পারিবারিক ভাঙ্গন, মা-বাবার মাঝে দ্বন্দ্ব, বিচ্ছেদ যে কোনো সন্তানের সুস্থ মানসিক বিকাশের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শ্রাবণও তেমন, বাবা মায়ের বিচ্ছেদ তাকে একঝাঁক একাকীত্ব, অস্তিত্বহীনতা এবং হতাশার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। তার অন্ধকার জীবনে হঠাৎ এক টুকরো আলো হয়ে আসে নীলা, অল্প অল্প করে জমতে থাকে তাদের ভালবাসা এবং ঘর বাঁধার স্বপ্ন। সে নীলাই যখন নিভু নিভু করে ডুবে যেতে চায় ঠিক তখনই শ্রাবণ ফিরে যায় তার পুরনো একাকীত্বে। অবহেলা নামক ফিনিক্স পাখি তাকে করে তোলে ভয়ানক, প্রচণ্ড ভয়ানক। br রোমান্টিক থ্রিলার সুইসাইড নোট শ্রাবণ এবং চারদেয়ালের মাঝে আটকে থাকা অসহায় এক মায়ের গল্প। সুইসাইড নোট ঝুমুর নামক এক প্রাণবন্ত কিশোরীর গল্প। সুইসাইড নোট আমি এবং আমাদের গল্প।
এই বইটা নিয়ে অনেকের অনেক বানরপনা দেখেছি। সেই বানরপনা দেখেই বইটা কিনেছিলাম। কিন্তু ফলাফল শূন্য। একটা বই কতটুকু অন্তঃসারশূন্য হতে পারে, এই বই না পড়লে বুঝতে পারতাম না। সম্পূর্ণ বই পড়ার পর আমি আবার ‘লেখকের কথা’ পড়েছি। লেখক মহাশয় বলেছেন, এটা একটা রোমান্টিক থ্রিলার এবং এই রোমান্টিক থ্রিলার সাজিয়ে-গুছিয়ে মলাটবদ্ধ করতে সময় লেগেছে টানা দুইবছর! দুইবছর শ্রম দিয়ে যদি এমন বস্তু তৈরি হয়, তাহলে লেখক হওয়ার স্বার্থকতা আসলে কোথায়!? বইয়ের বর্ণনা শৈলী আমার কাছে এতটা নিম্নমানের মনে হয়েছে যে, মনে হয়, গ্রামের শীতকালীন মেলায় ক্যালেন্ডারওয়ালাদের কাছে যে ‘এমডিঃ মুরাদ, এমডিঃ অমুক, এমডিঃ তমুকের নামে ছাপা হাবিজাবি কিছু বই থাকে–সেগুলো তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো। . মূল গল্প দু'জন ছেলে-মেয়ের প্রেমকে ঘিরে এগিয়েছে। এমন লুতুপুতু প্রেমের নজির আপনি কোত্থাও পাবেন না। মেয়ে, ছেলের মা-বাপ নিয়ে গালাগালি করে আবার কিছুক্ষণ পরপর ছেলের বুকে এসে মুখ লুকায়! ছেলের বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়। এজন্যে চাপা কষ্টের মধ্যে সে আলাদাভাবে দিনযাপন করে। এজন্যে বাপ-মা তুলে গালাগাল দেয়া প্রেমিকাই তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন! তাই তাকে ছাড়তে পারে না! একপর্যায়ে এই লুতুপুতু জুটির বিয়ে হয়। কিন্তু পূর্বের অবহেলার প্রতিক্রিয়ায় বউরে এড়িয়ে চলে। বউয়ের মধ্যে যেহেতু আগে থেকেই উচাটন ভাব ছিলো সেজন্যে সেরকম এক সূত্র ধরে বউয়ের সাথে যুক্ত থাকা এক লোককে মেরে ফেলে এবং নিজেও মরে যায়। শেষে অবশ্য ঘোড়ার ডিমের একটা থ্রিল দিয়ে এটাকে রোমান্টিক থ্রিলার নাম দেয়া হয়েছে। যেহেতু নায়ক মরার আগে নিজের ডাইরিতে সবিস্তর কাহিনি লিখে যায়, তাই সম্ভবত বইয়ের নাম ‘সুইসাইড নোট’ রাখা হয়েছে। বইটার নাম ‘সুইসাইড নোট’ না হয়ে ‘ধইঞ্চা নোট’ হলে যথার্থ হতো বলে মনে হয়।
°•সবাই বলে আমি নাকি সব বইয়ের খারাপ রিভিউ দেই,আদম ধর্মের রিভিউ এতো বেশি মানুষ পছন্দ করেছিল এর পর থেকেই সবার এই ধারণা। আমার পড়ে সবসময় যেটা মনে হয় ঐটাই বলি কোনো ইডিট ছাড়া। এই বইটা শেষ করে এখনও ভাবছি এই বই এতো বেশি হাইপড হলো কিভাবে। আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে নি।খুবই বেসিক লুতুপুতু মার্কা প্রেম কাহিনী,খুবই। যাদের কাছে নিব্বি মার্কা প্রেম কাহিনী পড়তে ভালো লাগে তারা বইটা পড়ে দেখতে পারেন।আমার কাছে কখনোই এমন ধরনের বই,মুভি,সিরিজ ভালো লাগে না। তবে বইটার কিছু কিছু লাইন অনেক সুন্দর ছিল বি.দ্র. লেখকের নাম দেওয়া নিয়ে কি সমস্যা বুঝলাম না।কিছু কিছু জায়গায় উনি চরিত্রকে কিভাবেই যেনো সম্মোধন করেছে যা খুবই বিরক্তিকর ছিল।যেমন: পরনারী, পরনারীর স্বামী
কি খেয়ে এই অখাদ্য বইটা বেস্টসেলার হলো আমি বুঝতে পারতেছি না। লেখককের স্টোরিটেলিং কিভাবে লিখতে হয়, এটা আগে ভালো করে জানা দরকার। কি লিখেছে, কেন লিখেছে সে লেখকই জানে। যত ভালোই গল্প হোক না কেন, লেখার ধরণী যদি সুন্দর না হয় তাহলে পড়তে ইচ্ছা করে না। লেখকের আরো অনেক বেশি বই পড়তে হবে আর সাহিত্য চর্চা করতে হবে।
আর আর বইটার মূল থিম হলো, A sigma male with mummy and daddy issues. Who takes pride in tormenting his wife just because he has trust issues. And ends up becoming full psycho. Basically the Joe guy from "You".
ভাইরে ভাই এমন ফালতু গল্প আগে পড়িনি। আমার চরম শত্রুকে ও এই বই কোনদিন পড়তে বলব না।
Honestly this book deserves minus infinite stars. Why the hell this book even exist!!??
প্রথমতই ভাগ্য ভাল যে দুটো বই একসাথে না নিয়ে একটাই নিয়েছি পড়ার জন্য।কিন্তু ফ্রেন্ড কে ও এই বইটা উপহার দিয়েছি। তার ভাষ্য মতে সে অল্প পড়ে রেখে দিসে।কারণ লাইনগুলি শেষ হয়নি টাইপ,পড়ে শান্তি পায় নি।
আমি পুরোপুরি ভাবে হতাশ শুধু শেষে শ্রাবণ চরিত্রের জন্য খারাপ লেগেছিল!লাইনে আমি,সে, এগুলি বর্জন করলে ভাল হয়।সুন্দর করে বাক্য গঠন করতে পারতেন আর বাচ্চাদের মতো প্রতি লাইন ধরে ধরে এক্সপ্লেইন করার কিছু ছিলনা।এক কথায় সহজ জায়গাতেও প্যাচানো হয়েছে।আর এটা কোনো স্টোরি?? আসলে মানুষ যে নতুন কিছু লেখকদের জাজ করে সেটা এমনি এমনিতেই না।
যাই হোক এটাকে আমি শিক্ষা হিসেবে নিয়ে এ রাইটারের আর কোনো বই না কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম আর যারা ভুলভাল ইনফো ও হুদা হাইপ তুলে এদের থেকে বিরত থাকতে হবে তাও বুঝলাম।টাকা টাই ওয়েস্ট
একদিনের আত্মহত্যা মহাপাপ বলে, আমরা অনেকেই তা ধীরে ধীরে করি।
বইটাতে একটা ছেলে(নায়ক) ভার্সিটিতে পড়ে। তো তার ডিপার্টমেন্ট এর একটা মেয়েকে(নীলা) দেখে তার পছন্দ হয়ে যায়। এর আগে আরো কাহিনী আছে নায়ক এর মা বাবার মাঝে ঝগড়া। তারপর তার বাবা তার মাকে ডিভোর্স দিয়ে আরেকটা মহিলাকে বিবাহ করে। এর জন্য নায়ক অনেক একাকীত্বে ভোগে। তারপর তার একাকিত্ব ভাঙতে আসে নীলা। তারপর একটা টিপিক্যাল ঝগড়া , একবার বিচ্ছেদ আবার একসাথে হওয়া ইত্যাদি কাহিনী।
বইটাতে প্রতিশোধ টা অনেক ভালো ভাবে ফুটে উঠেছে।যারা পড়বেন তারা বুঝবেন।
একসময় ফেসবুকে বইটি নিয়ে প্রচুর হাইপ তৈরি হয়েছিল। শতশত পজিটিভ রিভিউয়ে আমার টাইমলাইন যেন ভেসে যাচ্ছিল। কিছুদিনের মধ্যেই দেখলাম, বইটি ‘বেস্টসেলার’ তকমাও পেয়ে গেছে। তাই কৌতূহলবশত কিনে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
কিন্তু পড়া শেষ করে বেশ হতাশ হতে হলো। ভাবছিলাম, এত পজিটিভ রিভিউ সম্ভব হলো কীভাবে? পরে বুঝলাম, হয়তো বইটি টিনেজার পাঠকদের কাছে ভালো লেগেছে। তবে যাদের উপন্যাস পড়ার অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও বিস্তৃত, তাদের কাছে এই বইটি ভালো লাগার সম্ভাবনা নেই। গল্পের শুরু কিংবা সমাপ্তি—কোনোটাই তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এটা ঠিক, বইটিতে কিছু সুন্দর সুন্দর লাইন ছিল যেগুলো ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশন হিসেবে মানিয়ে যাবে, কিন্তু সেই জন্যই একে উপন্যাস বলা যায় না। একে উপন্যাস বলা মানে উপন্যাসের প্রতি চরম অবমাননা।
এবং হ্যাঁ,ফেসবুকের রিভিউ দেখে কেনা এটাই আমার প্রথম ও শেষ বই। ফেসবুক রিভিউ দেখে আর বই কিনবো না বাপু!
ভাগ্যিস শেষ হলো! এরকম একটা টর্চার আসলেই আর সহ্য হচ্ছিলো না। বই পড়া শুরু করার পেছনে আমার মেইন উদ্দেশ্য ছিলো ধৈর্য্য বাড়ানো। এটা যখন শেষ করতে পেরেছি, মনে হয় ধৈর্য্য কিছুটা হলেও এসেছে আমার মধ্যে।
এই বইয়ের রিভিউ লিখার ভাষা আসলে আমার মধ্যে নাই।না,ভুল বললাম। ঝকমকে কভার আর নজরকাড়া নাম দিয়ে দিলেই কি তাকে বই বলা যায়? আমার তো তা মনে হয়না। "সুইসাইড নোট" পড়তে গিয়ে আমার যা মনে হলো, এইটা কোনো ক্লাস ৭/৮ এর ছেলে ফেসবুক পেজে একটা গল্প লিখেছে। যার ইম্ম্যাচিউরিটি পুরো লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে। যাক,এরকম বই না পড়লে ভালো বইয়ের কদর বোঝা যায় না। এর বেশি আর কি বলবো!
গল্পটি যেহেতু রোমান্টিক থ্রিলার তবে আমি বইয়ে তেমন বিশেষ থ্রিল খুজে পায়নি, গল্প বেশ ভালো হলেও লেখার মান আরেকটু ভালো হতে পারতো খুব সাধারণ মানের মনে হয়েছে। সংক্ষেপে গল্পটি :
পারিবারিক টানাপোড়েন, মা-বাবার দাম্পত্য কলহ আর বিচ্ছেদ একজন শিশুর মানসিক বিকাশের পথে সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি। শ্রাবণও ঠিক এমন এক জটিল বাস্তবতার ভেতর বড় হতে থাকে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর তার জীবন জুড়ে নামে নিঃসঙ্গতা, অস্তিত্বের প্রশ্ন আর এক ধরনের অব্যক্ত বিষণ্ণতা।
এই নিরানন্দ সময়েই শ্রাবণের জীবনে এসে পড়ে নীলা একটা নরম আলো, যেটা ধীরে ধীরে তার হৃদয়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দেয়। জন্ম নেয় ভালোবাসা, শুরু হয় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা। কিন্তু সময় বড়ই নিষ্ঠুর। সেই নীলাই একসময় হারিয়ে যেতে চায় অন্ধকারে, নিঃশব্দে। আর তখনই আবার শ্রাবণ ডুবে যায় তার চিরচেনা শূন্যতায়।
এইবার সে ফিরে আসে ভিন্ন এক রূপে একটানা অবহেলার আগুনে পুড়ে গিয়ে, যেন এক ভয়ংকর অবিশ্বাসে গড়া নতুন শ্রাবণ। তার ভেতর জন্ম নেয় এক ভয়ঙ্কর রূপান্তর যেখানে অনুভূতির চেয়ে তীব্র হয় তার নিঃসঙ্গতার প্রতিশোধ।
গল্পে কিছু শিক্ষনিয় বিষয় আছে যেমন : নিজের দুর্বলতা যতই কাছের মানুষ হোক না কেন, কারো সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো সুযোগ পেলে সেই দুর্বলতাই একদিন কষ্টের কারণ হয়। ভালোবাসায় অতিরিক্ত অধিকার সম্পর্ককে বোঝা বানিয়ে তোলে, আর তৃতীয় কোনো ব্যক্তি সহজেই সেই সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। অতিরিক্ত সন্দেহ ধীরে ধীরে সম্পর্ক নয়, মানুষকেই একা করে ফেলে।
সবশেষে, রাগের মাথায় নেওয়া কোনো সিদ্ধান্তই সঠিক হয় না বরং সেটাই ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় ভুলে পরিণত হয়।
ভালোলাগার একটি লাইন : একদিনের আত্মহত্যা মহাপাপ বলে, আমরা অনেকেই তা ধীরে ধীরে করি।
- Free Review - Muhammad Abir Hossain - Finished reading on (05-06-2025)
এ বইটা মূলত অনেক রিভিউ দেখে খুব সম্ভবত ২ বছর আগে কেনা হয়েছিলো যা আমার পড়া পুরো জীবনে সবচেয়ে জঘন্যতম বই ছিলো। প্রকাশক কে পাইলে হয়তো টাকা ফেরত চেয়ে বসতাম বই ফিরিয়ে দিয়ে। লেখকের সবার আগে শ খানেক বই পড়ে লিখা উচিত ছিলো। কারণ উনার ভাষা,বাক্য নির্মান,প্লট খুবই দুর্বল। আর এত্ত প্লট হোল কিভাবে একটা গল্পে থাকে আমি জানিনা। তবে পুরা দমে হতাশ বইটা পড়ে। নিব্বি নিব্বাদের কাহিনী তে ভরপুর একটা গল্প যার কোনো আগা নাই,মাথাও নাই। একটা ঘটনা কে দুইবার দুই পয়েন্ট অভ ভিউ দিয়ে লিখে বইয়ের পৃষ্টা বাড়ানোর মানে হয় না। আমার খুব ইচ্ছা ছিলো যে এই বইটা ভাল্লাগলে বাকি বইগুলিও নিবো কিন্তু উনার বই হয়তো আমি আর কোনোদিন ও ফ্রি তে হলেও নিবোনা।
বইবাজারের মতো একটা প্রকাশনী থেকে এতো বাজে একটা বই আশা করিনি। প্রুফ রিডিং বা সম্পাদনা হয়েছিলো কিনা সন্দেহ। তবে প্রচ্ছদ টা ভালো হয়েছে। জানিনা কারা এতো পজিটিভ রিভিউ দিয়েছে যদিও এটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার তবে এদের কারণেই আমাদের মতো পাঠকরা খায় ধরা। সাহিত্যের মান সম্পর্কে যারা উঁচু ধারণা রাখে তারা আর যাই হোক এই বই পড়বেনা।
লেখক কে বলবো ভাই আপনি আগে পড়েন,তারপর লিখেন।মানুষের জ্ঞান অর্জনের কোনো শেষ নাই। আপনার জন্য শুভকামনা
কোনো শব্দ নেই আসলে আমার কিছু বলার।এমন গল্প আমি আগে পড়িনি।না আগা আছে না লেজ।কী হলো কেনো হলো কীভাবে হলো বা হলোই কেনো জানি না।খুব বেশি হতাশ হলাম।কেমন জানি আজব একটা কাহিনি।শ্রাবণকে কোনদিক থেকে আমার একজন ভার্সিটি পড়া ছেলে মনে হয়নি।না শ্রাবণ না নীলা কারো কথা ব্যবহার যোক্তিক ছিলো না।প্রেমের কাহিনী ও বলা যাবে না এটিকে।সাসপেন্স ও বলা যাবে না।শ্রাবণ এর বাবা তার মায়ের সাথে খারাপ কিন্ত��� মানুষ হিসেবে ভালো এই জিনিসটির কোনো লজিক আমি খুজে পেলাম না। কথা যদি বলি গল্পের এন্ডিং নিয়ে মোটেও ভালো ছিলো না।না শুরু ঠিক ছিলো না শেষ।যা মন চায় তা লেখা হয়েছে।গল্পের শুরুর সাথে কোনো কানেকশন নেই।কোনো কারণ ছাড়া একই কথা ১০ বার ১০ ভাবে বলা হয়েছে।১৭৫ পৃষ্ঠার বই পড়তে এতো সময় লাগবে ভবিনি কখনো।খুব চেষ্টা করলাম বোঝার তাও কোনো কিছুরই হদিশ করতে পারলাম না।
নিজের জীবনের সাথে মিলে যায় অনেক কিছুই। এই বইয়ে কাব্যিক কিছু খুজে পাবেন না। পাওয়া উচিতও না। এটা হেরে যাওয়া এক মানুষের সাদামাটা গল্প। গল্পটাকে উপস্থাপন করা হয়েছে আরো বেশি সাদামাটা ভাবে।উত্তেজনাপূর্ণ সময়ের বর্ণনা লেখক ১-২ লাইনে সেরে ফেলেছেন। একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বেশ কয়েকবার, যা বিরক্তিকর। তবে শুধু একটা মানুষের কষ্টের ধরণ, অভিমান আর তার পরিণতি যদি দেখতে চান বা নিজেকে কোনো পরাজিত মানুষের ভূমিকায় রেখে কোনো বই পড়তে চান তাহলে বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
খুব সাধারণ ছন্দের ও গল্পের লেখা বইটি। ইউনিভার্সিটি লাইফের ভালোলাগা-প্রেম-অবিশ্বাস-বিয়ে-প্রতিশোধ!! তবে আকৃষ্ট করবার মতো বেশ কিছু বাস্তবিক বাক্য তুলে ধরা হয়েছে।
বইটির প্রচ্ছদ খুব সুন্দর। আমার কাছে এইটুকুই সুন্দর লেগেছে। আফসোস এই বইটি পরে লেখকের অন্যসব বই পড়বার আগ্রহ হারিয়েছি।
This entire review has been hidden because of spoilers.
যাদের বিষণ্ণতায় ঘেরা বই পড়তে ভালো লাগে তাদের জন্য উৎকৃষ্ট। যদিও গল্পের কিছু লেখা অতিরিক্ত বলে মনে হয়েছে। তবে শেষটা আমার কাছে অনেক চমৎকার মনে হয়েছে।
আসলে ছোট ছোট অনেক অংশ পড়া হয়েছিল। তাই এটা করার আগ্রহ। এখানে তেমন কোন গল্প উঠে আসে নি। তবে শেষের কাহিনীটা অন্যরকম ছিল। শেষের দিকে এসে একটু গল্পের মাঝে বইটা প্রবেশ করেছে বলে মনে হয়েছে।