কিয়ামতের বড় আলামতের একটি আলামত ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) এর অবতরণ। আল্লাহর সুনির্দিষ্ট বেঁধে দেওয়া সময়ে তিনি আসমান থেকে অবতরণ করবেন। তিনি পুনরায় ইসলামের সুশীতল ছায়ায় এই উম্মতকে একত্রিত করবেন। জমিন থেকে হটাবেন নৈরাজ্য, অশান্তি, অন্যায়, অবিচার। প্রতিষ্ঠা করবেন সত্য, শান্তি, ন্যায় ও সুবিচার। ইসলাম ভিন্ন মানবরচিত কোনো ধর্মের অস্তিত্বও তিনি রাখবেন না। তাঁর আগমনে একঘাটে বাঘে-মহিষে পানি খাবে। একই মাঠে বাঘ সিংহ গরু ছাগল চরে বেড়াবে। কেউ কারোর দিকে চোখ তুলেও তাকাবে না। ঠিকই এমনই এক সুদিনের বরাত নিয়ে তিনি আসবেন। তিনি আবার আসবেন।
ঈসা (আ.) সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ইত্যাদি জেলা সমূহে কীভাবে খ্রিস্টান মিশনারীরা ইসলামি পরিভাষা ব্যবহার করে সরল,গরীব ও ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলমানদেরকে বেদ্বীন (ঈসায়ী মুসলিম/খ্রিস্টান) বানাচ্ছে সে খবর এখনও হয়তো অনেকে ভালো করে জানে না।
আযান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'তিনি আবার আসবেন' নামক ছোট্ট বইটা পড়ার মাধ্যমে ঈসা (আ.) সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া যাবে। যারা ঈসা (আ.) সম্পর্কে বলার মতো পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখে না, বা সংশয়বাদী অথবা ভ্রান্ত লোকদের কবলে পড়ে ঈসা (আ.) সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করে ঈমান এবং আমল দুটোই হারিয়েছেন তাঁদের আকিদা সংশোধনে এ বইটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
"নিশ্চয় তিনি (ঈসা) কিয়ামতের নিদর্শন। সুতরাং তোমরা কিয়ামতের ব্যাপারে কোনো প্রকার সন্দেহ পোষণ করো না। আমার অনুসরণ করো। এটাই সরল পথ। [সূরা যুখরূফ, আয়াত:৬১]