Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #12

আকাশ জোড়া মেঘ

Rate this book
বিশাল ধনাঢ্য পরিবারের একমাত্র মেয়ে অপালা। তবে সেই বিশাল বাড়িতে একাকীত্বের সঙ্গী সে । বাবা ফখরুদ্দীন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে বছরের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কাটান তিনি। অপালার মা হেলেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি এখন লন্ডনের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। অপালাদের বাড়ির ইন্টিয়ার ডিজাইনিং এর কাজে ফিরোজ আসে তাদের বাসায়। ফিরোজ পেশায় হাউস ডেকোরেটর। সেখানেই তার সাথে অপালার প্রথম পরিচয় ঘটে। ফিরোজ কথায় কথায় মিথ্যা বলে। আপালা বুঝতে পারে, সে মিথ্যেবাদী। তবুও অকারনেই তার প্রেমে পড়ে যায় সে। ফিরোজের দৃষ্টিতে অপালা ভিষণ অহংকারী। কিন্তু তারপরও সে তার প্রতি অন্যরকম এক আকর্ষণ অনুভব করে সে। নানা বাহানায় বারবার ছুটে আসে অপালার কাছে। এর মধ্যেই ঘটে যায় আরেক ঘটনা। বাড়িওয়ালার বাড়ি ছাড়ার নোটিশ বাতিল করানোর জন্য সে এক মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তারপর নিজেই জড়িয়ে যায় তার জালে। একাকীত্বের মধ্যে দিন কাটতে থাকে অপালার। এর মধ্যে একদিন তার বাবার অফিসের এক কর্মচারী আসে, তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে। কোন এক অদ্ভূত কারণে অপালা নিজেই একটি উপহার নিয়ে হাজির হল হয় সেই দরিদ্র লোকটির বাড়ি। আর সেখানেই সে সন্ধান পায় এক ভয়াবহ সত্যের। মুহুর্তেই ওলটপালট হয়ে যায় তার জীবনের সব কিছু।

104 pages, Hardcover

First published February 1, 1988

12 people are currently reading
307 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

450 books2,908 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
167 (18%)
4 stars
354 (38%)
3 stars
316 (34%)
2 stars
61 (6%)
1 star
15 (1%)
Displaying 1 - 30 of 69 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
March 27, 2019
এই বই শুরুতে আমার কাছে অতোটা ভাল লাগেনি। সংলাপ ভাল ছিল, কিন্তু কাহিনীর মধ্যে কোন বিশেষত্ব খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। তবে শেষের দিকের চমক টা পুরো গল্পকে অসাধারণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।এমনকি অভিভূত।

গল্পে ফিরোজ চরিত্রটিকে কিছুটা হিমু চরিত্রের মত মনে হয়। ফিরোজের হিমুর মত বাউন্ডুলে স্বভাব আছে, অকারণে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার বাতিক আছে। মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ চমকে দিয়ে মজা দেখার প্রবণতা আছে। তবে হিমুর মধ্যে মহাপুরুষের কিছু গুণাবলী আছে যা ফিরোজের মধ্যে নেই। ফিরোজ অহরহ মিথ্যা কথা বলে। যেটা নায়কের চরিত্রের সাথে খুব বেমানান হতে পারে তবে বাস্তবসম্মত।
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
August 19, 2022
“টাকা খুব ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস, বুঝলে হেলেনা। যে-সোসাইটির দিকে আমরা যাচ্ছি, সেই সোসাইটির ঈশ্বর হচ্ছে টাকা। একটা সময় আসবে, যখন তুমি টাকা দিয়ে সব কিনতে পারবে। সুখ, শান্তি, ভালবাসা-সব।”
বাসর রাত্রে ফখরুদ্দিন সাহবে তার স্ত্রী হেলেনাকে অনেক কথার ফাকে এই কথাগুলো বলেছিলো এবং গল্পের শেষে লেখক এই কথাগুলোর অসাড়তা প্রমান করেছিলেন।
ফখরুদ্দিন সাহেবের অনেক টাকা হয়, যত টাকা হলে যা খুশি তা পাওয়া যায় কিন্তু সুখ, শান্তি ভালবাসা পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না তত টাকা। ফখরুদ্দিন সাহেবও পান নি অথবা হয়তো পেয়েছিলো আমরা জানি না বা জানতে পারবো না অথবা আমাদের ধরে নিতে হবে যে সে আসলেই সুখ-শান্তি-ভালোবাসা পায়নি।
আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পের মূল চরিত্র আসলে ফখরুদ্দিন আহমেদ। যৌবনে এই মানুষটার টাকার প্রতি যে বিশ্বাস ছিলো, জীবনের শেষ লগ্নে এসে তার সে বিশ্বাস মরীচিকায় পরিণত হলো। ফখরুদ্দিন সাহেবকে কেন্দ্র করে লেখক গল্প সাজিয়েছেন, সেক্ষেত্রে অপালার শেষ পরিণতি এর চেয়ে সুন্দর করা যেতো না। হুমায়ূন আহমেদ বই এর এন্ডিং বেশিরভাগ সময়ই ঠিক মতো দিতে পারতেন না অথবা দিতেন না, কিন্তু এই বই এর এন্ডিং আমার মতে এর চেয়ে ভালো করা সম্ভব হতো না।
শুধু টাকা জীবনে সুখ-শান্তি-ভালোবাসা মানুষকে দিতে পারে না। আবার টাকা ছাড়া জীবনে সুখ-শান্তি-ভালোবাসা পাওয়া ও যায় না। জীবনে টাকার প্রয়োজনীয়তা ছাড়া আরো একটা বড়ো অংশ আছে, এই দুটো অংশের সুন্দর মিশ্রন মানুষের মাঝে সুখ-শান্তি-ভালোবাসা দিতে পারে, এর একটির ঘাটতি হলে সুখ-শান্তি-ভালোবাসায় ব্যাঘাত তৈরি হয়। ফখরুদ্দিন সাহেবের টাকার অভাব না থাকলেও সুখ-শান্তি-ভালোবাসার অভাব ছিলো।
বইয়ের কিছু ভালো লাগা লাইনঃ

মানুষ গোপন ভালোবাসা প্রকাশ করতে লজ্জা পায়।

কিছু কিছু কষ্ট আছে সুখের মতো।

টাকা এবং স্ত্রী এই দুই জিনিষ হাতছাড়া হলে আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না।

মাছ হাতে বাঙালি ছেলেরা মিথ্যা বলতে পারে না।
Profile Image for Nu Jahat Jabin.
149 reviews241 followers
May 27, 2016
হাহাকার !!!! আমি এমনিতেও গুছিয়ে মনের ভাব লিখতে পারি না । দেখা যায় লিখতে চাই ১০ লাইন টাইপ করে কষ্টে সৃষ্টে ১টা শব্দ বের হয় -_- । বইটা আমি ঠিক যতবার পড়ি ভেতর অপলার জন্য একটা হাহাকার জমা হয় একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে ।
কোন চরিত্রের জন্য এমন মায়া জন্মানোটা, হাহাকার সৃষ্ট হয়াটা যদি সার্থকতা হয় তাহলে হুমায়ূন আহমেদ অসাধারন সার্থক এক লেখক ।
Profile Image for Mazharul Islam Fahim.
98 reviews7 followers
January 29, 2023
ফ্যামিলি ক্রাইসিসের ব্যাপারটা এ উপন্যাসের শীর্ষ মুহূর্ত, যে কারণে শেষের দিকে দ্রুত ঘটনাপ্রবাহ পালটে গেছে। গতানুগতিক হুমায়ূনীয় ধারা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।
Profile Image for Daina Chakma.
440 reviews772 followers
June 6, 2018
প্রায় বছরখানেক পর Humayun Ahmed পড়লাম। পুনঃপাঠ করলাম আসলে।

আমি হুমায়ূন আহমেদের ফ্যান কোনোকালেই ছিলাম না। তবুও অসংখ্য বই পড়া হয়েছে। যদিও পড়ার কিছুদিন পরেই কাহিনী ভুলে যাই। তবে সময় কাটানোর জন্য কিংবা রিডারস ব্লক কাটানোর জন্য হুমায়ূন আহমেদের জুড়ি মেলা ভার।

আজ অন্য একটি গল্পের কথা মনে করে আকাশ জোড়া মেঘ হাতে নিয়েছিলাম। ভীষণ রকমের একজন ধনী ব্যক্তি তার নাতনী দেশে ফিরবে বলে নাতনীকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য ছোটখাটো একটা ওয়ান্ডারল্যান্ড বানায়। কাজপাগল আর্কিটেক্ট নিজের অসুস্থ ছেলেকে দূরে ফেলে রেখে ওয়ান্ডারল্যান্ড বানানোর কাজ সমাপ্ত করে। শেষটা অসম্ভব বিষণ্ণ। আকাশ জোড়া মেঘ শেষ করে দেখি ভিন্ন একটি গল্প। খানিকটা মন খারাপের। তবে ঐ গল্পের মতো না। এই মুহূর্তে কিছুতেই ঐ গল্পের নাম মনে পড়ছেনা।
Profile Image for Tawheeda Rufah Nilima.
294 reviews58 followers
March 4, 2023
যেদিন মন বিষন্নতায় ভরে থাকবে, সেদিন ই বোধ হয় আমার হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা বেশি পড়তে ইচ্ছে হবে - এটা কোনো নতুন বিষয় নয়৷ আমি বরাবর ই এমন। আর আজ দিনটিও তাই। বইটা পড়া শেষ হলো মাত্র। আগেও পড়েছি একবার। তবে তা পড়েছি অনেকদিন আগে। তাও পড়তে গিয়ে একবারও মনে হলো না যে বইটা আগের পড়া। অপলা এর দু:খে দু:খ পাচ্ছি। মন আরো বিষন্ন হয়ে গেলো আর এখন দু চার দিন হয় আমার কোনো বই ই পড়তে ইচ্ছে করবে না, কিংবা পড়লে টপাটপ চার পাঁচটে বই পড়ে ফেলবো অথবা শুধুমাত্র হুমায়ূন আহমেদ এর লেখাই পড়তে মন চাইবে - এ এক বিশাল বড় সমস্যা।

"আমার জলেই টলমল করে আঁখি
তোমার চোখের অশ্রু কোথায় রাখি"

তাই তো!

(বইয়ের এক পাতায় এইটুকু লেখা। এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে এই কথা কার লেখা এবং তিনি আর কি কি লিখেছেন। পড়ে ফেলতে হবে যে তাই।)

মানুষের জীবন কি অদ্ভুত! দু:খের কথা বলতে চাইলেও বলা যায় না। ইশ! চট করেই যদি প্রিয় মানুষদের নিজের বিষন্ন দিনের গল্পগুলো বলা যেতো! শুধু বিষন্নতার কথা কেনো, আমরা তো নিজেদের আনন্দের কথাও কাউকে বলতে পারি না। অনেক সময় নিজের আনন্দের কারণগুলো কেমন যেনো হয় কিংবা কখনো এতো সামান্য হয় কিংবা ভীষণ অদ্ভুত যে অন্যকে বলতে সংকোচ হয়, কষ্ট হয় এবং মন থেকে কাউকে বলার যে এই ইচ্ছে সেটাই মরে যায়।

"সূর্য ডুবে যাবার আগের মায়াবী আলো চারদিকে"। এই সময়টা আমার প্রিয় আর এই সময়েই মন কেমন করে।

ফিরোজ ও লতিফা নিজেদের সাজানো পৃথিবীতে একসাথে ভালো থাকুক। অপলা তার একাকিত্ব ও সব দু:খ-কষ্ট নিয়ে নিজের মতো করেই থাকুক। অপলার মধ্যে কি কিছুটা নিজেকে দেখতে পেলাম না?
Profile Image for Shaid Zaman.
290 reviews47 followers
July 19, 2017
একমাত্র হুমায়ুন আহমেদই পারেন তার উপন্যাসের ভিলেন টাইপ চরিত্রকে পাঠকের ভালোবাসা উপহার দিতে। সেটা বাংলাদেশের পাঠক ও দর্শক খুব ভালোভাবেই জানেন সেই 'কোথাও কেউ নেই' এর বাকের ভাই এর চরিত্রের মাধ্যমে। তেমনি এই 'আকাশ জোড়া মেঘ' উপন্যাসের অপলার বাবাকেও একটা সময় আপনার দারুন লাগবে। লোকটা ঠিক ভিলেন না আবার ভিলেন ও বলা যায়। সাথে গলার কাছে কিছু একটা দলা বেধে থাকবে অপলার জন্য। চরিত্র সৃষ্টিতে হুমায়ুন আহমেদ একজন জাদুকর, কি যেন এক মায়ার জাদু ছরিয়ে দিতে পারেন তিনি অবলীলায়।
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
March 23, 2022
অপালার জন্য খুব খারাপ লাগছে!
ছোট একটা বই, কী দারুন মন খারাপ করে দিয়েছে।
Profile Image for Fahad Ahammed.
386 reviews44 followers
October 4, 2018
হুমায়ুন আহমেদ তার বর্ণনায় পাঠক ধরে রাখতে জানেন। আমাদের সমাজে এমনটা প্রায়শই ঘটে, আমারা জীবন টিকাতে সন্তানদের দূরে ঠেলে দেই, দিতে হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে তা কখনোই জানতে পারে না। অপলা জানতে পেরেছিল।
সাদামাটা গল্প।
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
September 21, 2025
হুমায়ুন আহমেদের গল্পে কোন ভিলেন থাকে না, যারা থাকে তারা মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কিছু দিক ভালো, কিছু খারাপ। তারাও এরকমই।

এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রকে খুজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়। সেটা অপালা হতে পারে আবার তার বাবা ফখরুদ্দিন সাহেবও হতে পারেন। তবে আমার মনে হয় গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ফখরুদ্দিন সাহেবই, যিনি জীবনে সবকিছুর মূল্যায়ন করতে চেয়েছেন টাকা দিয়ে; সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি সবকিছু তিনি কিনতে চেয়েছেন টাকা দিয়ে। তার এই সবকিছু কিনতে চাওয়ার সবচেয়ে বড় বহিঃপ্রকাশ ই অপালা।

হুমায়ুন আহমেদ এর বইয়ের সমাপ্তি নিয়ে কমবেশি সবারই অভিযোগ থাকে। এ বই পড়ার পরও সে অভিযোগ থাকবে, তবে এই সমাপ্তির মাধ্যমে ফখরুদ্দিন সাহেবের মতো প্রভাবশালী মানুষকে জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। তিনি টাকা দিয়ে ভালোবাসা কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই হয়তো কাওকে ভালোবাসতে পারেননি। তিনি ভালোবেসেছেন তার অর্থ-বিত্ত কে। নিজের স্ত্রীর সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি উদাসীন, অপালার সবচেয়ে ভালনারেবল অবস্থায় তিনি প্রভাভহীন।

আরেকটা কথা, ফিরোজ চরিত্রটার সাথে হিমুর অনেক মিল আছে। অনেকে হয়ত তাকে গল্পের নায়ক হিসেবে দেখেন, তবে আমি তাকে এগল্পের একজন প্রভাবশালী সাইড-ক্যারেক্টার হিসেবেই বিবেচনা করব। সে গল্পের নাটকীয়তা বাড়িয়েছে, আরেকটা দিক যোগ করেছে, তবে গল্পের মূল থিমে তার উপস্থিতি একেবারেই নগন্য। সে অপালার ওপর প্রভাব রেখেছে, নিজেও প্রভাবিত হয়েছে, আবার একসময় গল্পের মূল দিকটা থেকে নিজেকে আলাদাও করে ফেলেছে।

বই: আকাশজোড়া মেঘ
লেখক: হুমায়ুন আহমেদ
Profile Image for Subrna Akter.
57 reviews
November 26, 2025
প্রতিটি গল্পের মূল চরিত্র থাকে। যাকে কেন্দ্র করে কাহিনী আগে বারে। বইটা শুরু করার পর মনে হয়েছে অপলা হবে। পরে ফিরোজ চরিত্রের আগমন ঘটল তখন মনে হচ্ছিল ফিরোজ আর অপলার কাহিনী দেখতে পাবো। তারপর মনে হলো এই বইয়ের মূল চরিত্র ফখরুদ্দিন সাহেব। পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে একেকজনের নজরে একেকজন থাকবে এই বইয়ের মূল চরিত্র।

কথায় বলে যার কাছে টাকা আছে তার কাছে সব আছে। চরম বাস্তবতা দেখানো হয়েছে বইটিতে। কিন্তু টাকা দিয়ে সবকিছু কিনতে পারলেও ভালোবাসা কিনতে পারে নি। খুব সাধারণ ভাবে গল্পটা আগাচ্ছিল।‌ কিছু দূর যাওয়ার পর মনে হচ্ছে কি পড়তেছি। কিন্তু শেষের দিকে গিয়ে থমকে গিয়েছি। এরকমটাও হতে পারে ধারণা ছিল না।‌ কাহিনী পুরোই উল্টে গেছে। শেষের টুইস্ট টা জোস ছিল। ফিরোজ চরিত্রের মধ্যে হিমুকে দেখতে পেয়ে ছিলাম।
Profile Image for Fariana Priya.
47 reviews18 followers
December 12, 2021
শেষ কোন বইটা পড়ে কারণ ছাড়াই মন খারাপ হয়েছে?

অপলা মেয়েটা খুব একা। অনেক মায়া আর আদর জড়ানো এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একটা চরিত্র। স্যারের উপন্যাসের অবধারিত নিয়মে অপলা আর ফিরোজের মাঝে কিছু একটা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এটা ভালো লেগেছে। ফিরোজের মাঝে 'হিমুর' ছায়া আছে।

আমার মনে হয়েছে, এই উপন্যাসটি শ্রেণি বৈষম্যের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরে। উচ্চবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝের বিশাল ব্যবধানের মূল্য অনেক বেশি পরিমাণে দিতে হয় সোমাদের পরিবারকে। আর তাই, এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু, অপলার জন্য খুব মন খারাপ হয়। কী বিশাল একাকিত্বের প্রাসাদে তার বসবাস। অন্য কেউ না, নিজেই যেনো কোন একদিন এই জাল থেকে বের হতে পারে।
Profile Image for Monika Ghosh.
183 reviews37 followers
November 5, 2024
I've never hated a main character like i hate Firoj . মেয়ে যে কয়টা দেখে সব কয়টার সাথেই প্রেম করা লাগবে তার? আর ২১ বছরে কেউ অনার্স ফাইনাল কিভাবে দেয় তাই বুঝিনা। ২১ বছরের সুন্দরী বড়লোকের মেয়ে ৩৫ বছরের ছ্যাচড়া লোক যে কিনা মিথ্যা কথা ছাড়া কথা বলে না, কাজ কর্মে মনোযোগ নাই, গোসল করে না ঠিকঠাক, আবার প্রথমেই বলে রাখছে তার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক - এমন লোকের প্রেমে কিভাবে পড়ে? আকাশকুসুম চিন্তার একটা লিমিট থাকা উচিত। That precious 1 hour I'll never get back.
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Shahrian Shihab.
119 reviews
February 4, 2023
শেষটা সুন্দর গল্পটাকে নষ্ট করে দিয়েছে।
Profile Image for Tuhin Khan.
53 reviews1 follower
September 30, 2025
কিছু বই থাকে যেগুলা শুরুতে পড়তে অনেক বিরক্তিকর লাগে, নিজেকে জোর করে পড়াতে হয় -- কী জানি পরে আবার ভালো লাগে কিনা। এইটাও এমন, পড়েছিলাম কারণ গিফট এ পেয়েছিলাম একসাথে ১৫টা এমন বই আমার ভাই থেকে, না পড়ে আমি বই ফেলে রাখিনা। এই বইয়ের ৬০% পর্যন্ত আমার নিজেকে জোর করে পড়তে হয়েছিল, তারপর থেকে পড়ার প্রবল ইচ্ছা জাগলো লেখার কারণে। এর সমাপ্তি, ১পেজের আবছা লেখার মাধ্যমে এতো করুণাময় হয়ে উঠবে বলে মনে করিনি। যা-ই হোক, ভালো লাগল। এই বই পছন্দের মানুষ এবং অন্য পছন্দের মানুষদের দিবো। ভালোই, মজা আরকি!
Profile Image for Ariful Hoque.
30 reviews3 followers
May 23, 2020
এপিটাফ, প্রিয়তমেষু পড়ার পর ভাবলাম হয়তো এই বইটাও ভাল হবে। কিন্তু না। হুমায়ূন আহমেদের গড়পড়তা বই। এলোমেলো উদ্দেশ্যহীন কাহিনী, সস্তা দার্শনিকতা আর স্থুল রসিকতায় পরিপূর্ণ। যা-ও একটা টুইস্ট আছে সেটাও বহু আগে ���েকেই বুঝা যায়।
Profile Image for Akash Saha.
156 reviews25 followers
August 11, 2020
ভালো লাগল।যদিও উপন্যাস ,তাও ক্লাসিকাল ছোটগল্প ভাব আছে।
Profile Image for Afsana Anjum Zara.
4 reviews
October 31, 2025
এর আগেও হুমায়ূন আহমেদের এ ধাচের লেখা অসংখ্যবার পড়েছি । তবে কেন যেন এবার মনের মধ্যে কেমন শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে । কেমন খালি খালি লাগছে ।
Profile Image for Naimul Arif.
108 reviews5 followers
July 7, 2024
বইটা শুরু হয় ফিরোজ চরিত্রকে দিয়ে। পড়তে পড়তে আপনি হঠাৎ আবিষ্কার করবেন মূল চরিত্র অন্য কেউ। সেই চরিত্রের জন্য শেষে আপনার মনটা কেঁদেও উঠতে পারে। বারবার মনে হতে পারে এমনভাবে বইটা শেষ না হয়ে অন্যভাবেও তো হতে পারতো যদি মেয়েটা জীবনকে একটু ভিন্নভাবে দেখতো।
___
খুব অভিনব কিছু না হবার পড়েও বইটা আমার হুমায়ুন আহমেদের লেখা রচনাবলির মাঝে সবচেয়ে প্রিয়। পাঠের ১৫ বছর পর রিভিউ লিখলাম। বইটার প্রতি আমার মনোভাব এতোটুকু বদলায় নি।
Profile Image for Taznina Zaman.
251 reviews63 followers
December 8, 2019
কেন জানি না, এই বইয়ের অপালা হায়দার চরিত্রটা আমাকে অসম্ভব রকম আকৃষ্ট করে। হুমায়ূন আহমেদের তৈরি নারী চরিত্রদের মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয় চরিত্র এই অপালা হায়দার। আর প্রতি বার বইটা পড়ার পর আমার ইচ্ছা করে ফিরোজকে জুতার বাড়ি দিতে, মানে এত ইতর মানুষ হয় কীভাবে!!!!

আকাশ জোড়া মেঘ সত্যি বলতে সব নিঃসঙ্গ মেয়েরই কাহিনী। যাদের সবই আছে, কিন্তু কিছুই নেই তাদেরই কাহিনী। I Just love it.
Profile Image for Samsudduha Rifath.
425 reviews22 followers
February 9, 2025
বইটা পড়ে মেট্রোলাইফ ব্যান্ডের 'সন্ধ্যা' গানটার কথা মনে পড়লো।

আকাশজোড়া মেরুন আলোয়
রাঙিয়ে রাখা মেঘ,
ভেসে আসে নীরবে তার লুকানো আবেগ।
তীব্রভাবে মেশে আমার বিকেলবেলার গানে
শহরমুখী পায়ের ধুলায় হারায় অভিমানে।

যখন দূরে সন্ধ্যালোকে ফুরায় আয়োজন
তখন কী এক হাওয়ায় মাতাল বিষণ্ণ এ মন,
যখন দূরে সন্ধ্যালোকে ফুরায় আয়োজন
তখন কী এক হাওয়ায় মাতাল বিষণ্ণ এ মন।
Profile Image for Sumaiyah.
118 reviews31 followers
June 13, 2020
অকারণ পছন্দের বই।
Profile Image for Wreet Sarker.
51 reviews49 followers
May 12, 2018
কিছু উপন্যাস আছে - শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কেমন যেন একটা শূন্যতা তৈরি হয়। এটাও তেমনই। খুবই সাধারণ গল্প, কিন্তু তারপরও অসাধারণ!
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
August 16, 2020
সাধারণ একটা গল্প, তবুও অসামান্য হয়ে উঠেছে।
একই সাথে হাস্য রসাত্নক আর মন খারাপ করা।
Profile Image for Rehnuma.
444 reviews21 followers
Read
July 5, 2022
❝পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।❞
ফখরুদ্দিন সাহেবের মেয়ে অপালা। বিশ-একুশ বছর বয়েসী তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। বাবার অতি আদরের মেয়ে। রুম ডেকোর করতে গিয়ে পরিচয় হয় উপন্যাসের নায়ক ফিরোজের সাথে। ফিরোজ অপালার প্রতি এক বিশেষ টান অনুভব করে। কিন্তু ফিরোজ জানে এ সম্পর্ক অসম। ধনীর দুলালী অপালা। আর অপালাকে সে বুঝতে পারে না। তার প্রতি এক উদাসীনতা দেখায় অপালা।
ফিরোজ ভবঘুরে ধরনের এক মানুষ। সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলা শিল্প হলে ফিরোজ তার শিল্পী। কী দারুণ ভাবেই না সে কথার পিঠে মিথ্যে গল্প ফেঁদে বসে। সেই গল্প ফেঁদেই বাড়িওয়ালা হাফিজের মেয়ের বিয়ের মিথ্যে সম্বন্ধ করার কথা বলে। কিন্তু হাফিজের মেয়ে লতিফার ছবি দেখে তার-ই দিলে লাড্ডু ফুটতে থাকে। একটা মেয়ে এত সুন্দর হয়!
অপালাকে দেখার তীব্র বাসনায় নানান ছুতোয় তার বাড়ি যাওয়া আবার লতিফার প্রতি টান অনুভব এক দোলাচলে ঘুরতে থাকে ফিরোজ।
ফখরুদ্দিন সাহেব বিশাল বড়লোক। টাকা দিয়ে সব কিছু কিনে নেয়া যায় এই মোটোতে বিশ্বাসী। তিনি কি খলনায়ক, না মেয়ের প্রতি অপার ভালোবাসা নিয়ে থাকা একজন বাবা?
ফখরুদ্দিন সাহেবের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে এক বৃদ্ধ লোক মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে আসেন। অপালা সেই দাওয়াত গ্রহণ করে। এরপরই একদিন তাদের বাসায় বিয়ের আগাম উপহার দিতে গিয়ে অপালার জীবনটাই বদলে যায়।
অপালা ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে পাওয়া সেই ডায়েরিতে কলমের খোঁচায় গল্প লিখে যায়। গল্পগুলো অদ্ভুত, গল্পগুলোর কোনো গভীর অর্থ আছে কি?
ফিরোজের সাথে অপালা না লতিফা, কার পরিণয় হবে?

পাঠ প্রতিক্রিয়া:
হুমায়ূন আহমেদের লেখার সব থেকে উপভোগের ব্যাপার হলো গতি। গল্প বলার ধরন এমন যে বই একবার শুরু করলে কীভাবে শেষ হয় যায় বোঝাই যায় না। আর শেষ হবার পর ফাঁকা লাগে।
❝আকাশ জোড়া মেঘ❞ ১০৩ পাতার এক ছোট্ট উপন্যাস। বইতে আশির দশকের মানুষের সামাজিক জীবনের খন্ডচিত্র তুলে ধরেছেন লেখক। চিঠি, ল্যান্ডফোনের দিনগুলোর মানুষের জীবনযাত্রা ছিল অন্যরকম।
অপালা, ফিরোজ আর লতিফার গল্পটাকে ত্রিভুজ প্রেম ধরা যায় কি না সেটা পাঠক চিন্তা করবে। অপালার চরিত্রটা আমার খুব ভালো লেগেছে। কিছু জিনিস জেনেও স্বাভাবিক থাকা, ভালো লাগার প্রতি নির্লিপ্ত থাকা অপালা চরিত্রকে এক ধরনের সৌন্দর্য দিয়েছে। বাবার প্রতি অপালার ভালোবাসা আর বাবাকে নিয়ে গল্প লেখা ব্যাপারগুলো খুবই দারুণ ছিল।
ফখরুদ্দিন সাহেবকে ঠিক কোন ধরনের মানুষ বলা যায় সেটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক থাকতে পারে। বিশাল ব্যবসা সামনালোর যে দক্ষতা, মালিক হিসেবে কর্মচারীদের এবং ব্যবসার সমস্যা সমাধানের কৌশল তাকে কিছুটা ভিলেন ভাব এনে দিলেও পরক্ষণেই মেয়ের প্রতি তার ভালোবাসা, মেয়ের কিছু হলে এই কঠিন মানুষের চোখের জল তাকে ভালোবাসতেই বাধ্য করে। একজন মানুষের কতো রূপ!
ফিরোজকে লেখক ভবঘুরে হিসেবে দেখিয়েছেন। তার মিথ্যা কথা বলার ধরন কখনও খুব মজা লাগছিল। আবার কিছু জায়গায় বেশ বিরক্ত লাগছিল। নায়ক হিসেবে খুব বেশি পছন্দ হয়নি।
চড়ুই পাখির চা খাওয়ার ব্যাপারটা আমার অসাধারণ লেগেছে।
সবমিলিয়ে সুখপাঠ্য একটি বই ❝আকাশ জোড়া মেঘ❞।
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
317 reviews41 followers
June 27, 2025
সেদিন বিকালে আকাশে অনেক মেঘ জমেছিল। ঘন কালো মেঘে ঢেকে ছিল চারপাশটা। কালবৈশাখীর লক্ষণ, কিন্তু বৈশাখ,জৈষ্ঠ তো শেষ! তবে এ কোন বেলার ঝড়?

সে যাইহোক, যখনই আকাশ মেঘলা হয় আর ঝড় আসার পূর্বাভাস পাই, তখন আমার তারানাথ তান্ত্রিক পড়তে মন চা��়। বৃষ্টির সাথে এই বইটার গোপন এক যোগবন্ধন আছে হয়ত। কিন্তু, সেদিন আমার মন চাচ্ছিল অন্য কিছু পড়তে। যাদু,তন্ত্র-মন্ত্র কিংবা ভৌতিক কিছু পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল না। ওই সময়ের আবহাওয়াটা যেহেতু গুমোট ছিল আর চারিদিকে ক্রমান্বয়ে অন্ধকার হয়ে আসছিল, অনেকটা অন্তর জুড়ে বিষন্নতা ছড়িয়ে পড়ার মতন। তখন ঠিক করি, মন খারাপ হয়ে যাবে এমন একটা বই পড়া শুরু করব। আর হুমায়ূন আহমেদের থেকে কে বেশি এক্সপার্ট পাঠকের মন ভাঙার জন্য? আমার জানা মতে কেউ নাই।



সময় বিশেষ ভাবে বিবেচনায় রেখে বুক সেলফ থেকে একটা বই নামাই, যার নাম "আকাশ জোড়া মেঘ"। কয়েকমাস আগে মেঘ বলেছে যাব যাব বইটা ভালই ট্রমা দিয়েছিল আমায়। এটায়ো মেঘ, তো আমার প্রাথমিক পর্যায় মনে হয়েছিল হয়ত এটাও ওমনই হবে। অতঃপর শুরু করি পড়া।



গল্পের প্রধান চরিত্র অপলা। ধনী মেয়ের একমাত্র মেয়ে। তাদের বাসার ডাইনিং রুম সাজাতে আসে এক ছেলে তার নাম ফিরোজ। এরপর.. আর দশটা হুমায়ূন রাইটিং এর মতনই। সেম রিপিটেশন।

গল্পে একটা বৃহৎ টার্ন পয়েন্ট আসে যখন অপলা নিজের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারে... ওয়েট, আচ্ছা এমন কনসেপ্টের বই আগেও পড়েছি না...কি যেনন নামটা! রাইটার হুমায়ূন আহমেদ এটে শততত ভাগ সিওর কিন্তু নামটা কিছুতে মনে আসছে না। এই পাগলাটে লেখক এক জীবনে এত এত এত এত লেখা লিখছে যে হাতে গোণা কয়েকটা বাদে বাকি গুলার নাম ভুলে যেতে হয়। মানুষের ব্রেন তো আর Chat gpt মতন সেভ করে রাখতে পারে না মেমোরী!



যাইহোক, বইটার শেষ অংশটা ধোঁয়াশায় রেখেই শেষ হয়েছ। তবে আমি ফিরোজের জন্য খুশি। আমার মনে কিঞ্চিৎ ভয় ছিল যে সে পাগলামো করে হয়ত বিয়ে থেকে পালায় যাবে কিন্তু সে তা করে নাই। এজন্য তাকে সাদুবাদ।



বইটা স্পেশাল কিছু না। কিন্তু যে সময়টায় বইটা শুরু করেছি, আর যে সময় বসে শেষ করেছি, দুইটা সময় ছিল স্পেশাল।

ঘড়ির কাটায় এখন ভোর ৫ টা বেজে ৩৪ মিনিট। রাতভর ঘুমাই নাই। গতকাল squid game এর s3 রিলিজ হল, সেটার ফাস্ট এপিসোড দেখছি রাতভর। এরপর আর পিসির সামনে বসে থাকতে মন চাচ্ছিল বা সেকেন্ড এপিসোড ও দেখতে মন চাচ্ছিল না বিধায় বিছানায় এসে শুয়ে পড়ি। এরপর বইটা হাতে নিয়ে শুরু করি... অনেক অনেক পৃষ্ঠা পড়ে গেছি এক নাগাড়ে। আর মজার বিষয় হচ্ছে বাসার বাইরে খুব জ্বোরে স্বোরে বৃষ্টি হচ্ছে। বাসার নিচ তলায় একটা ছোট্ট টিন বাঁকা করে রাখা। ওটার পর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার শব্দ কানে গেঁথে গেছে, হয়ত বৃষ্টি থেমে গেলেও শুনতে থাকব। বইটা শেষ করে সাংঘাতিক মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে। চোখ খুলে তাকাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এর কারণ হয়ত সমস্ত রাত না ঘুমিয়ে কাটানো, বা কি জানি! এজন্য রিভিউ লিখতে গিয়ে বই সম্পর্কে কম আর নিজের সম্পর্কে বেশি লিখে ফেলতেছি। তাতে কী? কি যায় আসে?!
Displaying 1 - 30 of 69 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.