ক্যালিফোর্নিয়ার কোনও এক ভোরে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রে বসে নিছক খেলার ছলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কঙ্গোর গভীর জঙ্গলের একটি আদিবাসী গোত্রের কার্যকলাপ দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় মাইকের।
পূর্ণিমার রাতে মশাল হাতে নেচে গেয়ে টেনে হিঁচড়ে অদ্ভুত এই গর্তের দিকে কাদের নিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীর দল? গর্তে উৎসর্গের পরের ঘটনা অবলোকন করে হৃদকম্পন থেমে যাওয়ার উপক্রম হয় মাইকের। মাত্রাহীন এই রহস্যময় গর্তকে কেন্দ্র করে ঘনীভূত হয়ে উঠে দু’দুটি মহাবিশ্বের অস্তিত্বের সংকট। শতবছরের ঘটনাপঞ্জি জড়িয়ে পরম এই বিন্দুতে এসে যেন মিলিত হয়েছে। তবে কি সত্যি সত্যি ঈশ্বরের গণিতের সন্ধান পেতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা? ঈশ্বরের গণিত, সাথে অন্যান্য ……
মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম এর জন্ম ১৯৮১ সালে নরসিংদী জেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দেশে-বিদেশে। একজন সফল উদ্যোক্তা ও স্বপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সিইও হিসেবে বর্তমানে প্রবাসজীবন যাপন করছেন লিবিয়াতে। শিক্ষাজীবনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে ২০০৩ সালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক। লিখছেন দীর্ঘদিন থেকে। 'শান্তির দেবদূত' ছদ্মনামে সামহোয়ারইনব্লগে সায়েন্স ফিকশন লিখে যথেষ্ট জনপ্রিয়। অনলাইন জগতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই ডজন বিপুল পঠিত ও আলোচিত সায়েন্স ফিকশন গল্প-উপন্যাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার। লেখকের প্রথম সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস প্রজেক্ট প্রজেক্টাইল যথেষ্ঠ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘ও-টু’ লেখকের দ্বিতীয় সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস। বিজ্ঞান, মানবতা, প্রেম আর প্রখর রসবোধের মিশেলে অনবদ্য লেখনিবৈশিষ্ট্য লেখককে বিশিষ্টতা দিয়েছে। তার লেখাগুলো সুখপাঠ্য ও চুম্বকধর্মী। লেখকের সায়েন্স ফিকশনগুলো বিজ্ঞানের নীরস কচকচানি নয়, বরং জীবনের প্রেম-কাম ও হাসি-কান্নার রসে সিক্ত। -- By Tasruzaman Babu
বাংলায় হার্ড সায়েন্স-ফিকশন, অর্থাৎ বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বগুলোর উপর দাঁড় করানো কল্পবিজ্ঞান বড়োই দুর্লভ। সেই ধারায় একটি অত্যুজ্জ্বল ব্যতিক্রম হল আলোচ্য বইটি। এতে আছে~ ১. সিরাস-ভ্রমণ: এই গল্পটি হুমায়ূন আহমেদের কল্পবিজ্ঞান-ভাবনার অনুসারী— যেখানে হৃদয়ের রহস্যের কাছে হার মেনে যায় মহাজাগতিক বিস্ময়েরাও। অপেক্ষাকৃত ছোটো ও রোমান্টিক এই গল্পটি পড়তে ভালো লাগলেও এর মধ্যে লেখকের প্রকৃত ক্ষমতার বিচ্ছুরণ সেভাবে ঘটেনি। ২. অকালচক্রের কাঁটা: সময়-ভ্রমণের তত্ত্ব, প্রয়োগ এবং সেই নিয়ে নানা ভাবনা তথা ষড়যন্ত্রের এক রোমহর্ষক আখ্যান এটি। এই গল্পেরও শেষে মুখ্য হয়ে উঠেছে হৃদয়ের রহস্য। আর এই উপন্যাসোপম বড়োগল্পটির মধ্য দিয়েই আমরা লেখকের ক্ষমতার সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করেছি। ৩. শ্রোডিঙ্গারের ঐশ্বরিক বিড়াল: উচ্চতর পদার্থবিদ্যা এবং দর্শন তথা ঈশ্বর-ভাবনা নিয়ে বাংলা ভাষায় সম্ভবত এটিই সর্বোত্তম কল্পবিজ্ঞান কাহিনি। এর অসরলরৈখিক কাঠামো অনুসরণ করা মাঝেমধ্যে কঠিন হলেও একবার তার রসাস্বাদন করতে পারলে লেখাটি শেষ না করে ছাড়া অসম্ভব। ৪. ঈশ্বরের গণিত: এই বইয়ের তো বটেই, সাম্প্রতিক কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কল্পবিজ্ঞান কাহিনি এটি। এর মধ্যে যেমন আছে গূঢ় গাণিতিক তত্ত্ব ও সম্ভাব্যতা, তেমনই আছে ভবিষ্যৎ তথা জগতের অস্তিত্ব নিয়ে অনন্য ভাবনা। সব মিলিয়ে এ এক দুর্ধর্ষ বই। এই লেখারা শুধু ভাবনা ও সম্ভাবনার কথাই বলে না। এরা সব তত্ত্ব, স্বার্থ, আর প্রশ্নের ঊর্ধ্বে জীবনের এক মহত্তর লক্ষ্যের ইঙ্গিতও দেয়— যার বিস্তৃতি ক্ষুদ্রতম অণু-পরমাণু ছাড়িয়ে মহাবিশ্বের শেষতম প্রান্ত অবধি বিস্তৃত। কল্পবিজ্ঞানে আগ্রহী হলে এই বই আপনাকে পড়তেই হবে।
অসাধারণ! টাইম ট্রাভেল নিয়ে লক্ষ লক্ষ কাজ হয়েছে ফিকশন দুনিয়ায়। সেখানে নতুনত্ব দেয়াটা একটা বিস্ময়। লেখক সেটাই করে দেখিয়েছেন। চারটে ছোট গল্পের প্রত্যেকটাই টাইম ট্রাভেলের একেবারে নতুন ফিকশন। সাইফাই প্রতিটা ফ্যানের বইটা অবশ্যই পড়া উচিৎ।