‘মাহমুদুল হক রচনাবলি : তৃতীয় খণ্ড’ গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে গল্প ও রূপকথা, কবিতা ও ছড়া, বিবিধ গদ্যজ্যামিতি, কথােপকথন, ডায়েরি এবং খেরােখাতা। এ ছাড়াও আছে রচনাপ্রসঙ্গ, গ্রন্থ ও রচনাপঞ্জি, জীবনপঞ্জি, মাহমুদুল হক চর্চা।
Mahmudul Haque (Bangla: মাহমুদুল হক) was a contemporary novelist in Bangla literature. He was born in Barasat in West Bengal. His family moved to Dhaka after the partition in 1947. His novels deal with this pain of leaving one's home.
Mahmud gave up writing in 1982 after a number of acclaimed novels. Affectionately known as Botu Bhai and always seen as a lively figure in social gatherings, the rest of the time he was said to lead a solitary life.
গল্প ও রূপকথা : এ বিভাগের অধিকাংশই মাহমুদুল হকের লেখালেখির প্রস্তুতিকালের রচনা। তাই তাঁর অন্যান্য লেখাজোখার সঙ্গে এগুলোর তুলনা চলে না স্বাভাবিকভাবেই। তবে এক মহান সাহিত্যিকের প্রস্তুতিপর্ব সম্পর্কে জানতে এগুলো অবশ্যপাঠ্য।
কবিতা ও ছড়া : সাতটি কবিতা ও আটটি ছড়ার মাধ্যমে মাহমুদুল হকের শক্তিমত্তার নতুন একটি দিক উন্মোচিত হলো।
বিবিধ গদ্যজ্যামিতি : এখানে আছে মাহমুদুল হকের ১৩ বছর বয়সে লেখা দুটি নিবন্ধ। মাহমুদুল হক ছিলেন দেশের খ্যাতনামা একজন জহুরি, 'মোহিনী হীরকের কাহিনি' শিরোনামের লেখাটি তাই হিরে-জহরত বিষয়ে আগ্রহীদের জন্য হবে মূল্যবান পাঠ। এ বিভাগে আরও আছে আহসান হাবীব, শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও শহীদ কাদরীকে নিয়ে স্মৃতিগদ্য। মাহমুদুল হকের লেখালেখি জীবনে আহসান হাবীবের অবদান অনেক, আহসান হাবীবের সম্পাদনায় তাঁর প্রথম ছাপা হওয়া গল্প নিয়ে স্মৃতিচারণাটি ছিল চমৎকার। শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দুটি লেখা থেকে ব্যক্তি শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে চেনা যায় অনেকটাই। এছাড়া আমাদের চলচ্চিত্রের দুর্দশা নিয়ে লেখা প্রবন্ধটি আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।
কথোপকথন : কয়েকটি সাক্ষাৎকার আছে এখানে যেগুলো মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার সংকলন 'হিরণ্ময় কথকতা' বইটিতে নেই। আশির দশকে লেখালেখির মধ্যগগনে থাকাকালীন কেন মাহমুদুল হক লেখালেখিসহ তাঁর প্রিয় এ জগতের সবকিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলেন, তা জানার কৌতূহল কিছুটা হলেও মেটাবে সাক্ষাৎকারগুলো।
ডায়েরি ও খেরোখাতা : মাহমুদুল হক নিয়মিত ও গুরুত্ব দিয়ে ডায়েরি লিখতেন না। ডায়েরি ও খেরোখাতার অনেক লেখাই আগামাথাহীন। সবগুলোর মর্মোদ্ধার করাও শক্ত। এ বিভাগের লেখাগুলো না পড়লেও ক্ষতি নেই। আমি পড়েছি, কেননা, অনেক আগেই ওয়াদা করেছি পাওয়া সাপেক্ষে মাহমুদুল হকের লেখা একটি বাক্যও পড়া বাদ দেবো না।
ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি থেকে জানা যাবে অনেক অজানা তথ্য।
বছরের পর বছর লেগে থেকে দুষ্প্রাপ্য লেখাগুলো সংগ্রহের পরিশ্রমসাধ্য কাজটি করার জন্য রচনাবলির সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা এনামকে ধন্যবাদ না জানালে অন্যায় হবে।