‘স্লিপার সেল।’ শব্দ দুটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। ভারতবর্ষের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সব থেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ স্লিপার সেলগুলোর চিহ্নিতকরণ করা। ব্লু ফ্লাওয়ার শুরু হচ্ছে একটি ছেলের হঠাৎ করে বিপদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা থেকে। কাহিনি যত এগিয়েছে, লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে আমাদের দেশের ইন্টেলিজেন্স প্রতিনিয়ত দেশের নিরাপত্তা রক্ষার্থে কাজ করে চলেছে। কাশ্মীর সমস্যা, পাকিস্তানের কাশ্মীর যোগ এবং স্লিপার সেলের সক্রিয়তা— ব্লু ফ্লাওয়ারে ঘুরে-ফিরে এসেছে। একজন সাধারণ ছেলের জীবনে হঠাৎই একটা দিন আসে, যখন সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না আদৌ সে বেঁচে থাকবে নাকি, সে কি সবটাই স্বপ্ন দেখছে, না বাস্তবে তার সঙ্গে এই ঘটনাগুলো ক্রমাগত ঘটে চলেছে!
লেখা পড়ে হো হো করে হাসি পেল কেবল। কী একটা অবস্থা! ভারত-পাকিস্তানের সমস্যা, ভারত-কাশ্মীর সমস্যা, ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা– সবটাতে বাংলাদেশ জড়িত থাকে শুধু! জঙ্গিবাদ আর জিহাদ সম্পর্কে কীসব এলোমেলো হচচকচচ বলে গেল, আর সব বাংলাদেশি বম্ব স্পেশালিস্ট হয়ে গেল!
পুরো লেখা পড়ে শুধু বুঝলাম, ভারত খুবই গণতন্ত্র-মূল্য দেওয়া একটি দেশ, খুবই উদার, খুবই নিরপেক্ষ . . . আরো কিছু রাজনৈতিক ভালো বিশেষণ.... গল্পে গভীরতা একদম নেই, কোনো চরিত্রের প্রতিই কোনো অনুভূতি কাজ করে না। তবে গতি বেশ।
বেশ কয়েক বছর আগে পড়লে কেমন রিভিউ দিতাম জানি না, তবে গত কয়েকমাসে আমাদের প্রতিবেশী যে প্রোপাগান্ডা-মূলক খবর ছড়ালো, তার সাথে এই লেখার খুব মিল আছে।
আমার মতো অঢেএএল সময় (আপাত) না থাকলে এই বই পড়তে উৎসাহিত করছি না। বইটা পড়ে খুবই দুঃখিত হয়েছি যে, পাকিস্তানের অন্যায় কর্মকাণ্ডের সাথে বাংলাদেশকে জোর করে যুক্ত করে দেওয়ার একটা ব্যাপার রয়েছে। দেখা যাক, দ্বিতীয় পর্বে আমার ভুল ভাঙার মতো কিছু আছে কিনা।
এই ধরনের গল্পগুলো খুব অস্বস্তি নিয়ে শুনি আর পড়ি। হিন্দু-মুসলিম-পাক-ভারত-কাশ্মীর দাংগা-হাংগামা/যুদ্ধের কাহিনীগুলো যেমন অস্থির করে তোলে,আবার এসবের মধ্যে দিয়ে কিভাবে কিভাবে নিজ দেশ যখন ঢুকে যায়,তখন অস্বস্তিটা আরো বেড়ে যায়। এসব ভৌগোলিক,ধর্মীয়,জাত-পাতের সীমারেখা ছাপিয়ে,শুধুমাত্র মানবিকতার আইডিকার্ড গলায় ঝুলিয়ে খুব করে চাই এই গল্পগুলো যাতে আর প্রাসংগিক না থাকুক। কিন্তু আফসোস,যত দিন যাচ্ছে এ গল্পগুলো আরো বেশি সময় উপযোগী আর বাস্তব হয়ে যাচ্ছে। খুব বেশি দিন না,ক'দিন আগের পেহেলগাম আর এর পরবর্তী ঘটনাই ধরুন না?
যাহোক,গপ্পো মীর এর ঠেকে শুনলাম। গল্পটা একে তো টান টান উত্তেজনার ছিলোই,আর বেতাররূপ টা এত অসাধারণ হয়েছে যে এত লম্বা গল্প মনে হলো এক নিমিষেই শেষ। কেউ ফ্যামিলি ম্যান সিরিজের ভক্ত হয়ে থাকলে,শুনে দেখবেন।
~আমার এক্সপেকটেশন এর বাহিরে হয় নাই। যা ভেবেছিলাম তাই লিখেছেন লেখক অনেকটা। 'জিহাদ' আর 'জঙ্গিবাদ' যে সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস লেখকের লেখায় তা ফুটে উঠেওনি৷ অবশ্য সেটার আশা ও করিনি যে ফুটে উঠবে।
নিছক কৌতুহল বশত ই পড়া শুরু করেছি। তবে হ্যা, কাহিনি অনেকটা রোলার কোস্টার গতিতেই আগায় বলতে গেলে। কাশ্মীর এর সাময়িক অবস্থা কেমন কি তা অনেকটাই আন্দাজে উঠে এসেছে এই বই পড়ে। আবার মাঝে মাঝে মনে হয়েছে এ যেন সিনেমা সিনেমা কাহিনি।
আমাদের সমাজের মধ্যে মিশে থেকে কি ভাবে সমাজের সর্বনাশ করছে এই স্লিপার সেল, সেটা কি নিয়ে একেবারে গায়ে কাঁটা দেওয়া উপন্যাস। পাতায় পাতায় চমক। বই ছেড়ে উঠতে পারে যায় না, এতটাই গ্রিপিং। এত সুন্দর করে সবার পার্সপেক্টিভ টা তুলে ধরেছে, যে একটা নিরপেক্ষ ছবি তৈরি করা যায়। বাংলা ভাষাতে এই রকম Geo Political thriller লেখা হচ্ছে ... আমি গর্বিত।
অডিওবুকটি শুনে আমার মনে হয়েছে এটি বলিউডের সাধারণ স্পাই মুভির মতো—যেখানে টেররিস্ট, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, কাশ্মীর ইত্যাদি নিয়ে চটকদার প্লট থাকে, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ জটিল বাস্তবতা বা গভীর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার অভাব প্রকট। গল্পের গঠন খুবই গতানুগতিক এবং কখনও কখনও মনে হয়েছে যে লেখক সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য পরিচিত কিছু ইস্যু ব্যবহার করেছেন, যেগুলোর বাস্তবতা অনেক জটিল হলেও এখানে সেগুলোকে একরকম সরলীকরণ করা হয়েছে। এই বইতে যদি দেশজ সমস্যাগুলো বা সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে কিছু আলোচনা থাকলেও যৎসামান্য । তাহলে সেটি হয়তো প্লটকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য করত। যদিও কিছু পাঠকের জন্য এটি হয়তো অ্যাকশন ও থ্রিলারের দিক দিয়ে উপভোগ্য হতে পারে, আমার কাছে এটি অনেকটা একপাক্ষিক ও প্রেডিক্টেবল লেগেছে। লেখকের সবচেয়ে বড়গুণ নিরপেক্ষতা তবে লেখক তা বজায় রাখতে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছেন ।
কিছু কিছু বই থাকে যেগুলি পড়ার পরে সেগুলি সম্পর্কে কোনোভাবেই লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। এই বইটি তেমনি একটি বই । এই বইটি মূলত ভারতের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের নিয়ে তাদের কাজ, সাহসিকতা ,আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি যে অসীম ভালোবাসা তা নিয়ে লেখা। এ বইটিতে কিছু কাল্পনিক ঘটনার পাশাপাশি এমন কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার সম্প্রতি বা কিছু বছর আগে ভারতে ঘটেছে । এই কাহিনীর বেশিরভাগটা জুড়েই কাশ্মীকে নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের ঠান্ডা লড়াই তা দেখানো হয়েছে এবং কিছু জঙ্গি সংগঠনের কথা স্লিপার সেলের কথা বলা হয়েছে এবং শেষে একটি কথা বলতেই হয় সেটি হচ্ছে লেখকের লেখনী এত গুরুগম্ভীর একটি ব্যাপার কে লেখক খুবই সহজভাবে উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছে। এই পরবর্তী দুটি অংশ নিয়েও ভীষণভাবে আশাবাদী আমি।
⛳ কি ভাবছেন বইটা কেমন হবে? বইটা কি কেনা যাবে? কী আছে এই বইতে? আসুন দেখে নিই.......
🍀👉🏻উপন্যাসের শুরুটাই হয় ঠিক এই ভাবে.... গ্ৰামের একটি এটিএম এ কয়েকটি এটিএম কার্ড এবং একটি মানিব্যাগ পায় বীরেন। যে এটিএম কার্ডের পিন তার সাথে হুবহু মিলে যায়, এবং যার ব্যালেন্স প্রায় কোটির ওপরে। কৌতূহলী হয়ে বীরেন মানিব্যাগ থেকে আই কার্ড বের করে দেখে মালিকের নাম ‘সায়ক বড়াল’ ও ঠিকানা। 🍀👉🏻সায়ক বড়াল-কে খুঁজতে কলকাতায় সেই ঠিকানায় এসে পৌঁছায় বীরেন। আর ঠিক তারপরেই বদলে যায় বীরেনের জীবন। জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য নামে এক বাঙালি ভদ্রলোকের সাথে তার পরিচয় হয় ওই বাড়িতে। জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য তার বাবা-মা ও বোনকে খুন করার হুমকি দিয়ে তাকে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বাইতে জংলি হাঙ্গার কেরিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কাশ্মীরে তার সাথে থাকে জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডান হাত মির্জা। 🍀👉🏻অন্যদিকে জ্যোতির্ময়ের ভাইঝি ‘মিনি’ জেঠুর ঘরে খুঁজে পায় একটি চিরকুট, আর তারপরেই সে বুঝতে পারে তার জেঠু আসলে অন্য একজন মানুষ। বাবা এবং কাকাকে নিয়ে একদিন জেঠুর ঘরে সার্চ করে। এবং সেই ঘর থেকে গোপন কিছু তথ্য পায় চলে আসে জেঠুর গোপন ঠিকানায়, যেখানে জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের স্ত্রী রয়েছে......... একজন অফিসার মুম্বাই থেকে বীরেন-কে রেসকিউ করে কলকাতার ফ্লাইটে তুলে দেয়। বিরেন পরে জানতে পারে সায়ক বড়াল-কে খুন করে দেওয়া হয়েছে। বীরেন ফ্লাইটে ওঠার পর নিজে অনেকটা স্বস্তি বোধ করে, মুক্তি পাওয়ার আশায়। কিন্তু ঠিক ফ্লাইট টেক অফ করার মুহূর্তেই বীরেন দেখে অপজিটে বসে আছে মির্জা এরপর কি ঘটতে চলেছে বীরেনের জীবনে??
🍀👉🏻দ্বিতীয় পর্বে দেখা যায়....... একটি অপরিচিত গ্ৰামে চোখ খোলে সায়ক বড়াল। মাথার পিছনে চাপ চাপ ব্যথা। ঘুম যখন ভাঙলো দেখলো কেউ একটা জব্বার পড়িয়েছে তাকে। ওঠার চেষ্টা করলো কিন্তু উঠতে পারল না আবার শুয়ে পড়লো সায়ক। তাকে আহত অবস্থা থেকে সুস্থ করে তোলে দুজন স্থানীয় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা........ এরপর অন্যদিকে জ্যোতির্ময় তার ভাইঝি মিনিকে কিডন্যাপ করিয়ে অন্য একটি ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। এরপর মিনির বাবা-মায়ের অনুরোধে মিনি-কে ছাড়িয়ে আনতে রাজি হয়, কিন্তু একটা শর্ত রাখে যাতে জেল থেকে জ্যোতির্ময়-কে বের করে দেয়া হয় তবেই মিনিকে ওখান থেকে মুক্ত করে দেবে। 🍀👉🏻এই জোর করে বিয়ে দেওয়াতে মিনি প্রচন্ড রেগে যায় এবং এবং তার শাশুড়িকে জানায় যে তাদের বাকি জীবনটা হেল করে ছাড়বে! এরপর কি হল মিনির...... ওই পরিবেশ থেকে কি মিনির মুক্তি মিলবে?? জানতে হলে অবশ্যই উপন্যাসটি পড়তে হবে.....
🫧🍁ব্যক্তিগত মতামত🍁🫧 প্রথমত এই ধরনের উপন্যাস আগে কখনো পড়া হয়নি, এই প্রথম পড়লাম। ব্লু ফ্লাওয়ার-এর গল্প কি নিয়ে তা কমবেশি সবাই জানে, কাশ্মীর আর পাকিস্তানের সেই সমস্যা...... হ্যাঁ আমার বইটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। এই ব্লু ফ্লাওয়ার-১ পড়ে অনেক কিছু জানলাম। এই বই হাতে নিয়ে শুরু করার পর আস্তে আস্তে উঠে আসে বহু রহস্যময় তথ্য, বিভিন্ন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র। দেশের জওয়ানরা প্রতিনিয়ত কিভাবে নিজের দেশকে রক্ষা করে চলেছেন, এই উপন্যাস তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শেষে এটুকুই বলতে পারি যে অত্যন্ত যত্ন নিয়ে এই সংকলনটি তৈরি করা হয়েছে, এবং থ্রিলার প্রেমী মানুষজন অবশ্যই এই বইটি পড়ুন। থ্রিলারের পাশাপাশি আপনি যদি নিজের দেশকে ভালোবেসে থাকেন, তবে এ বই আপনার জন্য। বইটি হার্ড কভার, ভালো কাগজ, ঝকঝকে ছাপা ও আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ সমৃদ্ধ। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখার দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভালো থাকবেন........
📥🗒️2024 Book Review ~ 74 যদি এই বইটি পূর্বেই কেউ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের ব্যক্তিগত মতামত জানাবেন। এছাড়াও আমার রিভিউ কেমন লাগছে সেটাও জানাবেন নিচের কমেন্ট বক্সে। যদি কিছু ভুল ত্রুটি হয় সেটাও জানতে ভুলবেননা। 🍀 আবারো দেখা হবে পরের রিভিউতে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন আর অনেক অনেক বই পড়ুন। 🙂 🙏🏻 !! ধন্যবাদ !! 🙏🏻
কলমের থেকে শক্তিশালী অস্ত্র বোধ হয় খুব কমই আছে এবং এই কলম শক্তিশালী হয়ে ওঠে লেখকদের বুদ্ধিমত্তা ও তাদের লেখনীর দ্বারা। এই লেখার প্রভাব পরে যারা তাদের বই পড়েন অর্থাৎ পাঠকদের মনের ওপর।তাদেরকে অনেক তথ্য জানতে এবং বইয়ের মধ্যে যদি সেইরকম উপকরণ থাকে তাহলে পাঠককে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে বাধ্য করে। এতো কথা আমি বলছি তার কারণ হলো অভীক দত্তের লেখা ' ব্লু ফ্লাওয়ার ' । বইয়ের মধ্যে দুটি পর্ব যার প্রথম পর্বটি শুরু করার পর গোগ্রাসে গিলেছি। এরকম টানটান লেখা অনেকদিন পর পড়লাম। বইটা রেখে দিলেই যেনো আমার মনে হচ্ছিলো আরেকটু পড়ি দেখি কী হয় এরপর এরকম একটা ভাব। যাই হোক এবার আসা যাক উপন্যাসের বিষয়বস্তুর কথায়।
বিষয়বস্তু : - কাহিনীর শুরুতেই আমরা দেখতে পাই বীরেন নামের একটি ছেলে একদিন এটিএমে টাকা তুলতে যায়। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার সত্বেও যখন সে দেখে ভেতরে থাকা ছেলেটি কিছুতেই বাইরে আসছে না তখন সে ভেতরে ঢোকে এবং দেখে ছেলেটি কার্ড পাঞ্চ করেছে কিন্তু পাসওয়ার্ড ভুল দিয়ে যাচ্ছে। তখন ছেলেটিকে সন্দেহ হয় তার ছেলেটি সেটি বুঝতে পেরে ভয়ে মানি ব্যাগ ফেলে চলে যায়। ব্যাগ থেকে সে খুঁজে পায় সায়ক বড়াল নামে এক ব্যক্তির ঠিকানা।সে সেই ঠিকানা অনুযায়ী সেই জায়গায় পৌঁছালে জানতে পারে সায়ক বড়াল নামে কেউ সেখানে থাকে না।কিন্তু এর পরে প্রশ্ন আসে যে যদি কেউ নাই থেকে থাকে তাহলে ঠিকানাটার অর্থ কী?
এরপর বীরেনের পরিচয় হয় ওই বাড়ির বড়ো ছেলে জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের সাথে। তিনি ছাড়া বাড়ির সকলেই অবাক হয়ে যায় বীরেনের আগমনে। অনেকক্ষণ কথাবার্তা চলার পর কী এমন ঘটলো যার ফলে বীরেনকে পাড়ি দিতে হলো কাশ্মীর?
এদিকে আবার ওই বাড়ির মেজো ছেলের একমাত্র কন্যা মিনি তার জেঠুর ঘর থেকে খুঁজে পায় একটি আরবী লিফলেট। জেঠুকে জিজ্ঞেস করায় তেমন কিছু সে মিনিকে জানায় না। মিনি সেই লিফলেটটির একটি ছবি তুলে রাখে ফোনে এবং তার একটি বন্ধু কে পাঠায় যে কী না আরবী জানতো। ফোন করে সে যা জানতে পারে সত্যিই বিস্ময়কর বা অবাক করে দেওয়া। কী এমন লেখা আছে তাতে?
বীরেনকেই দিল্লী, কাশ্মীর, মুম্বাইতে ঘুরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছেই বা কেনো? ব্লু ফ্লাওয়ারই বা কী? কাশ্মীর সমস্যা, পাকিস্তানের কাশ্মীর যোগ এবং স্লিপার সেলের সক্রিয়তা বার বার ঘুরে এসেছে এই উপন্যাসে। একটা সাধারণ ছেলের জীবনে এমন একটা দিন আসে সেদিন সত্যিই বুঝতে পারে না যে সে বেঁচে থাকবে তো? সমস্ত কিছুর উত্তর দেবে এই বইটি।
লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো দুর্দান্ত উপন্যাস উপহার দেওয়ার জন্য। কতো অজানা তথ্য জানলাম বইটা থেকে। খুব ইচ্ছে ছিলো এর পরের পর্ব দুই পড়ার কিন্তু আমার দিদি আমাকে পড়তে দিলো না। কিন্তু যেটুকু পড়েছি আমি বইটাকে ছাড়তে পাড়ি নি এতটাই টানটান লেখা। প্রকাশকের প্রতি আমার রইলো শ্রদ্ধা কারণ বইয়ের বাঁধন থেকে শুরু করে পেজ কোয়ালিটি খুবই ভালো এবং প্রচ্ছদটিও এতো সুন্দর তা তো বলার উপেক্ষায় রাখে না। তাই এখনও যারা পড়েননি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো পড়ে দেখুন এই বইটি যদি দেশকে এবং দেশের নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে থ্রিল লেখা কিছু পড়তে চান।ধন্যবাদ🙏🙏🙏
আপনি যদি যুক্তির মগজকে বাক্সবন্দী করে বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে এই বই আপনার জন্য। এই বই অন্যান্য গড়পড়তা বাংলা বইয়ের চেয়ে ভালো - এটাই যা সান্ত্বনা। বইয়ের বাজারে আরো একটি মধ্য-মেধার বই যোগ হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলার নেই।
অভীক দত্��� উনিভার্সে কোনও কিছুই যুক্তির ধার ধারে না।
ডিফেন্সের পরীক্ষা থেকে বাতিল ছেলেকে ইন্টেলিজেন্সে ভর্তি করে নেওয়া হয়। ছেলেটি যখন প্রশ্ন করে, "স্যার, আমার ট্রেনিং হবে না।" স্যার তখন গুরুগম্ভীর ভাবে বলেন, "আমাদের দেশ এখন ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে চলছে। তোমার কাজের মধ্যেই ট্রেনিং হবে।" মানে এই দাঁড়ায়, এদেশে যোগ্য ট্রেনিং পাওয়া লোকের খুবই অভাব। তাই যাকে তাকে ইন্টেলিজেন্সে নিয়ে নেওয়া হয়।
এই গল্পে, খোদ কলকাতার বুক থেকে মেয়েকে অপহরণ করে গাড়ি করে বর্ডার পার করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কী করে সম্ভব? সেটা বলা হয় না। ভাবখানা এমন যে, ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীরা ঘুষ খেয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়।
এক জঙ্গি জেলের ভেতর মোবাইল, বন্দুক জোগাড় করে বসে থাকে অন্যান্য কয়েদীদের সাথে। সে পালায় না। সে দিনের পর দিন অপেক্ষা করে কখন একজন অফিসার তার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসবে এবং সে তার মাথায় গুলি করে পালাবে। কেন?
অনেকদিন পর ভালো একটা পাল্প ফিকশন পড়লাম। লেখকের লেখনীর সাথে এখানেই আমার প্রথম পরিচয়, হতাশ হতে হয়নি। টানটান লেখা বেশ দ্রুতই পড়ে শেষ করলাম। গল্প নিয়ে বাংলাদেশের লোকজন রাগ করেছেন দেখলাম, কিন্তু গল্পে সব দেশ কেই ভালো মন্দ মিশিয়ে দেখানো হয়েছে। পাল্প ফিকশনকে তার মতোই থাকতে দেওয়া উচিৎ, বিভিন্ন স্পাই সংস্থার কাজ কোনও দেশের লোকজনই পুরোপুরি জানেনা। কিছু সময় আনন্দ পেতে বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আবার শুনলাম এর অডিও স্টোরি ও আসছে।
Shoutout to the Bengali writer Abhik Dutta. I'm not a spy thriller fan honestly but somehow I started to read this book and honestly I read this in one go and I couldn't stop myself to read another two parts of the book. After competed the Blue Flower series now I can tell you guys that I'm a fan of spy thriller.