পৃথিবীর জন্য সময়টি ভালো নয়— সমস্ত পৃথিবীর মানুষের কাছে যত সম্পদ এক দুইজন মানুষের কাছে সম্পদ তার থেকে বেশী। সেই বিশাল সম্পদ নিয়ে কী করবে তারা জানে না। মানুষের ভূমিকায় তারা আর থাকতে চায় না, ঈশ্বরের ভূমিকায় যেতে চায় এখন। সেজন্য নূতন প্রজাতির অতিমানব জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করল। প্রকৃতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জন্ম দিল অল্প কিছু পরামানবের।
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
মাঝামাঝি ভাল্লাগসে। একটুখানি সাইন্স ফিকশন, অনেকখানি আবেগ। হয়তো বা স্যারের প্রতি পুরানো ভালোলাগার কারণে রেটিং দেয়ার ক্ষেত্রে এখনও কিছুটা বায়াসডনেস কাজ করে। যাই হোক.. ভাল্লাগসে। লাস্টের আবেগীয় অংশগুলো পড়লে এখনও গায়ে কাঁটা দেয় (ঐ যে পুরানো আবেগ!)
আমি পরামানব মুহম্মদ জাফর ইকবাল সময় বইমেলা, ২০২২ ১২০ পৃষ্ঠা মুদ্রিত ২৪০/- কাহিনি সংক্ষেপ: পৃথিবীর জন্য সময়টি ভালো নয়— সমস্ত পৃথিবীর মানুষের কাছে যত সম্পদ এক দুইজন মানুষের কাছে সম্পদ তার থেকে বেশী। সেই বিশাল সম্পদ নিয়ে কী করবে তারা জানে না। মানুষের ভূমিকায় তারা আর থাকতে চায় না, ঈশ্বরের ভূমিকায় যেতে চায় এখন। সেজন্য নূতন প্রজাতির অতিমানব জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করল। প্রকৃতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জন্ম দিল অল্প কিছু পরামানবের।
কিন্তু পৃথিবী কি প্রস্তুত এই পরামানবের জন্য?
পাঠ প্রতিক্রিয়া: প্রথমেই জানিয়ে রাখি স্যারের সাই-ফাই পড়ে পড়েই তো বড়ো হয়েছি। তাই পাঠ-প্রতিক্রিয়া বায়াসড হবেই৷ এককালে সাই-ফাই বলতে তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আজিমভের সঙ্গে পরিচয়ও তার হাত ধরেই। বিভিন্ন প্লটেই তো তিনি লেখেন। টুকি ও ঝা কিংবা টুকুনজিলে যেমন হিউমারটা বেশি, আবার মেতসিস, ক্রুগো, যারা বায়োবট সায়েন্সি আবহটা বেশি। একই ভাবে ত্রাতুলের জগত, ক্রোমিয়াম অরণ্য, নিসঙ্গ গ্রহচারী এক হিসেবে ভবিষ্যতের বুকে মানুষের আর মানবিকতার গল্প। আমি পরামানবও সেই কাতারেই পড়ে। জানি না কেন, তবে স্যারের এই ধরনের লেখা খুবই স্পর্শ করে আমাকে। গল্প অনেকটাই ফর্মুলেয়িক— ১. একজন অনাথ থাকবে, যার খুবই মিনিয়াল জব থাকবে, সঙ্গী-সাথী থাকবে না৷ ২. সে ভাগ্যের ফেরে খুবই অসাধারণ একজন হিসেবে আবিষ্কৃত হবে। ৩. অন্যকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবে। ৪. এরপর পাশার দান উলটে যাবে। ৫. শুধু প্রেমিকার কাছে নিজের ভূমিকা বলবে। তবে একই ফর্মুলাকেই নানা ভাবে উপস্থাপন করেন তিনি। আমার কাছে এই উপস্থাপনাটাই ভালো লাগে। বিশেষ করে তার কর্তা-বাচ্যে বর্ণনা করার ভঙ্গিটা৷ খুব বেশি রিলেট করতে পারি। নিজেকে নীল-ত্রাতুল-সোহান মনে হয়। হয়তো ভালোলাগার কারণও সেটাই। এত ছোটো বইতে ক্যারেক্টার স্টাডি হয় না ঠিকমতো। তবে প্রাথমিকভাবে ক্যারেক্টার স্টাডি বোধহয় বলাই যায়। খারাপ দিকের প্রসঙ্গে আসি৷ লেখনশৈলী নিয়ে কথা না বলি, একেকজনের একেকরকম ভালো লাগে৷ স্যারের লেখা এখন একটা বাহুল্যদুষ্ট মনে হয়৷ বিশেষ করে সর্বনামের ক্রমাগত ব্যবহার। তবে মজা নষ্ট হয়নি তাতে। প্রোডাকশন নিয়ে মাথাব্যথা আগেও ছিল না, এখনও নেই। পড়তে পারলেই খুশি, তবে মনে হয় না এই বইয়ের প্রোডাকশনে কারও খুব বড়ো আপত্তি থাকবে। একমাত্র সমস্যা, আমার কাছে অন্তত, বইয়ের মেকাপে। পেজে ২৬/২৭ লাইন দেওয়া, তাতে সমস্যা নেই। সমস্যা হলো: ফন্টটা আরেকটু বড়ো করে দেওয়া যেত৷ তাতে পড়তে সুবিধা হতো আরও৷ ২৭ লাইন করে রেখে ছাপালেও পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়ত না। আর তাছাড়া—উনার বইতে নিশ্চয়ই পাতা গুনে দাম রাখা হয় না?
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘আমি পরামানব’ পুরোপুরি আমার প্রত্যাশা পূরন করে নি। যেই আইডিয়ার উপর উপন্যাস এগোচ্ছিল, তা আরো বিস্তৃতি দাবি করে।প্রকৃতির প্রতিশোধের এরকম একটা ভাবনা খুবই অভিনব। সাধারনত, প্রাকৃতিক দুর্যোগকেই সাহিত্যে ঘুরেফিরে এসব ক্ষেত্রে ভিলেন বা অতিলোভের ফল হিসেবে দেখানো হয়। এখানে স্যার সেই পথে না হেঁটে গোটা মানবজাতির একটা নতুন পর্যায় কল্পনা করেন যা এসেছে প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবে। কিন্তু, এই চমক মনে বসতে না বসতেই কেটে যায়। এজন্যই শেষ করার পর যেই আধাখেঁচড়া অনুভূতিতে আক্রান্ত হয়েছিলাম, তা এতোদিন পরেও রয়ে গেছে। এই ধারনার উপর আরো একটি বর্ধিত কলেবরের উপন্যাস স্যারের কাছ থেকে মনে মনে আশা করি। তাতে পরামানবের এই জগত আরো সম্পূর্নতা পেলে পাঠক হিসেবে তৃপ্ত হব।
গত কয়েক বছরের কয়েকটি অতি-দুর্বল (মতান্তরে অখাদ্য) বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির পর এবার কিছুটা ভাল মানের একটি বই পেলাম মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছ থেকে। এটাকে চলনসই বলা যায়, তবে খুব অসাধারণ কিছু নয়। আইডিয়া ও প্লট আকর্ষণীয় ছিল, তবে খুব তাড়াহুড়ো করে... ছোট্ট এক পরিসরে নায়ককে ঢুকিয়ে দিয়ে গল্প শেষ করে দেয়া হলো। তাই তৃপ্ত হওয়া গেল না।
নীল, ভবিষ্যতের পৃথিবীর একজন ছাপোষা কর্মী যে কিনা অন্য অনেকের মতো একটি কারখানায় কাজ করে। কিন্তু একদিন এক বিচিত্র নারী এবং তার সঙ্গীর সাথে দেখা হওয়ার পরে সে জানতে পারে পৃথিবী বিষয়ক ভয়ানক এক সত্য। এখন সেই সত্য কীভাবে তার জীবন পরিবর্তন করে দেয় তা নিয়েই লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন ঘরানার 'আমি পরামানব' বইটি লেখা। - 'আমি পরামানব' বইয়ের থিমের একটি অংশ বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার কাছে। তবে অতি অল্প কাহিনির ভেতরে থিমটি ভালোভাবে ফুটে উঠেনি। বইয়ের স্টোরি স্ট্রাকচারে লেখকের আগের সায়েন্স ফিকশনের সাথে তেমন কোন পরিবর্তন নেই, বারবার একই স্ট্রাকচার দেখতে দেখতে এখন গৎবাঁধাই লাগে সেগুলো। বইয়ের মূল চরিত্র নীল সহ কোন চরিত্রেরই ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে হয়নি। সায়েন্স ফিকশন হিসেবে বইয়ের বাকি অংশগুলোও বিলো অ্যাভারেজ। - 'আমি পরামানব' বইয়ের প্রোডাকশন খারাপ নয়, এর প্রচ্ছদ এবং ভেতরের ইলাস্ট্রেশনও পছন্দ হয়েছে। তবে গল্পের দিক থেকে নতুন কিছুই পাইনি এই বইতে। তাই যারা লেখকের সায়েন্স ফিকশন খুব একটা পড়েননি তাদের হয়তো 'আমি পরামানব' বইটি ভালো লাগতে পারে কিন্তু যারা লেখকের প্রথমদিকের সায়েন্স ফিকশন পড়েছেন তাদের ব্যপারে সাজেশন থাকবে এই বই পড়ার চেয়ে আবার সেগুলোই পড়ার জন্য।
মনে হচ্ছে হাজার বছর পর মুজাই পড়লাম। সেইসব ইতস্তত অতি পরিচিত শব্দগুচ্ছ কৈশোর মনে করিয়ে দেয় ... এই accent টি কত পছন্দই না করতাম এককালে, এখন একঘেয়ে লাগে। বইয়ের ব্যাপারে আসি। গল্পের মূল ধারণাটি বেশ সুন্দর, কিন্তু শেষ পর্যন্ত গল্পটি অতি পুরাতন প্যাটার্ন ফলো করেই শেষ হয়েছে। কোন ঘটনার পর কোন ঘটনা ঘটবে সেটি খুব সহজে অনুমান করে ফেলতে পারছিলাম। এই ব্যাপারটাই আমার দুঃখজনক লেগেছে, ছোটবেলায় মুজাই পড়ার সময় তো এমন লাগত না। আর কিছু অসংগতিও চোখে পড়ল। যেমন নীল নামের পরামানব ছেলেটি কখনো পড়াশোনা করেনি। তাকে আল্ট্রাভায়োলেট রে, ইনফ্রারেড রে এর কথা বলতেই সে একবাক্যে বুঝে গেল। তার তো প্রশ্ন করার কথা ছিল। এরকম ছোটখাট কিছু ব্যাপার৷ হালকা সময় কাটানোর জন্য চলে এমন একটা বই। :)
বড় হয়ে গেছি বলে ভালো লাগে না নাকি আসলেই জাফর ইকবালের গল্পে আগের মত টেস্ট হয়না, এটাই বুঝতে পারলাম না৷ নিতান্তই অভ্যাসের বসে কিনে ফেলেছিলাম নতুন আসছে দেখে। পড়ে মনে হচ্ছিল শুধু লেখার জন্য লেখা। মসলা ছাড়া তরকারির মত লাগলো।
"এত বড় হওয়ার পরও জাফর ইকবাল কেন পড়ি?" প্রথমত বড় হওয়ার বেঞ্চমার্কটা একেক মননে একেক রকম। আর দ্বিতীয়ত অভ্যাস! প্রতিবার অভ্যাসবশতই জাফর স্যারের বই কিনি, মনে মনে হয়তো জানি হতাশ হবো। ছোটবেলার মতো অতটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়তো হবে না। কিন্তু তাও আরকি, অভ্যাস থেকে তো বের হতে পারছি না! (অথবা আমি বের হতে চাইও না!)
যাইহোক বই প্রসঙ্গে আসি; পড়ার পর থেকে খালি মনে হচ্ছে "জাফর স্যারের আজকাল কিসের এত তাড়া?" কোনো চরিত্রেরই ডিটেইল কোনো বর্ণনা নেই। যেমন ধরা যাক, প্রধান চরিত্র নীল। তার ব্যাপারে ডিটেইল কিচ্ছু নেই। পড়ার সময় মনে মনে তার কোনো ছবি আমি ভিজ্যুয়ালাইজ করতে পারছিলাম না।
অনেক ছাড়া-ছাড়া সুন্দর জায়গা ছিলো, যেগুলো রিটাচের অভাবে খাপছাড়া রয়ে গেছে। মনে হয় সময়ের অভাবে প্রথম ড্রাফট'টাই পাবলিশড হয়েছে আরকি!
(তো বই অভিজ্ঞতার কথা শেষ হইলো। তাই বইলা আপনারা ভাইবেন না এই শেষ! মনে মনে হতাশ হওয়ার ভয় নিয়া আমি সামনের বছর আবারও জাফর স্যারের নতুন সাইন্স ফিকশন কিনবো, পড়ার পর লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়বো, তারপর এইভাবে আরেকটা হতাশা মাখা অভিজ্ঞতা লিখবো!)
জাফর ইকবাল স্যারের সায়েন্স ফিকশনগুলো আমাকে ক্লাস সিক্স,সেভেনের দিনগুলোতে নিয়ে যায়... একেকটা সায়েন্স ফিকশন ক্লাস চলাকালীন স্কুলে পড়তাম, ধরাও খেয়েছি... একবার বসায় পড়ে শেষ করার মতো একটা বই।প্লট,চরিত্র বিল্ডআপ মোটামুটি মানের ছিলো ,হতাশ করেনি খুব একটা।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাইফাই কেন পছন্দ করি? কারণ তিনি প্রযুক্তির অপব্যবহার আর বিপজ্জনক দিকগুলোর কথা যেমনটা বলেন, যতই দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে তার থেকে আমরা বোধ হয় খুব দূরে নই। তিনি কোন কারণে আপনার অপ্রিয় হতেই পারেন, তবে সেটা ভিন্ন আলাপ।
অনেকদিন পর তিনি ভাল কিছু উপহার দিলেন। সর্বশেষ 'বেজি' পড়ে দারুন বিরক্ত হয়েছিলাম বিধায় অনেকদিন আর কোন বইতে হাত দিই নি। ফ্ল্যাপে এবারের গল্পের থিম দেখে ভাল লাগল তাই পড়ে ফেললাম।
প্লট নির্বাচন পছন্দ হয়েছে- অন্যান্য গল্পগুলোর মতন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপব্যবহারকে পাশে রেখে এবারে বিলিয়নিয়ারদের অসুস্থ ডমিনেটিভ মনোজগৎকে মূল উপজীব্য করেছেন। পৃথিবীতে সম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি সম্পদের পোলারাইজেশন হচ্ছে। মানুষের ব্যবধান বাড়ছে। যেকোনো প্রেজেন্টেশনের একটা কমন থিম দেখা যায়- Make the world a better place; কিন্তু আদপে দেখা যায় যত নতুন আইডিয়া আর টেকনোলজি আসছে সেগুলো পৃথিবীকে সুন্দর বা বাসযোগ্য করার জন্য খুব একটা ব্যবহার হচ্ছে না; বরং সেসবের কন্ট্রোল নিয়ে অল্প কিছু মানুষ সম্পদ আর ক্ষমতা বানাচ্ছে। মানুষ এদের দাসে পরিনত হচ্ছে; নিজের চিন্তা চেতনার স্বাভাবিক ধারাকে মনের অজান্তেই পরিবর্তন করে ফেলছে। এই ধারায় একদিন দেখা গেল একজন মাত্র মানুষ পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ আর ব্যবসার মালিক হয়েছে। আর যারা দরিদ্র, তারা ঠিক যেন ক্রীতদাস। আরও কিছু সমসাময়িক ঘটনার সাথে গল্পের বর্ননা চাইলে মিলিয়ে দেখা যায়; এমনকি যেসমস্ত কারণে তাঁকে বেশ সমালোচনা করা হয় তার সাথেও।
গল্পের বিবরণ সরল। চিরায়ত চরিত্র চিত্রণ আর স্টোরিটেলিং বিদ্যমান। এক বসায় শেষ করে ফেলবেন। খুব আহামরি হয়েছে তা নয়। তবে তুলনামূলক ভ্লা গল্প লিখেছে।
বেশ কিছুদিন পর একটা সায়েন্স ফিকশন পড়লাম এবং পড়ে বুঝলাম হয় আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে নাহয় বইটাতেই কিছু সমস্যা আছে। স্টোরি বিল্ডআপ,প্লট সবই ওকে টাইপের।বেশি আহামরি কিছু না। তবে প্রথম থেকেই লাগছিল লেখক খুব দ্রুত বইটা শেষ করতে চাচ্ছেন। কোনো উত্তেজনা নেই,সব সমস্যা সাথে সাথেই সলভ হচ্ছে,গল্পের নায়কের অনুকূলেই সব হচ্ছে,ভিলেন তেমন একটা গতি করতে পারছে না এমন আরকি। আমি জাফর ইকবাল স্যারের অনেক সায়েন্স ফিকশন এর আগে পড়েছি, তাই হয়তো এক্সপেক্টেশনটা বেশি ছিল। একবার পড়ার জন্য খারাপ না। তবে ভিলেন যে ছিল "গ্রিগান" তার প্রত্যেকটি বর্ণনা আমাকে কেনো যেনো মুকেশ আম্বানির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলো। যারা বইটা পড়েছে তারা বুঝবে।🙏
কাহিনিতে খুব চমক বা নতুনত্ব তেমন ছিল না। চরিত্রগঠনে সচরাচর যে মানবিকতা যুক্ত থাকে, সেটা কিছুটা কম ছিল। তবে এমনিতে পড়ে ফেলা গেছে। বিরক্ত লেগেছে মুদ্রণপ্রমাদে। এরকম একজন লেখকের বই, এমন নামী প্রকাশনী থেকে বের হওয়া, সেখানে এমন প্রমাদ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
বেশ কয়েক বছর পর জাফর ইকবাল স্যারের সায়েন্স ফিকশন পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি। বিগত কয়েক বছরের সায়েন্স ফিকশনগুলো আদতে সায়েন্স ফিকশন মনে হয়নি; অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী মনে হয়েছে। আমি পরামানব সেই তুলনায় বেশ ভালো একটা বই। তবে শেষ দিকে একটু তাড়াহুড়া হয়েছে। কাহিনীর ব্যপ্তি আরেকটু বাড়ানো সম্ভব হত।
প্লটটার অনেক পোটেনশিয়াল থাকলেও সমাপ্তি টা অনেক দ্রুত হয়েছে(বা করা হয়েছে)।এইরকম একটি কাহিনী আরো বিস্তৃতির দাবি রাখে।লেখকের উচিত সামনে বইয়ের আকারের দিকে চিন্তা না করে কাহিনী যেনো পূর্ণতা পায় সেদিকে চিন্তা করা। সর্বোপরি ভালই লেগেছে।
It was a very fast read. I finished it in couple of hours. The concept was really interesting but i felt like it wasnt well executed. Like the Ending was very fast paced and vague in some sense. But enjoyable read.
এমন ধারনা এর আগেও লেখকের অন্য বইয়ে পেয়েছি। ঘটনার বুনন এবং মূল ঘটনায় কোনো নতুনত্ব নেই। ভাষার ব্যবহার একেবারেই সাহিত্যমানহীন। চরিত্র সৃষ্টি হয়নি একটাও। তারপরও যেই ধারনাকে ভিত্তি করে লেখা তা বেশ ভালো এবং শেষটা সুন্দর (প্রতিটা বইয়ের মতো) সেজন্যে 2/5 দিয়েছি।