Jump to ratings and reviews
Rate this book

হিমু #7

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর

Rate this book
হিমু সিরিজের বইগুলোর মধ্যে এটি সপ্তম। হিমু সিরিজের বইগুলোর মধ্যে হিমুর দ্বিতীয় প্রহর একটু ব্যতিক্রম। এই উপন্যাসে হিমুর সাথে দেখা হয় হুমায়ূন আহমেদের আরও একটি বিখ্যাত চরিত্র মিসির আলির। মিসির আলী চলেন লজিকের উপর ভিত্তি করে আর হিমুর জীবনটায় হল এন্টি-লজিকের মাঝে। লেখক তার সৃষ্ট এই দুটি চরিত্রগুলোর মধ্যে কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেন তা জানতে চেয়েছেন।

Unknown Binding

First published January 1, 1997

50 people are currently reading
913 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

450 books2,907 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
581 (25%)
4 stars
873 (38%)
3 stars
642 (28%)
2 stars
155 (6%)
1 star
39 (1%)
Displaying 1 - 30 of 84 reviews
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
June 30, 2023
রাত বিরাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাঘুরি করা হিমু একদিন ঢাকার এক গলিতে ঢুকে ভীষণ ভয় পেল। 'লাঠি হাতে একলোক, চোখ মুখ কিছু নাই' এরকম কিছু একটা দেখে সাহসী হিমু জ্বরে তো পড়লোই, হাসপাতালেও ভর্তি হতে হলো। তাছাড়া ভয়টাও মনের মধ্যে গেঁথে রইল। পরে হিমু এই ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করতে হাজির হলো মিসির আলির বাসায়।

তাছাড়া বাদলকে দেখা যায় বিয়েশাদি করার জন্য কানাডা থেকে দেশে এসেছে। হিমুর আলাপ হয় মীরা, মীরার বাবার সাথে এবং দুই পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারীর সাথে (এদের সাথে পরে আবার হিমুর ফুপার ভাব হয়ে যায় কারণ ওরা মদ্যপানে উত্তম সঙ্গদাতা) এছাড়া এক ময়লা বাবাকে দেখা যায় যার কিছু ক্ষমতা আছে।

কথা হচ্ছে, একদম হতাশ হয়েছি। মিসির আলিকে মিসির আলির মতো লাগলো না, হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইতে থাকা সাধারণ সাইকোলজিস্টদের মতো লাগলো। যেহেতু হুমায়ূন সাহেব এখানে তার দুই বিখ্যাত চরিত্রদের ফিউশন ঘটিয়েছেন তাই ভেবেছিলাম চমৎকার কিছু পড়তে যাচ্ছি। আশাহত হলাম আরকি! তবে ঈদের বিকালটা মন্দ যায়নি। তাই তিনটি তারা :)

৩০জুন, ২০২৩
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
October 6, 2022
২.৭৫/৫

হিমুর সাথে মিসির আলীর সাক্ষাৎ হলো। মিসির আলির উপস্থিতির জন্য আরো ভালো কিছু আশা করেছিলাম। একটু হতাশ হলাম।
ভালো লাগা দুটো লাইনঃ

পৃথিবীতে বাঁচতে হলে প্রতি পদে পদে মোহকে তুচ্ছ করতে হয়।

অতি আদরের মানুষের অবহেলা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের নেই। মানুষ বড়ো অভিমানী প্রাণী।

যখন কেউ কারো প্রতি মমতা বোধ করতে থাকে তখনই সে লজিক থেকে সরে আসে। মায়া মমতা ভালোবাসা সবই যুক্তির বাইরের ব্যপার।
Profile Image for Turna Dass.
145 reviews
May 9, 2025
"চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙ্গেছে...উছলে পড়ে আলো
ও রজনীগন্ধা,তোমার গন্ধসুধা ঢালো......"

নাহ,হয়তো সেদিন অপার রজনীতে ঠিকই হিমুর মাথায় ঠিকরে পড়েছিল পূর্ণিমাচাঁদের বাঁধভাঙ্গা আলো, কিন্তু দ্বিপ্রহরে...সেই গলিতে...রজনীগন্ধার আর গন্ধসুধা ঢালা হলো কৈ!বরং এক দুঃস্বপ্নময় তমসা সহসা সে উড়নচণ্ডী ভয়ডরশূন্য হিমালয়ের ভিত্তিমূল পর্যন্ত নাড়িয়ে দিলো!বোধ হলো তার,সেই অন্ধকারের জন্ম বুঝি এ নশ্বর ধরাধামে নয়,এক অন্য ভুবনে!

সেই অদ্ভুতুড়ে ঘটনার খরস্রোত এসে গড়ায় এমন এক স্থানে,যেখানে কট্টর যুক্তিতর্ক খেই হারায় সরল বিশ্বাসে,লজিকের সাথে বাগযুদ্ধে লিপ্ত হয় আজগুবি থিওরিজম,বহু প্রতীক্ষার পর দেখা মেলে ম্যাটার বনাম অ্যান্টিম্যাটারের আকস্মিক যুগলবন্দীর......

অবশেষে বাউন্ডুলে যাযাবর হিমুর সাথে চোখাচোখি হলো রহস্যভেদী সাইকোলজিক্যাল ম্যান মিসির আলির!

কেমন হলো সেই সাক্ষাৎ,আর কিইবা ঘটলো তারপর?সেই উত্তর জানতে গিয়ে বইয়ের পাতায় পাতায় মজলাম ঠিকই,কিন্তু আমার মনের যে খেদ থেকেই গেলো!

কেমন হত?যদি হিমু এসে মিসির আলির "রহস্য খাতায়" একটু ঢুঁ মারত,আর ম্যাজিকের মতন সেই রহস্যগুলো অবলীলায় সল্ভ করে ফেলত?কিংবা মিসির আলি হিমুর অমন রহস্যঘেরা উড়নচণ্ডী ব্যক্তিত্বের সকল রহস্য জটিলতা মীমাংসা করে হিমুকে একটুখানি চমকে দিত? খুব কি ক্ষতি হত যদি কোন অসম্ভব কেসে মিসির আলি আর হিমুর অনবদ্য জুটি হত?আর ম্যাগনেটের নর্থ আর সাউথ পোল একীভূত হয়ে আমাদের সবাইকে এক শক্তিশালী চুম্বকের মতন নিরবিচ্ছিন্নভাবে আকর্ষিত করে ধরে রাখত?

একবার ভাবুন,কি যে চমৎকার হত.........

হায়,সেই অসম্ভব ইচ্ছে মনে সমাহিত করে বইয়ের শেষ পাতা ওলটাতে হল!
Profile Image for Arnab Paul.
62 reviews119 followers
December 23, 2015
This is the best Himu-book in my view. Not Himu, Misir Ali is my favorite character of Humayun Ahmed. Misir Ali is a complete rational man, he solves paranormal activities with his perception and intelligence. On the contrary, Himu is dealt with something paranormal stuff,which is not deduced with reasoning. In this novel the idealism of Himu and materialism of Misir Ali conflated together. And at the very end, the magic of Humayun Ahm‌ed merges the reader into this two converse dilemma .
Profile Image for Muhammad Mehedi  Hasan.
35 reviews3 followers
January 11, 2022
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর | হুমায়ূন আহমেদ

হিমু সিরিজের এই পর্বে হিমুর সাথে মিসির আলির দেখা হয়। দুইজন দুই মেরুর হওয়া সত্ত্বেও তাদের মিশতে বেশি একটা সময় লাগেনি। হিমুর ফুফাত ভাই বাদলের বিয়ে নিয়ে কিছু সমস্যা হয় যার সমাধান হিমু করে দেয়। এখানে মীরা নামে আরেকজন চরিত্র আছে, যার বাবা তার মৃত স্ত্রীর সাথে কথা বলতে পারেন বলে দাবি হিমুর কাছে।

পাঠপ্রতিক্রিয়া
উপন্যাসের শুরুটা হয় হিমু রাতের আধারে অদ্ভুত দৃশ্য দেখে ভয় পাওয়া দিয়ে। তারপর আসে মিসির আলি। চলনসই বলা যায়। বেশি আশা না রেখে টাইমপাস করার জন্য পড়া যেতে পারে।

Rating 🌟🌟🌟
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
August 31, 2021
আমাদের মনের ভয়কে আমরা মনের এক কোণে পুষে রাখি। ভয় আসলে পেয়াঁজের খোসার মত,এর এক স্তরকে জয় করতে করতে শেষে শূন্য পাওয়া যায়(হিমুর বাবার কথা)। হিমুর বাবা ছেলেকে মহাপুরুষ বানাতে চেয়েছিলেন,এবং এই উদ্দেশ্যে ছেলেকেও তার ট্রেনিং দিয়েছিলেন। এই গল্পে হিমু হঠাৎ এক অজানা ভয়ের মুখোমুখি হয় ঢাকার এক ছোট অন্ধকার গলিতে,সেই ভয়ের সূত্রে সে পরবর্তীতে দেখা করে মিশির আলির সঙ্গে। হুমায়ূন আহমেদের এই গল্প হিমু ও মিশির আলির ক্রসওভারের কাহিনী। দুই চরিত্র দুই রকম,একজন প্রখর যুক্তিবাদী,অন্যজন আবার নিজের অলৌকিক ক্ষমতার ওপর প্রচন্ড বিশ্বাস,শেষ পর্যন্ত কার জিত কার হার এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো এই গল্পে বাদলের বিয়ের মতো একটি ঘটনার হাস্যকর উপস্থাপন,বিশেষ করে বাদলের কোর্ট ম্যারেজের ঘটনার পরবর্তী অংশগুলো পড়ে খুব হেসেছি।
Profile Image for NaYeeM.
229 reviews65 followers
April 6, 2019
মিসির আলি পড়তে গিয়ে প্রথম হিমু চরিত্রের সাথে পরিচয়.....
মানতে হবে খুব মজার এক মানুষ হিমু 😂 তাছাড়া সে বুদ্ধিমানও বটে....
black comedyগুলো খুব ভাল লেগেছে আসলে.....
হিমুর কথা-বাত্রায় অনেক হাসলাম ❤❤❤
Profile Image for Md. Faysal Alam Riyad.
317 reviews26 followers
May 30, 2017
হিমুর সাথে মিসির আলির দেখা হল।
হিমু ও তাহলে ভয় পায়। হিমু কি নিজেকে কিছুটা হলেও চিনতে পেরেছে?
বাদল এর বিয়ে!
4 reviews
June 25, 2018
Felt the author desperately introduced Misir Ali into the Himu series. Enjoyed the fearful suspense and cliffhanger ending.
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews26 followers
December 16, 2023
হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত দুই চরিত্র হিমু ও মিসির আলি। লেখক জনপ্রিয় এই দুই চরিত্রকে একই বইতে বিশ্বাস ও যুক্তির বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। বইটি হিমু সমগ্রতেও পড়েছিলাম; কিন্তু কাহিনি ভুলে গিয়েছি। মিসির আলি সমগ্রতেও গল্পটা থাকায় আবার পড়লাম। গল্পটিতে মিসির আলিকে তেমন একটা ভূমিকায় দেখা যায় নি। মূলত হিমু সিরিজের গল্প বলা যায়।

হিমুর রাতে শহর জুড়ে হেঁটে বেড়ানোর অভ্যাস। এক রাতে অন্ধকার এক গলি দিয়ে যাওয়ার সময় চারটি কুকুর তার পথরোধ করে। অন্যদিকে অশরীরী কিছু একটা হিমুকে ভয় পাইয়ে দেয়। সেই রাতেই ফুটপাতে একটি জায়গা খুঁজে শুয়ে পড়ে এবং জ্বরে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ঠাঁই হয় তার। সুস্থ হলে আবার রাস্তায় নামে সে এবং রাতে রাস্তায় একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পায়; সেখানে ছিল অনেকগুলো টাকা। তখনই ছিনতাইকারী জহিরুল ও মোফাজ্জল তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে হিমুর প্রভাবে তারা হিমুর আজ্ঞাবহ হয়ে যায়।

মানিব্যাগ হতে টাকার মালিকের ঠিকানা পাওয়া যায় এবং টাকা ফেরত দিতে সেই বাসায় যায় তারা। টাকা পেয়ে খুশিতে ধন্যবাদ দিতেও ভুলে যায় মীরা ও তার বাবা। টাকা ফেরত দিয়ে হিমু তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে ফুফুর বাসায় চলে আসে এবং এসে দেখে ফুফাতো ভাই বাদলের গায়ে হলুদ। মোফাজ্জল ও জহিরুলকে ফুফার সাথে মদ পান করতে বসিয়ে হিমু চলে যায় তার অজানা গন্তব্যে। মীরার বাবার অদ্ভুত এক সমস্যা রয়েছে। তার ধারণা তার মৃত স্ত্রী সবসময় তার সাথে ঘুরেন। তিনিই সব পরামর্শ দিয়ে মেয়ে মীরাকে আগলে রাখছেন। তবে মীরার বিয়ে নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিয়ে ঠিক হলেই কীভাবে যেন ভেঙে যাচ্ছে।

হিমু তার ও মীরার বাবার সমস্যা নিয়ে দেখা করেন মিসির আলির সাথে। মিসির আলি সহজেই অবাক হন না। হিমুর ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতার প্রতিও আগ্রহ দেখান না। তবে হিমুর ভয় পাওয়া নিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। একই সাথে হিমুও মীরার বাবা ও মৃত মায়ের রহস্যের সমাধানে চিন্তাভাবনা শুরু করে।

বইটা ভালো না আবার মন্দ না। একবার পড়ার মতো আরকি। তবে কাহিনি ভুলে গেলে আবার পড়া যায়। হিমুর স্বভাবসুলভ কর্মকাণ্ড হাসির উদ্রেক করে। তবে বইটিতে হিমু-মিসির আলি দ্বৈরথ ভালোভাবে ফুটে উঠেনি। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Sadiya Siddika.
14 reviews6 followers
November 2, 2019
হিমু চরিত্রটি আমার কাছে তেমন পছন্দ না হলেও এটি ভালোই লেগেছে। একই বইয়ে হিমু এবং মিসির আলীর দেখা পেয়ে রহস্য এবং হিমুর অদ্ভুত কাণ্ড এসব খুব সুন্দর করেই গল্পে টুইস্ট মেশানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে ভালো ছিলো ❤
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
June 23, 2024
শনিবার, ২৩ জুন
রাত ৯:১১।

শেষ করলাম হিমু সিরিজের সপ্তম বই "হিমুর দ্বিতীয় প্রহর"।

এই বইটা রীতিমতো আমার জন্য একটা গিফট। শুধু আমার জন্যেই না। আমার মতো যারা মিসির আলি ভক্ত মানুষ সবার জন্যে একটা গিফট। কেনো? বলছি।

রাত বিরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা হিমুর কাছে নতুন কিছু না। এরকমই একদিন রাতে হাঁটতে হাঁটতে ঢাকার এক গলিতে অদ্ভুত এক জীবন্ত কিছু দেখে প্রচন্ড ভয় পায় হিমু। সেই ভয় সারাতে দ্বারস্থ হন অথবা বলা যেতে পারে মিসির আলিকে পরখ করতে যান হিমু। জ্বি, হ্যাঁ। এই বইটাতে মিসির আলি আর হিমুর ক্রসওভার দেখা যায়। কোথাও একবার পড়েছিলাম যে হিমু সিরিজের কোনো এক বইয়ে মিসির আলির দেখা পাওয়া যায়। সেটা যে এই বইয়েই তা জানা ছিলো না। বিষয়টা খুব ইঞ্জয় করেছি। যদিও মিসির আলিকে আগের চাইতে অনেক বেশিই সাধারণ বলে মনে হলো। কিন্তু, ওই যে হয়না অনেকদিন পরে কোনো চেনা খাবার খেলে যেমন খুব ভাল লাগে এই ব্যাপারটাও ঠিক সেরকম।

এছাড়াও, এই বইয়ে বাদলের বিয়ে, মীরা, ময়লা বাবার মতো অনেক মজার বিষয়বস্তু পাওয়া যায়। তবে, মিসির আলি তো ভাই মিসির আলিই! অস্থির লেগেছে।

সবমিলিয়ে, পড়তে বেশ লেগেছে। একটা মন ভালো করে দেওয়ার মতো বই।
Profile Image for Soumyabrata Sarkar.
238 reviews40 followers
August 28, 2014
This story is unique among all the Himu stories that I have read so far. . . for many reasons altogether. . . to point out, some of them would be :

(1) Marriage of Badol, Himu's cousin and the Laugh-out-Loud circumstances it brought with it.
(2) Himu's fear-factor or fear-quotient. Does any future story also involves such fascinating tales where we see Himu in this type of bizzare situations, given the bizzaro he himself is??
(3) And off-course, for the much-expected meeting between the two MATTER/ANTI-MATTER of Humayun Ahmed's literary creations, Himu & Mishir Ali!

The story is nothing new, except the element of Fear that Himu gets, much like Robert Langdon in the Da-Vinci Code(that was the quickest comparison that came to my mind). Apart from that, the two pick-pockets were awesome characters, with their dynamic behaviors and haywire contrasts. The part about Meera and his father looked a bit forced/strained and could be cut-off, as well as that of Mayla-Baba .. . But somewhere, may be author introduced them to put on more Supernatural elements to this story, so that the presence of Mishir Ali feels justified. There are classic Himu touches like talking(or hallucinating) with dogs, the usual moonlight walks, the easy-donation of 500-taka to the telephone booth, or helping Solemon and his father with the sleeping bag, however, the addition of Kadam towards the end of the story felt fresh and good, a bit different that usual Himu. It was only the catastrophe of the marriage and the real-mystery of the terror(that the author didn't gave at the end) that holds the attention of the reader along with all these stereo-type Himu characteristics.

An okay read! A second-read may be given, only for the presence of Mishir Ali. Not that great, but good-enough! :)
Profile Image for Shafin Ahmed.
81 reviews8 followers
July 11, 2020
হিমু সিরিজের প্রায় প্রতিটি বইয়েই এমন একটা দৃশ্য থাকে, যেখানে একদমই অপরিচিত একটা মেয়ে (আগের সব উপন্যাসের থেকে সুন্দর) হিমুর সাথে পরিচিত হয়। হিমুর বেপরোয়া আর আনপ্রেডিক্টেবল স্বভাব দেখে তার প্রেমে পড়ে যায়!
প্রথমদিককার বইগুলোতে এমন কাহিনী মানালেও, সব বইয়েই এমন দৃশ্য থাকলে, কাহিনী সস্তা হয়ে যায়।
এই বইটাতে ডাক্তার মেয়েটাতে নিয়ে যদি আর কোনো মাতামাতি হতো, বইটা একদমই আবেদন হারাতো।

আর বইটাতে মিসির আলিকেও নিয়ে আসা হয়েছে দেখে চমতকৃত হয়েছি।
মিসির আলিকে নিয়ে আসার জন্যই কি না জানি না, পুরো কাহিনী জুড়ে হিমুত্বের চেয়ে মিসির আলিত্বের ছাপ বেশি ছিলো!

এভারেজের থেকে একটু ভালো বই।
Personal Rating: 3.5
Profile Image for অনিরুদ্ধ.
143 reviews23 followers
May 17, 2020
মোটামুটি। হিমু আর মিসির আলির কথোপকথন নিয়ে অনেক কৌতূহলী ছিলাম। কিন্তু কারো ফ্লেভারই ঠিকমতো পাইনি!
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
April 23, 2022
হিমুর শুরুর দিককার বইগুলা আসলেই বাংলা সাহিত্যের জেম। একই বইতে দর্শন আছে, ভালোবাসার অন্যরকম সংজ্ঞা আছে, পারিবারিক বন্ধনের দারুণ নিদর্শন আছে। আপাত দৃষ্টিতে পাগলামি ছাগলামি করা হিমুর প্রতিটা কাজই যে মাপজোক করা এবং প্রতিটা কাজই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা যতই হিমুর বই পড়ছি ততই ���ুঝতে পারছি। তবে হিমুর বইগুলো পড়ার সাথে সাথে এই যুবকের শৈশবকালের কথা ভেবে আমি প্রচন্ড মন খারাপ হচ্ছে। মানসিক ভারসাম্যহীন বাবার কাছে থেকে একটা শিশুর মনোজগতে কিরকম ঝড় ঝাপ্টা গেছে সেটা চিন্তা করতেও আমার ভয় লাগছে।
Profile Image for Chinmoy Biswas.
175 reviews65 followers
Read
August 5, 2021
হিমু মানেই আলাদা আমেজ।😍
Profile Image for Abdus Sattar Sazib.
259 reviews15 followers
December 28, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
September 29, 2020
রাতে এক গলিতে হিমু প্রচন্ড ভয় পায়। ভয় পেয়ে সেদিন সে ফুটপাতে ঘুমায়। সেখানে তার পরিচয় হয় এক পিতা পুত্রের সাথে। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ঠান্ডা লেগে হিমুকে হাসপাতালে থাকতে হয়। তারপর এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার জন্য সে মিসির আলির কাছে যায়। এই গল্পেই প্রথম হিমু ও মিসির আলির দেখা হয়। তাছাড়া এই গল্পেই বাদল এর বিয়ে হয় আখির সাথে।
6 reviews2 followers
May 30, 2024
বেশ ভালো একটা বই, হিমু আর মিসির আলির সাক্ষাৎ এই বইয়ে পাওয়া যাবে।
Profile Image for ফরহাদ নিলয়.
191 reviews61 followers
December 2, 2015
এই বইতেই হিমু আর মিসির আলীর দেখা হয়। খুব চমৎকার একটা বই। শেষটা গায়ে হিম ধরানো।
Profile Image for Fahad Ahammed.
386 reviews44 followers
June 27, 2018
হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত দুই সৃষ্টি মিসির আলি ও হিমু। পরস্পর দুই মেরুদেশীয়, একজন উত্তর হলে আরেক জন দক্ষিণ।
তাদের একে অপরের সাক্ষাত টা বেশ ইন্টারেস্টিং।
Profile Image for Muhammad Nasim.
100 reviews32 followers
Read
March 28, 2019
ভেবেছিলাম 'হিমু আর মিসির আলী' সাহেবের সাক্ষাত টা অসম্ভব সুন্দর ও রহস্যময় হবে কিন্তু সেরকম হয় নি।
-
তবে গল্পের অন্যান্য দৃশ্যপট ভালোই ছিলো। আনন্দ দেওয়ার মতো!
Profile Image for আফরিনা ঞ.
32 reviews
May 10, 2021
First read this book a couple of years ago. This one still holds up. One of my favourites of this series. 7/10
Profile Image for Shoaib Mahmud.
115 reviews4 followers
July 5, 2021
খুবই ঢিলা টাইপ গল্প, বিরক্তি ধরে গেছে পড়তে পড়তে
Profile Image for Ashikur Khan.
Author 4 books7 followers
February 28, 2023
বইয়ের নামঃ হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
প্রচ্ছদঃ সমর মজুমদার
প্রকাশনাঃ কাকলী প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৯৭
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৮
মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা

জগতে মানুষ বড় অদ্ভুত রকমের প্রাণী। কিছু কিছু মানুষ জগতে থাকে, যাদের আচরণ আর দশজন মানুষের গড় আচরণের মত হয় না। আপাতদৃষ্টিতে এদের আচরণ আমাদের কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়। এমন অস্বাভাবিক আচরণের আড়ালেও হয়ত লুকিয়ে থাকে অনেক অজানা সত্য।

এমনই অস্বাভাবিক স্বভাবের অধিকারী ব্যক্তিকে নিয়ে সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার লিখনীর মাধ্যমে তুলে আনলেন বইয়ের পাতায়। সৃষ্টি করলেন এক জনপ্রিয় চরিত্রকে। সে চরিত্রের নাম "হিমু"। আমরা যারা বর্তমান সময়ের বাংলা সাহিত্যের পাঠক, তারা সকলেই কমবেশি এ নামের সাথে পরিচিত। কারণ এটি এখন আর শুধু একটি চরিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটা এখন একটা বইয়ের ধারাবাহিক সিরিজের নাম। হিমু নামক তরুণ কোনো প্রকার স্বাভাবিক আচরণ করতে আগ্রহী নয়। বিভিন্ন অদ্ভুত আচরণ করতেই তার যত আগ্রহ! এসব আচরণের মধ্যে রয়েছে, পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দেওয়া, খালি পায়ে মধ্যরাতে নির্জন এলাকায় হেঁটে বেড়ানো, মাঝেমধ্যে মানুষের ভবিষ্যৎ বলে দেওয়া ইত্যাদি। এমন অদ্ভুত আচরণের গল্প এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য। এছাড়া এক অশরীরী অবয়বকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে এ উপন্যাসের গল্প। শেষ পর্যন্ত এ রহস্যের সমাধান মিলে। কিন্তু কী সে সমাধান? জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাসটি।

এবার আসি চরিত্রগত বিশ্লেষণ অংশে। বলা বাহুল্য, কেন্দ্রীয় চরিত্র নির্ভর এ উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রাখা হয়েছে হিমুকে। অদ্ভুত আচরণ করা তার কাছে একরকম নেশার মত। অদ্ভুত ধরনের জীবনযাপনেই যেন তার যত আনন্দ! এমন অদ্ভুত আচরণের জন্য কেউ কেউ তাকে পাগল বলে আখ্যা দিতে দ্বিধা করে না। তবুও তার আগ্রহের কমতি নেই কোথাও। নিশুতি রাতের শহুরে গলি তাকে হাতছানি দিয়ে সদা ডাকে। শহরের গলিতে গলিতে সে নগ্নপদে হেঁটে বেড়ায়। শালবনের নির্জন অরণ্যদেবীর ডাকে সাড়া দিয়ে সে ছুটে যায় সেখানে। এক গলিতে ঘুরতে গিয়ে এক অশরীরী অবয়বের দেখা পায় সে। সে রহস্যের সমাধানে সে ছুটে যায় যুক্তিপ্রিয় ব্যক্তি মিসির আলীর কাছে। এর মধ্যে ঘটে যায় অনেক ঘটনা। এক পর্যায়ে রহস্যের সমাধান মিলে যায়। সে সমাধানের কথা জানতে চাইলে চোখ বুলাতে হবে উপন্যাসের পাতায়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রাখা হয়েছে মিসির আলীকে। যুক্তিপ্রিয় মিসির আলী হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র। হিমু ও মিসির আলীকে আলাদা সিরিজ রচিত হলেও কখনো কোথাও এ দুজনের সাক্ষাৎ ঘটেনি। এ উপন্যাসে সে কাজটাই করেছেন ঔপন্যাসিক। বিপরীতধর্মী এ দুই চরিত্রের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে এ বইটিতে। লেখকের ভাষায়, "ম্যাটার এবং এণ্টিমেটার এক হলে যা হয়, তার নাম 'শূন্য'।" যুক্তিপ্রিয় মিসির আলীর সাথে হিমুর এ আকস্মিক সাক্ষাতকে ঘিরে ঘটতে থাকে অনেক ঘটনা, যা জানা যাবে বইটা পড়লে।

উপরোক্ত দুইটি চরিত্র ছাড়াও আরো একটা চরিত্র এ উপন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তার নাম মীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হিমু সিরিজের অন্যান্য বইয়ে নারী চরিত্রের মধ্যে রূপা চরিত্রের আধিপত্যের কথা শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম দেখা যায়। প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক আশরাফুল সাহেবের মেয়ে মীরা। ঘটনাচক্রে হিমুর সাথে বেশ কয়েকবার তার দেখা হয়ে যায়। প্রথম সাক্ষাৎ হয় রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগ ফেরত দিতে গিয়ে। এগিয়ে চলে উপন্যাসের গল্প।

এবার আসা যাক উক্ত উপন্যাস নিয়ে নিজস্ব মতামত ও এর ভাষাগত বিশ্লেষণের আলোচনার অংশে। আমার কাছে এটাকে কোনো রিভিউয়ের সবচেয়ে কঠিন ও জটিল অংশ বলে মনে হয়। প্রথমত বলে রাখি, হুমায়ূন আহমেদের লিখনীর ভাষাশৈলী নিয়ে বলবার মত দুঃসাহস আমার নেই। হুমায়ূন আহমেদ এমন ভাষায় লিখে গিয়েছেন যে তা যেকোনো পাঠককে বইয়ে আটকে রাখতে যথেষ্ট। পাঠকের মনোযোগ বইয়ের প্রতি নিবন্ধ রাখতে তার লিখনীর জুড়ি মেলা ভার। তার অন্যান্য লেখার মত এ বইটিতেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। এর পাশাপাশি তার উপস্থাপনা ক্ষমতার কথাও বলতে হয়। একটা সাধারণ গল্পকেও মোহময় করে উপস্থাপন করবার এক জাদুকরী ক্ষমতা ছিল এ ঔপন্যাসিকের। এ কারণেই হয়ত তাকে কখনো কখনো "গল্পের যাদুকর" বলে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। যা হোক, বরাবরের মত এ উপন্যাসেও সাধারণ গল্পকে অনন্য সাধারণ করে তোলা হয়েছে। বরাবরের মত সহজ, সাবলীল ভাষায় রচিত হয়েছে এ বইটি। সকল ধরনের পাঠকের কথা মাথায় রেখে হয়ত এমন করা হয়েছে। ঔপন্যাসিকের লিখনরীতি ও উপস্থাপনার ভঙ্গি দারুণ লাগলেও কেবল বিনোদনধর্মী এমন লেখা খুব একটা ভালো লাগেনি আমার। বরাবরের মত তার এ লেখাতেও শিক্ষণীয় খুব বেশি কিছু আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি।

পরিশেষে বলতে চাই, সকলের লিখনরীতি কখনোই এক হবার নয়। আবার, সবার লিখনীতে যে শুধু শিক্ষণীয় ব্যাপার থাকবে, ব্যাপারটা তাও নয়। ব্যক্তিগতভাবে ক্লাসিক লেখার ভক্ত হবার কারণে এ ধরণের লিখনী আমাকে হয়ত তেমন টানে না। তাই বলে যে অন্যদের কাছেও খারাপ লাগবে, তা কিন্তু নয় মোটেও। যারা বিনোদনধর্মী লেখা পছন্দ করেন, তাদের কাছে এ বই নিশ্চয়ই মন্দ লাগবে না একটুও!

Happy Reading! ♥
Displaying 1 - 30 of 84 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.