হারানো শুশুক পোষা দুটো শুশুক হারিয়ে ভীষণ মনোকষ্টে আছেন অয়ন-জিমির প্রিয় শিক্ষিকা মিসেস কারস্টেন। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারল না ওরা, নেমে পড়ল শুশুক উদ্ধার অভিযানে। কিন্তু তলে তলে যে এত কাণ্ড, কে জানত! হারানো দুই শুশুক ওদেরকে টেনে নিয়ে গেল আমেরিকার সমুদ্রসীমার বাইরে, যেখানে অপেক্ষা করছে একটা বিদেশি জাহাজ, আর তাতে ক্রুর ছদ্মবেশে লুকিয়ে আছে একদল ভয়ঙ্কর লোক। না বুঝে সিংহের খাঁচায় পা দিল ওরা। অয়ন পড়ল হাঙরের মুখে।
মাঞ্চুরিয়ান মুখোশ কিউরিও শপ থেকে পুরনো মুখোশটা কিনেই বিপদে পড়ে গেল রিয়া। কারা যেন পিছু নিয়েছে ওর। মুখোশটা কবজা করতে চায়, যে-কোনও মূল্যে। কেন? শয়তান যেইন তাওকে পুনরুজ্জীবিত করতে? জটিল এক রহস্যে জড়িয়ে গেল অয়ন-জিমি।
কিংবদন্তী তাজ্জব সব কাণ্ড ঘটছে স্কি-ক্যাম্পে। চুরির উৎপাত আর রহস্যময় এক তরুণের পাশাপাশি পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলল কিংবদন্তীর ভয়াল দানব সাসকোয়াচ। ছুটি কাটাতে এসে এ কীসের মধ্যে পড়ল অয়ন আর জিমি?
এই ভলিউমে স্বতন্ত্র ৩ টা গল্প আছে। হারানো শুশুক, মাঞ্চুরিয়ান মুখোশ, কিংবদন্তী। অয়ন-জিমি তো বটেই ইসমাইল আরমানের পড়া প্রথম বই এইটা। অয়ন-জিমি সম্পর্কে আমি জানতে পারি অয়ন-জিমি সিরিজ (ফ্যান গ্রুপ) থেকে। গ্রুপের পোস্টগুলোতে পাঠকদের অভিব্যাক্তি দেখে সত্যিই অভিভূত হতাম, সেই থেকেই অয়ন-জিমি পড়ার আগ্রহ টা তৈরি হয়। অয়ন-জিমি দুই আমেরিকান কিশোর। এর মধ্যে অয়ন আবার বাংলাদেশি বংশভ্রুত। তারা মূলত শখের গোয়েন্দা। তারা অসম্ভব প্রাণোচ্ছল, চটপটে এবং বুদ্ধিমান। ইতোমধ্যে গোয়েন্দাগিরি করে বেশ খানিকটা নামডাক ও হয়েছে।চলুন এবার ডুব দেওয়া যাক গল্পগুলোতে। না, ভয় নেই, সজ্ঞানে কোন স্পয়লার দেব না।
হারানো শুশুকঃ অয়নের প্রিয় শিক্ষিকা মিস কারস্টেনের পোষা শুশুক দুটি হারিয়ে গেছে। পাওয়া যাচ্ছে না তাদের এক সহপাঠির ইলেকট্রিক ইল। পাশের ওয়াটার পার্কের অনেক প্রাণী বেমালুম গায়েব। এদিকে কেস শুরুর আগেই অয়নকে হাঙরের মুখে ফেলে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হলো। যেহেতু আমার পড়া প্রথম অয়ন-জিমি, তাই হয়ত প্রথম দিকটা একটু স্লো মনে হয়েছে। তবে গল্প এগোনোর সাথে সাথে সেটা কেটে গিয়েছে। সমাপ্তিটাও ভালো লেগেছে, বেশ আনপ্রেডিকটেবল। অয়নের বুদ্ধির সামনে যে জিমির কৃতিত্ব ফিকে হয়ে যায়নি, এ ব্যাপারটা বেশ ভালো লেগেছে।
মাঞ্চুরিয়ান মুখোশঃ অয়ন-জিমির সাথে পরিচয় হয়ে যাওয়াতে এই গল্প আর আগেরটার মতো স্লো মনে হয়নি। একটানেই শেষ করেছি।গল্প শুরু একটা মুখোশ নিয়ে। রিয়া হঠাৎ একটা এন্টিকের দোকান থেকে মুখোশ কেনে। তখনই মুখোশ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য হামলা হয় তার ওপর। এরপর তারা জানতে পারে মুখোশটি একটি শয়তান উপাসক চীনা সেনাপতির। এ নিয়ে বেশ কিংবদন্তীও প্রচলিত আছে। যথারীতি এটার সমাপ্তি ও ভালো লেগেছে এবংঅবশ্যই আন প্রেডিকটেবল।
কিংবদন্তীঃ ছুটি কাটানোর জন্য অয়ন-জিমির এবারের গন্তব্য স্কি-ক্যাম্প। কিন্তু গিয়েই জানতে পারল অদ্ভুত সব কান্ড ঘটছে সেখানে।অদ্ভুত এক চোরের উৎপাতে অতিষ্ট সবাই। কফি মেশিনের পার্টস থেকে শুরু করে গাড়ির ফুয়েল ট্যাংকের পেট্রল পর্যন্ত ছাড়ছে না চোর। প্রথম থেকেই নজর কাড়ল এক তরুন। স্কিয়িং করতে গিয়ে তারা দেখা পেল সাসকোয়াচ’এর। সাসকোয়াচ এক ভয়াল কিংবদন্তী দানব। এবার কি সমাধান হবে এই কিংবদন্তী রহস্যের?