Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #289

বাদশাহ নামদার

Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ
”দর আইনা গরচে খুদ নুমাই বাশদ
পৈবস্তা জ খেশতন জুদাই বাশদ ।
খুদ রা ব মিসলে গোর দীদন অজব অস্ত;
ঈ বুল অজবো কারে খুদাই বাশদ।”

যদিও দর্পণে আপন চেহারা দেখা যায়
কিন্তু তা পৃথক থাকে
নিজে নিজেকে অন্যরুপে দেখা
আশ্চর্যের ব্যাপার।
এ হলো আল্লাহর অলৌকিক কাজ।

[হিন্দুস্থানের অধীশ্বর দিল্লীর সম্রাট শের শাহকে পাঠানো রাজ্যহারা হুমায়ূনের কবিতা]

Hardcover

First published February 1, 2011

139 people are currently reading
2289 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

450 books2,907 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
2,483 (55%)
4 stars
1,419 (31%)
3 stars
432 (9%)
2 stars
83 (1%)
1 star
19 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 432 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
April 1, 2019
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ঐতিহাসিক উপন্যাস খুবই ভালোবাসি।আর এই বইটা একদম অসাধারণ।পড়া শুরু করার পর আর থামতে পারিনি। এক রাতেই বই শেষ। তবে শেষে বৈরাম খাঁর মৃত্যু আমাকে কাঁদিয়ে দিয়েছে।এমন একজন মানুষের এমন করুন মৃত্যুইকি প্রাপ্য ছিল?

মোঘল রাজা বাদশাহদের ব্যাপারে আমরা যখনই পড়তে যাই, তখনই চোখের সামনে তুলে ধরা হয় তাদের রাজনৈতিক জীবন। তবে বাদশাহ নামদারে লেখক সম্রাট হুমায়ুনের ব্যক্তিগতদিকগুলোকে বেশি করে হাইলাইট করেছেন। তার খামখেয়লী, দোষ, গুণ, মানবিক দিকগুলো ফুটে উঠেছে এখানে। হুমায়ুন মির্জা তাঁর জীবনের ১৬ বছর সিংহাসনচ্যুত ছিলেন। এই দুঃসময়ের বর্ণনাও উঠে এসেছে গল্পে।

এছাড়া বাদশাহ নামদারে আছে অনেককিছু। আছে থ্রিল, আছে ভালোবাসা, আছে মানবতা, আছে বিশ্বাসঘাতকতা; সেই সাথে আরো আছে তৎকালীন দেশ ও সমাজের অবস্থা; আছে শত্রুর প্রতি শত্রুর সম্মান ইত্যাদি।
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
August 11, 2023
"রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সব কিছু গিলে ফেলে, তবে গল্প গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়।"


গুডরিডস এ বাংলা মৌলিক এর রিভিউ তে থাকে গরের মাঠ। কিন্তু এই মাঠ ৩৩০ টা রিভিউ তে পরিপূর্ণ যা সত্যিই অসাধারণ। যা বলার, তা এর ভেতরেই বলা আছে৷
আমি বরং উপন্যাসের মুগ্ধতা মনে মনে আস্বাদন করি।
Profile Image for Sneha.
56 reviews96 followers
May 10, 2023
ইতিহাস আমাকে কখনোই টানে না, ইতিহাস আশ্রিত বই জন্য এটা কখনো পড়তেও ইচ্ছে করে নি। তারপর হঠাৎ করেই 'কয়েকপাতা পড়ে দেখি' এইটা ভেবে বইটা পড়তে শুরু করলাম, কিন্তু পরে আর একটা বারের জন্যও হাত থেকে নামাতে পারি নি। এতো চমৎকার ভাবে লেখা সব! একদম মুগ্ধ হয়ে পুরোটা পড়ে গেলাম। সবথেকে অবাক লাগছে এটা দেখে যে,যে ইতিহাসের নাম শুনলেই আমার মাথা ধরে যায় সেই ইতিহাস নিয়ে আমার তীব্র আগ্রহ বোধ হচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদের কলমে কি অদ্ভুত ক্ষমতা, না?!
Profile Image for Rumana Nasrin.
159 reviews7 followers
May 11, 2017
অনেকদিন পরে হুমায়ুন আহমেদের কোন বই পড়লাম!

মোগল সাম্রাজ্য বা সম্রাট কোন বিষয়েই আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ কখনো জাগেনি। ছিটেফোঁটা যা জানি তাতেই আমি সন্তুষ্ট। হুমায়ুন আহমেদের প্রায় সব বই পড়া থাকলেও বাদশাহ নামদার আমার To read list -এও ছিলো না। গত সপ্তাহে লাইব্রেরী থেকে নিজের পছন্দ মতো দুইটা বই বাছলাম আমি আর এটা বেছে নিলো আমার বড় ভাইয়া (সাধারণত আমার পছন্দের একটা আর ভাইয়ার পছন্দের দুইটা বই আনা হয়)। ও সেদিনই পড়ে ফেলে। ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র হলেও মোগল ইতিহাস নাকি বাদ দিয়েছিলো বললো। পরদিন আমি খাচ্ছিলাম আর ভাইয়া বেশ কিছু অংশ আমাকে পড়ে শোনাচ্ছিলো। ভেবেছিলাম শুনলামই তো আর পড়বো কি!? কিন্তু কাল রাতে ২টার দিকে ঘুম না আসায় বইটা ওর রুম থেকে এনে পড়তে বসলাম। ভাবলাম ঘুমিয়ে যাবো। ৩ টা যখন বাজে তখনও আবিষ্কার করলাম আমি পড়ছি। সকালে অফিস আছে ভেবে জোর করেই রেখে দিয়ে ঘুমাতে গেলাম। অফিসে আসার পথেই শেষ করে ফেললাম।

বাদশাহ হুমায়ুনের বিচিত্র জীবন লেখক হুমায়ুনের লেখনীর গুনে আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলো বেশ খানিকটা সময়। অনেকদিন পরে টানা পড়ে শেষ করার কারণেই ৪ তারকা দাগালাম। বাদশাহ হুমায়ুনের পড়ার অভ্যাস খুবই ভালো পেয়েছি। :D বইয়ের কাহিনী হয়তো সেই রাজা বাদশাহদের বিচিত্র আর খেয়ালী জীবনের কথাই বলেছে আর হুমায়ুন আহমেদের লেখায় তা আরো বেশী সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে।

আমি খুব বোকা পাঠক, সামান্য ব্যাপার স্যাপার আমাকে মুগ্ধ করে। বই পড়ে ভালো লাগলেই আমি খুশী। আর বড় বড় ব্যাপার চিন্তা করে ভারী মাথাটাকে কষ্ট দেয়ার কষ্ট আর করি না। :D
Profile Image for অন্বয় আকিব.
Author 1 book135 followers
March 21, 2023
“সম্রাট হুমায়ূন এবং তার পরিবারের জন্য যুদ্ধকালীন বাবুর্চির সংখ্যা ছিল এক হাজার। প্রধান বাবুর্চি নকি খান নতুন নতুন খাবার উদ্ভাবন করতেন। তার উদ্ভাবিত একটি খাবার পুরনো ঢাকার কিছু রেস্তোরাঁয় এখনো পাওয়া যায়। খাবারের নাম গ্লাসি।

গ্লাসির রেসিপি (মোঘল আমলের) দেওয়া হলো। পাতলা স্লাইস করে কাটা খাসির মাংস সজারুর কাঁটা (বিকল্প খেজুরের কাঁটা) দিয়ে কেঁচতে হবে। কেঁচানো মাংসে দিতে হবে কিসমিসের রস, পোস্তদানা বাটা, পেস্তা বাটা, শাহী জিরা বাটা, আদার রস, পেঁয়াজের রস, রসুনের রস, দই, দুধ, এবং গম বাটা। পরিমাণমতো লবণ। এতে যুক্ত হবে জয়ত্রি গুঁড়া, জায়ফল গুঁড়া, দারুচিনি গুঁড়া। সব ভালোমতো মেখে মাটির হাঁড়িতে রেখে ঢাকনা লাগিয়ে দিতে হবে। মাটির হা্ঁড়ি সারাদিন রোদে থাকবে। খাবার পরিবেশনের আগে অল্প আঁচে মাংসের টুকরো মহিষের দুধের ঘিতে (ভৈসা ঘি) ভাজতে হবে।

বঙ্গদেশের দিকে যাত্রার সময় তার রসদখানায় মহিষের দুধের ঘি ছিল দশ মণ এবং গরুর দুধের ঘি ছিল ত্রিশ মণ।
সৈন্যদের খাবার ছিল: এক ঘটি দুধ, যবের রুটি, এক পোয়া ছাতু, মাংস এবং পেঁয়াজ।“

ভাগ্যিস মোঘল আমল শেষ হয়ে গেছে। তা না হলে এরাই দুনিয়ার খাদ্যাভাবের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াত মনে হয়।

দারুণ, দারুণ একখানা বই লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এক হুমায়ূন লিখেছেন আরেক হুমায়ূনকে নিয়ে। হুমায়ূনের হাতে হুমায়ূনের জীবনী পড়ার মজাই আলাদা। সম্রাট হূমায়ূনের মধ্যে হিমুর কিচ্ছু স্বভাব কি লক্ষ্য করা যায়? আমার কেন যেন মনে হলো লেখক হুমায়ূন আহমেদ যদি মোঘল সম্রাট হতেন, তাহলে অনেকটাই মোঘল সম্রাট হুমায়ূনের মত হতেন।

ভালো লেগেছে ভীষণ। পরবর্তীতে বিস্তারিত রিভিউ লিখবো।
Profile Image for Pranta Dastider.
Author 18 books329 followers
September 19, 2015
"খেয়ালের তরী ভেসে চলে যায়, কথা শুরু থেকে শেষ
এক জীবনের বৈচিত্র্যে বহু জীবনের রেশ।
কথা কথা কথা, ব্যাথা আকুলতা, কথার সমুদ্দুর
বাদশাহ মহান, জীবনের গান, তোলে সুমধুর সুর।।"


সোজা কথায় বলতে গেলে গল্পটা পড়ে উদাস হয়ে গেলাম। অনেকে অনেক কথা বলবে, সফল উপন্যাস, ঐতিহাসিক ঘটনা, হুমায়ূনের জীবনী, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি এতকিছু বলিনা। আমি বলি এটি একটি জীবনের গল্প। ব্যাস।

হুমায়ূন আহমেদ কেবল একটি গল্প লেখার চেষ্টা করেছেন, যা মোঘল সম্রাট হুমায়ূনের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। এতে ইতিহাস আছে, তবে তা পাঠককে বেঁটে খাওয়ানোর কোনও চেষ্টা করা হয়নি। জোর করে রেফারেন্স টেনে, ঘটনা প্রলম্বিত করে পাঠকের চোখে নিজের রিসার্চকে বড় করা হয়নি। এমনকি বাদশাহ হুমায়ূনের জীবনাবসান কিংবা জন্মলাভ পর্যন্ত সম্পূর্ণ চিত্রও এতে চিত্রিত নয়। বরং টুকরো টুকরো বিষয় বেশি টানা হয়েছে, যার উপস্থিতি হয়তো মূল ইতিহাসে তো বেশিভাবে ছিলনা। যেমন হুমায়ূনের মেয়ের কাহিনী, কিংবা হরিশংকরের শেষের দিকের দিনগুলো। কিংবা শের শাহ্‌'র ছেলেদের সাথে তার কুটনৈতিক আলাপচারিতা। কিংবা হুমায়ূনের খাবার, কিংবা হুমায়ূ���ের ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনার বিবরণ। তবুও এই জিনিশগুলোই গল্পকে আলাদা করেছে, গল্পের মতো করেছে, মানবিক করেছে, আকর্ষণীয় এবং সাবলীল করেছে।

তবে হ্যাঁ হুমায়ূনের কবিতাগুলোর আরও ভালো রূপান্তর হতে পারতো। লেখক হুমায়ূন আহমেদের কাব্যের আমি খুব বড় ফ্যান নই। এবং এই বইয়ের কবিতার রূপান্তরও মোটামুটিভাবে ভালোর তালিকায় ফেলছিনা।

এছাড়া বইয়ের আর সবই ভালো। বই পড়ে মজা পেয়েছি। ইতিহাসের প্যাচাল নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে হয়নি, বরং অনায়াসে জেনেছি খেয়ালী সম্রাট হুমায়ূনের কাহিনী। খারাপ লেগেছে বৈরাম খানের জন্য। মজা পেয়েছি আকবরের মায়ের সাথে হুমায়ূনের আলাপগুলোতে। হুমায়ূনের ভাইদের মাথা থেঁতলে দিতে ইচ্ছা হয়েছে। হুমায়ূনের অতিমানবীয় ক্ষমা দেখেও মাঝে মধ্যে মেজাজ গরম হয়েছে। তবুও ভালো লেগেছে।

এছাড়া মোঘল আমলের হেরেম নীতি, বহুবিবাহ, ষড়যন্ত্র, মিথাচারের দৃশ্য অত্যান্ত প্রাঞ্জলভাবে ছাপ ফেলেছে গল্পের আনাচে কানাচে। উপহার লেনদেন, প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ, সবই চূড়ান্ত লেগেছে!

বইটা সবার পড়া উচিত। বইয়ের মতো করে পড়া উচিত। গল্পের মতো করে পড়া উচিত। লেখক হুমায়ূন হয়তো চাইলেও তার পক্ষে একটা কাঠখট্টা ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখা সম্ভব ছিলনা। তার গল্পে সাবলীলতা আসবেই, তার গল্পে আনন্দ আসবেই। তার গল্পে বিষাদের ছায়া আসবেই। সে চরিত্র হোকনা আমাদের বহুচেনা আনিস, কিংবা সম্পূর্ণ অচেনা সম্রাট হুমায়ূন। সুতরাং লেখককে কুর্নিশ।

বাদশাহ নামদার, যুগ যুগ জিয়ো।
Profile Image for Masud Khan.
87 reviews17 followers
July 21, 2020
সবকিছুর মধ্যে জোছনা ঢুকিয়ে ঘুঁটা মারতে হবেই!
Profile Image for Zabir Rafy.
312 reviews10 followers
November 14, 2024
খামখেয়ালিপনায় পূর্ণ এক মোঘল বাদশাহ, করুণার নহর বক্ষে লালন করে যুদ্ধের ময়দানে তরবারি চালানো হুমায়ূন মির্জার হৃদয়ের দখল সুরা আর কবিতার কাছে। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মোঘল সাম্রাজ্য তথা মোঘল রাজবংশ তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সম্রাটদের কাতারে সামনেই থাকতেন। অর্থনৈতিক বা সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব মোঘল রাজবংশ যতটা ডিজার্ভ করে, হুমায়ূন মির্জা কি ততটা করেন?

সম্রাট মির্জা নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ূনকে নিয়ে উপন্যাস লিখেছেন আরেক হুমায়ূন, আহমেদ। লেখকের জন্মদিনে তাঁর কোনো বইয়ের রিভিউ লেখার চল আগেও দেখেছি। শুধু সেই ট্রেন্ড ফলো করার জন্যই রিভিউটা লিখছি তা নয়, এই বইটার দেনা শোধ করা দরকার ছিল নিজের কাছে। করলাম।

হুমায়ূন আহমেদের লেখা খুব বেশি পড়িনি। আকর্ষণবোধ করিনি কখনো। তাঁর লেখা পড়তে আমার ভালো লাগে, এইটুকুই। কোনো বই পড়ে খারাপ লেগেছে বলে মনে পড়ছে না। হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমার খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে সবসময়ই। কিন্তু তিনি আমার প্রিয় লেখক নন।

বাদশাহ নামদার বইটা হয়তো শতবর্ষ পরে ক্লাসিকের তকমা পাবে। আমার পরিচিত অধিকাংশ হুমায়ূনপ্রেমীর কাছে এই বইটার হুমায়ূন আহমেদের সেরা কাজ। বইটার কাহিনি বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন নেই, বহুল পঠিত একটি বই। বইটার কী কী উপাদান ভালো লাগলো সেটাই দু' চার লাইনে লিখতে চাই।

বিষন্নতায় মোড়ানো হুমায়ূন মির্জার চরিত্রের সাথে যোগ হয়েছে খামখেয়ালিপনা। ঔদাসিন্য। থাকলে ভালো না থাকলেও সমস্যা নেই। রাজ্য শত্রুর দখলে গেলো বলে, ষড়যন্ত্র করছে আপন মানুষজন, কিন্তু হুমায়ূন মির্জা মুখে মুখে রচনা করেই যাচ্ছেন একের পর এক শের। হুমায়ূনের এই চরিত্র পুরো বই জুড়েই বলবৎ ছিল। কাজেকর্মে, আচরণে, সংলাপে একই ধারা বহমান রাখার কাবিলিয়ত বোধ করি হুমায়ূন আহমেদের জন্যই সংরক্ষিত।

ঐতিহাসিক উপন্যাস কেমন হয় জানি না, এই বইটা দিয়েই শুরু এবং শেষ। বাদশাহ নামদার পড়ার পরে ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। পড়িনি। বাদশাহ নামদারের রেশ এখনো কাটেনি। ইতিহাসের রেফারেন্স খুব বেশি টানেননি। চমৎকার হুমায়ূনীয় শব্দশৈলীর উপন্যাসটি এগিয়েছে বাদশাহ হুমায়ূনকে নিয়েই। মোঘল সাম্রাজ্যের কিছু কিছু বিষয় উঠে এসেছে বটে, তবে ব্যক্তি হুমায়ূন মির্জার চরিত্র বিশ্লেষণ, ভাই-বোনের প্রতি কোমল আচরণ, রাজ্যশাসনে ঔদাসিন্য এসব আলোচনাই বেশি। সম্ভবত এই কারণেই বইটা পাঠকপ্রিয় হয়েছে। কারণ তাদের হৃদয়ে বসে শের শুনাচ্ছেন মির্জা নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ূন বাদশাহ গাজী!

গাজী বলা যায় হুমায়ূনকে? আফগান শাসক শের শাহর কাছে দুটো যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে হেরেছেন হুমায়ূন। ১৫৫৫ সালে দিল্লির সিংহাসন পুনরুদ্ধারে হুমায়ূনের অবদান কতটুকু? রাজ্যহারা, সেনাবাহিনীবিহীন হুমায়ূন আরেক রাজ্যে আশ্রিত। পারস্যের শাহ চাইলে তাকে ধরিয়ে দিতে পারেন! ভাগ্য সুতোয় ঝুলতে থাকা অবস্থায় শাহ তামাস্পের পারশিয়ান সেনাবাহিনীর বাহুবল আর বৈরামের খানের বিচক্ষণতায় হুমায়ূন দিল্লির সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন। গাজী বলতে চাইলে সেটা খানে খানান বৈরাম খানকে বলা যায়।

শাহ তামাস্প কী করলেন? রাজ্যহারা হুমায়ূন তার কাছে আশ্রিত। দিল্লির মসনদ দাবি করছে হুমায়ূনকে, জীবিত থাকা সহায়সম্বলহীন রাজপুরুষও বড়ই ভয়ানক; এটা কে না জানে! এটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। শাহ তামাস্প এক রাতে হুমায়ূন মির্জাকে বাস্তবতা বলতে বলতে নিয়ে এলেন প্রশিক্ষিত-সুসজ্জিত-স্বর্ণ ঝলমলে বিশ হাজার অশ্বারোহী সৈন্যের সামনে। একটু আগেই হুমায়ূন মির্জাকে বাস্তবতা বুঝাচ্ছিলেন শাহ, চাইলেই তিনি হুমায়ূনকে তুলে দিতে পারেন দিল্লির কাছে। হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে মহান শাহ তামাস্প বলে উঠলেন, "এই নিন পারস্যের সবচাইতে সুদক্ষ অশ্বারোহী দল। পুনরুদ্ধার করুন দিল্লি। বসুন মসনদে।"

এই টুইস্টের জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। পারস্যের সহায়তায় হুমায়ূন দিল্লি উদ্ধার করেন; এই ইতিহাস অনেক আগে থেকেই জানি। তারপরও বেমালুম ভুলে গেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ জাস্ট সারপ্রাইজড মি দ্যাট ডে!!

বইটা শেষ হয়ে গেছে মাত্র ২৩০ পৃষ্ঠায়। শেষ দিকের ঘটনাপ্রবাহ একটু যেন দ্রুতই শেষ হয়েছে। আরও শখানেক পৃষ্ঠা পড়তে পারলে ভাল্লাগতো 😛
Profile Image for Henry Ratul.
64 reviews116 followers
December 27, 2017
প্রথমেই বলে রাখি, হুমায়ূন আহমেদের খুব বড় ভক্ত নই। উনার প্রথমদিকে লেখা বইগুলোয় ছিল খুব মায়া, ভালবাসা, মমতা। তেমনি সেই বইগুলো যতবারই পড়ি না কেন ঠিক ততবার বইগুলোর প্রতি অনুভূতি বিন্দুমাত্র বদলায় না। যদিও "বাদশাহ নামদার" তার শেষজীবনের লেখা তা সত্ত্বেও বইটা পড়ে মনে হয়েছে এই তো সেই হুমায়ূন আহমেদ যিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন শঙ্খনীল কারাগার, নন্দিত নরকে, আগুনের পরশমনি, কোথাও কেউ নেই, বহুব্রীহি এমনি আরো অনেক অনেক ভালবাসায় মাখা বইসমূহ। যাক এসব কথা বাদ দিয়ে "বাদশাহ নামদার"-এ আসি।

ইতিহাস নামক বিষয়টিকে আজীবন খুব ভয় পেতাম। এত ভুড়ি ভুড়ি সাল, স্থানের নাম, ব্যাক্তির নাম এসব মনে রাখা সম্ভব হত না। তবে ইতিহাস নিয়ে লেখা গল্পের মতন একটি বই যে এতটা উপভোগ করব তা আমার বিন্দুমাত্র জানা ছিল না। সম্রাট বাবরের পর কিভাবে এবং কেন সম্রাট হুমায়ূন আসে তা আমাদের পাঠ্য সমাজ বই শিখায় নি। আমাদের শুধুমাত্র জানা আছে বাবরের পুত্র হুমায়ূন আর হুমায়ূনের পুত্র আকবর।

এমনি অজানা অন���ক কিছু জেনেছি এই বই থেকে। সম্রাট হুমায়ূন কবি ছিলেন। কবিতা ছাড়াও জাদুবিদ্যায় তাহার যে বিশেষ আগ্রহ ছিল। গুলবদন হুমায়ূনের বোন তেমনি আকিকা বেগম হুমায়ূনের মেয়ে। এসব চরিত্রের কথা কখনই আমাদের উল্লেখ করা হয় নি। ইতিহাসের পাতায় এরাও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।

কামরান মীর্জা (সম্রাট হুমায়ূনের ভাই), বৈরাম খাঁ এই দুই ব্যাক্তিত্ব হুমায়ূন জীবিনীতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এদের নিয়ে কিছুই বলব না, যদিও সব বলতে ইচ্ছা করছে। তবে বলা হয়ে গেলে পাঠকের জন্য স্পয়লার হয়ে যাবে। শেষ একটি চরিত্র নিয়ে কিছু বলতে চাই তা হল শের খাঁ (দিল্লী দখলের পর নিজের নাম পরিবর্তিন করে শের শাহ্‌ করেন)। শের খাঁ এর মতন ধূর্ত রাজা মনে হয় মোঘল আমলে আর একটিও ছিল না। ধরতে গেলেই ফুশ হয়ে যেত এই শের খাঁ। তবে পরম শত্রুর প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধাও দেখতে পাই শের খাঁয়ের চরিত্রে।

সম্রাট হুমায়ূনের ��ামিদা বানুর প্রতি অগাধ ভালবাসা নিদর্শনসরুপ। সম্রাটের ভালো সময় যেমন হামিদা বানু ছিলেন তেমনি সম্রাটের খারাপ সময় তিনি উনাকে ছেড়ে চলে যায় নি। তেমনি সম্রাট হুমায়ূন উনার ভালো সময় যেমন হামিদা বানুর যেকোন আবদার রাখতেন ঠিক তেমনি সম্রাট যখন পথে পথে ঘুরে পালাচ্ছিলেন তখনও কিন্তু হামিদা বানুর কোন আবদার তিনি বাকি রাখেন নি।

পরিশেষে, হামিদা বানুর পুত্র আকবর দি গ্রেট কি সত্যি আকবর দি গ্রেট ছিল? এই প্রশ্নের ছোট্ট নমুনাও আমরা "বাদশাহ নামদার"-এ পেয়ে যাই।

আমার বিশ্বাস, হুমায়ূন আহমেদ বেচেঁ থাকলে পরবর্তীতে সম্রাট আকবরকে নিয়ে জীবনকথা লিখতেন। যা পড়বার আর জানবার প্রবল ইচ্ছা হয়েছে এই "বাদশাহ নামদার হুমায়ূন" পড়বার পর।
Profile Image for Munem Shahriar Borno.
202 reviews12 followers
April 19, 2025
One of the finest works of Humayun Ahmed!

মেধা, পরিশ্রম আর হাতের কারসাজি যখন একসাথে মিশে যায় তখন তার ফলাফল পর্যবসিত হয় এমন উপন্যাসে। কিন্তু আফসোস, হুমায়ূন আহমেদ এর এই টাইপের (ঐতিহাসিক উপন্যাস) লেখা সম্ভবত এই একটাই। আফসোস!

ছোট কলেবরের বই। আদতে ২৩০ পৃষ্ঠা হলেও এইটা ১২০ পৃষ্ঠায় অনায়াসে আটানো যেত। A5 সাইজের বই বাইন্ডিং করে, পৃষ্ঠা বাড়িয়ে বইয়ের চড়া মূল্য রাখায় প্রকাশকের নামে 'আল্লার কাছে বিচার দিলাম'।

ইতিহাসের মানুষ নই আমি। এত ইতিহাস ও জানা নেই। শুধু জানি ১৫৪০-১৫৫৫ এই পনের বছর হুমায়ুন সিংহাসনচ্যুত ছিলেন। আর জানা আছে পরবর্তীতে পারস্যের সম্রাটের সহায়তায় তা ফিরে পান। এইটুকু জ্ঞান সমাজ বিজ্ঞান বইয়ের বদৌলতে পাওয়া। বইটা পড়ার আগেও ভাবিনি সম্রাট হুমায়ূন সম্পর্কে এত তথ্য পাবো একসাথে! নিতান্তই এক ফ্যান্টাসি জনরার বই ভেবেছিলাম। কিন্তু একবার যখন শুরু করেছি আর উঠতে পারছিলাম না! আজ টুইশন টাও মিস হয়ে গেলো, বলতে হলো "একটু সিক, পড়াবোনা"।

সম্রাটের দরবারে মিথ্যা! কিন্তু গর্দান কাঁটার ভয় নেই।

এক বসায় পড়ে ফেললাম 'বাদশাহ নামদার'। হুমায়ূন ভক্ত হওয়ার জন্য এমন দুই একটা বই-ই যথেষ্ট।

পুনশ্চ: বইয়ের পুনশ্চ টা পড়ে ভগ্ন হৃদয়ে বসে আছি। এইটুকু অংশ একেবারেই জানা ছিলোনা।
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
June 16, 2025
হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচাইতে পছন্দের লেখকদের মধ্যে অন্যতম। যাদের হুমায়ূন আহমেদের লেখা পছন্দ না তাদের সবাইকে যদি এই বইটা পড়াতে পারতাম, তাহলে হয়তো তারা বুঝতো হুমায়ূন আহমেদকে কেনো পছন্দ করাটা আবশ্যক। ইতিহাস আমার পছন্দ। খুবই পছন্দ। কিন্তু তাই বলে এতো সহজভাবে যে ইতিহাসকে ব্যক্ত করা যায়, এতো সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা যায় তা এই বইটা না পড়লে জানতাম না।

বলছিলাম, হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'বাদশাহ নামদার' বইয়ের কথা। মোঘল সাম্রাজ্যের সবচাইতে খামখেয়ালী 'সম্রাট হুমায়ূন' এর জীবনের নানা বৈচিত্র‍্যময় ধাপ নিয়েই বইটি লিখা হয়েছে। এই বইয়ের গল্পের দিকে আমি যাবোনা। কারণ, এইটার প্লট তো বলেই দিয়েছি অলরেডি। তবে একটা কথা বলতেই হয়, এই বই পড়ার পরে আমি রীতিমতো বাদশাহ হুমায়ূনের-ও ফ্যান হয়ে গেছি। চমৎকার চরিত্রের একজন মানুষ!

সবমিলিয়ে বলবো, এই বই হাজার পৃষ্ঠার হলেও এক সেকেন্ডের জন্যেও বিরক্ত লাগতো বলে মনে হয় না। খুবই চমৎকার একটা বই। এই বইয়ের সুনাম সবাই জানে। নতুন করে বলার কিছু নাই। আমার মতো দুই একজন পাঠক হয়তো আছে যাদের পড়া নাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আর দেরি না করে যতো দ্রুত পারা যায় এই চমৎকার বইটা পড়ে ফেলুন। বিশ্বাস করেন, আপনি ধন্যবাদ জানাতে বাধ্য হবেন।
Profile Image for Tasnima Oishee.
140 reviews26 followers
December 6, 2022
মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের জন্ম ১৫০৮ সালের ৬ মার্চ, কাবুল দুর্গে। জন্মের সময় তাকে দেখতে এসে তার পিতা সম্রাট বাবর তার মাতা মাহিম বেগমকে একশত আশরাফি উপহার দেন। এই উপহার পেয়ে মাহিম বেগম বলেছিলেন- "স্বর্ণমুদ্রার তার প্রয়োজন নেই- শুধু আপনি প্রতিজ্ঞা করুন, আপনি কখনো তার প্রতি রুষ্ট হবেন না"৷ বাবর সেই প্রতিজ্ঞা করেননি- তার এই অদ্ভুত পুত্রকে তিনি ভালোবাসতেন প্রচণ্ড। অথচ সম্রাট বাবর একজন শক্তিমান রাজপুরুষ- যিনি বিশ্বাস করতেন, "সম্রাটদের কোনো ভাই, পুত্র বা স্ত্রী থাকে না। তাদের থাকে তরবারি।" প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে হুমায়ুন যখন বিছানায় শায়িত হলেন- চিকিৎসকরা বলে দিলেন- তিনি চিকিৎসার অতীত। একজন সুফিসাধকের "অতি প্রিয় কোনো কিছু দান করলে হুমায়ুনের জীবন রক্ষা পেতে পারে" শুনে সম্রাট বাবর পরম করুণাময়ের কাছে হুমায়ূনের জীবন ভিক্ষা চাইলেন নিজের প্রাণের বিনিময়ে। খুব অদ্ভুত কিন্তু সত্যি, পুত্রের কালান্তক ব্যাধি শরীরে নিয়ে সম্রাট বাবর মারা গেলেন এবং সিংহাসনে বসলেন হুমায়ূন।

সম্রাট হুমায়ূনের কোনো কাজই রাজপুরুষ সুলভ না।এই মানুষটি অসম্ভব সাহসী। কিন্তু তার খেয়ালিপনার কারণে তাকে ভীতু বলে বোধ হয়! তিনি বাস করেন তার নিজের জগতে। তার চরিত্রের সবচে' দুর্বল দিক হচ্ছে তার করুণা আর ক্ষমা। মোঘল চিত্রকলার শুরু তার হাত ধরে। তিনি বই সংগ্রহ করতেও পছন্দ করতেন। তার জগতের নিয়ন্ত্রণ থাকতো কবিতার, আফিম, আর সুরার হাতে। কিন্তু তার এক অদ্ভুত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা-শের শাহের কাছে পরাজিত হয়ে হুমায়ূনের শুশ্রূষা করেছিলো এক মহিলা মাত্র কিছুক্ষণের জন্য। আর সেই কিছুক্ষণেই তার মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো- সে নিজের প্রাণের বিনিময়েও হুমায়ুনের অবস্থান বলতে রাজি হচ্ছিলোনা! বাদশাহ নামদার বইটি আমার অতি প্রিয়। হয়তো বইটার প্রচ্ছদের জন্য। একই সাথে সম্রাট হুমায়ূনকে আমাদের লেখক হুমায়ূন এতো যত্নের সাথে রঙতুলিতে এঁকেছেন- তাতে এই বইটা মুগ্ধ হয়ে একবার না, অনেকবার পড়া যায়!❤
Profile Image for Ismail.
Author 66 books204 followers
July 15, 2021
কোনও এক বিচিত্র কারণে বইটি এতদিন পড়া হয়নি। হাতের কাছেই ছিল, কিন্তু কেন যেন পড়ার আগ্রহ পাইনি। অবশেষে পড়লাম, এবং মুগ্ধও হলাম।
হুমায়ূন আহমেদের ব্যতিক্রমী লেখা পাওয়া খুব সহজ নয়। জীবনে বহু গল্প-উপন্যাস লিখেছেন, কিন্তু মিসির আলি আর হিমু ছাড়া কমবেশি সবই একই ধাঁচের। ওই দুটো সিরিজের কাহিনিগুলোর মধ্যেও যথেষ্টই একঘেয়েমির উপকরণ রয়েছে। কাজেই হঠাৎ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এই উপন্যাস পড়ে সত্যিই অবাক হলাম। তবে বাদশাহ হুমায়ূনকে নিয়ে রোমান্টিসিজম একটু বেশিই ছিল বলে মনে হলো। তাঁকে রীতিমত মহাপুরুষের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তিনি, যেটা কতখানি সত্যি সে-ব্যাপারে ঘোরতর সন্দেহ আছে। কাহিনির ছলাকলার ভেতরেও ঠিকই অনুভব করতে পারছিলাম, মানুষটা সম্রাট হিসেবে নিতান্তই অযোগ্য ছিলেন।
যা হোক, ইতিহাস আশ্রিত কাহিনি না ভেবে এটাকে ফ্যাণ্টাসি ভাবলে আর অতটা খারাপ লাগবে না কারও। তিন তারা পাবার যোগ্য ছিল বইটা, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা আর জাদুকরী লেখার জন্য এক তারা বাড়িয়ে দিলাম।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
June 8, 2023
প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ,

ইতিহাসখ‍্���াত বা বিস্মৃতির অতলে গত মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের জন্ম-পতন-উথান-মৃতু‍্য হরফনামায় বন্দী করে সেই সময়ের সাথে এই সময়ের সন্ধি করানোর জন্য আপনাকে জানাচ্ছি;

শাহ্ আব্বাস(শাবাশ!)।



রেটিং:💥⭐🌟🌠.৭০
১১/০৭/২২.
Profile Image for Tasnia Zaman.
12 reviews4 followers
March 31, 2023
মুগ্ধতার রেশ না কাটলে কি করে অনুভূতি ব্যক্ত করব বলুন তো।
শত তৃপ্তির মধ্যে অতৃপ্তি একটাই। এটা কেন এতদিন পর পড়লাম, কেন আরও আগে পড়লাম না!
Profile Image for Wasim Mahmud.
357 reviews29 followers
November 1, 2022
বাদশাহ নামদার। মোঘল সম্রাট বাবর তাঁর জেষ্ঠ্য সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চারিদিকে ঘুরতে শুরু করেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি-ই প্রার্থনা ছিল বাবরের। নিজ জীবনের বিনিময়ে হুমায়ূনের জীবন। বাবরের প্রার্থনা সফল হয়। সেই হুমায়ূন-ই আমাদের এই উপন্যাসের বাদশাহ নামদার।

মোঘল সাম্রাজ্যের ঘরে-বাইরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং ষড়যন্ত্র ঘনীভুত হচ্ছে দিনকে দিন। হুমায়ূনকে আপাত দূর্বল শাসক হিসেবে ভাবছেন তাঁর ভ্রাতাগণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বি শের শাহ। দিল্লীর মসনদে সম্রাট হ‌ওয়ার আকাঙ্খা অনেকের মাঝেই তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা দেখা পাই ব‌ই, শিল্প-সংস্কৃতি, আফিমে মত্ত এক বাদশাহর। হুমায়ূন, খামখেয়ালীপনায় ভরা এমন এক মোঘল সম্রাট যার রাজত্ব বরাবরের মত‌ই হুমকির মুখে। তবে সেদিকে বাদশাহ নামদারের তেমন একটা খেয়াল নেই মনে হয়। মনে মনে, মুখে মুখে কবিতা রচনা করে চলেছেন হুমায়ূন, যার অনেক শের-ই এখনো প্রচলিত।

ক্ষমাপ্রবণ, হৃদয়বান এই মোঘল সম্রাটের মধ্যে নৃপতি কম একজন ভাবুক ব্যক্তিকে বারবার দেখা যায় এই উপাখ্যানে। তবে প্রাজ্ঞতার ঝলক‌ও মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠে হুমায়ূনের আগ্রহ‌ উদ্দিপক ব্যক্তিত্বের মাঝ থেকে।

সাম্রাজ্য হারিয়ে কপর্দকহীন অবস্থায় একদম কঠিন সময়েও সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস এবং অবিচলিত মনোভাব যেভাবে বাদশাহ নামদারের মধ্যে দেখা যায় তা আসলেই বিস্ময়কর। পাঠকের মনে এমন অনুভূতি জাগ্রত হয় যেন উক্ত সম্রাট সবসময়-ই সম্রাট।

আর আছেন বৈরাম খাঁ। উপন্যাসটির গুরুত্বপূর্ণ এই চরিত্রটি প্রধান সেনাপতি হিসেবে যেভাবে বাদশাহ হুমায়ূনকে পদে পদে রক্ষা এবং ক্ষুরধার সমরবুদ্ধির প্রয়োগে জিতিয়ে দেন তা বৈরাম খাঁকে উক্ত আখ্যানের এক স্মরনীয় এবং শ্রদ্ধা করার মত ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছে।

হুমায়ূন আহমেদ এই গ্রন্থটি রচনা করতে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। তবে রেফারেন্স খুব বেশি দেন নি। হুমায়ূনের জাদুকরি গল্পকথনে একদম চোখের সামনে চলে এসেছে মোঘল, পাঠান এবং পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যকার পাওয়ার স্ট্রাগল। বাদশাহ হুমায়ূনকে আমাদের লেখক হুমায়ূন যেভাবে চিত্রিত করেছেন তা এক কথায় অনবদ্য।

নামের মিল থাকার কারণে বাদশাহর প্রতি লেখকের ভালোবাসা এবং প়ক্ষপাত বরাবরের মত‌ই পুরো কাহিনীতে টিকে ছিল। এক‌ইসাথে বিভিন্ন টানটান উত্তেজনাকর মূহুর্ত এবং চমকের কারণে মনে হয়েছে যেন ইতিহাসকে উপজীব্য করে লিখা কোন থ্রিলার পড়ছি। শেষ করতে চাই ব‌ইয়ের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ লিখে,

"বৈরাম খাঁ বললেন, পিঁপড়া মারতে হবে না। পিঁপড়া মারা ছাড়াই আপনাকে কোহিনুর দেখাবো। তবে কোহিনুর সামান্য পাথর ছাড়া কিছু না। জীবন্ত সঠিক মানুষ হলো আসল কোহিনুর। পেছনের নৌকার দিকে তাকান। রাজ্যহারা সম্রাট হুমায়ূন স্ত্রীর হাত ধরে বসে আছেন। উনি‌ই আসল কোহিনুর। দেখেছেন?"

পাঠ প্রতিক্রিয়া

বাদশাহ নামদার

লেখক : হুমায়ূন আহমেদ

প্রথম প্রকাশ : একুশের ব‌ইমেলা ২০১১

প্রকাশনা : অন্যপ্রকাশ

প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ

জনরা : ঐতিহাসিক উপন্যাস

রিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদ
Profile Image for Jahid Hasan.
135 reviews160 followers
May 6, 2020
কী অপূর্ব কাহিনী!

বইটা পড়তে পড়তে এই বাক্য নিজমনে অজান্তেই উচ্চারণ করেছিলাম!
চমকপ্রদ সব ঘটনাবহুল একটি বই। লেখক এতো প্রাসঙ্গিকভাবে একের পর এক ঘটনা উপস্থাপন করেছেন যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো পুরো বইটা পড়ে গেছি (পড়ুনঃ দেখে গেছি)।
একজন বাদশা বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ বাদশা হুমায়ুন যে শুধু বিলাসিতা করতেন তা না, সে খুব উদাসিন এবং হেঁয়ালি ধরণের জীবন যাপন করেছেন। শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল।
তবে গল্পের শেষে লেখক যে সত্যের সামনে দাঁড় করালেন সেই সত্য জানার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার ছিলনা।

আচ্ছা, "বাদশাহ নামদার" আসলে কে?
আমার কেন জানি মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ নিজেই বাদশাহ নামদার :p :)
Profile Image for Monirul Hoque Shraban.
171 reviews52 followers
June 19, 2022
সম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুনের জীবন নিয়ে লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস। সম্রাটের নামও হুমায়ুন আর লেখকের নামও হুমায়ুন। বাদশাহ হুমায়ুনের জীবনটা মজায় ভরপুর। বইতে সেসব স্থান পেলে পড়তে গেলেও তার স্বাদ পাওয়া যাবে, যেমনটা এখানে পেলাম।

পকেট সাইজের হওয়াতে বইটা অল্পতেই শেষ হয়ে গেল। কালেবর আরও বেশি হতে পারতো। হতে পারতো ‘প্রথম আলো’ কিংবা ‘পূর্ব পশ্চিম’এর মতো বই। তবে যা হয়েছে তা-ই সাদরে গ্রহণ করলাম।
Profile Image for Sumaiya.
37 reviews3 followers
July 6, 2023
" রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তবে 'গল্প' গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়। "

ইতিহাস অপছন্দ করা মেয়েটিও বইটি মুগ্ধ হয়ে পড়ে শেষ করে ফেললো। এখন আমার ইতিহাস নিয়ে তীব্র আগ্রহ বোধ হচ্ছে। ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ।
Profile Image for Shadin Pranto.
1,469 reviews560 followers
October 8, 2023
খোদা থাকেন ব্যথিত মানুষের হৃদয়ে - শাহ তামাস্পকে বিতাড়িত সম্রাট হুমায়ুন।

ইতিহাস শিখতে আমি উপন্যাস পড়ার পক্ষে নই। কথাসাহিত্যে কথাশিল্পীর কল্পনারাজ্য নির্মাণের হক শতভাগ। মহান লেখকেরা কল্পনা ও বাস্তব মিশিয়ে অনবদ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন। কিন্তু তাতে ক্ষুণ্ণ করেন না ঐতিহাসিক নির্যাস। হুমায়ূন আহমেদ মোগল সাম্রাজ্যের বিচিত্র শাসক হুমায়ুন মির্জাকে নিয়ে লিখেছেন 'বাদশাহ নামদার'। বাংলায় অনেকেই ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা করেছেন। এদের কেউ কেউ বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু কেউ 'বাদশাহ নামদার'-এর মতো কলেবরে ছোট অথচ এত সুপাঠ্য কেতাব লিখতে পেরেছে কী? শরদিন্দু, সুনীলবাবু ইত্যাদি লেখকদের কথা মাথায় রেখেই বললাম।

পুরো উপন্যাসে হুমায়ুন মির্জাকে আমি স্মরণে রাখিনি। মনে পড়ে জান বাঁচাতে হুমায়ুন স্ত্রী-পরিজন রেখে পালিয়ে গেলেন। হুমায়ুনপত্নী বেগা বেগম চিন্তায় অস্থির। এই নারীকে 'মা' সম্বোধন করেন শের শাহ। সেই বেগা বেগম স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেন শের শাহের হয়ে। এই দোয়া কবুলের ঘটনা কখনো ভুলবো না। যেমন ভোলা যায় না, রাজ্যহারা সম্রাট হুমায়ুনের সাথে পারস্যের অধিপতি শাহ তামাস্পের কথোপকথন।
Profile Image for Karishma Anika.
48 reviews53 followers
November 3, 2021
হুমায়ুন আহমেদ কে কেন শব্দের জাদুকর বলা হয়, আরেকবার প্রমাণ পেলাম। পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই মোঘল আমলে।
Profile Image for Rocky Rahman.
106 reviews10 followers
March 14, 2024
হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা বই।
বইটি শেষ করে আমি ৩-৪ দিন ঘোরে ছিলাম, এতোই মারাত্মক লেগেছিলো বইটি।
ঐতিহাসিক পেক্ষাপটে লেখক থেকে আরও কিছু বই পেলে অবশ্যই ভালো হতো।
Profile Image for Priodorshini  Rumpa.
14 reviews5 followers
September 4, 2023
ইতিহাসের উপর বিরক্তি নিয়েই আমি এতোবছর কাটিয়েছি।এখন চিন্তা করতে পারছিনা এই বছরই এখনো অব্দি ২ টি ইতিহাস সম্পর্কিত বই পড়ে ফেলেছি!

"বাদশাহ নামদার" বইটি শুরু করে সম্রাট হুমায়ূনের উপর খুব বিরক্ত হই সত্যি বলতে!কিন্তু পরবর্তীতে হুমায়ূন আর বৈরাম খাঁ'র চরিত্র দুটি আমাকে ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায়।তাদের একে অন্যের প্রতি কি পরিমাণ শ্রদ্ধাবোধ;কি গভীর সহমর্মিতা;অগাধ বিশ্বস্ততা!শেরগুলোর কথা আর নাইবা বললাম!একেকটা শের,একেকটা আবেগ।এটি অসম্ভব রকমের সুন্দর একটা বই হলেও,
আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা সঞ্চয় করে রেখেছি মীর্জা কামরান আর হরিশংকরের জন্য!
Profile Image for Masudur Tipu.
125 reviews2 followers
December 15, 2025
সেকেন্ড টাইম পড়ে ফেললাম!
Profile Image for সারস্বত .
237 reviews136 followers
May 26, 2023
লেখক হুমায়ূন আহমেদ বাদশাহ নামদার এবং লেখিকা অ্যালেক্স রাদারফোর্ডের ব্রাদার্স অ্যাট ওয়ার দুটি বইয়েই সম্রাট হুমায়নের জীবনী নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
দুইটা বইয়ের তথ্যের ব্যাপক বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। তবে যে জিনিস আমার বেশি চোখে লেগেছে সেটা হলো চারিত্রিক বিশ্লেষণ।
লেখক হুমায়ূন আহমেদ সম্রাট হুমায়ূনকে শুধু একজন ব্যর্থ, খামখেয়ালী আর পরাজিত শাসক হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু লেখিকা অ্যালেক্স রাদারফোর্ডের সম্রাট হুমায়ূনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পৃথক।
বাদশাহ নামদারে চৌসা যুদ্ধের সময়ের বর্ণনাতে লিখেছেন পালাও, পালাও চিৎকার শুনে উনি পরিবার ফেলে পালিয়ে যান আর নদীতে ঝাঁপ দেন।
কিন্তু ব্রাদার্স অ্যাট ওয়ার বইটিতে বলা হয়েছে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ূন মোটেই পালিয়ে যাননি। মোঘল সৈন্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং আহত এবং অচেতন হলে তাঁর প্রশিক্ষিত ঘোড়া তাঁকে নিরাপদ জায়গা নিয়ে গেছে।
আবার বাদশাহ নামদারের বলা হয়েছে অমরকোটের পরে সম্রাট হুমায়ূনের কাবুল যাত্রাকালে ভাই আসকারি আসবার খবর পেয়ে শিশু আকবরকে রেখে পলায়ন করেন।
অন্যদিকে ব্রাদার্স অ্যাট ওয়ার বইটিতে বলা হয়েছে কামরান মীর্জা অতর্কিতভাবে সম্রাট হুমায়ূনের তাবু আক্রমণ করে আকবরকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
একইভাবে সিকন্দার শাহকে হারানোর সব খেতাব বৈরাম খাঁ কে দেয়া হয়েছে বাদশাহ নামদার বইটিতে । তবে অ্যালেক্স রাদারফোর্ডের বইটুতে বলা হয়েছে চৌসা যুদ্ধে সম্রাট হুমায়ূনকে পরাজিত করতে শেরশাহ যেমন বৃষ্টিকে ব্যবহার করেছিলেন তেমনি সিকন্দার শাহকে গোয়ালপাড়ার যুদ্ধে পরাজিত করতেও হুমায়ূন নিজে সমস্ত পরিকল্পনা করেন এবং একইভাবে বৃষ্টি ব্যবহার করেন।
মোদ্দাকথা লেখক হুমায়ূন সম্রাট হুমায়ূনকে বলতে গেলে একজন সফল কবি হিসাবে উপস্থাপন করলেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ শাসক হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। অন্যদিকে দম্পতি অ্যালেক্স রাদারফোর্ড সম্রাট হুমায়ূন মীর্জার খামখেয়ালী দিকটা তুলে ধরলেও তাঁর শাসক হিসাবে তাঁর যোগ্য দিকগুলো তুলে ধরতে কোন কার্পণ্য করেননি :)
Profile Image for Mehzabin Hasan Hridy.
65 reviews
Read
September 29, 2021
"রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তবে 'গল্প' গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়।"
-বাদশাহ নামদার, হুমায়ূন আহমেদ।


ইতিহাস আমার খুব বেশি ভালো লাগে না। আবার খুব বেশি মন্দও লাগে না, যদি উপস্থাপনার ভঙ্গিটা আমার কাছে পছন্দনীয় হয়।

ঐতিহাসিক উপন্যাস "বাদশাহ নামদার" রসহীন ঐতিহাসিক তথ্যের ভাণ্ডার নয়। এটা এক খেয়ালী সম্রাটের গল্প। বইটি পড়ার সময় আমার একবারও মনে হয় নি সম্রাট মীর্জা নাসির-উদ-দীন মুহম্মদ হুমায়ূন সুদূর অতীতের একজন। মনে হচ্ছিল, আমি হুমায়ূনকে চিনি। সম্রাট হুমায়ূন আমার পরিচিত, কাছের একজন। আমি চিনি বৈরাম খাঁ-কে, গুলবদনকে, আর জওহর আবতাবচিকেও। আমি সব্বাইকে চিনি! আমি শিশু আকবরের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই, হরিশংকরের মাংস পচে যাওয়ার বীভৎস দৃশ্য আর দুর্গন্ধ আমার ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হয়, আকিকা বেগম আর অম্বার প্রেতাত্মা (কিংবা হরিশংকরের ভ্রম) আমিও দেখি!
সবকিছু ছাপিয়ে যা বারবার আমাকে বিস্মিত করেছে তা হলো- বিচিত্র চরিত্র হুমায়ূন আর তার বিচিত্র নিয়তি।

আমাদের কারও কারও মাঝে হুমায়ূনের মত খেয়ালী, আবেগচালিত মানুষ বাস করে। কেউ আংশিক হুমায়ূন, কেউ পুরোমাত্রায়।

মোঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট মীর্জা নাসির-উদ-দীন মুহম্মদ হুমায়ূনের কাহিনীতে তোমায় অগ্রিম স্বাগতম!

#mehzabin_hridy

#বাদশাহ_নামদার
#হুমায়ূন_আহমেদ
Profile Image for Asif.
40 reviews34 followers
March 16, 2017
রাজা যায় রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তবে গল্প গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়।
বাদশার নামদার এর কিছু গল্প শোনান শেষ হল।
মারহাবা!!!! মারহাবা!!! হুমায়ন আহমেদ আবারও তার কলমের জাদু দেখিয়ে দিলেন। ইতিহাস এত সুন্দর করে উপস্থাপন আমি মনে হয় না আর কোথাও দেখেছি। মুঘল সাম্রাজের শুরুর ঝড় ঝন্ধাত দিনগুলোর এক অসাধারণ ইতিহাস, বিশেষ করে সম্রাট হুমায়ন এর কাহিনী তুলে এনেছেন লেখক হুমায়ন আহমেদ।
বৈরাম খা কে সবচেয়ে ভাল লেগেছে। সিংহ এর মত সাহস, শিয়ালের মত ধূর্ত এই লোক না থাকলে মনে হয় না মুঘল সাম্রাজ্য এই ভারতবর্ষে আর ফিরতে পারত।
Profile Image for Arif Uddin Priyo.
1 review3 followers
February 22, 2019
মোঘলদের নিয়ে লেখা প্রথম কোনো বই পড়লাম। রাজা বাদশাহদের কাহিনী, ভাল লাগবে কি না এ নিয়ে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলাম শুরুতে। কিন্তু প্রথম কয়েকপাতা পড়েই পুরোপুরি অবাক হয়েছি। ইতিহাসকে অবলম্বন করে এতো সুন্দর উপস্থাপনা মন্ত্রমুগ্ধের মতো টেনে নিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। তবে লেখনীতে সম্রাট হুমায়ূনের উপর অনেকটাই লেখক হুমায়ূনের ছাপ লেগে ছিল বলে মনে হয়েছে। হয়তো এজন্যই সম্রাট হুমায়ূনের বিচিত্র জীবনী আরো সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছিল ২৩২ পৃষ্ঠার এই স্বল্প যাত্রায়।
Profile Image for Adham Alif.
334 reviews80 followers
September 22, 2023
বহুদিন পর হুমায়ূন পড়লাম। তার লেখার সরলতার মুগ্ধতা আবারও আমায় ছুয়ে গেল। ইতিহাস আশ্রিত রচনার এই জনরাতেও তিনি কতোটা দুর্দান্ত লেখেন তার প্রমাণ মিললো।
Profile Image for Imran.
136 reviews7 followers
October 3, 2021
আমার পড়া অন্যতম সেরা একটি বই।❤️
Displaying 1 - 30 of 432 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.