পাইন রিজ নামের ছোট্ট ছিমছাম গ্রামে সত্যিই কি ভ্যাম্পায়ার হানা দিয়েছে? বিশ্বাস করে না অয়ন-জিমি। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। নিজ চোখে দেখল ওরা, গভীর রাতে গাঁয়ের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিকায় এক বাদুড়। ঘুম থেকে জেগে উঠছে মানুষ রক্তশূন্য শরীর নিয়ে। তাদের গলায় পাওয়া যাচ্ছে সূক্ষ্ম দুটো কামড়ের দাগ। এখন কী করবে ওরা? গোয়েন্দা দিয়ে কি আর ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো যায়? দেখাই যাক।
একবসায় একটানে মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে ফেললাম! বরাবরের মতোই টানটান উত্তেজনার গা ছমছমে রোমাঞ্চকর জমজমাট রহস্যের আরেকটা ফুলটুস ফান অয়ন-জিমি অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। পাহাড়ি নির্জন নিরিবিলি এক ছোট্ট গ্রামে ভ্যাম্পায়ারের উপদ্রব, আর সেই আপাতঃভৌতিক রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে একশো বছর আগের লুকানো গুপ্তধনের সূত্র সন্ধান। আদতে কী ঘটছে আর কে প্রকৃত কালপ্রিট সেটা বেশ আগেই আন্দাজ করে ফেলেছিলাম, তারপরেও অহেতুক জটিলতাবিহীন অয়ন-জিমির ছিমছাম আরামদায়ক কিশোর-রহস্য অভিযানের জগতে সময়টা ভাল কাটলো।
বিঃদ্রঃ বইয়ের উৎসর্গপত্রের অপ্রত্যাশিত সম্মাননায় অগ্রজপ্রতিম লেখক ইসমাইল আরমান ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
'কেন?' 'এবং 'কীভাবে?' - সেটা বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু 'কে?' - সেটা নিয়ে কনফিউজড ছিলাম। চরিত্রগুলোর সবারই কমবেশি মোটিভ এবং সুযোগ ছিল। সব মিলিয়ে ভাল ছিল। বুড়ো বয়সে ভাল লাগছে, কিশোর বয়সীদের আরও ভাল লাগার কথা।
ভালো, বেশ ভালো। অয়ন জিমি সিরিজের অন্যতম সেরা রহস্য। যদিও বহু আগেই বুঝেছিলাম কে হতে পারে দুষ্টুলোক। ভ্যাম্পায়ারের ব্যাপারটাও গোঁড়াতেই বুঝেছি। তবে মোটিভের অনুমানটা ভুল হয়েছিল কিঞ্চিৎ। ওই সূত্র বইতে অনেক পরে এসেছে, তাই ধারণা করা যায়নি সম্পূর্ণ। যাকগে, দীর্ঘদিন পর আরেকটা বই পড়া গেল সিরিজের। আর কোনো বই হাতে নেই। বাজারে আছে, কিন্তু সে কবে সংগ্রহ করতে পারবো জানি না। তাই আপাতত সিরিজটা পড়া এখান পর্যন্তই। আশাকরি আবার কোনোদিন অয়ন-জিমি পরবর্তী বইগুলো হাতে নিয়ে ফিরে যাবো শৈশবে।