প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মাঝে মাঝে আফসোস লাগে—এভাবে একটা জীবন চলতে পারে? এভাবেই কি ক্ষয়ে যাওয়ার কথা আস্ত একটা জীবন? কী পাওয়ার বদলে কী হারাচ্ছি জীবন থেকে?
জীবনে একটা বদল প্রয়োজন, একটা পরিবর্তন ভীষণ জরুরি—তা আমরা জানি। কিন্তু কীভাবে শুরু করবো? ঠিক কোথা থেকে যাত্রা করবো নতুন এক দিনের? কীভাবে মেলে ধরবো নিজের সবটুকু সম্ভাবনা? কীভাবে পেছনে ফেলে আসবো সকল ব্যর্থতা? যে অন্ধকারে হারিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি নিজেকে, কীভাবে সেখানে ঘটবে আলোর স্ফুরণ?
একটা নতুন ভোরে, দখিনের জানালার পাশে বসে কিংবা পছন্দের কোনো জায়গা আর সময়-সুযোগ বুঝে খুলে বসতে পারেন ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বইটি। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবার আশায় আপনি চাতক পাখির মতো তাকিয়ে, হৃদয়ের উঠোনে যে এক পশলা ঝুম বৃষ্টির প্রতীক্ষায় আপনি গুনে চলেছেন অজস্র প্রহর, ইনশাআল্লাহ বইটি আপনাকে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তগুলো উপহার দেবে। জীবনের এক নতুন উপাখ্যান রচনায় বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সাথি।
আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা - লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ।
১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন।
লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।
মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার জীবন পরিবর্তনকারী বই কোনটা। আমি বলি "বেলা ফুরাবার আগে"। আর আজকে যে বই নিয়ে কথা বলব সেটা আমার সেই মহামূল্যবান বইয়ের দ্বিতীয় কিস্তি। যখনই উনার লেখা পড়ি, এক শান্তির জগতে ঢুকে যাই। অন্তরে যে কালো দাগ জমেছিল তা একটু একটু করে মুছে যায়।
বইটা পড়ে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।জীবনে বারাকাহ লাভের উপায়,জীবনের যেকোনো অবস্থায় ধৈর্যধারণের শিক্ষা, আল্লাহর পরিকল্পনার উপর ভরসা রাখা, নারী পুরুষের পর্দা, ফিতনার যুগে ইসলামকে আঁকড়ে ধরে রাখা, আমল নিয়ে অহংকারের করুণ পরিণতি,ইলম চর্চার গুরুত্ব, গুনাহ হয়ে গেলে করণীয়, ইস্তেগফারের ফজিলত, সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তির ক্ষতি,ক্ষমাশীল মনোভাব নিয়ে চলার শিক্ষা ইত্যাদি। এক একটা অনুচ্ছেদ অন্তর নাড়িয়ে দিতে বাধ্য।
আমার সবচেয়ে প্রিয় অনুচ্ছেদ হলো "যে সুতোয় বাঁধা জীবন", "ভালোবাসা ভালোবাসি"। জীবনের জাগরণ সিরিজের তৃতীয় বইটির অপেক্ষায় থাকবো। আর এই বইটা সবার পড়া প্রয়োজন। বিশেষত তরুণ-তরুণীদের। বইটি হতে পারে আপনার হেলায় কাটানো জীবন পরিবর্তনের উসিলা। খুঁজে পাবেন জীবনের আসল অর্থ। ফিরে পাবেন হারিয়ে যাওয়া সিরাতুল মুসতাকিমের পথ। চোখের সামনে দিয়ে একটা মানবজীবন এমন ব্যর্থতায় কেটে যাবে, তা কি দেখে সহ্য করা যায়?
"এবার ভিন্ন কিছু হোক জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে এবার নতুন করে লেখা হোক জীবনের জ্যামিতি "
প্রিয় লেখক ও দিকনির্দেশক আরিফ আজাদ ভাইয়ের "বেলা ফুরাবার আগে" বইটির মতো "এবার ভিন্ন কিছু হোক" বইটিও আপনার জীবনে দেখাতে পারে কিছু সঠিক পথের দিশা, যা হয়ত আপনি খুঁজে চলেছেন অবিরত। কিন্তু কোথায়ও যেন পাচ্ছেন না। চলুন না খুঁজে দেখি প্রশ্নগুলোর উওর।অনেক তো সময় কাটানো হলো অবহেলায় আর অবজ্ঞায় চলুন না.... এবার ভিন্ন কিছু হোক... জাগরনের এই জাগ্রত জোয়ারে এবার নতুন করে লেখা হোক জীবনের জ্যামিতি।
🩵 ২০২২ সালে একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়েছিল, আর আমি... আমি নির্বোধের মতো সেই রত্নটিকে উপেক্ষা করে চললাম দীর্ঘ ৩ বছর। শেষমেশ ২০২৫-এ এসে যখন বইটি হাতে নিলাম, তখন যেন হৃদয়ের কোথাও এক তীব্র আর্তনাদ উঠল—কেন এত দেরি হলো! বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা উল্টে যেতে যেতে মনে হচ্ছিল, আমি যেন হারিয়ে যাওয়া এক প্রিয়জনের স্মৃতি ঘাটছি যাকে সময় থাকতে ভালোবাসা হয়নি। বইটি শেষ করার পর বুকের ভেতর এক অদ্ভুত শূন্যতা তৈরি হলো। এতদিন যে আমি কী ভয়াবহ এক অভাব বয়ে বেড়িয়েছি, তা যেন হঠাৎ করেই উপলব্ধি করলাম।
ইশ! যদি পেতাম সে সুযোগ একবার, ভারতের বুক পেরিয়ে যেতাম বাংলার পার। সে ২০২২-এর বইমেলার ভিড়ে, খুঁজে নিতাম তোমার লেখা, ভালোবাসার গন্ধে ঘেরা।
হাত বাড়িয়ে তুলে নিতাম সে বই, যার পাতায় পাতায় আমার মনেরই কথা বই। তখন হয়তো বাতাসও হাসতো নিঃশব্দে, আর হৃদয় বলত—"এই তো, যা খুঁজছিলে বহু দিনে।"
এক বই, আর তিন বছরের হাহাকার—এভাবে কেউ কারো জীবন পাল্টে দিতে পারে, কে জানতো!
প্রতিটি অক্ষর যেন ঠিক আমার জন্যই লেখা—একটুও কম নয়, একটুও বেশিও নয়। মনে হয় আরিফ আজাদ স্যার আমার খুব চেনা কেউ—নিতান্ত ঘরের মানুষ, যিনি আমাকে প্রতিদিন নীরবে পর্যবেক্ষণ করেন, আমার হাসি-কান্না, টানাপোড়েন, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সবই যেন জানেন। মনে হয়, তিনি শুধু একজন লেখক নন—তিনি আমার মনের একজন সাক্ষী। একান্ত আপনজন, যাঁকে বলা যায় না এমন কথাগুলোও তিনি কোনো এক রহস্যময় উপায়ে পড়ে ফেলেন।
তিনি যেন সেই অমূল্য বন্ধু, যে কানে ডলা দিয়ে নয়, বুকের গভীর মমতায় আমাকে পথ দেখান—ভুল ধরিয়ে দেন, কিন্তু ভাঙেন না। তাঁর শব্দগুলো বকাঝকা নয়, বরং আদরে মোড়ানো মৃদু আলিঙ্গন।
এই বই পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল— আমি যেন লেখকের মনের কোনো হারানো খণ্ড! যেন কলম নয়, হৃদয়ের ভাষায় লেখা আমারই গল্প।
পড়তে পড়তে অবাক হই—মনে হয়, আমি বুঝি তাঁর চোখের সামনেই ছিলাম এতদিন!
পাপে পা ফসকালেই মনে পড়ে—আহা, আরিফ আজাদ স্যার তো তাঁর কিতাবে এ পথ থেকে ফেরাতেই চেয়েছিলেন। তবু আমি ভুললাম কেন?
বইটির কথা বলতে গেলেই মন ভরে ওঠে, তবু যেন অনুভূতির সবটা বলা হয়ে ওঠে না...
জীবনে যদি আর মাত্র একবার বই পড়ার সুযোগ থাকে, আমি নিঃসঙ্কোচে 'এবার ভিন্ন কিছু হোক' তুলে নেবো হাতে— কারণ কিছু বই শুধু পড়া নয়, বাঁচার প্রেরণা হয়ে ওঠে।
আলহামদুলিল্লাহ, বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ই মনোযোগের বন্ধন ধরে রাখে। যেভাবে শুরুতে আরিফ আজাদ স্যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—ঠিক সেভাবেই তা রক্ষা করেছেন, নিখুঁতভাবে।
শব্দের এমন অলংকার আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য, সমকালীন টিমকে অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা।
★এমন এক জাতি এলো, যারা সালাত বিনষ্ট করলো এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করলো। ★আর (আমার রব) আমাকে বানিয়েছেন আমার মায়ের প্রতি অনুগত; এবং তিনি আমাকে অবাধ্য, হতভাগ্য করেননি। ★তিনি সময়ের স্রষ্টা আর তিনি জানেন, বান্দার জন্য ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে। যেহেতু তিনি তা জানেন, তাই অনুগ্রহ করে বান্দাকে বাঁচানোর জন্য তিনি যদি বান্দার জীবনের গল্পটাকে অন্যভাবে পাল্টে দেন, যদি আপাতদৃষ্টিতে 'ঠিকঠাক' বয়ে চলা জীবনের স্রোতকে তিনি অন্য খাতে, অন্যদিকে বইয়ে দেন, তাহলে হতাশ হয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। সম্মুখে থাকা সম্ভাব্য সকল ক্ষতি আর অকল্যাণ আল্লাহ-ই দেখতে পান শুধু, আমরা পাই না। ★যেখানেই কৃতিত্বের আকাঙ্ক্ষা, সেখানেই দাম্ভিকতার সূত্রপাত। যেখানেই প্রশংসা কুড়ানোর লোভ, সেখানেই লোকদেখানো কাজের জন্ম। ★কিয়ামতের দিন বান্দা পর্বত পরিমাণ ভালো আমল নিয়ে হাজির হবে, কিন্তু সে দেখবে-কেবল কদর্য ভাষার কারণে তার সমস্ত ভালো আমল ভেস্তে গেছে। ★আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়ার একটা রাস্তা সদা-সর্বদা খোলা রয়েছে আমাদের জন্য। আর সেই রাস্তা হলো-তাওবার রাস্তা। ★মানুষ ক্ষমতাকে পছন্দ করে। যার হাতে ক্ষমতা থাকে, মানুষ তার কথা শুনতে আর মানতে চায়। সামর্থ্যবান মানুষের সান্নিধ্য মানুষ উপভোগ করে। ★জীবনে বারাকাহ লাভের কিংবা হারানো বারাকাহ পুনরুদ্ধারের কার্যকরী একটা পন্থা হলো ইস্তিগফা��। ★অক্সিজেন গ্রহণ না করলে যেমন আমাদের দেহের মৃত্যু ঘটবে, ঠিক সেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ছেড়ে দিলে মৃত্যু ঘটবে আমাদের আত্মার। ★প্রতি স���লাতের শেষে — "আল্লাহুম্মা আ'ইন্নি 'আলা যিকরিকা, ওয়া-শুকরিকা, ওয়া হুসনি ইবাদাতিক" পাঠ। ★যে ব্যক্তি প্রতিটা ফরয সালাতের পরে তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ এবং তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে এবং এরপর এই দুআ পাঠ করবে — "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাই'ইন কাদীর", আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তার গুনাহ মাফ করে দেবেন, এমনকি তার গুনাহ যদি সমুদ্রের ফেনারাশির পরিমাণও হয়-তবু।
একবার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুবই প্রফুল্ল দেখে আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বললেন, 'ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি তো খুবই খোশ-মেজাজে আছেন, আমার জন্য এখন একটু দুআ করুন না!'
আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহার এহেন আবদারে মুচকি হাসলেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হেসে তিনি আল্লাহকে বলতে লাগলেন, 'ইয়া আল্লাহ, আয়িশা পূর্বে করেছে এমন সকল গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা পরে করবে এমন সকল গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা প্রকাশ্যে করেছেএমন গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আয়িশা গোপনে করেছে এমন গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন। সে বুঝে করেছে এমন গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন, না-বুঝে করেছে এমন গুনাহও আপনি ক্ষমা করে দিন।'
আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা, প্রিয় হাবিব যখন কারো জন্য ঠিক এভাবে দুআ করেন, বলুন তো সেই মানুষটার খুশিতে আত্মহারা না হয়ে উপায় আছে? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে নিজের জন্য এত চমৎকার দুআ শুনে খুশিতে আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহাও পাগলপারা। আম্মাজান আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে খুশি হতে দেখে প্রীত হলেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও। তবু তিনি জিগ্যেশ করলেন, 'আয়িশা, আমার দুআয় তুমি খুশি হয়েছো?'
তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'জানো আয়িশা, তোমার জন্য যে দুআ করলাম, ঠিক একই দুআ প্রতি সালাতের পর আমি আমার প্রতিটা উম্মতের জন্যই করি🌸
#bookreview সাধারণত উপন্যাস একবার পড়লেই তার সারকথা বা প্লট বুঝা যায়। দ্বিতীয় বার পড়া লাগে না বা পড়ার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু আরিফ আজাদের বইগুলো যতবার পড়বেন ততবার-ই যেন নতুন কিছু একটা ভালোভাবে জানছেন। তার মানে প্রত্যেকবার বইয়ে নতুন কিছু যুক্ত হয় ব্যাপারটা এমন না।
এটাও তেমন একটি বই। বিভিন্ন আমল/ইবাদতের কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিভাবে কি করা যায়! নিজের আত্মশুদ্ধি করা যায়। ইতঃপূর্বে যারা উনার বই পড়েছেন তারা জানেন যে, উনি কোন ধরনের লেখা লিখেন। এটাও সেই ধরনের-ই লেখা। _ বইটা ভালো। নতুন কিছু নেই। উনার আর অন্যান্য লেখকদের ইসলামিক বইগুলো পড়ার কারণে আমার কাছে মনে হয়েছে, যেন এগুলো আগে পড়েছি।
এটি `জীবনের জাগরণ` সিরিজের দ্বিতীয় বই, প্রথম বই বেলা ফুরাবার আগে। ___
বই : এবার ভিন্ন কিছু হোক লেখক : আরিফ আজাদ সমকালীন প্রকাশন একুশে বইমেলা ২০২২ পৃষ্ঠা : ১৯৪ মূল্য : ৩৪০৳ পার্সোনাল রেটিং : ০৮/১০
লেখক আরিফ আজাদ, যিনি এই প্রজন্মের একজন জানপ্রিয় লেখক। তিনি প্রথম জনপ্রিয় হয়েছিল যখন প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১ প্রকাশিত হয়, তারপর তার অন্যান্য বইগুলো জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তার সম্পর্কে যতই বলি না কেন তত কম হয়ে যাবে। কারণ তিনি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিক, মানসিকতা, ব্যবহার, আচার-আচরণ ইত্যাদি বদলে দিয়েছেন শুধু তার বইগুলোর মাধ্যমে। তার লেখা অন্যতম বইগুলো হলো: প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১,২, এবার ভিন্ন কিছু হোক, মা মা মা এবং বাবা, নবি জীবনের গল্প, বেলা ফুরাবার আগে, জবাব, কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ ইত্যাদি
প্রশ্ন-১: আরিফ আজাদের কোন বইটি আপনার জীবনকে বদলে দিয়েছে? প্রশ্ন-২: তার কোন বইটি আপনার জীবনের নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন? প্রশ্ন-৩: আপনার পড়া ইসলামী বইগুলোর মধ্যে সেরা কোনটি? প্রশ্ন-৪: আরিফ আজাদ স্যার ছাড়াও আপনি আর কার বইগুলো করেছেন?
আরিফ আজাদ নিঃসন্দেহে একজন ভালো লেখক। তার লেখায় অনেক কথাই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ইসলামকে কেন্দ্র করে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে তিনি যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার বইগুলো অনেক পাঠকের জীবনে পরিবর্তনের ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
আমি তার একাধিক বই পড়েছি, এবং প্রতিবারই কিছু না কিছু শেখার মতো পেয়েছি। তবে একটি বিষয় একটু বিরক্তির সৃষ্টি করেছে, প্রায় সব বইয়ের ধরন, বক্তব্য ও উপস্থাপন একরকম মনে হয়েছে। সেই এক ধরনের লেখা বারবার পড়তে গিয়ে কিছুটা একঘেয়েমি অনুভব হয়, মনে হয় নতুন কিছু নেই।
একজন পাঠক হিসেবে আমার মতামত হলো, লেখকের উচিত তার লেখায় ভিন্নতার স্পর্শ যোগ করা। প্রতিটি বই যেন নিজস্ব একটা স্বর, একক একটা পরিচয় পায়। তবেই পাঠকরা আরও আগ্রহ নিয়ে নতুন বইয়ের অপেক্ষায় থাকবে।
💚rate: 6/5⭐ A book that you won't regret re-reading and won't ever get bored with. I summarised the first 10 chapters 6 yet to finish In Sha Allah. This book is a book of self-reflection, a reminder to our soul, and the writing style is very simple and touches the deep corner of the soul🌌. I annotated a lot because it's not just for reading. This is an educational book we have to collect knowledge from. This is the second book from the 'জীবন জাগরণ সিরিজ', this series deals with how to become a better Muslim with practical tips and examples from Qur'an and prophets and Sahabas life(peace be upon on them) and from daily life.
জীবনের জাগরণ সিরিজের দ্বিতীয় বই এবার ভিন্ন কিছু হোক। এর প্রথম কিস্তি বেলা ফুরাবার আগে তে লেখক যেমন বিভিন্ন সমস্যার ইসলামিক সমাধান আলোচনা করেছিলেন, এই বইটি যেন সেখান থেকেই শুরু হয়েছে। এই বইয়ে সর্বমোট ১৬ টি অধ্যায় আছে। যার প্রতিটিতে রয়েছে একেকটি সমস্যার সমাধান। অনেক সুন্দরভাবে সাহাবীদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার রেফারেন্স আমাদের জীবনের সমস্যার সাথে রিলেট করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দারুন একটি বই।
আরিফ আজাদ অবশ্যই একজন ভালো লেখক, তার বইয়ের অনেক কথায় আমার পছন্দ হয়, মানুষকে পরিবর্তনকারী বই হিসাবে তার বইগুলোকে চিহ্নিত করা যায়। তিনি তার বইয়ে ইসলামের শান্তি ছড়িয়ে রাখেন, প্রকাশ করেন শান্তির ধর্মের মধুরিমা। তার লেখা অনেক গুলো বই পড়া হয়েছে, একটা বিষয় বিরক্ত সৃষ্টি করেছে কারণ তার সব ব��� একইরকম, একই রকম জিনিস পড়তে অলসতা কাজ করে, লেখকের উচিত তার বইয়ে ভিন্নতার স্পর্শ দেওয়া।
সিরিজের প্রথম বইটা পড়া হয়নি, আমি খেয়ালই করি নি যে এটা দ্বিতীয় বই। তবে পড়ে এমনটা মনে হয়নি যে প্রথমটা আগে না পড়ায় এটা প��়তে সমস্যা হয়েছে। Social media নিয়ে লেখাটা বেশ ভালো ছিল। বইটা পড়তে পড়তে মনে হবে এর সবই বুঝি আপনার আগেই জানা, তবে অনেক সময় জানা কথাও আবার জানতে ভালো লাগে।
এবার ভিন্ন কিছু হোক আমাদের সকলের উচিত বইটা একবার হলেও পড়া।এতো সুন্দর ভাবে আমাদের জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো কিভাবে আমাদের নিয়ামক হিসাবে কাজে লাগাতে পারবো, তার সুন্দর উদাহরণ আছে। যেখানে-কুরআন,হাদিস। ব্যবহার করে সেটাকে আরো গুনগত মান বৃদ্ধি করা হয়েছে
মা শা আল্লাহ, অনেক সুন্দর এই বইটি। জীবনের জাগরণ সিরিজের প্রথম বই 'বেলা ফুরাবার আগে' পড়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল। তাই এবারের বইমেলায় এই সিরিজের ২য় বই 'এবার ভিন্ন কিছু হোক' বইটির অপেক্ষায় ছিলাম। এই সিরিজের বইগুলো দ্বীনের পথে চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। দ্বীন ইসলাম মানার মধ্যেই যে সর্বোৎকৃষ্ট শান্তি নিহিত তা বারবার উপলব্ধি করতে পারি। তাই আমরা চাইব এই সিরিজটি যেন চলমান থাকে; আল্লাহ তা'য়ালা বইয়ের লেখককে সেই তৌফিক দান করুন।
“জীবনের জাগরণ” সিরিজের প্রথম বই ছিল “বেলা ফুরাবার আগে”, আর তারই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় বই “এবার ভিন্ন কিছু হোক”। আগের বইয়ের মতোই এই বইটিও ১৬টি অধ্যায়ে সাজানো, যেখানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা জটিলতা, আত্মিক শূন্যতা এবং স্রষ্টার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়গুলো উঠে এসেছে অত্যন্ত সরল ও সাবলীল ভাষায়। লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে নামাজকে জীবনের দিকনির্দেশক করে তোলা যায়, কীভাবে জীবনকে একটি অর্থবোধক পথে পরিচালিত করা সম্ভব। প্রতিটি অধ্যায়ে যেন রয়েছে জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির ডাক—যেখানে আল্লাহর রঙে জীবন রাঙিয়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া:-
প্রতিদিনই যেন একঘেয়েমি আর ক্লান্তির বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে জীবন। কোথাও একটা পরিবর্তনের দরকার অনুভব করি, কিন্তু সেই পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করবো কোথা থেকে—তা যেন বোঝা হয়ে ওঠে না। ব্যর্থতা, হতাশা আর আত্মসংকটের অন্ধকারে বারবার হারিয়ে যাই, অথচ খুঁজি একটু আলো, একটু পথ। এই বই যেন সেই আলো দেখানোর প্রচেষ্টা। “এবার ভিন্ন কিছু হোক” বইটি আত্মজাগরণ ও দ্বীনের পথে ফেরার এক চমৎকার সহচর। এই বই পাঠকের হৃদয়ে এমনভাবে নাড়া দেয় যে, সে নিজেই নিজের ভেতরের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে।
নিজের ভেতরকার অন্ধকার জগতের অলি-গলিতে আর কতকাল ডুবে থাকবেন আপনি? "এবার ভিন্ন কিছু হোক জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে এবার নতুন করে লেখা হোক জীবনের জ্যামিতি" ___________________ বই: এবার ভিন্ন কিছু হোক লেখক: আরিফ আজাদ প্রকাশনী: সমকালীন প্রকাশন বিষয়: আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২০০ মুদ্রিত মূল্য: ৩৭১ টাকা রেটিং: ⭐⭐⭐⭐⭐/৫
গড়পড়তা মানের বই, যতোটা হাইপ তৈরি করেছে তা পাবার যোগ্য না!
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই হতে শুরু 'বনু ইসরাইল সম্প্রদায়ের জুরাইজ নামে অত্যন্ত নেককার একজন লোক, মাতার হতাশ হয়ে বলা কথাতে নষ্টা নারীর মুখ দেখা।' গাহি নূতনের গান হতে দাইয়্যুস হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যার অধীনস্থ নারীগন বেপর্দা চলাফেরা করে।
->শাস্তিঃ সে জান্নাতের খুশবু অবধি পাবে না, অথচ জান্নাতের খুশবু চল্লিশ হাজার বছরের দূর থাকলেও পাওয়া যাস- সহিহুল বুখারি;৬৯১৪ ★পতনের আওয়াজ পাওয়া যায় হতে, আমাদের সকলের অহংকার মুক্ত আমল করা উচিত। তার জলন্ত উদাহরণ, ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহ বলেন,' তোমরা কি জানো আহমাদ ইবনু হাম্বল নবিজির চাদর কুড়িয়ে নিয়ে নবিজির কাঁধে তুলে দিয়েছেন' বৃদ্ধের কথায় তিনি বলেন, "আহা! এই কথা শোনার আগে যদি আমার এবং ঐ লোকের মাঝে একটা পাহাড় এসে দাঁড়াতো,কতই না উত্তম হতো"
#সকল কিছু ভালোই যাচ্ছিলো, তবে আমার বিরক্তি লেগেছে আরিফ আজাদের অলসতার প্রতি! তিনি কিছু কিছু অধ্যায় এমন বিষয় নিয়ে লিখেছে যা নিয়ে শতাধিক বক্তা, লেখক বলে গিয়েছেন। ★যেমনঃ (১)ইস্তিগফারের মাধ্যমে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রা.) এর দোকানীর সাথে দেখা। (২)বন্দিশিবির থেকে - চাচাতো বোনের সাথে পরকীয়া হতে আল্লাহর ভয় থেকে ফেরত আসা বিপদগ্রস্ত পাহাড়ে বন্দি পাথর সরানো। (৩)মোবাইল ফোন আসক্তি নিয়ে অত্যাধিক বয়ান।
শুনেন,আমি আরিফ আজাদের একজন ভালোমানের ভক্ত দাবি করতে পারি, আসলে যাদেরকে বেশি ভালোবাসা হয় তাদের প্রতি আশা ততো বেশি থাকে। সে তা পূরন না করতে প��রলে, বিরক্তিকর!