Showkot Shawon, a young Bangladeshi born poet and painter. Completed his graduation and Post Graduation from "Drawing and Painting" Department of Dhaka University. His first book of poetry "Ekta Hutum Hobo" introduced us to a new poetic form of eternal feeling. We marvelled at his otherwise beautiful expression of simple truth. Then we eagerly waited for his new writings. "Tarpor, kemon acho?" He raised our expectations again. After a gap of three years, his third book of poetry, "Shunyer Paranoia".
"শূন্যের প্যারানয়া " - লেখক শওকত শাওন। প্রচ্ছদ - লেখক নিজেই। বইটি এনেছে ভূমি প্রকাশ। প্রচ্ছদের রঙটা এত উজ্জল এত সুন্দর যে বেশ দূর থেকেই চোখে পড়ে । এ বইটিতে প্রেমকে উপজীব্য করে লেখা হয়ছে সব কবিতা । আর এটার প্রতি তো সবার আকর্ষন একটু বেশিই থাকে, একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করবে না। সাধারণত সবাই কবিতার একটা শিরোনাম দ্যায় । উনি কিন্তু তেমন কিছু দেননি। নাহ্ এই লেখকের বই আগে কখনো আমি পড়িনি, এটাই প্রথম। খুব ভালো লাগলো বইটা পড়ে। তাই ভাবলাম বইটা সম্পর্কে সবাইকে একটু জানাই ।
" আরাধনা করতেই দেবী হয়ে ওঠো আমি হয়ে যাই নিঃসঙ্গ মানুষ " - দুটো লাইনেই যেন মনের সব কথা বলা হয়ে গেলো।
" অভিযোগ দেবোনা কখনো, অনুযোগও নেই আমার। চোখের কোণে শিশির জমে গ্যালে তারা কাঁচের গা চুয়ে গলে পড়ে, উল্টো পাশ থেকে স্মৃতির নৌকাগুলো আলো জ্বেলে যায় ; " - অভিমান ভরা একটা কবিতার কয়েকটা লাইন।
আবার যেমন - " কিছু চুমু ঋণ হবে প্রিয়তমা? কথা দিচ্ছি ঋণ খেলাপি হবো না. …..." এমন প্রেমময় অনেক কবিতা ।
দু একটি কবিতা আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। জানিনা সেগুলো আঞ্চলিক ভাষায় না লিখলে এতো মধুর লাগতো কি না। পড়ার পর মনে হলো কবিতা গুলোতে আলাদা একটা প্রাণ আছে। হয়তো বা আঞ্চলিকতার জন্যই !
বইটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। আশা করি অন্যান্য পাঠকেরও ভালো লাগবে । বইটির জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।
কবিতার মতই কবির জীবন। সদা সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিত্রকলায় নিবেদিত প্রাণ, যিনি নিজের জীবনকে সমর্পন করেছেন কবিতার কাছে।
জীবনের শূন্যতাগুলোকে পূরণ করেছেন কবিতার লাইনে লাইনে। নিজে যা বিশ্বাস করেন, যা অনুভব করেন তাই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন 'শূন্যের প্যারানয়া' বইয়ে।
৫৩ টি কবিতার বইটিতে মানুষের জীবনের অপ্রাপ্তি, সুপ্ত ব্যর্থতা ও মধ্যবিত্ত দ্বিধাগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি পড়লে মনের গহীনে এক শূন্যতার আবেশ তৈরী হয়।
তবুও এই শূন্যতায় কোনো অতৃপ্তি নেই। একবারের বসায় বইটি পড়া শেষ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা যায়।