ছোট্ট এক টেলারিঙের দোকানে বসে জামার বোতামঘর তৈরি করে মুসাফির। আর বিকেলের দিকে লেকে যায় মাঝে মাঝে। সেখানেই দুই ভাই সৌরসেন আর অঞ্জলকে দেখে। অঞ্জল বা জুলুর চোখ দিয়েই আমরা এই গল্পের একটা দিক দেখি। দেখি উনিশশো তিরাশি সালে সৌরর গল্প। তাকে নায়কের মতো দেখে সবাই। আবার অন্যদিকে আমরা দেখি আরেকটি মেয়ের গল্প। বেলা। বেলা পছন্দ করে জুলুকে। কিন্তু বলতে পারে না। পরের বাড়িতে আশ্রিতার জীবনের নানা কষ্ট নিয়েও জীবনে উঠে দাঁড়াতে চায় সে। আর এর মধ্যে এসে পড়ে শ্বেতলানা, বুচা, রামবচনদাদু, গুন্ডাদা, ওপা আর আলোজেঠুর মতো নানান চরিত্র! তারা জড়িয়ে যায় একে অপরের সঙ্গে। সৌর ভালবাসে একজনকে। আর সৌরকে চায় অন্য একজন! জুলুও জড়িয়ে পড়ে এর মধ্যে। তৈরি হয় জটিলতা। তারপর আসে তিরাশির ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই রাত! আর গল্প ঘুরে যায় সম্পূর্ণ অন্যদিকে! গল্পের দ্বিতীয় ভাগ আসে বর্তমান সময়ে আর সেখানে অবশেষে মীমাংসা হয় সব অন্যায়ের। এক কষ্টের অন্ধকার থেকে ভালবাসার আলোয় পৌঁছয় ‘বোতামঘর’। আর জানায় মানুষের প্রকৃত জীবন আসলে ভালবাসার বিভিন্ন মূহূর্তেরই সমষ্টি মাত্র।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
থোড়-বড়ি-খাড়া আর খাড়া-বড়ি-থোড়, একই লেখা পড়ে হয়ে গেছি বোর।
গল্প সেই একই। যারা পরিচিত, তাদের জন্য ছকটা হালকা করে দিয়ে দিচ্ছি। জুলু ওপাকে ভালোবাসে, আর জুলুকে বেলা। আবার বেলাকে বুচা। বেলার দিদিকে জুলুর দাদা, জুলুর দাদাকে ওপার দিদি। আর এই নিয়েই মারগঙ্গা ঝিলিক ঝিলিক।
এই সঙ্গে ফ্রি টাইম রেফারেন্সের জন্য তিরাশির বিশ্বকাপ জয়। কিন্তু সেই থ্রিল বা ম্যাজিকের বিন্দুমাত্র নেই উপন্যাসে। এই ছকে আমার ফেভরিট ক্যারেক্টার হওয়ার কথা ছিল বুচার, অতীতে যেমন হয়ে এসেছে আয়ান কিংবা জ্যাকসন। কিন্তু পাশা উল্টে আমার ভালো লেগেছে গুন্ডাদাকে। তার এরকম বেয়াক্কেলে পরিণতির জন্য সমবেদনা রইল।
মুসাফিরের মত চরিত্র তৈরীই হয় ভালোলাগার জন্য। তাকে ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে ডায়োরামার উল্লেখও। এই বিষয়টি নতুন জানলাম।
কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেও যায় । '৮৩ সালে বেলা ১৬। তার মায়ের ছেলেবেলা ধরলাম ষাটের দশকের শুরু। সেই সময় পাগলি বলছে, "...হেভি সেক্স দেবো।..."!!! '৮৩ সালে এক দাদা ৱ্যান্ডম পাড়ার ছেলেকে জানাচ্ছে যে, বোনের ব্যাগে পিলস্ পাওয়া গেছে। ইয়ার্কি নাকি? ইরোটিক সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য কুছ ভি! এককালে রঙ্গনাকে চরম অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছিল। এদের তুলনায় তো তাকে প্লটের মূল চালিকাশক্তি বলা যায়।
And সৌর! I feel pity for you. প্রথম পরিচ্ছেদে তোকেই হিরো ভেবেছিলাম। তারপর একি! এই ভালো রেজাল্ট, তো ওই ভুল সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে বিয়ে, ওর সঙ্গে চুমু, তার সঙ্গে শোয়া - তার উপর আবার "...ধলেশ্বরী বহতা নেই..." - এর চেয়েও ক্রিঞ্জ কিছু ডায়েরির অংশ। তোর থেকে তো বাপ্ জিওটিতে মার্শেলার ডর্নিশ বয়ফ্রেন্ডটিরও ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ভালো ছিল। আর এককালে তিথি বা রাইকে ভালোবাসতে বাধ্য করা লেখক এরকম মরাল-মেসো হয়ে যান কি করে - সেটাও ভাবনার বিষয়।
তবে ওই... একটি অংশ পড়ে আমার এক বন্ধু জানালো, "এটা তো আমি দু'বছর আগেই তোর মুখে শুনে নিয়েছি। একদম সিমিলার ডেসক্রিপশন।" তখন ভাবি, এই জন্যই এখনো লোকে তাঁর লেখা পড়ে। তবে সেই ম্যাজিক ফুরোচ্ছে। ABP হাউসের কাছে আবেদন, ওঁকে চাপ প্রতিবছর দশটা লেখা আদায় করা বন্ধ করুন। ভালো লেবুও বেশি কচলালে তেতো হয়ে যায়। আর সবুজ রং দিলেই সেটা গন্ধরাজ হয়ে যায় না।
Golper prekhapot anobodyo, julu, bela, souro, eder prottek er character darun bhabe futie tulechen lekhok, kintu golper ses ta jano mriyoman, jara eto annyay korlo, tara ki sotti upojukto sasti pelo?- proshno ta roei gelo!!!
গল্পের শুরু ১৯৭৭ সাল থেকে মুসাফিরের বোতামঘর সেলাই দিয়ে তারপর আসে ১৯৮৩ সালের বর্ণনায়। বাচ্চা বাচ্চা কয়েকটা ছেলে-মেয়ে যারা স্কুলে পড়ে, উচ্চমাধ্যমিক দেবে, জুলু, বেলা, বুচা, ওপা এদের নিয়েই কাহিনী এগিয়েছে। মূল চরিত্রে আছে জুলু, বেলা, বুচা, জুলুর দাদা সৌর, আলোজেঠু ও আরও কয়েকজন। জুলুর কাছে তার দাদা সৌর ব্যাটম্যান, আর সে দাদার রবিন। ছোটবেলাতেই সে মুসাফিরের কাছে প্রমিস করেছিল তার ব্যাটম্যানকে কেউ কিছু করলে রবিন বদলা নেবে। আস্তে আস্তে বড় হওয়ার সাথে সাথে গল্পের রূপ বদলায়। বদলায় সম্পর্কের ইকুয়েশন। জুলুর ভালো লাগে ওপাকে, এদিকে আবার বেলার ভালো লাগে জুলুকে, বুচার আবার ভালো লাগে বেলাকে... এখানেই শেষ নয়। সৌরর পছন্দ লুনাদিদি মানে শ্বেতলানাকে, ওপার পছন্দ সৌরকে। আবার মিঠুদিরও পছন্দ সৌরকে। এসবের সাথে সাথেই এগোচ্ছে ৮৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের কাহিনী।
নিজস্ব মতামত: এই লেখকের লেখা যাঁরা পড়েছেন তাঁরা জানেন এনার লেখায় একটা ম্যাজিক আছে যেটা প্রতি গল্প উনি ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলেন। এই গল্পেও আছে। তবে আমার এই গল্প কিছু কিছু জায়গা, কিছু কথা গল্পের সময়কাল অনুযায়ী সঠিক লাগেনি। যেখানে সৌরর চরিত্র দেখানো হয়েছে সর্বগুণে ভরা সেখানে আবার সৌরই আজ মিঠুদির সাথে বিয়ে ঠিক হলো তো ওদিকে মিঠুদির বোনের সাথে শুয়ে পরলো, আবার শ্বেতলানাকে ভালোবেসে ফেললো... এ আবার কেমন চরিত্রের ছেলে?? এরকমই আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো ওই সময়কালের সাথে ঠিক যায় না। তবুও যেহেতু লেখকের বড় ভক্ত তাই পড়েছি, এবং ওনার বাকি বইগুলোও নিশ্চয়ই একে একে পড়বো। বাকি যাঁরা এই বইটি পড়েছেন নিচে কমেন্টবক্সে অবশ্যই জানাবেন আপনার কেমন লেগেছে। এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত তাই দয়া করে কেউ কিছু মনে করবেন না। বইয়ের কয়েকটা জায়গা খুব ভালো লেখা, তার মধ্যে আমার একটি পছন্দের অংশ নিচে তুলে ধরলাম, "হ্যাঁ ঠিক। এটাই স্বাভাবিক। কেউ যখন চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে যায়, তার জন্য কি চোখে একটুও জল আসবে না? আমরা জানি জীবনে বিচ্ছেদটাই একমাত্র সত্য। তাও, সত্য হলেই কি তাকে নিষ্পৃহভাবে মেনে নিতে হবে? আমরা যে ছেড়ে যাওয়া মানুষটিকে ভালবাসতাম। তার চলে যাওয়ার পরে আমাদের জীবনের একটা অংশ যে ফাঁকা হয়ে গেল, সেটা কি জানাবো না? জানাবো তো। এই চোখের জলে, শব্দহীনভাবে সেটাই তো জানালাম।"
🍂📖উপন্যাসের নাম - বোতামঘর📖🍂 ✍️লেখক - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী 📚প্রকাশিত - আনন্দবাজার পত্রিকা ১৪২৯
🍁🍂উপন্যাসের শুরু তেই মুসাফির এর সাথে পরিচয় হয়, তার এই তিরিশ বছরের জীবনে বাবা ছাড়া আর কেউ নেই । মুসাফির এর বাবাই মূলত কাটিং আর সেলাই করে , আর মুসাফিরের কাজ হল বোতামঘর তৈরি করা ! “ মানুষে মানুষে সম্পর্কের মতো ব্যাপার হল , বোতাম আর তার বোতামঘরের সম্পর্ক । ছোট - বড় হয়েছে কী , মিলই হবে না ! ” উপন্যাস এর নায়ক জুলু, নায়িকা বেলা। সময়টা ১৯৮৩ সাল ,জুলু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে , জুলু ভালোবাসে ওপা কে ওপা জুলুকে এড়িয়ে চলে । জুলুর দাদা সৌর ফার্স্ট বয় , জুলু হঠাৎ এমন কি দেখতে পায় যার জন্য জীবনটাই সম্পূর্ণ বদলে যায় ? এর পর ও কি জুলুর সাথে সৌর সম্পর্ক ঠিক থাকবে? আর অন্য দিকে এই উপন্যাসে আছে বেলা, সে ভালোবাসে জুলুকে । বেলা একদম পছন্দ করে না বাড়ির আলোজেঠুকে। আবার কিছু বলতেও পারে না। কিন্তু কেন ? তার একমাত্র শখ ‘ডায়োরামা’ বানানো। তবে এই উপন্যাস কি লাভ স্টোরি বলা চলে? না সেটা বলা চলে না। উপন্যাস এ দেখা যায় ভালোবাসার সম্পর্ক যেমন রয়েছে অন্যদিকে রাগ, হিংসা, প্রতিহিংসা উপন্যাসে উঠে এসেছে! তবে এই উপন্যাস এ দুটি সময় তুলে ধরা হয়েছে একটা ১৯৮৩ সাল আর একটা ২০২২ ! আবারও নতুন করে কিছু ভালো লাগা থেকে গেল এই উপন্যাস এ ! বড় তারাতারি ফুড়িয়ে গেল !🍂🍁
🍂কে কাকে কতটুকু ভালোবাসে তার ওপর সম্পর্ক নির্ধারিত হয় না । সম্পর্ক নির্ধারিত হয় কে কাকে কতটুকু শ্রদ্ধা করে তার ওপর । ভালোবাসাহীন শ্রদ্ধার সম্পর্কও টিকে যেতে পারে । কিন্তু শ্রদ্ধাহীন ভালোবাসার সম্পর্ক কখনো টেকে না !🍂
বই- বোতাম ঘর লেখক - স্মরণঞ্জিৎ চক্রবর্তী রেটিং -⭐⭐⭐⭐⭐/৫
"মানুষে মানুষে সম্পর্কের মতো ব্যাপার হল, বোতাম আর তার বোতামঘরের সম্পর্ক। ছোট-বড় হয়েছে কী, মিলই হবে না!" আমরা একে অপরকে সবসময় স্বার্থ নিয়ে ভালোবাসি তাইনা ? আমাদের ভালোবাসা গুলো কেমন অদ্ভুত ভাবে রং পাল্টে ফেলে , স্বার্থে ঘা লাগলেই। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনে মৃত্যুর মতোই আর ও একটি সত্য আছে , যাকে বলে স্বার্থ । কিন্তু কাউকে স্বার্থ ছাড়া ভালোবাসা টা কেমন ? মন কে প্রশ্ন করলে উত্তর আসে জানিনা । প্রেম , বিচ্ছেদ, প্রতারণা , বিশ্বাস- অবিশ্বাসের ছোট ছোট রাংতায় মোড়ানো এক গল্প যা সরাসরি উঠে আসে মানুষের জীবন থেকে । প্রত্যেক টা চরিত্র কে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি । বেলা পাগলী কে ভালোবেসেছি খুব , হেরে যাওয়া সহজ , কিন্তু নিজেকে হারতে না দেওয়ার লড়াই যে একবার শুরু করে সে একদিন ঠিক জিতে চাই , শিখিয়েছে বেলা পাগলী। জুলু র প্রতি মায়া হয়েছে খুব । ছোট্ট একটা মন , কি ভীষণ রকম যন্ত্রনা একা একাই মেখে নিয়েছে গায়ে , সে জিজ্ঞেস করেছে , "যাকে তুমি সবচেয়ে ভালোবাস, তার প্রতি যখন ঘৃণা আসে সেটাও কি সবচেয়ে বেশি হয়েই আসে?"
প্রতিটা চরিত্র নিজের নিজের মতন করে মন কেড়ে নিয়েছে । স্মরণঞ্জিৎ চক্রবর্তী লেখা পড়তে ভালোলাগলে এইটা অবশ্যই পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো।
বোতামঘর এর গল্পের ভূমিকা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে, মুসাফির বাবার সাথে টেলারিং এর দোকানে বসে বোতামঘর সেলাই করে, আর থাকে ওর সাথে জুলু ও সৌর দুই ভাই , জুলু হলো ওর দাদার রবিন, ব্যাটম্যান (সৌর) এর রবিন । জুলু বলে ওর দাদাকে কেউ কিছু বললে সে তাঁকে মেরে শেষ করে দেবে । এই বলে সে “প্রমিস" লিখে আসে লেক এর এক বেঞ্চ এ ।
তারপর গল্প হটাৎ চলে যায় ৬ বছর পর ১৯৮৩ তে, হ্যাঁ বিশ্বকাপের বছরে। জুলু, বেলা, সৌর, বুচা , ওপা একগোছা কচি ছেলেমেয়ে দের নিয়ে গল্প এগোয় । মূলত জুলু আর বেলার চোখ দিয়েই এই গল্প পড়ে পাঠক রা । এরা ছাড়াও আছে আলো জেঠু, গুন্ডাদা, শ্বেতলানা, মিঠুদি,মনোহরদা ইত্যাদি । আস্তে আস্তে সবার জীবন চলতে থাকে কিন্তু যে যাকে ভালোবাসে, সেই ভালোবাসা আবার অন্য কাউকে চায়, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেন জামার বোতাম গুলো ঠিক ঠাক ঘরে বসছে না । এদের জীবনের সাথে চলতে থাকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, আসে ফাইনাল এর দিন, কি ঘটে সেই দিনে ? ভারত তো জিতে যায় কিন্তু এদের জীবনে কি ঘটে ?
এরপর গল্প চলে আসে ৩৯ বছর পর ২০২২ এ । তখনকার কচিকাঁচার দল আজ প্রৌঢ় । মুসাফির দা এখনো জামার বোতামঘর বানিয়ে যায় । আগে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গল্পেনতুন মোড় আসে। কিন্তু অতীতের ঘটে যাওয়া কিছু অন্যায় কি সত্যি বিচার পায়? আমার তো মনে হয় - “justice delayed is justice denied” . সেই অপূর্ণতাই থেকে যায় গল্পের এক কোণে।
ব্যক্তিগত অভিমত 🔸জুলু আর বুচার বন্ধুত্ব ছিল অসাধারণ, ওদের সম্পর্ক টা দারুণ লেগেছে । 🔸সৌর এর চরিত্র টা দারুণ ভাবে শুরু হয়েও শেষে আর ভালো লাগে না । 🔸বেলার চরিত্রগঠন ছিল অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ও বাস্তবসম্মত। 🔸ভালো লেগেছে ডায়োরামা এর উল্লেখ, একটা নতুন জিনিস শিখলাম । 🔸তবে কিছু সময়কালীন ভুলচুক আছে যেমন ১৯৮৩ সালে পিলস্-এর উল্লেখ একটু বেমানান লেগেছে।
বোতামঘর মনে করিয়ে দেয়— সময় বদলায়, মানুষ বদলায়, বোতাম গুলো ঠিক ঠাক খোপে না বসলেও, অনুভূতির বোতামগুলো কখনও ছিঁড়ে পড়ে না।