রিয়ানের কথা ভুলতে পারে না রাজিতা। রিয়ানকে চেনে পাঁচ বছর বয়স থেকে। রিয়ান, যার সঙ্গে সে একবার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দেকেহছিল তুষারপাত। যাকে ভালবেসেছিল সব ভুলে। সেই রিয়ান চলে গেছে অনেক দূর দেশের এক শহরে। কলকাতায় বসে রাজিতা ভাবে, তবে কি রিয়ান ভুলে গেল ওকে। আর বহুদুরে রিয়ান নিজের অতীত থেকে পালাতে চায়। ভুলে যেতে চায় কলকাতা শহর আর তার মানুষদের । রাজিতার এদিকে কেবলই মনে হয় রিয়ান আর ওর মধ্যের সাঁকো কি ভেঙে গেল? রিয়ানের সঙ্গে কি আর দেখা হবে ওর এই জীবনে? রাজিতার গল্প, রিয়ানের গল্প ক্রমশ হয়ে ওঠে বাকি সকলের গল্প। বুকের মধ্যে ভালবাসার ছোট্ট চন্দন কাঠের বাক্স লুকিয়ে বেঁচে-থাকা মানুষদের গল্প। আর এমন দূরত্ব ও তার পারাপারের কাহিনিই মৃদু স্বরে জানিয়ে দেয় স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘দোয়েল সাঁকো’।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
সাধারণ একটা প্রেমের গল্প কিন্তু এতো ভালো লাগলো পড়ে!
"সন্ধে নেমে এসেছে।আকাশে অসংখ্য নক্ষত্র, গ্রহ ও গ্রহাণুপুঞ্জ আর তাদের মধ্যে দিয়ে এক জীবন থেকে অন্য জীবন পার করে বয়ে চলেছে আকাশগঙ্গা!কে লঙ্ঘন করবে এই অর্বুদ নক্ষত্রমালা ? অশ্রুকণার ডাকে কারা আসবে আজ পৃথিবীর সমস্ত ভালবাসা নিয়ে? সাঁকো কি আজ পৌঁছে দিতে পারবে দু'জনকে দু'জনের কাছে?"
একটা দুশো পাতার বইয়ের এতগুলো পাতা মুড়ে রেখে রেখে পড়লাম কারণ উপন্যাসে দাগ দেওয়া ধাতে নেই আমার। far far far better than "ফিঙে","পাখিদের শহরে যেমন" এমনকি far better than "পাতাঝরার মরশুমে'!!! এটা যদি সেম প্লটের কামাল হয় লিখুক স্মরণজিৎ এরকম আরো সেম প্লট।আমি পড়তে রাজি আছি।আর যারা চরিত্র বিশ্লেষণ না করেই,সুতোর ঝুলতে থাকা টুকরো টুকরো জলের কণাগুলোর খোঁজ পায়না,অনুভূতির অনুরণন যাদের বুকে ঢেউ তোলেনা তাদের মতো সাহিত্যবোদ্ধা হয়ে আমি স্মরণজিৎ কে সেম প্লট বলে দাগাতে পারবনা! আমার এই বোকা বোকা সহজ সরল জীবনবোধ অনেক অনেক ভালো।হোক কষ্টগুলো চুম্বকের মতো।চাইনা আমার ভারী ভারী শব্দ।এই "চায়ের লিকারের মতো ল্যাম্প পোস্ট,দুধের সরের মতো ধোঁয়ার আস্তরণ" আমার প্রিয় হয়েই থাকুক।থেকে যাক আকাশগঙ্গা অথবা পুষ্পক রথ,এই সাঁকো দোয়েল ফিঙে ম্যাগপাই যারই হোক থেকে যাক এই মনের ক্ষত,থেকে যাক রূপকথা,থেকে যাক এই স্মৃতির প্রলেপ,থেকে যাক "ভালো সময়" একটা কনসেপ্ট হয়েই।❤️ "আসলে আমরা নিজেরাই অনেক সময় বুঝি না আমাদের জীবনে কে কোথায় বাঁধা রয়েছে! তাই আমরা তাকে অবহেলা করি! পাত্তা দিই না! ধরেই নিই যে সে তো থাকবেই! তার দিকে না তাকালেও চলে! কিন্তু তারপর সত্যি যখন একসময় সে ক্লান্ত হয়ে,আহত হয়ে সরে যায়,চলে যায়,তখন বুকের ভিতর এক অদৃশ্য সুতোয় টান পড়ে! তখন বোঝা যায় কার প্রাণ কোথায় বাঁধা!" "Even after you ruined me for any other, I cannot regret you,Even as I cleave the flesh of wanting from the bone, I hope the night sky is pretty wherever you are." 🖤🖤
এত সুন্দর লিখে স্মরণজিৎ! অদ্ভুত একটা মায়া থাকে। একটা সাধারণ গল্পকে মাত্র লেখোনির মাধ্যমে কিভাবে সুন্দর একটা গল্পের রূপ দেয়া যায় যেটা পড়তে পড়তে আপনিও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়বেন, পড়তে পড়তে মনে হবে না আরে এ আবার কি গল্প এরকম তো অনেক পড়েছি। আসলে স্মরণজিৎবাবু ম্যাজিক জানেন।
স্মরঞ্জিত চক্রবর্তী র গল্পের মোহেই কিনা জানি না, এক এক করে উনার সব কটা বই ই পড়া হয়ে যাচ্ছে। এটা নবম পড়া গল্প আমার উনার। রাজিতা আর রিয়ান এর গল্প। একটা বেদবাক্য আছে না, যে "জিনিস থাকতে লোকে জিনিসের কদর করে না"। সেটা এক্ষেত্রে রিয়ানের প্রতি হাজার গুণ ভাবে প্রযোজ্য। গল্পটা পড়াকালীন ভীষণভাবে রাগ হয়েছিল রিয়ানের উপর। রাজিতার সারাজীবন ধরে তাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসার উপহারে সে কি দিলো তাকে? শুধু বললো যে "তুই আমার কেউ নোস, আমি তোর কেউ নই, আমাদের গল্প এখানেই শেষ"। বাঃ রে বাহ। তারপর সে বিদেশে পালিয়ে গেল, সবকিছু ছেড়ে। কিন্তু একবার ও ভাবলো না যে রাজিতার মনের অবস্থা কি হতে পারে! এখানে রিয়ানকে আমার অত্যন্ত স্বার্থবান বলে মনে হয়েছে। সে শুধু রাজিতা কে taken for granted করেই রেখে গেল। এদিকে মেয়েটা অন্য কারো দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকায়নি কোনোদিন। এমনকি বিদেশে গিয়ে পর্যন্ত নানিয়া, ইয়ানা নামে মেয়েদের ও সুযোগ নিতে দিয়েছে। রাজিয়া কতবার রিয়ানকে ফোন, মেইল করেছে কিন্তু ছেলেটা একটার ও উত্তর পর্যন্ত দেয়নি।পড়তে পড়তে একবার হলেও মনে হয়েছিল যে : সব পুরুষের চরিত্র বুঝি এমন ই হয়!!মাঝে মনে হয়েছিল যে রাজিতার সাথে আকাশ বসুর বিয়ে হয়ে গেলেই ভালো হতো, রিয়ান বুঝতো মানুষ হারানোর কষ্ট কাকে বলে। তবে বাবুর শেষ পর্যন্ত টনক নড়ে, রাজিতার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার আগে সে অনুভব করতে পারে যে রাজিতা ছাড়া তার জীবন অসম্পূর্ণ, যেটা তার বোঝা উচিত ছিল অনেক আগে। যায় হোক, রিয়ান কলকাতায় আসে এবং যথারীতি তাকে রাজিতার সাথে দেখা করতে দেওয়া হয় না , যা একদম ঠিক হয়েছে। অবশেষে রিয়ান রাজিতার সাথে দেখা করতে পারে কিনা সেটা জানতে হলে উপন্যাস পড়তেই হবে। যাই হোক, রিয়ান চরিত্র নিয়ে মনে অনেক রাগ আর ক্ষোভ ছিল, পুরোটাই এখানে বললাম। 😃 সবমিলিয়ে একটা ভালো প্রেমের উপন্যাস। সবাই পরে দেখতে পারেন। রেটিং: ৩ 🌠🌠🌠
চীনদেশীয় উপকথায় উল্লেখ আছে এই ‘Bridge of Magpies’এর, যার বাংলা অর্থ ‘দোয়েল-সাঁকো’ । চীনা উপকথা অনুযায়ী, ‘কাউহার্ড’ এবং ‘ওয়েভার গার্ল’ এর প্রেমকাহিনী একটি অমর-লোকগাঁথা । ‘কাউহার্ড’, যে কিনা নক্ষত্র ‘Altair’ এর প্রতীক এবং ‘ওয়েভার গার্ল’, নক্ষত্র ‘Vega’র প্রতীক । তাদের ভালবাসার অনুমতি ছিল না, তাই তাদের দুজনকে স্বর্গীয় নদীর (’Milky Way’র প্রতীকী) দুই বিপরীত দিকে নির্বাসিত করা হয় । প্রতি বছরে একবার, 7 তম চন্দ্র মাসের 7 তম দিনে, দোয়েল পাখিদের (Magpies) একটি ঝাঁক একদিনের জন্য প্রেমীযুগলদের পুনরায় মিলিত করতে একটি সেতু তৈরি করত, সেই সেতুই ‘Bridge of Magpies’ নামে প্রচলিত । . এই রূপকথা থেকে ‘দোয়েল-সাঁকো’ নিয়ে একটি আধুনিক রূপকথার ছবি এঁকেছেন আমাদের প্রিয় ‘স্মরণজিৎদা’, যা দাদার শক্তিশালী লেখাগুলোর মধ্যে অন্যতম ।
I saw a reflection of my pain in the book. Not only that, it is really nice story which covered feelings from both side of a relation. Dramatic ending, which goes through the mind but don't know about how practical it is.
ভেঙে পড়া সম্পর্কের দুই দিকে দাঁড়িয়ে রিহান আর রাজিয়া, মাঝে সমস্ত বিশ্বের অসংখ্য নক্ষত্র, গ্রহ মিলে তুলে রেখেছে বিভেদের দেওয়াল, যে দেওয়াল ভেদ করে রাজকন্যা দেখতে পায়না তার জন্য অপেক্ষা করা সৈনিক কে, যে দেওয়াল বুঝতে দেয়নি রিহানকে তার মনের কথা। দোয়েল সাঁকোকি সত্যি টপকাতে পারে সেই দেওয়াল? হাজার হাজার বছর আগের দোয়েল পাখিরা কি আজও উড়ে আসবে এই কলকাতার বুকে? রিহান কি পারবে সেই স��ঁকো পেরিয়ে হয়ে উঠতে ঠাকুমার রূপকথার নায়ক?
আমি খুবই আনরোমান্টিক বলে যাকে সেরকম, এবং এখনো অব্দি স্মরণজিৎ বাবুর চারটি লেখা পড়ে, এই সি���্ধান্তে উপনীত ছিলাম যে সব গল্পেই উনি সেই একই সস ঢালেন, একগাদা চরিত্রকে দিয়ে প্রমান করেন যে পৃথিবী গোল, কিন্তু এই প্রথম উনার কোনো উপন্যাসে আমি দুটো মানুষের জীবনকে খুঁজে পেলাম, হ্যাঁ সেই একই বলিউড গল্প বলা গেলেও তার মাঝে এই গল্প কোথাও যেন ভালো লাগার রেশ রেখে গেলো।
"সন্ধ্যে নেমে এসেছে ।আকাশে অসংখ্য নক্ষত্র গ্রহ গ্রহানুপুঞ্জ আর তাদের মধ্যে দিয়ে এক জীবন থেকে অন্য জীবন পার করে বয়ে চলেছে আকাশগঙ্গা । কে লঙ্ঘন করবে এই অর্বুদ নক্ষত্রমালা ? অশ্রু কনার ডাকে করা আসবে আজ পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা নিয়ে । সাঁকো কি আজ পৌঁছে দিতে পারবে দুজনকে দুজনের কাছে " ............. এ one টাইম read লাভ স্টোরি But remember its স্মরনজিত চক্রবর্তী ।
শরৎচন্দ্রের কালের নায়ক নায়িকারা পথ ভুলে একবিংশ শতকে এসে পড়লে যা হয় আর কি! গল্পের প্লট কৈশোরকালের উপযোগী, ভাষার রীতি ও গতি দুইই উচ্ছ্বাস বেশি, গভীরতা কম। সব মিলিয়ে জমল না। দরিদ্র না মধ্যবিত্ত কিরকম পরিবারের ছবি এঁকেছেন তা বোধগম্য হল না। দুটি শ্রেণির যে একটা অন্তর্গত তফাত থাকে সেটা কেমন গুলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ভাল লাগল না।
আসল রেটিং দেব ২.৫ । খুবই চেনা ছকে লেখা সাদামাটা একটা প্রেমের উপন্যাস। বছর দুয়েক আগে যখন পড়ি তখন ভালো লাগলেও আবার পড়ার পর সেই অনুভূতিটা ফিরে পাইনি। কিশোর-কিশোরীদের পড়ার জন্য ঠিক আছে।
🍂✨📖 উপন্যাসের নাম - দোয়েল 📖✨🍂 ✍️লেখক - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী 🖨️প্রকাশক - আনন্দ পাবলিশার্স 🧾পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৯৯
💫🍁রিয়ানের কথা ভুলতে পারে না রাজিতা । রিয়ানকে চেনে পাঁচ বছর বয়স থেকে । রিয়ান , যার সঙ্গে সে একবার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল তুষারপাত । যাকে ভালবেসেছিল সব ভুলে । সেই রিয়ান চলে গেছে অনেক দূর দেশের এক শহরে । কলকাতায় বসে রাজিতা ভাবে , তবে কি রিয়ান ভুলে গেল ওকে । আর বহুদূরে ডালাস শহরের রিয়ান নিজের অতীত থেকে পালাতে চায় । ভুলে যেতে চায় কলকাতা শহর আর তার মানুষদের । রাজিতার এদিকে কেবলই মনে হয় রিয়ান আর ওর মধ্যের সাঁকো কি ভেঙে গেল ? রিয়ানের সঙ্গে কি আর দেখা হবে ওর এই জীবনে ? রাজিতার গল্প , রিয়ানের গল্প ক্রমশ হয়ে ওঠে বাকি সকলের গল্প । বুকের মধ্যে ভালবাসার ছোট্ট চন্দন কাঠের বাক্স লুকিয়ে বেঁচে থাকা মানুষদের গল্প । আর এমন দূরত্ব ও তার পারাপারের কাহিনিই মৃদু স্বরে জানিয়ে দেয় স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘ দোয়েল - সাঁকো ’ ।🍁💫
🍂🍁রিয়ানের কথা ভুলতে পারে না রাজিতা । রিয়ান নিজের অতীত থেকে পালাতে চায় । ভুলে যেতে চায় কলকাতা শহর আর তার মানুষদের । রাজিতার এদিকে কেবলই মনে হয় রিয়ান আর ওর মধ্যের সাঁকো কি ভেঙে গেল ? রিয়ানের সঙ্গে কি আর দেখা হবে ওর এই জীবনে ? রাজিতার গল্প , রিয়ানের গল্প ক্রমশ হয়ে ওঠে বাকি সকলের গল্প । বুকের মধ্যে ভালবাসার ছোট্ট চন্দন কাঠের বাক্স লুকিয়ে বেঁচে থাকা মানুষদের গল্প । আর এমন দূরত্ব ও তার পারাপারের কাহিনিই মৃদু স্বরে জানিয়ে দেয় স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘ দোয়েল - সাঁকো ' ।🍁🍂