intellectuals, and cultural activists.
"ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে যোগসম্পর্ক থাকলেও সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিষ্ঠা স্বতন্ত্র জিনিস। " - বদরুদ্দীন উমর
বাঙালি মুসলমান স্বধর্মপ্রীতি ও স্বদেশপ্রীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব খুঁজে পায়। সেখানে অনেকের কাছে বিবেচনার বিষয় হয়ে ওঠে স্বধর্ম বনাম স্বদেশের সংস্কৃতি। অপরদিকে, বাঙালি হিন্দুর চোখে যা কিছু স্বদেশি তার সবটাই ধর্মের নামে আত্মস্থ করার প্রবণতা থেকেই এখানে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম। সেই উগ্র সম্প্রদায়প্রীতির প্রকৃত স্বরূপ সন্ধান করেছেন বদরুদ্দীন উমর এবং তিনি সফল।
নবাবি যুগের পতন সূচনা করে ইংরেজ আমলের। নবাবি ও মোগলদের শাসনামলকে এখানকার বাঙালি মুসলমানরা 'নিজেদের শাসন' মনে করে মনোজগৎকেন্দ্রিক বিভ্রান্তিতে ভোগেন। যা থেকে তৈরি হয় হতাশা এবং পশ্চাৎপদতা। কারণ মুসলিম শাসনামলের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে অনুভূত হয় বাংলার বড় বড় জমিদারদের প্রায় সকলেই ছিলেন হিন্দু। সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে এদেশের মুসলমানদের অবস্থান ছিল নড়বড়ে। তবু বাঙালি মুসলমানদের চোখে সেই যুগ ভালো ছিল। অন্তত মানসিক নৈকট্যবোধ কাজ করতো। কিন্তু ইংরেজ আমলে সেটুকু বন্ধনও রইল না। রাজভাষা ইংরেজি ঘোষিত হওয়ার পর বাঙালি মুসলমানরা একেবারে পিছিয়ে গেল। কারণ তাদের আর্থিক দুরবস্থার কারণে তারা ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারল না এবং ইংরেজদের দুশমন গণ্য করার মানসিকতা তাদেরকে বাঙালি হিন্দুর চাইতে অনেক অনেক পিছিয়ে দিলো।
বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে নবাবি আমলেই একটি বুদ্ধিদীপ্ত ও অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম শ্রেণির উদ্ভব হয়েছিল। রাজার ভাষা ফারসি থাকাকালে তারা ফারসি শিখতো ও সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতো। এখন ইংরেজি সরকারি ভাষা হওয়াতে ইংরেজি শিখতে তাদের কোনো দ্বিধা রইল না। বরং মুসলমান আমলের চাইতে ইংরেজদের অধিক পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করতে তারা সমর্থ হয়। কারণ মুসলমানরা একটা বড় সময় ইংরেজদের সাথে দুশমনি মনোভাব রেখেছে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে বাঙালি হিন্দু।
সরকারি চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, জমিদারি, শিক্ষাদীক্ষায় অগ্রসর একটি হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে ওঠে। অন্যদিকে, মুসলমানরা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই রইল। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সরকারি চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণের মানসিকতা তৈরি হয়ে দেখতে পেল প্রতিবেশী হিন্দুর চাইতে সে কত পিছিয়ে। বাঙালি হিন্দু দেখল এতকাল পর প্রতিবেশী মুসলমান তাদের মতো মধ্যবিত্ত হতে চাইছে। ভাগ বসাচ্ছে তাদের সরকারি চাকরিতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, স্কুল-কলেজে অর্থাৎ সর্বত্র একটা নতুন প্রতিযোগীশ্রেণি খুঁজে পেল বাঙালি হিন্দু।
উদীয়মান মুসলিম মধ্যবিত্তের বিকাশের জন্য দরকার প্রতিযোগিতাবিহীন পরিবেশ। আর, বাঙালি হিন্দুর চাই মধ্যবিত্তবিহীন মুসলমান ; যারা কখনোই তাদের স্বার্থে ভাগ বসাবে না, সমান হিস্যা চাইবে না এবং মাথা তুলে দাঁড়াবে না। এই কাজটিই সহজ করে দিল দেশভাগ।
বাঙালি হিন্দুর আপসে অনীহা এবং প্রতিবেশী মুসলমানকে অবজ্ঞার মানসিকতা উদীয়মান মুসলিম মধ্যবিত্তের বিকাশের পাটাতন তৈরিতে জন্ম হলো নতুন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা। যেখানে উভয় সম্প্রদায় দুনিয়াবি লাভে ব্যবহার করল পারত্রিক ধর্মকে।
বদরুদ্দীন উমর বামপন্থি লেন্সে সাম্প্রদায়িকতাকে দেখেছেন। দৃষ্টিসীমা আরও প্রশস্ত হলে চমৎকার হতো।