Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #105

Jibonkrishno Memoriyal High School

Rate this book
Sorry!! There is no description about this product.

Hardcover

First published February 1, 1995

7 people are currently reading
373 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

458 books2,890 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
227 (24%)
4 stars
409 (43%)
3 stars
251 (26%)
2 stars
49 (5%)
1 star
9 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 77 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,089 reviews1,060 followers
February 3, 2020
"শিক্ষক হবার সবচেয়ে বড় লাভ হচ্ছে হঠাৎ হঠাৎ ছাত্র পাওয়া যায়। কৃতী ছাত্র। এদের দেখলেও আনন্দ হয়। কৃতী ছাত্র দেখলে এতো ভালো লাগে। একটা কথা আছে -জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে জয় আশা করিবে শুধু ছাত্রের এবং পুত্রের নিকট পরাজয়কেই আনন্দের সাথে গ্রহণ করিবে।" কথাটা কী অসাধারণ তাই না? আমরা যদি কিছু সময়ের জন্য হলেও ফজলুল করিমের জায়গায় নিজেদের অবস্থানের কথা ভাবি, ঠিক ই তো একজন পুত্র আর ছাত্রের কাছে নিজেকে পরাজিত দেখার চাইতে আনন্দ হয়তো আর কিছুতেই নেই।

হৃদয় ছুয়ে গেছে প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিমকে লিখা মামুনের শেষ চিঠিটি, "মানুষ কঠিন পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভারেস্টের চূঁড়ায় উঠতে চায়।ব্যাপারটা সবসময় আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। আপনাকে দেখার পর আর মনে হচ্ছে না। আপনাকে দেখার পর মনে হচ্ছে সব মানুষকেই তার ব্যক্তিগত এভারেস্টের চূঁড়ায় উঠতে হয়। এই হচ্ছে আমাদের নিয়তি।" আমিও বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থারও একদিন আমূল পরিবর্তন হবে। শিক্ষিত, মেধাবী,দক্ষ এক জনশক্তি সৃষ্টি হবে। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্নটা দেখতে হবে, আর সেই স্বপ্নটা অবশ্যই এভারেস্ট জয় করার মতো স্বপ্ন হতে হবে।
Profile Image for Rakib Hasan.
441 reviews79 followers
December 26, 2020
এক বসায় শেষ করে ফেললাম, বইটার কাহিনী আহামরি কিছুনা কিন্তু হুমায়ুন আহমেন এর লেখনির জন্যই পড়া।
Profile Image for Samiur Rashid Abir.
208 reviews42 followers
November 25, 2023
“মানুষ কঠিন পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভারেস্টের চুঁড়ায় উঠতে যায়। ব্যাপারটা সব সময় আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। আপনাকে দেখার পর আর মনে হচ্ছে না। আপনাকে দেখার পর মনে হচ্ছে সব মানুষকেই তার ব্যক্তিগত এভারেষ্টের চূড়ায় উঠতে হয়। মানুষের এই হচ্ছে নিয়তি।”
Profile Image for Sukanya Naz Naz Islam.
19 reviews4 followers
Read
September 19, 2021
স্কুল, স্কুল ঘেরা মাঠ, গাছগাছালি। স্কুলের ঘন্টার ঢংঢং শব্দ, স্যারের চোখ রাঙানি, প্রশংসা এমন কত কিছুই আমাদের স্কুল জীবনের অবিচ্ছেদ্য স্মৃতি তাই না?

তবে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল এর গল্পটা কিন্তু কোনো এক ছাত্রের স্মৃতিচারণ নিয়ে নয়। গল্পটা ঘিরে আছে একজন শিক্ষক, এই স্কুলের হেডমাস্টার ফজলুল করিম স্যার কে নিয়ে। তিনি এই স্কুলে আছেন ১৯৬৮ সাল থেকে। করিম স্যারের সমস্ত চিন্তাভাবনাই দেখা যায় এই স্কুলকে ঘিরেই। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন এই স্কুলের অনেক সুনাম হবে, অনুদান আসবে, দুরদুরান্ত হতে ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসবে। কালের আবর্তনে স্কুলের অবস্থা এখন পড়তির দিকে।

কিন্তু কথায় আছে Always there is a hope. নিঃসঙ্গ করিম স্যার যেনো এই আশাতেই বেচে আছেন। কিছুদিনের মধ্যেই মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে স্থাপিত হয় "নীলগঞ্জ হাই স্কুল"। ভালো স্টাফ, ভালো বেতন, ভালো পরিবেশের জন্যে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল এর অনেক ছাত্র শিক্ষক চলে যাচ্ছিলেন পাশের স্কুলে। তাই দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন করিম স্যার। এই স্কুলের হেডমাস্টার হওয়ার সুবাদে তার অসংখ্য স্মৃতি, ত্যাগ এসব কি করে তিনি ভুলে গিয়ে নতুন করে ভাবেন? সবাই তো আর এক ধাতুতে গড়া হয় না, তাই না? আর শেষে কি ভঙ্গদশার স্কুলটি ঘুরে দাড়াতে পেরেছিলো নাকি হেরে গিয়েছিলো আধুনিকত্বের সাথে তাল না মেলাতে পেরে?

হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটি আমার কাছে বড্ড মায়াকারা লেগেছে বইকি। আহামরি নাও লাগতে পারে, ভুলভ্রান্তিও চোখে পড়তে পারে। তবে আপনি মায়ায় সিক্ত হবেন তা বলতে পারি। ছাত্রের চোখে স্কুল কেমন সেই গল্প কতই শুনি আমরা, অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয় যেনো জীবন থেকে নেয়া। কিন্তু একজন প্রধান শিক্ষকের চোখে তার কর্মস্থল খানি ঠিক কতটা ভালোবাসার, কতটা শ্রদ্ধার, কতটা মায়ার--সে কথা আমরা জানি কজনা?

ছোটোখাটো বই, রিডার্স ব্লকে থাকলে বেশ সুখপাঠ্য হবে আশাকরি।
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
258 reviews74 followers
October 8, 2022
একটা মানুষের ভেতরের মেধাকে জাগিয়ে তোলার মাঝে যে একটা বিশুদ্ধ আনন্দ আছে তা কিছু শব্দ দিয়ে প্রকাশ করার মতো না। টিউশন করার জন্য এই অনুভূতি জানি। যখন দেখতে পারি কিছু ছাত্র-ছাত্রীর জীবনে ছোট বা বড় একটা প্রভাব রাখতে পেরেছি তখন মানুষ হয়ে জন্মাবার জন্য একটা তীব্র ভালো লাগা কাজ করে। বাঁচতে আরো বেশি ইচ্ছে করে।
জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের হেড মাস্টার ফজলুল করিম, যার পুরো জীবন কেটে গেছে স্কুলের মাঝে নিজেকে বিলীয়ে দিতে গিয়ে। স্কুলের প্রতি তার যে অপার্থিব ভালোবাসা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো তা প্রকাশ পেয়েছে এই গল্পে। যে সকল মানুষের বাবা-মা রা কোন স্কুলে/কলেজে আজীবন শিক্ষকতা করেছেন তারা হয়তো এই বইটা আরো ভালো করে অনুধাবন করতে পারবেন।
সুন্দর বই। বইয়ের শেষটাও সুন্দর। বইয়ের ভালো লাগা কিছু লাইন:

প্রচণ্ড রাগ নিয়ে কঠিন কথা বলা ঠিক না। কঠিন কথা বলতে হয় ঠাণ্ডা মাথায়। খুব ঠাণ্ডা মাথায়।

সত্য আমরা বিশ্বাস করতে চাই না, কিন্তু অসত্য বিশ্বাস করি। খুব সহজেই করি।

স্বার্থ ছাড়া সচরাচর মানুষ কোনো কষ্ট করতে রাজি হয়না।

মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি, ভুল করবো না, তা তো হয় না। দশ বার শুদ্ধ করবো, একবার ভুল করবো তবেই না আমি মানুষ।
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books276 followers
November 28, 2022
অল্প শব্দে বিশাল কিছু লিখে ফেলার হুমায়ূন আহমেদের যে স্পেশাল গুনটা ছিলো এটা আসলেই অনবদ্য। মাত্র ৮০ পৃষ্ঠার এই বইটা মনে থাকবে আমার। একটা লাইন তো খুবই পছন্দের-

'একজন মানুষের জীবনে সঞ্চয় খুব বেশি থাকে না। আপনার চোখের জল আমার জীবনের পরম সঞ্চয়ের একটি।'
Profile Image for Afifa Habib.
89 reviews267 followers
November 24, 2020
অসাধারণ একটি বই। গল্পের শেষ টা পড়তে গিয়ে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসল।
Profile Image for Hibatun Nur.
158 reviews
August 26, 2022
বইয়ের শেষে কথা নেই, বার্তা নেই চোখে পানি চলে আসছিল।
হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো মধ্যের চিঠিগুলো একটা আলাদা রকমের ধাক্কা দেয়। বইয়ের শেষে ছাত্র আর শিক্ষকের যে আবেগটা আমি দেখেছি সেটা নিজ জীবনে কখনও অর্জন করা সম্ভব ছিল না বলেই হয়ত চোখে পানি এসেছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা আর কোন পালে হাওয়া লাগিয়ে কোন দিকে যে যাচ্ছে কে জানে? শিক্ষক এখন শিক্ষার্থীদের হাতেই প্রাণ হারাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্ররোচনায় যাচ্ছে জেলে।
হুমায়ুন আহমেদের বইগুলোর একটা কমন বৈশিষ্ট্য হল- শুরুতে পাঠককে আকৃষ্ট করে শেষে হতাশ করা এন্ডিং দিয়ে। এই বইয়ের শেষেও একটু হতাশা কাজ করবে তবে তা অন্য ঘরানার। প্রথমে তেমন ভাল না লাগলেও শেষে এসে পুরো ৩৬০ টার্ন নিল বইটা।
হুমায়ুন আহমেদের সাধারণ বইগুলো থেকে এ বই নিঃসন্দেহে আলাদা।
Profile Image for Imran.
136 reviews7 followers
October 3, 2021
আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে বইটি।❤️
Profile Image for Mousumi Maya.
89 reviews
June 18, 2023
আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথা মনে পরে গেল।
Profile Image for Rubell.
187 reviews24 followers
January 8, 2025
আমাদের স্মৃতিতে হাইস্কুল খুব আবেগের স্থান দখল করে থাকে। এই ছোট উপন্যাসটা হাইস্কুলের একজন ডেডিকেটেড হেডমাস্টারকে কেন্দ্র করে।
উপন্যাসটা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। কাহিনীটা আশির দশকেরও হতে পারে।

স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রিটিশ পিরিয়ডে। স্কুল প্রতিষ্ঠার পেছনের কাহিনীটা কিংবদন্তি হবার মতো, আরও মর্মস্পর্শী একাত্তর সালে বর্তমান হেডমাস্টারের স্মৃতি- সবকিছু মিলিয়ে স্কুলটার প্রতি পাঠক হিসেবে মায়া পড়ে গেছে।

এই মায়াময় স্কুলটার অস্তিত্ব হুমকির মুখে। শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন হয় না। তারপর আবার স্থানীয় মন্ত্রীর স্পনসরশিপে নতুন স্কুল হয়েছে। জীবনকৃষ্ণ স্কুলের হেডমাস্টার খুব চেষ্টা করলেন যেন এবার এসএসসিতে ভালো ফলাফল করা যায়, স্কুলের সুনাম পুনরুদ্ধারের একটা শেষ চেষ্টা। হেডমাস্টারের আবেদনে সাড়া দিলেন আরও কিছু শিক্ষক।

উপন্যাসের শেষটা আনন্দের অশ্রুতে হয়েছে।
Profile Image for Farzana Raisa.
41 reviews4 followers
January 17, 2024
বইটার মূল আকর্ষণই শেষ পৃষ্ঠায়!
Profile Image for Miraj.
27 reviews40 followers
November 21, 2020
কেনো যেনো এই বইটির কাহিনী হৃদয় স্পর্শ করে গেলো। একজন শিক্ষকের তার স্কুল বাঁচানোর পিছনের কতটা ত্যাগ, ভোগান্তি, নির্মম বাস্তবতার স্বীকার সবই যেনো স্পষ্ট ভাসছিলো চোখে।
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews62 followers
January 21, 2021
জীবনের অনেক যুদ্ধই একা করতে হয়, মাঝেমাঝে কেউ পাশে থাকে আবার থাকেও না। একা থেকেও এগিয়ে যাওয়া যায়, শুধু আগ্রহটা দরকার।
[আহামরি কোনো কাহিনী না, সাদাসিধাই! তবুও ভালো লেগেছে। ]
Profile Image for Arif  Raihan Opu.
211 reviews6 followers
October 8, 2022
একটি স্কুল তার সাথে কিছু মানুষ। শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে স্কুল একটা মেল বন্ধন তৈরি করে। আবার স্কুলে ঘিরেই অনেক কিছু জন্ম নেয়। এর সাথে থাকে রাজনীতি ও অর্থনৈতিক দিকটিও জড়িত। যদিও শিক্ষা কোন ব্যবসা নয়। তবুও এটা এখন ব্যবসা।

তবে কিছু শিক্ষক থাকেন যারা স্কুল ও ছাত্রদের জন্য প্রাণ দিয়ে থাকেন। তাদের কাছে স্কুল ও ছাত্র দুটোই সব।
Profile Image for Fowzul Fahad.
13 reviews26 followers
August 20, 2018
অনেক কষ্ট করেও যখন কেউ তাদের আশার ভেলাকে উত্তাল সাগরের সাথে যুদ্ধ পরাজিত হবার সম্ভাবনা দেখে, তখনও তাদের মনে কিঞ্চিৎ একটু সফলতার আভাস দোলা দেয়। মনে মনে বলে, তাদের কষ্ট বিফল হবার নয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে কিঞ্চিৎ দোলাটাই যুদ্ধে জয়লাভ করে।

আর সেই জয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটে কান্নার মাধ্যমে। সফলতার কান্না!
যা উপন্যাসের শেষে দেখা যায়। আনন্দে হেড মাস্টার ফজলুল করিম বদরুলকে কোলে নিয়ে স্কুলের চারদিকে ঘুরপাক দিচ্ছিল। আর বদরুল তার স্যারের গলা জাপটে ধরে কান্না করছিল।
Profile Image for Esha Tujjohora.
266 reviews8 followers
June 27, 2024
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বেশিরভাগ বই-ই আমার ভাল লাগে সাধারণত। কিন্তু “জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল” আমার কাছে স্পেশাল হয়ে থাকবে।
Profile Image for MD Sifat.
120 reviews
May 25, 2023
বইটা ভালো ছিল। একবসায় পড়ার মতোই। একটা স্কুলের শিক্ষককে নিয়ে গল্পটা। একজন আদর্শ শিক্ষকের গল্প। স্কুল টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রামের গল্প।
হুমায়ুন আহমেদের লেখনী বরাবরই চমৎকার।

রেটিং:৪/৫
Profile Image for Akter R Hossain.
20 reviews4 followers
April 11, 2019
হুমায়ূন আহমেদ এর এই পর্যন্ত যতগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে অন্যতম সেরা হিসেবে মনে হয়েছে এই বইটাকে।

একজন শিক্ষক তার স্কুলকে টিকিয়ে রাখতে কি প্রাণপণ চেষ্টাটাই না করেছেন।

একা একা যুদ্ধ করে গেছেন। প্রবল জ্বরেও মাঝরাতে ছাত্রদের দেখতে আসেন। আসলে একজন শিক্ষককে এমনই আদর্শবান হওয়া উচিৎ।

যদি কখনো পেশা হিসেবে শিক্ষকতা করি তাহলে ফজলুল করিম চরিত্রটা ধারণ করার একটা চেষ্টা থাকবে আমার।

এই দিকে থেকে লেখককে স্বার্থক বলা যায়
Profile Image for Shahriar  Fahmid.
112 reviews15 followers
July 27, 2023
বইয়ের শ্যাষের দিকে চোখে ইকটু কোনা জল চলে বেরিয়ে গিয়েছে। ছোট কলেবরের বই হলেও ফজলুল করিমের সাথে আমি কোটা ফ্যাক্টরির জিতু ভাইয়ার হালকা মিল পেয়েছি আবার শহর থেকো আসা সাইন্সের টিচারের সাথে পাঞ্চায়েতের সাচিবজি।দু দিকেই জিতেন্দার কুমার।

আমাদের সবার জীবনে ফজলুল করিমের মতো হেড মাস্টারের খুব অভাব।অন্তত আমি আমার স্কুল ডেইজে এরকম ডেডিকেশন ওয়ালা টিচার পাই নাই যারা স্কুল শুধুমাত্র নিয়ে ভাবে।

সবশেষে এটা হুমায়ুন আহমেদের খুব সুখপাঠ্য একটা বই।স্কুলের ঘন্টার শব্দ শুনি না কত দিন হলো!!!
Profile Image for Rashedul Riyad.
58 reviews33 followers
November 13, 2020
লেখকের জন্মদিনে বইটা পড়া হলো। বইয়ের কিছু কিছু জায়গায় পরিচিত হুমায়ূন আহমেদকে যেনো ঠিক পাওয়া যায়নি। কিছু সময় মনে হয়েছে লেখক তাঁর শিক্ষকজীবনের কোনো এক খন্ডকালীন সময়ের কথা উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন।
Profile Image for Ananna Anjum .
191 reviews11 followers
October 6, 2021
হুমায়ুন আহমেদের সেরা সৃষ্টিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে, গল্পটি পড়ে আরো দারুন লেগেছে।
Profile Image for Imtiaj Ahmed.
48 reviews
January 25, 2023
কিছু বই শেষ করে শান্তি শান্তি লাগে! এটা তারমধ্যে একটি....:3
Profile Image for Nasrin Shila.
264 reviews88 followers
October 22, 2019
খুব সাধারণ কাহিনী। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের সহজ লেখনীর গুণে পড়তে খুব ভালো লেগেছে।

কাহিনীর ইতিবাচক সমাপ্তি হওয়াতে খুব ভালো লেগেছে!

মাহবুব সাহেব ভুল করে "আমাদের স্কুল" বলাতেও ভালো লেগেছে!
November 20, 2021
জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল, বইটি পড়া শেষ করেছি তাই ভাবলাম ছোট করে এর একটা রিভিউ লিখে ফেলি।বইটির মধ্যে একটা জিনিস ফুটে উঠেছে, একজন আর্দশবান শিক্ষকই পারে,অনেক সম্ভাবনাময় মানুষ সৃষ্টি করতে।ফজলুল করিম সাহেব,জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক,যার একমাত্র চিন্তা -ধ্যান হল স্কুলের উন্নয়ন।তিনি এমন নীতিবান মানুষ যার কাছে সততার মূল্য অনেক বেশি।এই স্কুলটি টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি নিজের শেষ সম্বল টুকু ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করেন নি।যখন অন্য শিক্ষকরা এই স্কুলের মায়া ত্যাগ করে অন্য স্কুলে যোগদান করছিল, তখন এই ব্যক্তি স্কুলের খুঁটি শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন। আমাদের সবার জীবনে কম বেশি এইরকম একজন আর্দশবান শিক্ষক থাকে,যাদের আসলেই মন থেকে সম্মান করতে ইচ্ছে করে।
#পরিশেষে বলবো, বইটির প্লট খুব সাদামাটা, হাস্যরসের অভাব রয়েছে তবে ফজলুল করিমের দৃঢ় মনোভাব, তার নিরন্তর প্রচেষ্টা উপন্যাসের প্রাণ ছিল।হ্যাঁ তবে বইটি পড়তে খুব একটা ভালো লাগে নি।
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
286 reviews38 followers
October 25, 2024
কিছু কিছু লেখা পড়ার পর তা আমাদের মাঝে এক অনন্য আনন্দের সঞ্চার করে। এই উপন্যাসটি তার ব্যতিক্রম নয়।

একটা প্রাচীন স্কুলের সময়ের সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি এবং স্কুল টির প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপাল এর অদম্য চেষ্টায় অবশেষে এক অসাধারণ রেজাল্ট করে স্কুল টাকে টিকায় রাখার গল্প এটি।
আমাদের সবাইকে জীবনের সবচেয়ে চরম মুহুর্তেও আশাবাদী হয়ে থাকতে হবে। ভরসা রাখতে হবে স্রস্টার প্রতি, এটাই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
আমার খুবই ভাল লেগেছে উপন্যাসটি।
Profile Image for Tasmim Bintay Haque.
23 reviews29 followers
August 4, 2022
খুব সুন্দর একটা বই। একজন আদর্শ শিক্ষক এর গল্প, তার একক সংগ্রামে নামার গল্প। শেষ দিকে কেঁদে ফেলেছিলাম নিজের জীবনের কিছু আবেগঘন মুহূর্তে সাথে মিল পেয়ে। মানেএএ এটা অন্য রকম সুন্দর বই, আবার হয়তো একদিন পড়বো।
Profile Image for Abu Syed sajib.
147 reviews15 followers
February 25, 2014
One of the best novels written by Humayun Ahmed.The thing that makes this novel fascinating is the ending.A must read...
Profile Image for Asraful Shanto.
29 reviews
September 10, 2022
একটা স্কুলকে নিয়ে একটা মানুষের একক সংগ্রাম নিয়ে এই উপন্যাস। প্রতিটি পৃষ্টা শেষ হবার পর সামনের পৃষ্টা শেষ করবার তৃষ্ণা আরও বেড়ে যায়, এভাবেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে নিঃশ্বাসে এই উপন্যাস শেষ করতে হবে। শেষ হবার পর করতে হবে আক্ষেপ, কেন শেষ হয়ে গেলো। খা খা করতে থাকবে ভেতরটা। হেডস্যার স্কুলটাকে রক্ষা করতে পারবেন কিনা, সেই উত্তেজনা থাকবে একেবারে শেষ পর্যন্ত। আমার অল্প কথায় বইয়ের রিভিউ দেয়া পছন্দ। কাহিনি যদি আমিই বলে দেই, তাহলে একটা মানুষ পড়বে কেন বই? তবে এই উপন্যাস নিয়ে একটু লিখছি কারণ আমাকে এটা বেশিই আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। আর আমার মনে হয়েছে এটা মাস্টরিড। ছোট্ট একটা উপন্যাস, পড়ে আপনার সময় উসুল হবেই।

উপন্যাস শুরুর আগেই লেখক মায়া সভ্যতার থেকে একটা কথা উদ্ধৃত করেছেন, " হে মানব সন্তান, সহস্র শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইয়া তুমি মুক্তির স্বাদ পাইবে। ইহাই তোমার নিয়তি।" শেষ হবার পর থেকে আমার মাথায় কেবল এই লাইনগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে। পুরো উপন্যাসের সারমর্মই যেন এটা!

বিজ্ঞান শিক্ষক স্কুল ছেড়ে যাবার পর হেডস্যারের কাছে যে চিঠি দিয়েছিলেন সেটাও প্রচন্ডভাবে দাগ কেটেছে মনে। চিঠিটাও উল্লেখ করছি,
'স্যার,
আমার সশ্রদ্ধ সালাম জানবেন। অনেকদিন পর আপনাকে লিখছি। ব্যাঙের ডাকের ইংরেজিটা প্রথমে বলে নেই- Croak। স্কুলে থাকার সময়ই ডিকশনারী ঘেঁটে ইংরেজীটা খুঁজে পেয়েছিলাম। আপনাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। কিছু কিছু মানুষের জরুরী কথা ভুলে যাবার প্রবণতা থাকে। আমার তো খুবই আছে। আমি আপনাদের ছেড়ে চলে এসেছি, আসার আগে সবচে জরুরী কথাটা বলতেও ভুলে গেলাম। সেটা হচ্ছে মানুষ হিসেবে আপনার তুলনা নেই। প্রতিষ্ঠান কখনো বড় হয়না। প্রতিষ্ঠানের পেছনের মানুষেরা বড় হয়। জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুল ধ্বংস হতে বসেছে তা আমাকে তেমন আলোড়িত করছে না, ধ্বংস প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়। ডাইনোসারের মতো বিশাল প্রাণী লোপ পেয়েছে। কিন্ত স্কুল টিকিয়ে রাখার জন্যে আপনি যে একক যুদ্ধ শুরু করেছেন তা আমাকে অভিভুত করেছে।
মানুষ কঠিন পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে যায়। ব্যাপারটা সব সময় আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। আপনাকে দেখার পর আর মনে হচ্ছে না। আপনাকে দেখার পর মনে হচ্ছে সব মানুষকেই তার ব্যক্তিগত এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে হয়। মানুষের এই হচ্ছে নিয়তি।
আপনার দুঃসময়ে আমি আপনাকে ছেড়ে চলে এসেছি- তার জন্যে আমি ক্ষমা প্রার্থী। আমি নিতান্তই দরিদ্র একজন মানুষ। বেঁচে থাকার সংগ্রামে আমাকে নামতে হয়েছে। আপনাকে ছেড়ে চলে এসেছি তার জন্যে আমার লজ্জার সীমা নেই।
আপনার ছাত্রদের আমি মুটামুটি ভাবে তৈরি করে দিয়েছি। আমি আমার সাধ্যমত করেছি। শহরের স্কুলগুলির সাথে তারা পারবে কিনা বলতে পারছি না। তবুও আশা করছি। শুনেছি দু'একদিনের ভেতর রেজাল্ট হবে। প্রবল আগ্রহ নিয়ে আমি তার জন্যে অপেক্ষা করছি।
স্যার, চলে আসার দিন আপনি আমাকে বিদায় দিতে স্টেশন পর্যন্ত এলেন। আমার খুব ইচ্ছা করছিল- পা ছুঁয়ে আপনাকে সালাম করি। কেন জানি পারলাম না- ট্রেন ছেড়ে দেবার পর দেখি আপনি চোখ মুছছেন। একজন মানুষের জীবনের সঞ্চয় খুব বেশি থাকে না। আপনার চোখের জল আমার জীবনের পরম সঞ্চয়ের একটি। আপনি ভালো থাকুন- এই শুভ কামনা। আমি দূর থেকে আপনার পা স্পর্শ করে সালাম করছি।
সালাম গ্রহণ করবেন- এই আমার বিনীত অনুরোধ


★ উক্তি :
★যেখানে নীতির চাইতে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক বেশি, সেখানে নীতিবানদের দুর্ভোগ চরমেই থাকে।

★যে যুগের সে বাতাস, সেই বাতাসে নৌকা চালাতে হবে না?

★ইঞ্জিনের নৌকা হলে অবশ্যি বাতাসের ধার ধারতে হয় না। নীতিবান মানুষ হল ইঞ্জিনের নৌকা।

★খুব সহজ স্বীকারোক্তি। যোগ্যতা থাকলে আর নীতিবান হলে বাতাসের ধার ধারতে হয় না

★সব মানুষকেই তার ব্যক্তিগত এভারেষ্টের চূড়ায় উঠতে হয়। মানুষের এই হচ্ছে নিয়তি।

★আমাদের চলার পথ সবসময় স্বাভাবিক থাকবে এমনটা ভাবা বোকামী। বরং সামনের পথটা মসৃণ না এবং চড়াই উতরাই এর শেষে একটা বিজয়ের মূহুর্ত অপেক্ষমান এমনটা মাথায় রাখলে তবেই এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে আমাদের।
Displaying 1 - 30 of 77 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.