এই বইটির কাহিনি নির্বাচনে কালানুক্রমিক ধারাবাহিকতাকে অনুসরণ করা হয়নি। কারণ ডিসটোপিয়ার বিষয়ে যে গভীর আতঙ্ক সৃজনশীল মানুষের মনে কাজ করে তার কোনও সুনির্দিষ্ট রূপ নেই ও ফলে সেই নিরবয়ব আতঙ্কের বহিঃপ্রকাশের সুনির্দিষ্ট কালানুক্রমিক উদ্বররতনও নেই। অতএব সে প্রচেষ্টায় না গিয়ে এখানে গত প্রায় এক শতাব্দী ধরে গড়ে ওঠা অজস্র কাহিনি থেকে ডিসটোপিয়ার বিভিন্ন ইন্টারপ্রিটেশনগুলোকে একত্র করা হয়েছে। সেই অন্ধকার দুনিয়া কখনো উত্তর-প্রলয়, কখনো বা ঘটমান বর্তমান, কখনো শান্তিময় ও প্রেডিক্টেবল জীবনযাপনের মধ্যেই গোপন থাকা ডিস্টোপিয়ার গভীর সম্ভাবনার লিখিত রূপ। একাধিক ক্ষেত্রে সিউডো সায়েন্সের ভিত্তিতে সমাজের ঘটমান বর্তমানের ডিস্টোপিক চেহারাকেই প্রতীকী রূপ দিয়ে হাজির করা হয়েছে। প্রচ্ছন্নভাবে হাজির থেকেছে শোষণ ও মাৎস্যন্যায়ের পটভূমিতে একই পৃথিবীতে ইউটোপিয়া ও ডিসটোপিয়ার সহাবস্থানের ছবি। যেকোনো সংকলনের মতি, এই সঙ্কলনও তাই আলোচ্য বিষয় নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন খণ্ডিত দৃষ্টিকোণকে একত্র করে একটি প্রতিনিধিস্থানীয় পূর্ণাঙ্গ ছবি গড়ে তুলতে চেয়েছে। কতটা সাফল্য এসেছে তাতে, সে বলবার দায় পাঠকের। আমরা চেষ্টা করেছি মাত্র।
ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি। কিন্তু ভবিষ্যৎ নিজেই যদি মূর্তিমান দুঃস্বপ্ন হয়? তাকেই বলি 'ডিস্টোপিয়া'। গানের ভাষায় বললে, সে এমন সকাল যা রাতের চেয়েও অন্ধকার। সেইরকম দুনিয়া— পৃথিবীতে, বা তার বাইরে— নিয়েই এই সংকলন। এতে যে-সব লেখা আছে তারা হল~ ১. I Have No Mouth, And I Must Scream - Harlan Ellison (অহম - দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ) ২. Damage - David D. Levine (ফ্র্যাঙ্কেন শিপ - অরিন্দম দেবনাথ ) ৩. Gas Mask - James D Houston (গ্যাস মুখোস - বিশ্বদীপ দে) ৪. "Repent Harlequin" - Said The Ticktock Man - Harlan Ellison ("অনুতাপ করো, সঙ!” - দীপ ঘোষ) ৫. Harrison Bergeron - Kurt Vonnegut Junior (হ্যারিসন বারজেরন - সোহম গুহ) ৬. By The Waters of Babylon - Stephen Vincent Bennet (ব্যাবিলনের তটরেখায় - দীপঙ্কর চৌধুরী ) ৭. Window - Bob Leman (জানালা - এই অধম) ৮. The Ones Who walk away From Omelas - Ursula Le Guin (যারা ওমেলাস থেকে চলে যায় - ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী ) ৯. Left Behind - Kat Rambo (পরিত্যক্ত - সুপ্রিয় দাস) মূল গল্পগুলো নিয়ে আলাদাভাবে কিছুই বলার প্রয়োজন নেই। বিদগ্ধ পাঠকেরা সহজেই চিনে নেবেন এইসব 'ব্ল্যাক মিরর'-দের। অনুবাদের মান প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বচ্ছন্দ ও মূলানুগ— শুধু 'জানালা' নিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না, সেটা অন্য পাঠকেরা বলবেন। ছাপা পরিষ্কার ও শুদ্ধ। অলংকরণ যথাযথ। বাংলায় যদি অদ্ভুত আঁধারে ঢাকা সমাজ ও সভ্যতার কাহিনি পড়তে চান, তাহলে এই সংকলনটির ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
বইয়ের নাম দেখেই কিঞ্চিৎ শঙ্কা জেগেছিল। মানে, জাগাটাই স্বাভাবিক— এই দুরূহ দিনকালে কোনও বইইয়ের নাম যদি হয় ‘ডিসটোপিয়া’, আর তার নিচে লেখা থাকে ‘দুঃস্বপ্নের পৃথিবীর গল্পমালা”… তাহলে ‘পড়ব কি পড়ব না’ এমন একটা দ্বিধায় পড়া নিতান্ত স্বাভাবিক। আমি যে আমি, মানে যার নিজের ধারণা যে সে যথেষ্ট জাঁদরেল মনের পাঠক, তারও বইটা হাতে নিয়ে সংশয় জেগেছিল, পড়ে উঠতে পারব তো শেষ অবধি?!
তারপর সম্পাদকের নামটির ভরসায় নিয়েই নিয়েছিলুম। কাজটা ভালো হবে, নইলে এ ভদ্রলোক বইটিকে ছাড়পত্র দেবেন না – নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই সেটা একেবারে নিশ্চিত ছিলুম। বই গুছোতে গুছোতে এ বই হাতে এল, মনে পড়ল কেনার সময়ের দোলাচলের কথা--- আর তক্ষুণি বসে গেলুম পড়তে।
এক সিটিং-এ পড়েছি বললে সত্যের অপলাপ হয়, তবে আগের দিন সন্ধ্যা থেকে অনেকটা আর পরদিন সকালে মেয়েকে স্কুলের বাসে তুলে দিয়ে এসে অফিসে লগ ইন করার আগের সময়টুকু – এই দুই সিটিং-এ পড়ে ফেলেছি।
কী বলব, কিছু গল্প সব! না পড়লে, মিস করতুম। স্রেফ মিস করতুম!
গল্পগুলোর কথা এক এক করে বলে নিই –
১) অহম – অনু. দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য মূল গল্প – আই হ্যাভ নো মাউথ অ্যান্ড আই মাস্ট স্ক্রিম – হারলান এলিসন প্রলয়োত্তর এক ভয়াবহ জগতে প্রযুক্তির দয়ায় টিকে থাকা স্বল্প সংখ্যক মানুষ। অকল্পনীয় এক পটভূমির মধ্যে গল্প শুরু হয়, আর শেষ অবধি পাঠককে গেঁথে রাখে উত্তেজনার টানটান সুতোয়। এ এক কল্পজগৎ যার আগাগোড়া যন্ত্রণায় গড়া, আর তার মধ্যে ঝলকে ঝলকে ফুটে ওঠে মানুষের বিদ্রোহের চেষ্টা, প্রতিবাদের ক্ষীণ চীৎকার। এবং নিপুণভাবে এই ঘটনাসঙ্কুল গল্পের পরতে পরতে মিশে থাকে ব্যক্তিমানবের অপরিবর্তনীয় ঈর্ষা, ব্যক্তিগত ঘাত-প্রতিঘাত, নারীদেহের অবজেক্টিফিকেশনের আমূল প্রোথিত চিন্তাধারা। আমার মতে এ বইয়ের সেরা গল্প।
২) ফ্রাঙ্কেন শিপ – অনু. অরিন্দম দেবনাথ মুল গল্প – ড্যামেজ – ডেভিড লেভিন পৃথিবী ধ্বংস হয় না এ গল্পের শেষে। কিন্তু তবুও, এ এক ডিসটোপিক সময়ের গল্প। এক মারমুখী, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভবিষ্যতের বিশ্বে পৃথিবীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে এক যন্ত্র। অ্যাসিমভীয় চতুর্থ সূত্রের যৌক্তিক প্রয়োগ করে সে পৃথিবীকে রক্ষা করে আত্মঘাতী মানুষদেরই হাত থেকে, এমনকি সেজন্য নিজের অতি প্রিয় প্রভুকেও বিসর্জন দেয় সে। জটিল শ্বাসরোধকারী কাহিনির শেষে এসে এই যন্ত্রের এই নির্মম সিদ্ধান্তগ্রহণ পাঠককে এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্তম্ভিত করে দেয়। ‘শেষ হয়ে না হইল শেষ’ ধরণে মনে প্রশ্ন ওঠে, তার পরের পৃথিবীর সিদ্ধান্তনিয়ন্তা কে হয় – মানুষ, নাকি মানুষের হাতে গড়া যন্ত্র?
৩) গ্যাস মুখোশ – অনু. বিশ্বদীপ দে মুল গল্প - গ্যাস মাস্ক – জেমস ডি. হাউস্টন ডিসটোপিয়ার অধিকাংশ গল্পই হয় এক অপরিচিত ভবিষ্যতের দুনিয়ায়, অপরিচিত পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যে। পাঠক দূর থেকে রোমাঞ্চ অনুভব করেন সেই সুদূরবর্তী ভয়ানক বিভীষিকার, যেন কাচের ওপারের দৃশ্য। কিন্তু এই গল্পটি এতই চেনা সাধারণ পরিবেশে, এত সামান্য অতিপরিচিত ভঙ্গিতে শুরু হয় যে মনে হয় দুম করে ওই কাচ কেউ সরিয়ে নিয়েছে, আর পাঠক স্বয়ং বসে আছে সেই একই পৃথিবীতেই। বহুচেনা ট্রাফিক জ্যাম থেকে শুরু হয়ে গল্প ক্রমে স্তরে স্তরে অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেছে, অথচ একইসঙ্গে তা অসম্ভব কিছু নয় – পাঠক গল্পের চরিত্রদের মতোই রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করেন এ অচলাবস্থা কাটার, সংশয়ে ভোগেন আদৌ কাটবে কিনা…আশা করেন, হতাশ হন, আবার ঘুরে তাকান। অত্যন্ত শক্তিশালী একটি গল্প যা পাঠকের মনে দাগ কাটতে বাধ্য।
৪) অনুতাপ করো, সং – অনু. দীপ ঘোষ মুল গল্প – ‘রিপেন্ট, হার্লেকুইন’, সেইড দ্য টিকটকম্যান - হারলান এলিসন ভবিষ্যতের পৃথিবী সময়ের ক্রীতদাস। সেখানে আচমকা সব কাজে বেনিয়ম করে সব ওলট পালট করে দিচ্ছে এক সং। সে তো আসলে ব্যক্তি মানুষের মুক্তি চায়; কিন্তু তাকে কি চিনবে, বুঝবে মানুষ? নাকি মানুষের চিরাচরিত বেইমানি আর নির্বুদ্ধিতা থামিয়ে দেবে তার প্রচেষ্টা? এ গল্পটি প্রথম পড়েছিলুম লেখকের এই একই নামের অনুবাদ সংকলনে। ভবিষ্যতের এক অদ্ভুত নিয়মে বাঁধা পৃথিবীর এই গল্পে তীক্ষ্ণ স্যাটায়ার রয়েছে, যা হয়তো আধুনিক সমাজের জন্যও প্রযোজ্য। অবশ্যপাঠ্য গল্প একটি।
৫) হ্যারিসন বারজেরন – অনু. সোহম গুহ মূল গল্প – হ্যারিসন বারজেরন – কার্ট ভোগাঁট জুনিয়র এ গল্প নাকি ‘সাম্যের বছর’-এর গল্প। এমন এক সাম্য, যা পূর্বনির্ধারিত ও নির্দিষ্ট। যার জন্য প্রয়োজনে ব্যক্তিমানুষের উপর চেপে বসতে পারে বাধ্যতামূলক ভুলে যাওয়ার, একাগ্র চিন্তা নষ্ট করে দেওয়ার যন্ত্রের রূপ ধরে। যেখানে প্রয়োজন বোধ করলেই, বাবা মার কোল খালি করে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়া যায়। সবই বৃহত্তর এক নিয়মের অংশ… নিয়ম যা ক্ষমাহীন ও অপরিবর্তনীয়। তবু, কেউ কেউ ব্যতিক্রম হয়। কারণ, “বসন্ত আসলে চিরকালই এক বিদ্রোহের মাস”! রক্তকরবী মনে পড়তে পারে এ গল্প পড়তে পড়তে।
৬) ব্যাবিলনের তটরেখায় – অনু. দীপঙ্কর চৌধুরী মুল গল্প – বাই দ্য ওয়াটার্স অফ ব্যাবিলন – স্টিভেন ভিনসেন্ট বেনেট স্পেনের ছোট্ট শহর গেরনিকায় জার্মানি আর ইটালির মিলিত বোমাবর্ষণে মারা গেছিল অসংখ্য সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনা পিকাসোর ‘গেরনিকা’ ছবিতে ধরা আছে। আর এই কালজয়ী গল্পটিও গড়ে উঠেছে সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে—আণবিক বোমা বাস্তবে ব্যবহার হওয়ার বহু আগে লেখকের কলম ডিসটোপিয়ায় গড়ে তুলেছে এক আগামীর বোমায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া পৃথিবীর ভবিষ্যতের রূপরেখা। এটি ভবিষ্যতের মানুষের আত্মানুসন্ধানের গল্প, অতীত ধ্বংসের মূলে পৌঁছনোর গল্প। ভীষণ সুন্দর এক গল্প।
৭) জানালা – অনু. ঋজু গাঙ্গুলী মূল গল্প – উইন্ডো – বব লেম্যান ডিসটোপিয়ার এক বিশেষ আঙ্গিক সমান্তরাল দুনিয়া। লাভক্রফটের রহস্যময় অজানা থেকে উদ্ভূত বিভীষিকাদের থেকে আরও এক পা এগিয়ে গেছেন লেম্যান। এক নিস্তরঙ্গ, সাদামাট��� পরিবেশে আচমকা খুলে গেছে এক জানালা—যার ওপাশে রয়েছে এক অন্য দুনিয়া। পাশাপাশি এই দুই দুনিয়ার সহাবস্থান – একই জায়গায়, হয়তো বা একই সময়���ও। এক সুন্দর, প্রায় নিখুঁত সুখী পরিবার যে দুনিয়ার বাসিন্দা। গল্পের চরিত্রদের সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে দেখতে দেখতে এক চরম ঝটকা খেয়ে যায় পাঠক যখন দেখা যায় আসলে ওই দুনিয়া এক ভয়ানক আতঙ্কের জগৎ। আর সেই দুনিয়ার বাসিন্দারা – চাইলেই হয়তো এই জানালা খুলে নিতে পারে… যত্রতত্র, যখন খুশি। রোমহর্ষক এক গল্প।
৮) যারা ওমেলাস থেকে চলে যায় – অনু. ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী মূল গল্প – দ্য ওয়ান্স্ হু ওয়াক অ্যাওয়ে ফ্রম ওমেলাস – উরসুলা লে গুইন গল্পটা শুরু হয় নরম ভাবে, সুন্দর আর আনন্দের এক জনপদের কথা দিয়ে। সে জগতের বিষাদহীনতা আর সুখের জীবনযাপনে নিশ্চিন্ত বোধ করতে করতেই দুম করে পাঠক গিয়ে পড়ে সে জগতের এক নারকীয় ডিসটপিক কোনায় – যে যন্ত্রণাময় বাস্তব সেখানে চিররুদ্ধ তা এতই ভয়ানক, এতই ক্লেশদায়ক… ধাক্কা লাগে সরাসরি। তারপর, পাঠক নিজেও বুঝতে পারে কেন কিছু মানুষ, এত নির্বিঘ্ন সুখের জীবন ছেড়ে ভিন্নপথে পাড়ি দেয়। এ গল্প ডিসটোপিয়ার রূপকে মানবসভ্যতারই গল্প। ছোট্ট, ধারালো, অস্বস্তিকর।
৯) পরিত্যক্ত – অনু. সুপ্রিয় দাস মূল গল্প – লেফ্ট বিহাইন্ড – ক্যাট র্যাম্বো এ গল্পে মানুষ তার দেহ মনের যথেচ্ছ পরিবর্তন করতে সক্ষম। সক্ষম এক অলীক ভুবন তৈরি করে তাতে নিজের সত্ত্বাকে বিসর্জন দিতে। অথচ, তারপরেও মানুষ কী চরম একাকিত্বে বন্দি, অপ্রেম, অযত্নে তাদের বার্ধক্য জর্জরিত, উচিত-অনুচিত আর ভালো লাগা – না লাগার দ্বন্দ্বে কী মারাত্মক ভাবে দীর্ণ প্রতিটি সম্পর্ক। শেষ অবধি, আপ্রাণ চেষ্টায় গড়ে তোলা এক মনোমত জীবনে পা রেখেও গল্পের মূল চরিত্র টের পায়, তার একাকিত্ব অনপনেয়। এই অনুভবের সঙ্গে সঙ্গে এক শোকপালনের স্তব্ধতায় পৌঁছয় গল্প, সেই চরিত্র… এবং পাঠকও। মনে থাকার মতো গল্প একটি।
অনুবাদ প্রত্যেকেরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য। বইটি সুসম্পাদিত - লেখাগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিলমিশ খেয়েছে ভারি চমৎকার, পর পর সাজানোর ক্রমটিও বৈচিত্র্যপূর্ণ। ভূমিকা থেকে দুটো লাইন তুলে দিই – “এই সঙ্কলনও … আলোচ্য বিষয় নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন খণ্ডিত দৃষ্টিকোণকে একত্র করে একটি প্রতিনিধিস্থানীয় পূর্ণাঙ্গ ছবি গড়ে তুলতে চেয়েছে।“ পাঠক হিসাবে বলতে পারি, সে চেষ্টা সর্বাংশে সফল হয়েছে।
বইয়ের মলাট বিষয়োপযোগী। বাঁধাই ও মুদ্রণ বেশ ভালো, মুদ্রণপ্রমাদ খুবই সামান্য।
এ ধরণের গল্প পড়তে আপত্তি না থাকলে, পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে।
---- বই – ডিসটোপিয়া (অনুবাদ গল্পের সংকলন) সম্পাদক – দীপ ঘোষ প্রকাশক – জয়ঢাক মুদ্রিত মূল্য – ২৫০/-