বহুব্রীহি

Humayun Ahmed (Chronological List) #35

by Humayun Ahmed

ভূমিকা

বহুব্রীহি নাম দিয়ে একটি টিভি সিরিয়েল লিখেছিলাম, এই বহুব্রীহিকে সেই টিভি সিরিয়েলের উপন্যাস রূপান্তর মনে করা ঠিক হবে না। আমি যা করেছি তা হচ্ছে মূল কাঠামো ঠিক রেখে একটা মজার উপন্যাস লেখার চেষ্টা। কিন্তু অন্য ধরনের কথা হাসি তামশা মাঝখানে আছে। আশা করছি সেই সব কথা রঙ্গ রসিকতায় পুরোপুরি ঢাকা পড়বে না। কিছু না থেকেই যাবে।

পাঠক পাঠিকাদের- আমার এই উপন্যাস টিভি সিরিয়েলের সঙ্গে মিলিয়ে পড়লে হোঁচট খাবেন । সেই চেষ্টা না করাই ভালো।

এই লেখাটি আমি গভীর আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে লিখেছি সেই আনন্দের ভগ্নাংশও যদি পাঠক পাঠিকাদের কাছে পৌঁছাতে পারি তাহলেই আমার সকল শ্রম সার্থক হয়েছে ধরে নেব।

হুমায়ূন আহমেদ
3/8/90
শহীদুল্লাহ হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Genres: Fiction, Novels, Romance, Contemporary, Comedy, Humor, Classics

192 pages, Hardcover

First published August 1, 1990

About the author

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Reviews

[Riju Ganguly · Rating 5 out of 5]

কিছু কিছু বই-এর রিভিউ করা যায়না। একই সঙ্গে হাসি আর কান্নার জন্ম দেয় যে বই, একই সঙ্গে স্বপ্নে পাওয়া আনন্দ আর গলায় জমাট বাঁধা দুঃখ নিয়ে আসে যে বই, কোন ভাষায় তার রিভিউ করি বলুন দেখি? পড়া শুরু করার পর থেকেই খুব ভয়ে ভয়ে আমি এই উপন্যাসটা শেষ করার দিকে এগিয়েছি। ভয়ে, কারণ এই অভূতপূর্ব-অথচ-চিরচেনা মানুষগুলোর দিনরাত্রি থেকে একটা সময় দূরে চলে যেতে হবে, এটা বুঝেই তাদের ছাড়তে মন একেবারে সায় দিচ্ছিল না। কিন্তু আজ উপন্যাস শেষ হল। ফরিদের টিয়ার মুখে ফুটল সেই বিশেষ বুলি। আর আমার পাঠমহল একদম নিরিবিলি হয়ে গেল। আজ বড্ড বেশি করে প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কোয়ার্টার যে শুনশান! হায় হুমায়ুন, এ কোথায় তুলে আপনি মইটা কেড়ে নিলেন!

[Aishu Rehman · Rating 5 out of 5]

আমি কিভাবে এই বইটা এতোদিন মিস করে গেছি সেটা চিন্তা করলেই খারাপ লাগছে। অসাধারণ একটা বই।এই বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। ভালো লাগার। মন খারাপের কোনও বিষয় এখানে নেই। মিলি, বিলু দুই বোনেরই অসাধারন বুদ্ধিমত্তা। দুবোনকেই ভালো লেগেছে। আনিসের জন্য প্রথমে মন খারাপ ছিল, সেটাও পরেরদিকে ভালো লাগাতে বদলে যায়। টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলাও ভালো লেগেছে।

[Daina Chakma · Rating 4 out of 5]

এই বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর অংশ হচ্ছে "প্রজেক্ট রাজাকার"! প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ফরিদ সাহেব টিয়া পাখি জোগাড় করে তাদেরকে একটি কথা শেখায়। কথাটা হচ্ছে "তুই রাজাকার!" একাত্তর দেখিনি। কিন্তু "তেরো" এর বাঁধ ভাঙা আবেগ একদম সামনে থেকে দেখেছি! "ক'তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!!" স্লোগানের দিনগুলোতে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হতে পারার জন্য একটু চোরা অহংকার থাকাটা কি খুব দোষের কিছু?!

বহুব্রীহি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস নয়। বরং এখানে উঠে এসেছে মধ্যবিত্ত সংসারের টানাপোড়ন আর গভীর আবেগ-ভালোবাসা। নিরিবিলি নামক বাড়িকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের ঘটন-অঘটন কখনও হাসিয়েছে, আবার কখনও বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে। এই গল্পে অতি ভালো মানুষের ভূমিকায় আছে আনিস সাহেব, যে গভীর ভালোবাসায় মৃত বউয়ের স্মৃতি বুকের ভেতর লালন করছে। আবার এই আনিস সাহেবের শিশুপালন বিদ্যায় ঘাটতি রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয়ার মতো। To kill a Mockingbird উপন্যাসের এটিকাস ফিন্সের প্যারেন্টিং এর সাথে তুলনা করলে আনিস সাহেবের বাচ্চাপালন মোটামুটি আনাড়িপনা হিসেবে চালিয়ে দেয়া যাবে। মনসুর ডাক্তারের অতি লাজুকতা প্রায় বিরক্তিকর বলা চলে । অন্যদিকে ফরিদ সাহেবের নির্লোভ দৃষ্টিভঙ্গি মনকে আদ্র করে ফেলে। সৃষ্টির দিক দিয়ে এই উপন্যাসের সবচাইতে পারফেক্ট চরিত্র কাদের আর রহিমার মা। একটু খুঁজলে পরে বাস্তবেও ঝাকেঝাকে ওদের পাওয়া যাবে! এমদাদ খোন্দকারের মতো স্বার্থানেষী আর তৈল্যপ্রধানকারী মানুষও অবশ্য দুনিয়াতে কম নেই। বরং সোবাহান সাহেবের মতো উইয়ার্ড মানুষের দর্শন কেবল বইয়ের পাতাতেই মিলবে। মিলু-বিলুকে লেখক সৃষ্টি করেছেন একদম টিপিক্যাল ঔপন্যাসিক তরুণী হিসেবে যারা হুরমুড় করে যার তার প্রেমে পড়ে। সত্যিকারের তরুণীরা অবশ্য এতো আবেগ দিয়ে চলেনা।

এক কথায় বলতে গেলে অতি নাটকীয়তা পূর্ণ একটি উপন্যাস।

রেটিং- ৩.৫।

[Akash · Rating 5 out of 5]

সুন্দর সমাপ্তি। আমি ফরিদ হতে চাই। মনসুর বেচারা একটা কমেডিয়ান। আর প্রথম পাখিটি কাকে দেয়া যায় তা জানি কিন্তু বলব না! আনিস এবং দুষ্টু-মিষ্টি পিচ্চি দুটি খুব ভাল।

[Amanna Nawshin · Rating 5 out of 5]

ভেবেছিলাম যে মারাত্মক ধরনের রিডিং ব্লকে ভুগছি তাতে আর জীবনে পড়তে ইচ্ছা হয় কি না কে জানে! যেহেতু আমি রিডিং ব্লকে পড়লে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ি সুতরাং অনেক দিন ধরে পড়বো পড়বো করে তুলে রাখা এই বই হাতে নিলাম। নিয়ে বুঝলাম যে ব্যাপারটা ব্লক টক না, আমার পড়ার সময় নেই। তারও কিছুদিন পর যখন দেখলাম বই শেষ হচ্ছে না, তখন বুঝলাম সময় আমার আছে ঠিকই কিন্তু আলসেমীর জন্য পড়া হচ্ছিলো না। পড়তে শুরু করেই ঘুমিয়ে যাচ্ছিলাম। বইটা শেষ করলাম এমন এক সময়ে এসে যখন আমার আসলেই সময়ের অভাব!

এই বইটা "এইসব দিনরাত্রি", "অপেক্ষা" আর "কোথাও কেউ নেই" এর মতোই সুন্দর। কতগুলো সাধারন চরিত্রকে পুঁজি করে আগাগোড়া নাটকীয়তায় ঠাসা একটা গল্প! এই ধরনের গতানুগতিক গল্প ও যে উপভোগ্য হতে পারে তা অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের লেখাতেই সম্ভব। অনেকের কাছেই ঝালমুড়ি মনে হতে পারে, আমিও যে সুখাদ্য সার্টিফিকেট দিচ্ছি তা ও না। তবে আমার পড়া খড়ার দিনে এই বই টা যে সার্ভিস দিলো তাতে পাঁচ তারা দিতে কার্পণ্যবোধ হচ্ছে না! তবে এই বই টা সবার পড়া উচিত! ঝালমুড়ি হিসেবে খেতে চাইলেও!

হ্যাপি রিডিং!

[Rakib Hasan · Rating 4 out of 5]

কয়েকদিন আগে লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর জন্মদিনে উনার কোন উক্তি খুঁজতে গিয়ে মনে পরল বহুব্রীহি নাটক দেখা হলেও বইটা পড়া হয়নি, এজন্য ভাবলাম বইটা হাতে পেলেই পড়ে ফেলব। ভাগ্যগুণে দুইদিন পরেই বইটা হাতে গেল এবং দীর্ঘ অনেকদিনের চেষ্টায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বইটা পড়লাম।😴 উনার বইগুলো নিয়ে বলার কিছু নেই, বইটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।♥️

[Ësrât · Rating 4 out of 5]

"সৃষ্টির কোন এক লগ্নে বিধাতা শরীর দিয়ে মানব এবং মানবী পাঠিয়েছিলেন,সেই শরীরে বপন করেছেন ব‍্যাখ‍্যাতিত ভালোবাসা"

কয়েক শব্দের কি ছোট একটা লাইন কিন্তু তার আবেশ , মুগ্ধতা এ যেন চিরন্তন.হুমায়ুন আহমেদের বই যত বার পড়েছি ততবার ব‍্যাখ‍্যাতিত ভাবে প্রেমে পড়েছি, মুগ্ধতার ভালোবাসার চেয়ে মায়াজাল পৃথিবীতে আর নেই কিছু

রেটিং:🌠🌠🌠🌠.৭০

[autumn ♡︎ · Rating 5 out of 5]

this is the most funniest thing I've ever read. I'm dead whizzing on the floor BYE!

[মুহাম্মদ এহ্সান · Rating 5 out of 5]

কেউ যদি একটা বইয়ের নাম চায় তবে তাকে এই বইয়ের নাম দেই।

[Rubell · Rating 3 out of 5]

হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকটা আমার দেখা হয়নি। তার সাথে এই উপন্যাসের কতটুকু মিল-অমিল জানিনা। বইয়ের ভূমিকায় বলা হচ্ছে নাটকের কাঠামো থেকেই উপন্যাসের সৃষ্টি, কিন্তু উপন্যাস স্বাধীনতা নিয়ে লেখা। এটা পড়ে ধারণা হচ্ছে ধারাবাহিক রোমান্টিক-কমেডি নাটকের গল্প হিসেবে বহুব্রীহি চমৎকার। পাবলিক খাবে বোঝা যায়। তবে উপন্যাস হিসেবে আরেকটু গভীরতা থাকলে মোটামুটি ডুব দেওয়া যেত। তারপরও, খুব একটা খারাপ না।

[Rifat · Rating 5 out of 5]

বহুব্রীহির মূল ভিত হচ্ছে নিরিবিলি নামের একটা বাড়ি, যদিও নামের সাথে এই বাড়ির লোকজনদের কার্যকলাপে তেমন মিল নেই। নিরিবিলির প্রধান হর্তাকর্তা সোবাহান সাহেব, ঠু মাচ উইয়ার্ড টু টেইক। সোবাহান সাহেবের দুই কন্যা বিলু ও মিলি, ওদের মায়ের নাম মিনু। মিলি বিলুর মামা ফরহাদ এ বাড়িতেই আশ্রিত, আর নিরিবিলিতে কাজের লোকের ভূমিকায় আছে রহিমার মা এবং কাদের। বলে রাখা ভালো ফরহাদ মামা এই বইয়ে চিরায়ত হুমায়ূনীয় গুড ফর নাথিং অতি জ্ঞ্যানী ভ্যাগাবন্ড ক্যারেক্টার, কাজের লোক সৈয়দ বংশীয় কাদের যার একনিষ্ঠ ভক্ত। কয়েক পাতা এদের সাথে কাটানোর পরে এ বাড়িতে আগমন ঘটে এক গাধা মার্কা বোকাসোকা টাইপ ডাক্তার মনসুরের, নিরিবিলির কাছেই একটা ফার্মেসীতে ডাক্তার রোগী দেখার কাজ করেন, এরপরে নিরিবিলির হাউকাউ মার্কা পরিবেশে নিশা ও টগর নামের সন্তান সহকারে আগমন ঘটে ভাড়াটে বিপত্নীক আনিসের। এরপরে আরও নীরবতা ভাঙার জন্য আসেন এমমাদ সাহেব আর তার নাতনি পুতুল।

"যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না। মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালবাসার কথা।"

সত্যিই তাই। আমরা পারিবারিক ভালোবাসার কথা ভুলেই যাই, পরিবারের মানুষজন ভালোবেসে আমাদের জন্য এত কিছু করে সেটা আমরা নিতান্তই ভুলে যাই, যেন তা খুবই সাধারণ কিছু, যেন এটা হবারই ছিল। অথচ যেসব সংসারে অশান্তি ভরপুর সেদিকে তাকালে বোঝা যায় ভালবাসা আসলে একটা চয়েজ, ওরা চেয়েছে ভালবাসবে, ত্যাগ স্বীকার করবে তাই করে। অথচ আমরা এই ভালবাসার কদর করতে ভুলে যাই, পাশের রুমে থাকা ভাই/আপু/মা/বাবা কিংবা অন্যান্য পরিবারের সদস্য কেমন আছেন সেই খোঁজ না নিয়ে সুদূর প্রান্তে বাসরত যদু মধু কিংবা ছমিলা জামিলার খোঁজে মশগুল হই, এই সকালেই যাদের সাথে এক পশলা ডিসকাশন হলো ঘরে ফিরেই সেই তাদের সাথেই আমাদের আবার ডিসকাশন করতে বেশি ভাল লাগে। এর সবই আমাদের চয়েজ। আমরা যে কি চয়েজ করি! যাকগে, এই বই আমার চয়েজ হলো। খুব ভালো লাগলো। কিছু জায়গায় হেসেছি খুব, উপসংহারও বেশ, মন খারাপ হয়নি, বিরক্ত লাগেনি। সুন্দর সময় কাটানোর বিপরীতে ৫ তারা তো দেয়াই যায় :)

২৫ আগস্ট, ২০২৫

[Dystopian · Rating 5 out of 5]

পছন্দের বই গুলো রেটিং ঠিকিই সেইম থেকে যাবে, আর রিডিং ডেটের নিচে লাইন বছরে দু একবার করে বাড়তে থাকবে, তবেই না বলতে পারব বড্ড পছন্দের বই, ভালোলাগার বই ❤️

[Miraj · Rating 5 out of 5]

বইটায় একটা অদ্ভুত ভালোলাগা আছে। এক কথায় অসাধারণ।

[Abu Rayhan Rathi · Rating 5 out of 5]

সাদামাটা কাহিনী। এরকম বই হুমায়ূন আহমেদ অনেক লিখেছেন। তবুও বইটা দারুণ লাগলো।

[Mehedi Hasan Mahfuz · Rating 3 out of 5]

হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়ে মানুষের কমন অভিযোগ যে হ্যাপি এন্ডিং নাই। এই বইটাতে হ্যাপি এন্ডিং-এ ঠাসা।

[A. Rahman Bishal · Rating 4 out of 5]

পড়ে থাকায় পড়ে ফেলা।
অকপট। গতানুগতিক হুমায়ূনীয় স্বাদ।

[Raihan Ferdous Bappy · Rating 4 out of 5]

মঙ্গলবার,৩০ জুলাই
সকাল ১০:৪৯।

অবশেষে শেষ করলাম হুমায়ূন আহমেদের লিখা বই "বহুব্রীহি"। বইটা শেষ করতে অনেক বেশিই দেরি হয়ে গেলো। এর পেছনে অবশ্য একটা কারণ আছে। আমার এই বই আমার এক কাজিন না জানিয়ে নিয়ে চলে গেছিলো। এদিকে আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান। বোন আমার পড়ার পরে নিজ উদ্যোগেই ফেরত দিয়ে গেছে কাল রাতে। আজ হাতে বিশেষ কোনো কাজ ছিলো না। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গেছিলাম। তাই চটপট পড়া শুরু করে বই শেষ করে দিলাম।

হুমায়ূন আহমেদ হচ্ছেন বইপড়ুয়াদের ডাক্তার। ডাক্তার কেনো বললাম? এই ধরেন আমরা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার ওষুধ লিখে দেন তখন সুস্থ হয়ে যায়। তাই না? হুমায়ূন আহমেদ হচ্ছেন রিডিং ব্লকের ডাক্তার। কেউ যদি রিডিং ব্লকে পড়ে তার জন্য এক কপি হুমায়ূন আহমেদ-ই যথেষ্ট।

আচ্ছা, এবার বইয়ে ফিরে আসা যাক। বহুব্রীহি উপন্যাসটা মূলত একটা কৌতুকাশ্রয়ী উপন্যাস। উপন্যাসটার শুরুতে একটা বাড়ি দেখা যায়। বাড়ির নাম নিরিবিলি। কিন্তু নামের সাথে কামের কোনো মিল নাই। হৈ-হল্লা সারাদিন লেগেই থাকে। এই বাড়িতে থাকে অদ্ভুত সব চরিত্র। তাদের নিয়েই গল্প চলতে থাকে।
এই বইটার চরিত্রগুলা এতোই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে রে ভাই! সবার চরিত্রগুলা নিজেদের দিক থেকে অনেক বেশিই সুন্দর। কাকে ছেড়ে কাকে যে ফেভারিট বলবো! তাই কারো কথায় উল্লেখ করছি না। সবাই নিজ উদ্যোগে পড়ে নিবেন।

সবমিলিয়ে বলবো, বহুব্রীহি হচ্ছে এমন এক বই যে বই আপনাকে হাসাবে, জমাট বাঁধা দু:খ দেখাবে আবার শান্তিও দিবে। অসম্ভব সুন্দর একটা বই। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে কাহিনী একদমই সাদামাটা। কিন্তু খুবই দারুণ। একটা ব্যস্ত সময় পার করার পর কিছু প্রফুল্ল সময় কাটানোর জন্য এই বইটাই যথেষ্ট। হুমায়ূন আহমেদের একটা মাস্ট রিড বই।

অনেক কথা হলো, এবার বহিষ্কার হও।

[Nahidur Rahman · Rating 5 out of 5]

হালকা চালে বলে যাওয়া একটি গল্প। যখন মন খারাপ থাকবে, কোন বইয়ে মন বসাতে পারবেন না, এটা পড়লে টনিকের মতো কাজ করবে।

[সন্ধ্যাশশী বন্ধু · Rating 3 out of 5]

" হে মাছ,ক্ষুধা হে "থেকে একটা ছবি অন্তত ফরিদ যদি বানাতে পারত!! আফসোস টা রয়ে গেলো।

[Maahi Kaniz · Rating 5 out of 5]

বহুব্রীহি বইটা নিয়ে কি বলবো সবাই জানে এটা হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী একটা উপন্যাস।নাটকটা দেখা হয়নি ভেবেছি বই পড়ে দেখবো কারণ আগে কাহিনী জেনে ফেললে বইটা পড়ার আর উৎসাহ পেতাম না।খুব বেশি ভালো লেগেছে বইটা। প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত।কয়েকটা জায়গায় তো ইচ্ছে মতো হেসেছি।অনেকদিনপর কোনো বই পড়ে হাসলাম।
বইটার শেষ দিকে মনে হয়েছিল এই টিপিক্যাল হুমায়ূন আহমেদ আমার পাঠক মনটাকে ভেঙে দিবে কোনো একটা উল্টা পাল্টা কাহিনী করে,তেমন কিছু হয়নি দেখে খুবই শান্তি লেগেছে।
বইয়ের প্রত্যেকটি চরিত্রকেই খুব ভালো লেগেছে,ভালো মতো দেখলে আমাদের আশে পাশের সবাইকে নিয়েই এই বই।কিন্তু আর যাই হোক টগর আর নিশার উপর খুবই বিরক্ত হয়েছি।এতো শয়তান ���েনো হবে দুটো বাচ্চা....

[Sanowar Hossain · Rating 3 out of 5]

হাস্য রসাত্মক বই। তবে আমার মনে হইল লেখক জোর করে হাসাতে চেয়েছেন। ভালো লাগেনি।

[Shihab Uddin · Rating 3 out of 5]

★যে জিনিস আমাদের চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যায় । যে ভালোবাসা সবসময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসা।

[Susmita Sarker (বাচ্চা ভূত) · Rating 5 out of 5]

আমার পড়া সেরা একটা বইইইই!সেরা! এতো হেসেছি, কেঁদেছিও!

[Fahad Khan · Rating 4 out of 5]

4.2

[Pranta Dastider · Rating 5 out of 5]

প্রথমত ... বইটি পড়তে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। বন্ধুর থেকে সংগ্রহীত বই। বহুপঠনে ছিঁড়েবিড়ে একাকার অবস্থা। তাও সমস্যা হতোনা, কিন্তু বই একটি সংকলন, কয়েকটি উপন্যাসের। এবং সব মিলিয়ে বহু যায়গায় খুলে আসা পৃষ্ঠাগুলো গুছিয়ে হাতে ধরে বইটি পড়তে যথেষ্ট সমস্যা হয়েছে। তবুও বইটি পেয়ে খুশি।

উপন্যাস নিয়ে কী বলব? ভাল উপন্যাস। অগোছালোভাবে একটি গোছানো উপন্যাস। এতো সুন্দর করে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, প্রাঞ্জল ও নিপুন দক্ষতায় যে লেখককে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে হয়। ভালো উপন্যাস হয়তো এমনই হয়, এমনই হওয়া উচিত। সারাদিন বিষণ্ণতার পর এমন একটি উপন্যাসই হয়ে উঠতে পারে বিনোদনের মূলমন্ত্র। সুতরাং সামাজিক উপন্যাস আমার এমনই ভালো লাগে।

উপন্যাসের চরিত্রগুলো নাটকের দৌলতে আগেই চেনা। বই পড়ার সময় বুঝতে পারছিলাম কাস্টিং কতটা বস্তুনিষ্ঠ হয়েছে। বিশেষ করে ফরিদ, সোবাহান সাহেব, আনিস, সবাই পারফেক্ট। কাদেরও যথার্থ। কেবল যথার্থ নয় মিলি ও বিলু চরিত্র দুটি। নাটকের থেকে এই দুটি চরিত্র বইয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

গল্পের সমাপ্তি মন্দ নয়। শুরুটা বেশ ভালো। মাঝেও ভালো। হাহাহা ... সবই ভালো। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। এই গল্পে সেই কথা খাটে না। এই গল্পে সব ভালো তাই গল্পটা অনেক অনেক ভালো।

[Towhid Zaman · Rating 5 out of 5]

এইটা মূলত হুমায়ুন আহমেদের একটা নাটক. পরবর্তীতে এইটা বইয়ের পৃষ্ঠায় চলে আসে আমার/আমাদের মত পৃষ্ঠা উল্টানো মানুষের জন্য. এই বইটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ.


বইয়ের কাহিনি আলাপ করার ইচ্ছা নেই. যদি কেউ আমাকে হুমায়ূন আহমেদের দুইটা বই সাজেস্ট করতে বলে, প্রথমে বলি অপেক্ষা 'র কথা, তারপরেই বলি বহুব্রীহি 'র কথা.


সুন্দর, অসম্ভব সুন্দর.

রেটিং: ৫/৫
২৯ এপ্রিল, ২০২৩

[Rizwan Khalil · Rating 5 out of 5]

Undoubtedly, The FUNNIEST, Most Entertaining book by Humayun Ahmed. I can re-read it anytime, anywhere, starts from any chapter, and can't stop till I'm finished!

[Tanshit Mona · Rating 5 out of 5]

হুমায়ূন সাহেবের আরেকটি মাস্টারপিস।
এতো হেসেছি বইটি পড়ে।

[Fariana Priya · Rating 3 out of 5]

"যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না। মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালবাসার কথা।"

'রাজাকার'- শব্দটি উচ্চারণ করা যখন সমস্যা ছিল, তখন টিয়া পাখির মুখে "তুই রাজাকার"- সংলাপ দিয়ে সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ স্যার। মূলত প্রথমে নাটক এবং পরে উপন্যাস আকারে এটি প্রকাশিত হয়। যদিও নাটক এবং উপন্যাস পুরোপুরি একরকম নয়।

নাটকটি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। যেখানে আছেন সোবহান সাহেব, যিনি অবসরের পর নানারকম সামাজিক সমস্যা নিয়ে ভাবেন, গবেষণাধর্মী লেখালেখি করার চেষ্টা করেন। তার এই কাজ যতই উপকারী মনে হোক, এর কঠিন বাস্তবতার সাথে পরিচয় করান তাদের বিপত্নীক, দুই সন্তানের বাবা ভাড়াটিয়া আনিস। আছেন ফরিদ মামা, যিনি একজন সিনেমা পাগল, নির্ভেজাল, নিঃস্বার্থ ব্যক্তি। যার সর্বশেষ প্রজেক্টই 'প্রজেক্ট রাজাকার।'

রহিমার মা, কাদের আর এমদাদ খোন্দকারদের মতো স্বার্থান্বেষী আর সুবিধাবাদী মানুষেরাও আছে এই গল্পে। চরিত্রগুলো অপরিচিত নয়, আমাদের আশেপাশের মানুষই। গল্পটাও সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের।

পার্থক্য শুধু 'তুই রাজাকার'-এর মতো সংলাপ আর আনিসের বাস্তবধর্মী দর্শনে।

[Sabbir Hossain Abir · Rating 4 out of 5]

যখনই রিডিং ব্লকে পরি তখনই ছুটে আসি হুমায়ুন আহমেদ এর কাছে। লোকটা এই পর্যন্ত হতাশ করেনি। আরো কারো বই রিডিং ব্লক এতো ভালো ভাবে দূর করতে পারেনি, আমার ক্ষেত্রে। এতোদিন শুনে এসেছি সিনেমা, নাটক বানানো হয় বইয়ের ঘটনা থেকে। নাটক থেকে বই এই প্রথম শুনলাম। এবং পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো যেনো হুমায়ন আহমেদের নাটক দেখছি চোখের সামনে। সব নাটকের মতো হাস্যরসাত্মক।