What do you think?
Rate this book


176 pages, Hardcover
First published May 1, 1986
একটি পাখি
সারা সকাল উড়ে বেরিয়েছে
কাড়াকাড়ি, মারামারি, চুরি, ছিনতাই
ছোটোখাটো লুঠতরাজ সেরে, দ্যাখো
নির্জন দুপুরে ছাতিমডালে ঠোঁট ঘষছে,
আপন মনে গুমরোচ্ছে অনুশোচনায়।
আর ছাতিম গাছ
তার সহজ বাহু তুলে, দুলে দুলে, দ্যাখো
ফিশফিশ করে বলছে
ক্ষমা, ক্ষমা। ক্ষমা।
তোমার প্রপিতামহ, শাকাহারী, জাদুঘরে আমি তার কংকাল দেখেছি,
তিনঘর জোড়া এক সরীসৃপ।
বহুকাল অবলুপ্ত। দলত্যাগী তুমি
ছোট হতে-হতে টিকে গেলে। ধূর্ত
তুমি, গৃহস্থ বাড়িতে ঢুকে আত্মরক্ষা করো, যেন কিছুই ঘটেনি। ...
যে মুহূর্তে পরিত্যক্ত দেহ থেকে, তুমি আবর্জনা—
কেন লিপ্ত হতে আসো, কেবল উত্যক্ত করতে আসো?
স্বনির্ভর হতে হবে। ওপরে আকাশ
স্নিগ্ধ প্লাইকাঠে মোড়া, অন্নময়
আবদ্ধ জীবন নিচে, মাঝখানে
কাকধর্মে নিয়তই সংগ্রাম রয়েছে।
ধুৎ! এই সূর্যোদয়!
এর জন্যে এতো কষ্ট এতো হুটোপাটি
ছেঁদো প্লাস্টিকের বলের মতো ঠান্ডা বিবর্ণ একটা জিনিশ
ময়লা মেঘের স্তূপ থেকে কষ্টেসৃষ্টে উঠে এলো...
আমারও গোপন কথা কিছু ছিল, তুমি জেনে যাও।
দেখা হলে যে-কথা লজ্জায়
বলিনি, চিঠিতে লিখতে পারিনি যে-কথা
আমাকে দেখেই তুমি বুঝে নাও।
ভালোবাসা, একদিন তোমাকেও আবার দ্বারস্থ হতে হবে
আমি ঘর অন্ধকার করে বসে আছি।
এবার এসো না যেন ভিক্ষুকের মতো, তুমি রাজার দুলাল
করাঘাত কোরো বন্ধ দরজায়— একবার দুবার তিনবার।
আমি সাড়া দেবো না প্রথমে হয়তো, হয়তো অভিমান
কণ্ঠরোধ করে থাকবে, দেহমন উচাটন, তুমি
জানো না বন্ধুরা ফেলে পালিয়েছে। আমি
সঙ্গহীন লোকেদের ভিড়ে
বসে আছি, ভাবছি—