Jump to ratings and reviews
Rate this book

মড়ি

Rate this book
সুন্দরবন এলাকায়, বাঘ কখনো কোন বড় শিকার করলে, বাঘ সেই শিকার একবারে খেতে পারে না। অর্ধভুক্ত সেই দেহ সে রেখে দিয়ে যায় পরে আরেকবার এসে খাবে বলে। বাঘের এই আধখাওয়া মৃতদেহকেই বলা হয় মড়ি।

কিন্তু সুন্দরবনের এই তত্ত্ব কিভাবে উত্তরদিনাজপুরের একটি মফঃস্বল শহর হেমতপুরের মানুষের ঘুম কেড়ে নিলো?

মড়িক্ষণই বা কী? এই ক্ষণে কেউ মারা গেলে, কেন তার সৎকার করে না, হেমতপুরের লোকেরা? বরং তাকে রেখে আসে, বাড়ির খোলা ছাদে বা নিভৃত কোণ কোণে।কেন? কার জন্য? কে আসে সেই মৃৎদেহ ভক্ষণের জন্য...

কেন পশ্চিমের জঙ্গলের, দিকে সচরাচর যায় না এলাকার লোকেরা? ওরা বিশ্বাস করে, ওখানে অমুয়ারা থাকে। যাদের মুখ দেখা মানেই সর্বনাশ হওয়া। কারা এই অমুয়া? আর ওখানে ওরা কী করছে?

মৃতপ্রায় নিহারিনীদেবীর শেষ সময়ে কলকাতা থেকে হেমতপুরে এসে উপস্থিত হয়, তার ভাইপো সুমেশ সান্যাল। সঙ্গে স্ত্রী বীথি আর ছেলে টুপাই। এদের এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় হেমতপুরের লোকেদের ভাগ্য। নেমে আসে চরম বিপদ। লোভের বশবর্তী হয়ে ভুল করে এমন কাকে মুক্ত করে সুমেশ আর বীথি? আর তার জন্য তাদেরই বা কী মাসুল দিতে হয়?

নিহারিনী দেবীর সৎকারের সময় এমন কী হয়েছিল যার জন্য বদলে গিয়েছিল হেমতপুরের জনজীবন?

অতীতের কোন ঘটনা, আজও অভিশাপের মত জিইয়ে রেখেছে হেমতপুরের এক ভয়ঙ্করীকে।এই অভিশাপ থেকে আদেও কী কখনো মুক্তি পাবে এখানকার লোকেরা নাকি... সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত বয়ে যেতে হবে এই অভিশাপের ভার?

166 pages, Paperback

Published December 1, 2021

3 people are currently reading
102 people want to read

About the author

Ankur Bar

8 books8 followers

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
8 (22%)
4 stars
12 (33%)
3 stars
13 (36%)
2 stars
3 (8%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 9 of 9 reviews
Profile Image for Tiyas.
449 reviews126 followers
September 28, 2024
যুগ যুগ ধরে চলে আসা এক অভিশপ্ত প্রথায় আবদ্ধ উত্তর দিনাজপুরের হেমতপুর গ্রাম!

আধো-গ্রাম্য আধো-মফস্বল মানুষগুলোকে প্রায় পরজীবী ন্যায় আকড়ে ধরে নিংড়ে ফ্যালে এক ভয়াল ইতিহাস। বিশেষ এক তিথিতে ঘটে যাওয়া কোনো মৃত্যুর ক্ষণ, নির্ধারণ করে মৃতদেহের এক ভয়াল পরিণতি। সৎকার পায় না সেই মৃতেরা। ফাকা ছাদে বা কোনো নিভৃত কোনায় সেই দেহ রেখে, গ্রামবাসীরা আশ্রয় নেয় নিজ বাড়ির অভ্যন্তরীনে। কোনো এক অমোঘ ভয়ে ত্রস্ত হয়ে, বাড়ির পুরুষমানুষেরা বিড়বিড় করে যায় এক অচেনা ছড়া। এক অপার্থিব আশঙ্কায় সিটিয়ে থাকে গ্রামের মানুষেরা।

কেন? ঠিক কি হয় কৃষ্ণপক্ষের শেষরাতে?

বলতেই হয় জব্বর গল্প ফেদেছেন লেখক। সুন্দরবন অঞ্চলের 'মড়ি' নামক এক প্রচলিত তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে লিখেছেন উপন্যাসটি। লেখকের পূর্ব রচিত কোনো কাজের সঙ্গেই পরিচিত ছিলাম না। এতে এক অর্থে সুবিধেই হয়েছে। বইটি পড়া গেলো কোনোরূপ আশা-নিরাশা বা পক্ষপাতের ধার না ধেরে। আমি মানুষটা পাঠক হিসেবে খুব একটা জটিল নই, লেখকের প্রচেষ্টা কে সাধুবাদ জানাতে আমার দ্বিধা নেই। ভয়ের গল্প বলতে সেই একঘেঁয়ে তন্ত্রাচার আর ইতিহাসের কচকচানির বাইরে বেরিয়ে যে তিনি বাংলার লোকাচার ও লোকায়ত বিশ্বাসকে বেছে নিয়েছেন, এখানেই আমার সন্তুষ্টি।

তবে বইটি ত্রুটিহীন নয়। বেশ কিছু পর্যায়ে আপনি কাহিনীর লজিক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। অমন সম্ভাবনাময় কনসেপ্টগুলোর এক্সিকিউশনও যে দশে দশ হয়েছে, সেই দাবীও করছি না। শেষটাও যেন খানিকটা তাড়াহুড়োতেই গুটিয়ে নিলেন লেখক। তবুও বলতে দ্বিধা নেই, যে বইয়ের ভালো দিকগুলো নিঃসন্দেহে খারাপকে ছাড়িয়ে যায়। ভালো লাগে, লেখকের 'মড়ি' নামক এই অশুভ শক্তিকে নিয়ে এক নিজস্ব মিথলজি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। যেখানে মিলেমিশে যায়, ইতিহাসের করালদংশন, জঙ্গুলে অভিশাপ ও রহস্যময় অমুয়া উপজাতিরা।

একঝাঁক ধূসর চরিত্রদের প্রটাগনিস্টের আসনে বসিয়ে লেখক বলেছেন আদিম রিপুর গল্প। লোভ! কালান্তক লোভ! লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষে যুগের পর যুগ ধরে আঘাত হেনেছে প্রকৃতির ভারসাম্যে, তার মূল্য চোকাতেই যে এত রক্তক্ষয়, এত সর্বনাশ! গল্পটির সিনেমাটিক পোটেনশিয়াল যথেষ্ট। বিশেষ করে 'আউধুনির ডাঙা'র অমন অপার্থিব চিত্রায়ন, কোথাও গিয়ে 'তুমব্বড়' জাতীয় কোনো ছবির কথা মনে করায় কি? হরর-প্রেমী হিসেবে বইটিতে ভয়ের উপাদানের বাইরেও উপভোগ্য হয়ে দাঁড়ায় লেখকের শক্তিশালী ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং। বইয়ের দুর্বল দিকগুলোর প্রতি যা এক প্রকার 'সাত খুন মাফ'-এ সহযোগিতা করে। আজকের এই তন্ত্র-প্লাবিত বাজারে এ জিনিস বিরল।

এমন সহজ ভাষায় নির্ভেজাল ফোক-হরর নিয়ে আরো অনেক কাজ হোক, এই আশা রইল।

(২০২৩ || ৩/৫)
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
January 10, 2022
প্রথমেই আসুন জেনে নিই এই মড়ি আদপে কী? সংক্ষেপে -

“মড়ি এক ভয়ংকর পিশাচিনী। সে মানুষের মড়া খেতে দুবার আসে বাঘের মতো... কৃষ্ণপক্ষের দুপুরের পর যারা মারা যায়, তাদেরই মড়ি খায়। মড়ির খাওয়া এঁটো মড়া দেখলে, সেই মড়া জ্যান্ত হয়ে যায়। আর যে দ্যাখে, তাকে আর তার পরিবারকে শেষ করতে...'

কিন্তু আসলেই কি তাই? নাকি লুকিয়ে আছে আরও ভয়ংকর কিছু? হ্যাঁ, খেমি বুড়ির সাথে যখন আপনার আলাপ হবে তখন জানতে পারবেন বাকী রহস্য। ।

তো এবার বলি গল্পটা কেমন লাগলো। আমার মতো ব্লকবাস্টার ( কেননা এ দিয়ে মুভি বানালে ব্লকবাস্টার ই হবে)। লেখক কোন কিছুর কমতি রাখেনি। কিছু লেখক আছে যারা গল্পের শেষে গিয়ে সমস্ত রহস্য উন্মোচন করেন। এটা আমার কিছুটা অপছন্দের। এক্ষেত্রে লেখক ধাপে ধাপে রহস্য উন্মোচন করেছেন যা গল্পটিকে আমার কাছে আরো বেশি উপভোগ্য করে তুলেছে।

ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে বিন্দুমাত্র অসন্তুষ্ট নেই। যা আছে যথেষ্ট ।শেষটাও ধীরে সুস্থে অসাধারণ উপায়ে শেষ করেছেন লেখক। এই একটা দিক নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। কিন্তু না। শেষটা ঠিকঠাক।আর সাথে দুর্দান্ত কিছু টুইস্ট

তারপর আর কি? অঙ্কুর বরের এই লেখাটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো বাকি দুটোর থেকে।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,863 followers
February 5, 2022
চারদিকে অলৌকিক গল্পের বিপুল প্রবাহের মধ্যেও মাঝেমধ্যে আমাদের মনে একটা অভাববোধ খোঁচা দেয়। মানবেন্দ্র পালের শিহরন-জাগানিয়া ভৌতিক উপন্যাস পড়া ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে। তখনই আমরা ভাবি, "এখন কি ভয়ের উপন্যাস লেখা হয়?"
হয়।
সবাই পারেন না তেমন জিনিস লিখতে। কেউ-কেউ পারেন। তাঁরা চেষ্টা করলে বেশ বড়ো পরিসরের লেখার মধ্য দিয়েও পাঠককে দারুণ ভয় পাওয়ানো যায়। অঙ্কুর বর তেমন লেখেন। আলোচ্য উপন্যাসটিতে তিনি সেই দক্ষতাই প্রদর্শন করেছেন।
এই উপন্যাসের পটভূমি দিনাজপুরের এক মফস্বল— যা কিছু নাগরিক পরিষেবার স্পর্শ পেলেও আদতে গ্রামই। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে এক অদ্ভুত প্রথা রয়েছে। তা যেমন বীভৎস, সেটি লঙ্ঘিত হলে তার পরিণাম তেমনই ভয়ংকর। উপন্যাসটিকে লেখক মোট পাঁচটি খণ্ডে সাজিয়েছেন। প্রথম খণ্ডে আমরা এই প্রথার পরিচয় এবং অভিঘাত দেখি। দ্বিতীয় খণ্ডে হেতমপুরে আবির্ভাব হয় এই কাহিনির প্রটাগনিস্ট সুমেশ, তার স্ত্রী বীথি এবং ছেলে টুপাইয়ের। সেই খণ্ডেরই সূত্র ধরে, একেবারে রুদ্ধশ্বাসে, রক্ত ও বীভৎসতার এক বিচিত্র হোলিখেলার মধ্য দিয়ে লেখক আমাদের ছুটিয়ে নিয়ে যান উপন্যাসের শেষে। বিচিত্র কিছু রহস্যের উদ্ঘাটনের সাক্ষী হই। "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু"-র অজস্র উদাহরণ দেখা যায় পাতায়-পাতায়. লজিকাল লুপহোলকেও লাফিয়ে পার হয়ে যেতেই হয়— নইলে লেখক যে আমাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবেন।
আর তারপরেই আমাদের নাগাল পেয়ে যাবে মড়ি!
অঙ্কুর বরের গদ্যভাষা অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ ও আধুনিক। তন্ত্রের গুষ্টির পিন্ডি না চটকে তিনি লোকায়ত সংস্কার, লোভ, রেষারেষি এবং হিংস্রতাকে উপজীব্য করেই এই উপন্যাসটি নির্মাণ করে আমাদের সবার ধন্যবাদার্হ হয়েছেন।
উপন্যাসটিতে ভয় পাওয়ার মতো বহু মুহূর্ত আছে। টানটান ভঙ্গিতে লেখা হলেও বইটি ঈষৎ তারিয়ে-তারিয়ে পড়লে সেই মুহূর্তগুলোর যথাযথ রসাস্বাদন করতে সুবিধে হয়।
বইটির ছাপা পরিষ্কার। বানানের ভুল তেমন একটা চোখে পড়েনি। অলংকরণগুলো যথাযথ।
সব মিলিয়ে "মড়ি"-কে দিব্যি উপভোগ করলাম। তারই সঙ্গে শুরু হল অঙ্কুর বরের পরবর্তী কাহিনিটি পড়ার জন্য অপেক্ষা।
অলৌকিক উপন্যাস পড়তে চাইলে এই বইটিকে হাতে তুলেই নিতে পারেন। রাতে পড়বেন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসবেন। জানালার পর্দাটা টেনে দেবেন— যাতে হঠাৎ করে কিছু দেখে চমকে না ওঠেন। আর তারপরেই...!
Profile Image for Madhurima Nayek.
361 reviews135 followers
March 23, 2023
Recommended book 👍🏻

অনেকদিন পর চমৎকার একটা বই পড়লাম।
পয়সাওসুল। বেশ ভালো মত ভয় পেয়েছি।
এই বই নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকারই নেই, যারা ভয়ের বই পড়তে ভালোবাসো, চটপট হাতে তুলে নাও আর পড়তে শুরু করে দাও। পাতার পর পাতা উল্টেছি,আর মনের মধ্যে হচ্ছিল এরপর কি হতে চলেছে, এরপর কি ঘটবে !!!? উফফ্ দারুন enjoy করেছি।
বই শেষ না করে ওঠা যায় নাহ্। বুকের ভিতরটা এখনও কেমন যেন ধড়ফড় করছে।
Profile Image for Adhiraj Roy.
6 reviews2 followers
February 14, 2023
রহস্যের আধার সচরাচর জল-জঙ্গল। কিন্তু ইট-পাথরের ব্যস্ত শহর মাঝে, হঠাৎই যদি সুপ্ত অভিশাপ মাথাচাড়া দেয়; কোনো এক বা একাধিক ভয়ঙ্করীর মারণাত্মক ছোবলে যদি মড়ক দেখা যায় - নিঃসন্দেহে তা শিহরণ-ভয়-আতঙ্ক উদ্রেককারী। এবং সেই দিক থেকেই লেখক, সন্ধ্যার আঁধারে বা নিঝুম দুপুরে কিংবা গভীর রাতে আচমকাই ভয় পাওয়াতে যথার্থ সফল।
মড়ি কি বা কে?
- মড়ি-এর উৎপত্তি সুন্দরবন। বাঘ তার শিকার একবারে খেতে না পারলে তা রেখে দিয়ে যায় পরে আরেকবার এসে খাবে বলে। বাঘের এরূপ আধ-খাওয়া মৃতদেহকেই বলে মড়ি।
সুন্দরবনে যার উৎপত্তি সে উত্তর দিনাজপুরের হেতমপুর নামক মফস্বলের সাথে কীভাবে জড়িয়ে গেলো? মফস্বলবাসী কেনো ভয় পায় মড়িক্ষণের মৃতদেহ? কী এই মড়িক্ষণ? কেনো সেই সময়ে মৃতদেহকে বাড়ির বাইরে বার করতে নেই? কেনোই বা হেতমপুরবাসী এই মৃতদেহকে সৎকার না করে রেখে আসে সেই বাড়িরই খোলা ছাদে? কে খেতে আসে সেই মৃতদেহ?
আউধুনির ডাঙা কি? সে কি সত্যি জায়গা পরিবর্তন করে? সেখানে এঁটো আনা বারণ কেন? জগড়বৃক্ষই বা কী?
পশ্চিমের জঙ্গলে রয়েছে কি রহস্য যার জন্য মানুষজন তাকে এড়িয়ে চলে? অমুয়াই বা কারা? কেনোই বা এদের মুখ দেখলে সেই পরিবারে নেমে আসে কারুর মৃত্যু? আর কেনোই বা অমুয়ারা সাধারণত থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে?
সর্বনাশী মুক্তি পেলো,
বড়োই তার ক্ষোভ,-
কে জাগালো ভয়ঙ্করী?
মানবজাতির লোভ!
সুমেশ আর বীথি, তাদের ছেলে টুপাই। প্রধানত সুমেশ আর বীথিকে ঘিরেই জড়িয়ে পরে এক একটা অধ্যায়। বেরিয়ে আসে অতীতের অপশক্তি। মুক্ত হয়ে সে হয়ে ওঠে আরো হিংস্র। মৃত্যুই তার উন্মত্ত বাসনা। 'পিসি' নিহারিনী দেবীর সৎকারকালে ঘটা কোন ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেলো হেতমপুরের জনজীবন? অতীতের কোন পাপ আর তার ফলাফল এখনও রয়ে গেছে হেতমপুরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে? কাঠ-পোড়া কটু গন্ধ তার পরিচয়, আঁধার তার ভালোলাগা, একঝাঁক এলোকেশের আড়ালে ধকধকিয়ে জ্বলতে থাকা চোখগুলো কিন্তু আপনাকেই দেখছে!
একটা শুভশক্তির বিপরীতে যেমন একটা অপশক্তি থাকে, সেভাবেই একটা অপশক্তির বিপরীতে থাকতে পারে এক বা একাধিক অপশক্তি। মড়ি নামক এই অপশক্তির তাহলে বিনাশ কোথায়? আবারো কি তবে দেহমুক্তি ঘটবে আরেক অপশক্তির? মুক্তি পাবে হেতমপুরবাসী? নাকি...., নাকি এভাবেই সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত হেতমপুর থাকবে আতঙ্কে, কৃষ্ণপক্ষের কোনো মৃতদেহকে রেখে দেবে ছাদে কারুর খাওয়ার অপেক্ষায়......?
অনেকগুলো কেনো, তার পেছনে হাতড়ে যাওয়া একাধিক উত্তর। হেতমপুর-সুমেশ-বীথি-অমুয়া-আউধুনি জুড়ে গেছে এক সুতোয়, একটাই গল্পে।
“মড়ি মড়ি মড়ি
মড়ার মাথায় নড়ি
নড়ি চাটে নেউল
বিরান হল দেউল
দেউল ভাঙি দাঁতে ।
মড়ি আসে রাতে।।
পুনম রাতে আঁধার
মড়ি আসে দুবার
মড়ির প্রথম ছোঁয়া
ছোঁয়ায় বাঁধা নোয়া
ফিরতি মুখের আগে
উঠবে মড়ি জেগে
জাগলে এঁটো মড়া
মড়ির হাতে ধরা।"
অলৌকিকতায় ভরপুর লেখক অঙ্কুর বর-এর 'মড়ি'।প্রত্যেকটি পর্বের টানটান উত্তেজনা আর পাতায় পাতায় শিহরণ বাধ্য করবে বইটি এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলতে।

বাইন্ডিং: পেপারব্যাক
পৃষ্ঠা সংখ্যা:১৬৭
Profile Image for Rituparno Sen.
34 reviews4 followers
April 21, 2023
লেখক বাংলার সুন্দরবন অঞ্চলের লোককথার উপর নির্ভর করে মৌলিক ভূতের গল্প লেখার চেষ্টা করেছেন । ভালো লেগেছে যে শুধুমাত্র ভূত নির্মাণ নয় লেখক পুরোদস্তুর একটা জগৎ নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন । শুধুমাত্র এই প্রচেষ্টার জন্যই লেখক প্রশংসা দাবি করেন। তবে লেখার ধরন বড্ড বেশি ছেলে ভুলনো। গল্পের চরিত্ররা সবাই মোটামুটি একমাত্রিক। তাতে এই গল্পের মঙ্গল হয়েছে। চরিত্রদের অন্তর্দ্বন্দ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে শুধুমাত্র অতিলৌকিক ঘটনাগুলোর দিকেই ফোকাস করা গেছে। লেখাটি শিশু ও কিশোরদের জন্য তাই চিরাচরিত কিছু প্লট পয়েন্টস ও ক্লিসে অবধারিত ভাবেই এসেছে। কিছু জায়গা পড়তে গিয়ে অত্যন্ত ক্রিঞ্জ লেগেছে, ছোট্ট একটা বিরতি নিয়ে আবার পড়তে হয়েছে। তবে সবথেকে বেশি হোঁচট খেয়েছি লেখকের ফোর্থ ওয়াল বারবার ভাঙার চেষ্টায়। গল্প সুন্দর এগোচ্ছে হঠাৎ করে লেখকের কথন “ এই মড়ি শব্দের সাথে ওরা পরিচিত না হলেও আমরা আগেই জেনেছি , …আউধুনির ডাঙা কতটা ভয়ঙ্কর আমরা আগেই জানি “ইত্যাদি । আরও অবাক লেগেছে যে লেখকের শব্দকোষ হাসির প্রকারন্তর নেই! গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব হাসিই “মুচকি হাসি”! তাই বইটি এক কালীন পড়ার জন্য ভালো হয়েই রয়ে গেল।


This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Sayak Sarkar.
14 reviews1 follower
August 23, 2022
valoi besh, kharap na! ek nagare ses korar moto boi! ajkalkar dine eto tontro mantro gyaja khurir dineo ei golpotar sese ekta solid reason khuje paben! lekhok ek samanno ekta word(mori) ke use kore puro ekta jomjomat golpo likhe felechen! somoy valoi katbe bole amar biswas.
Profile Image for Angela Roy.
7 reviews2 followers
December 16, 2024
|| পাঠ প্রতিক্রিয়া || বাংলা হরর || মড়ি||

প্রকাশক : বিভা পাবলিকেশন
লেখক : অঙ্কুর বর
মূল্য : ১৯৯ টাকা

📌 সুন্দরবন এলাকায় , বাঘ তার শিকার একবারে খেতে না পারলে রেখে দিয়ে যায় পরে আরেকবার এসে খাবে বলে । বাঘের এই আধ- খাওয়া মৃতদেহকেই বলে মড়ি ।

কিন্তু কেনই বা হেমতপুরের মানুষের ঘুম কেড়ে নিলো এই তত্ত্ব ? মড়িক্ষণই বা কি ? এই ক্ষণে মারা গেলে সৎকার না করে কেনো তাকে ছাদে রেখে আসা হয় ? কে আসে সেখানে ?

📌 হরর জনরের গল্প পড়তে ভালোবাসা মানুষজন অঙ্কুর বর এর নাম শুনেই থাকবেন এবং ওনার লেখার সঙ্গেও বেশ পরিচিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু আমার এটা ওনার লেখা প্রথম পড়া বই ।
বইটি এক নিঃশ্বাসে শেষ করার মতো । তাও একটু ভয় ভয় লেগেছিল বলে কয়েকদিন ধরে একটু একটু করে পড়েছি ।

📌 প্রথম যেদিন বইটার লেখা টা পড়ি , রাতের বেলায় ঘুমোনোর সময় বেশ ভয় ভয় লেগেছে । বার বার মড়ির কথা মনে পড়ছিল । এটা তখনই সম্ভব হয় যখন লেখক এতটাই ভালো লেখেন যে পড়ার মুহূর্তে দৃশ্যটা চোখে ভেসে ওঠে । এখানেই ঠিক তাই হয়েছে । অঙ্কুর বর মহাশয় বেশ গুছিয়ে মানুষকে ভয় পাইয়েছেন । যার জন্য যতবার মড়ি কথাটা মনে পড়েছে গা শিরশির করে উঠেছে ।

📌 বইটা একটা সার্থক হরর জনরের বই । যাদের কোর হরর বেশ ভালো লাগে তাদের বলব কিনে পড়ে ফেলো এবং পড়ার পর জ��নিও কেমন লেগেছে । স্পেশালি যখন একটা টুইস্ট আসবে ওটা ভীষণ ভালো লাগবে পাঠকের আসা রাখছি ।

লেখক / লেখিকাকে রেটিং দেওয়া আমার একেবারেই উদ্দেশ্য নয় । আমি তার যোগ্য ও নয় । শুধুমাত্র পাঠক হিসেবে নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোটাই আমার কর্তব্য । সেটাই করলাম । সবাই অবশ্যই পড়ে জানিও কেমন লেগেছে ।
Profile Image for Sudip Ghosh.
61 reviews3 followers
November 15, 2022
'মড়ি'র কনসেপ্টটা বেশ ভালো লেগেছে। মড়ির আগমন আর ঘটনাপ্রবাহে বেশ ভালো ভৌতিক আবহ ছিল। লেখক ধীরে সুস্থেই কাহিনীর বিল্ডআপ করেছেন, গল্প বলার ধরন এবং ভাষা চমৎকারই।
উপন্যাসের দুই এক জায়গায় কনসেপ্টে একটু উনিশ-বিশ লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া সমাপ্তিও বেশ ভালো ভাবেই টেনেছেন লেখক।
সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালোই বলা যায়।
Displaying 1 - 9 of 9 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.