Sir William Wilson Hunter KCSI CIE was a Scottish historian, statistician, a compiler and a member of the Indian Civil Service, who later became Vice President of Royal Asiatic Society.
উইলিয়াম উইলসন হান্টার সাহেব যিনি ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার নামে পরিচিত। এই হান্টার সাহেবের সমাধিক চর্চিত বই এটি ।এম আনিসুজ্জামান বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন। যখনই ভারতীয় মুসলমানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রামাণ্য তথ্য ও পটভূমি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন অনেকেই হান্টার সাহেবের এই বইটিকে টুক করে রেফারেন্স হিসাবে উদ্ধৃত করেন। দুই সম্প্রদায়ের একসাথে থাকতে না পারার ফলাফল দেশভাগ। একমাত্র দেশভাগই দুই সম্প্রদায়কে নিরস্ত করতে পারত- এমন ধারণার সপক্ষে যুক্তির পেছনের শক্ত খু্ঁটি বিবেচিত হতে পারে মি. হান্টারের পুস্তকখানি।
বইটি পড়া শুরু করার আগে হান্টার সাহেবকে নিয়ে জানতে গুগল করলাম।' ভদ্রলোক' খাশ আংরেজ নন, স্কটিশ। সাধারণত, মেইন ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের চেয়ে আইরিশ কিংবা স্কটিশরা কম ঔপনিবেশিক মনমানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকেন।মুনতাসীর মামুনের "কৌই হ্যায়" পড়তে গিয়ে তো এক আইসিএসের সন্ধান পেয়েছিলাম।যিনি বিপ্লবীদের সরাসরি সহায়তা করেছেন। তিনিও স্কটিশ ছিলেন। তবে আমাদের হান্টার সাহেব অন্যান্য স্কটিশদের মত নন। তিনি বেশ কষ্ট করে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। তারপর আইসিএস হয়ে ভারতবর্ষে পদার্পণ করেছেন মহাশয়। দীর্ঘকাল ভারতবর্ষে কাজ করেছেন। নামের আগে স্যার, পরে বড় বড় খেতাব জোগাড় করেছেন। আর ভারতবর্ষের ইতিহাস, অবস্থা নিয়ে কঠিন কঠিন সহীহ বই লিখেছেন। যাতে পশ্চাৎপদ ভারতবাসীর প্রভূত কল্যাণ হয়েছে। একইসাথে তিনি রাজপুরুষ হিসেবে কতটা সরেস ছিলেন তা নিয়েও জানতে পারলাম।জনাব মহারাণীর দাসানুদাস। এবং কট্টরপন্থী ঔপনিবেশিক মানসিকতার পূজারি। একইসাথে মুসলমান বিদ্বেষীও বটে।তবে এই বইয়ের মূল আকর্ষণ বাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়ের দৈনদশার হাল-হকিকত।
হান্টারের এই বই প্রকাশিত হয় ১৮৭১ সালে। একবার দেখলাম ১৮৭৬ সালে। বইটির শুরুতে তিনি সীমান্তপ্রদেশের মুসলমানদের কথা লিখেছেন। যারা সৈয়দ আহমদের নেতৃত্বে আবদুল ওয়াহাবের ওয়াহাবিজমে বিশ্বাস করে ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশদের। উল্লেখ্য, হান্টার প্রথম থেকেই সৈয়দ আহমদ ও তাদের অনুসারীদের ধর্মান্ধ বলে দাবি করেছেন। তারা ইংরেজরাজ্যের কত বড় শত্রু তা বারবার প্রমাণ করতে গিয়েছেন। প্রমাণ স্বরূপ ওয়াহাবিজমের উৎপত্তি নিয়ে অনেকগুলো পৃষ্ঠা লিখেছেন।ওয়াহাবিজমের উৎপত্তি নিয়ে হান্টারের লেখাটি সত্যিই ভাবনার উন্মেষ ঘটাবে। অন্যকে দোষারোপ করতে গিয়ে হান্টার নিজেই পরোক্ষভাবে বয়ান করেছেন ইংরেজরা কতটা জুলুমবাজ ছিল। ওয়াহাবিরা খুবই ধর্মান্ধ, অত্যাচারী - হান্টার মতে। এখন প্রশ্ন হল ওয়াহাবি কারা? হান্টার সাহবের একদেশদর্শী বর্নণাতে পুরো ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়ই ওয়াহাবিদের মতো গোঁড়া। আবার নিজেই লিখেছেন অনেক মুসলমান অধিবাসীরা এমন গোঁড়ামি মেনে নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের ঘটনা এর উদারণ।
ওয়াহাবিজম বাংলাতে ফরায়েজি আন্দোলন নামে বিস্তার লাভ করেছিল।হান্টার লিখেছেন বাংলার ফরায়েজি নেতারা দারুণ সৎ, ভালো লোক। একটু পরে পুরো বাঙালি মুসলমান হান্টারের চোখে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী ও রাজদ্রোহী।
এই বইয়ের সবচেয়ে আলোচিত অংশ হল মুসলমান সম্প্রদায়ের পেছনে পড়ে যাওয়া। ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত নামমাত্র মোঘল সম্রাটদের নামাঙ্কিত মুদ্রা চালু ছিল। এরপর ব্রিটিশ রাণী ও কোম্পানির নামে মুদ্রা চালু হয়। মোঘল ও নবাবি আমলে ব্যাপক নিষ্কর ও লাখেরাজ সম্পত্তি ভোগ করত মুসলমান সম্প্রদায়। চাকরিতেও বেশ ভালো অবস্থানে ছিল বাঙালি মুসলমানরাও। ধীরে ধীরে অবস্থা বদলে যেতে থাকে। জমি, চাকরি দুটোই হাত ছাড়া হয়ে যায় মুসলমানদের। ১৮৭১ সালের সরকারি চাকরির সম্প্রদায়গত তালিকা তুলে ধরেন হান্টার। ভয়াবহ এক অবস্থা দেখা যায় মুসলমান সম্প্রদায়ের। মুসলমানদের অস্তিত্ব তালিকাতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হান্টার লিখেছেন,
" ক'দিন আগে দেখা যায় যে, একটা বিভাগে এমন একজনও নেই যে মুসলমানের ভাষা পড়াতে জানে এবং বস্তুত এখন কলকাতায় এমন একটি সরকারী অফিস কদাচিৎ চোখে পড়বে যেখানে চাপরাশি ও পিয়নশ্রেণীর উপরিস্তরে একজনও মুসলমান কর্মচারী বহাল আছে। "
একই ভূখন্ডে পাশাপাশি বসবাসকারী হিন্দু-মুসলমান। এক সম্প্রদায় রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ অপর সম্প্রদায় দ্বিগুণবেগে পিছিয়ে পড়ছে। হান্টার কলকাতা আলিয়া মাদরাসার কথা লিখেছে। দাবি করেছেন ইংরেজ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও এগুতে চায়না বাঙালি মুসলমানরা। বরং জায়গীর থেকে নাকি তারা কলকাতার রাস্তায় বাবুয়ানা করে বেড়ায়। ঝানু আইসিএস হান্টার সাহেব সবসময় সত্য কইতেন না। সবার আগে সাম্রাজ্য - নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। পুরো বইতে তিনি ভারতীয় মুসলমানদের ধর্মান্ধ, রাজদ্রোহী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আবার নিজেই তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন। কেননা পুরো মিথ্যাশ্রয়ী হতে পারেন নি। বাঙালি মুসলমান পিছিয়ে পড়েছ তা স্বীকার করেছেন। কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করেছেন এর জন্য দায়ী ব্রিটিশদের একচোখা নীতি।
হান্টারের বইটি একটি পরিপূর্ণ ঔপনিবেশিক ও ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ। হান্টার সাম্রাজ্যবাদীদের পক্ষ নিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নানা প্যারাডক্সে ভরপুর যুক্তি দিয়ে পাঠককে সুযোগ করে দিয়েছেন ব্রিটিশদের নীতি বুঝতে। দেশভাগের অন্যতম অনুঘটক ছিল চাকরির ভাগাভাগি নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের তিক্ততা।এক্ষেত্রে পরুকল্পিত ডিভাইত এন্ড রূল পলিসি কীভাবে বাস্তবায়ন শুরু হল?কারা এই সমস্যা সৃষ্টি করেছিল? কবে থেকে এর শুরু? কেনই বা বঞ্চিত করা হয়েছিল মুসলমানদের? জানতে পড়ুন হান্টারের "দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস " বইটি। মনে রাখা ভালো বইটি লিখেছেন "আয়রন ফ্রেম অফ ব্রিটিশ এমপায়ার" নামে কথিত আইসিএস সম্প্রদায়ভুক্ত গর্বিত একজন সদস্য।
অনেকগুলো সত্য তথ্য দেওয়ার পরে, কোনো মিথ্যা না বলেও, কেবলমাত্র সত্য গোপণের মাধ্যমে একটা মিথ্যা বয়ান কিভাবে প্রস্তত হওয়া সম্ভব তা বুঝতে এই বইটি বিশেষ ভাবে কার্যকরী।
ব্রিটিশ আমলা হান্টার ১৮৭১ সালে ব্রিটেনের রাণীকে ভারতের মুসলমানদের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে এই আর্টিকেল লিখেন। মুসলমানদের দুর্দশার মাঝে মুসলমানদের দুপক্ষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি এবং হিন্দু-মুসলমান বিদ্বেষ তৈরিতে প্রস্তত আর্টিকেলটা দুই লাইনে সামারি করলে দাঁড়ায়,
"এটা ঠিক যে আমরা(ব্রিটিশ) হালকা পাতলা কিছু ভুল করেছি, আমাদের নিজেদেরও কিছু সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে — একচেটিয়া 'মুসলমান' মোঘল ভারতে হিন্দুদের সুবিধা দিতে গিয়ে মুসলমানদের সাথে কিছুটা অবিচারও হয়েছে সত্য; কিন্ত তারা নিজেরাও যেখানে পণ করেই রেখেছে যে তারা নিজেদের 'ডেভেলপ' করবেনা; উপরন্ত ধর্মীয় উগ্রবাদ, দারুল হারাব এর নামে আমাদেরকেই আক্রমণ করছে — শত চেষ্টা করেও তহ তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারছিনা (যদিও চেষ্টা চলমান)। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে, তাদের প্রতি আরো সহানুভূতিশীল হয়ে কিছু সংস্কার প্রস্তাব রাখছি, কেননা আমাদের হাতেই মুসলমানদের ভবিষ্যৎ — আশা করি 'শিক্ষিত' মুসলমানেরা আমাদের পাশে থাকবেন এবং এই সংস্কারকা�� সম্পন্ন হলে আজ থেকে বছর দশেক পরে মুসলমানের উন্নতি হবে।"
W.W.Hunter has expressly stated that the following book is written about Bengali Musalmans only, as he knew them intimately, thus the subject-matter of the book. However, the book leads the reader to believe that it is contemptuously written for the Musalmans, throughout India. It consists of four chapters of which the first three are devoted to the so-called Indian Wahhābī movement and its aftermath, He has greatly misled and exaggerated the account of establishment of Wahabi-ism; according to Si Syed Ahmed Khan. I struggled a lot finishing this book, as the tone of the book seems to be filled with so much contempt for Indians in general, and Muslims in particular.
যারা বাংলার ইতিহাস কিংবা রাজনীতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তাদের উইলিয়াম হান্টারের "দ্য ইন্ডিয়ান মুসলমানস" এর কাছে আসতে হয়েছে। কারও কাছে এই বই মুসলিমদের বীরত্বের দলিল, কারও কাছে এটা ফরমায়েশি লেখা যা divide and rule কে justify করে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭১ সালে, ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের তখন ১০০ বছরের শাসন হয়েছে। তার কয়েক বছর আগেই কঠোর ভাবে সিপাহী বিদ্রোহ দমন করে ব্রিটিশ রানীর অধীনে সরাররি ভারত শাসন করা হচ্ছে। এই অবস্থায় ব্রিটিশরা দেখলো, অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক হলেও ভারতের উত্তর পশ্চিমের সীমান্ত এলাকায় ব্রিটিশদের নিয়মিত যুদ্ধ করতে হচ্ছে মুসলিম মুজাহিদের সাথে। সংঘর্ষ সীমান্তে হলেও পুরো ভারত থেকেই মুসলিমরা যেমন যোগ দিচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন ভাবে অর্থও পাঠানো হচ্ছে। পত্র পত্রিকায় মুসলিমদের জিহাদের যোগ দেয়া ফরয কিনা, পক্ষে বিপক্ষে নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা আলেমের ফতোয়া প্রকাশিত হচ্ছে। উইলিয়াম হান্টার এই প্রশ্ন গুলির কারণ এবং এর থেকে বের হবার রাস্তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই বইয়ে।
প্রথম অধ্যায়ে লেখক সায়্যিদ আহমদ (র.) এর আন্দোলন এবং শিখদের সাথে তার লড়াইয়ের বর্ণনা দিয়েছেন। কিভাবে সমগ্র ভারত জুড়ে তিনি তার শিষ্য / মুরিদের তৈরি করেছেন, সীমান্ত এলাকায় আপাত ভিন্ন ভিন্ন জাতির মুসলিমদের একত্র করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন। তার শাহাদতের পরও যুদ্ধ থামেনি। শিখদের সরিয়ে ব্রিটিশরা যখন পাঞ্জাব, সীমান্ত প্রদেশ অধিকার করলো, তখন তাদের প্রতিনিয়ত একটা full scale যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত খণ্ড খণ্ড যুদ্ধে ব্রিটিশ সৈন্যরা মারা পরছে। এবং হান্টারের মতে, মুজাহিদরা যদি এশিয়ার দেশগুলোকে একত্র করে ব্রিটিশদের আক্রমণ করে, তাহলে যে কি হবে তার ভবিষ্যৎবাণী কেউ করতে পারে না। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন, জিহাদি সংঘটন সমূহের সাংগঠনিক অবস্থা। সায়্যিদ আহমদ (র.) এর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা কিভাবে মিথ্যা আর রঙ চড়িয়ে সারা ভারতের মুসলিমদের জিহাদে অংশগ্রহণ করাতে উদ্বুদ্ধ করছেন। কিভাবে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার এবং অর্থ পাঠানো হচ্ছে। তৃতীয় অধ্যায়ে জিহাদ জায়েজ কিংবা ভারত দারুল হারব কিনা এটা নিয়ে বিভিন্ন আলেম আর সঙ্ঘের ফতোয়ার এবং কি কি বিষয় সামনে রেখে তারা এই ধরনের ফতোয়া দিচ্ছেন। শেষ অধ্যায়ে একসময়ের প্রভাবশালী এবং সমৃদ্ধ মুসলমানরা ব্রিটিশদের অধীনে কিভাবে বঞ্চিত হয়েছে এবং এর থেকে বের হবার জন্য কি কি করা যেতে পারে, তার সুপারিশ।
আমার কাছে পুরো বইটাই ব্রিটিশ শাসনের একটা অসাধারণ দলিল বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য। ১০০ বছর পরও মুসলিমরা মাথা নত করে নি, তখনও ব্রিটিশরা চিন্তিত তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ব্রিটিশ অনুগত না থেকে তারা যতভাবে পারে ব্রিটিশদের থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করেছে, বিপরিতে হিন্দুরা সহজেই ব্রিটিশদের অধীনে চলে গেছে। এই ধরনের ধারণা এই বই থেকে সহজেই নেয়া যায়। এই ধরনের অনেক লেখা, বক্তৃতা অনলাইনে আছে।
এই বই পড়েই এরকম উপসংহারে পৌঁছানো সহজ, কিন্তু বাস্তবে আরও কিছু জিনিষ মনে রাখা দরকার। হান্টার সমগ্র ভারতের মুসলিমের বদলে বাংলার মুসলিমদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। যে সময়ে বাংলার মুসলিমরা শিক্ষা এবং চাকরি থেকে বঞ্চিত, সেই সময়ে উত্তর ভারত কিংবা পাঞ্জাব, মুম্বাইয়ের মুসলিমরা শিক্ষা, চাকরিতে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে ছিলেন। শুধু ব্রিটিশরা না, মুসলিমদের নিজেদেরও কিছু সমস্যা ছিল। আগে থেকেই শুধু মুসলিম হবার কারণে আকবরের আমল থেকেই তারা বেশ কিছু সরকারি পদ পেতো, তারা সেই কাজগুলি নিজে না করে তাদের অধীনস্থ হিন্দু নায়েব গোমস্তাদেরদের দিয়ে করাতো। এই হিন্দুরাই পরে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এর সুযোগে জমিদার বনে যায়। ইংরেজি শিক্ষা আসার পরও অনেকটা সময় শুধু জাতিবিদ্বেষ থেকেই সন্তানদের স্কুলে পাঠাতো না। পূর্ব বাংলার অধিকাংশ মুসলিমরা গরীব কৃষক হওয়ায় তাদের সন্তানদের স্কুলে পড়াবার সামর্থ্যও ছিল না। হিন্দুরা অনেক এগিয়ে থাকলেও সব হিন্দু না, উচ্চ বর্ণের হিন্দুরাই, নিম্ন বর্গের অনেক হিন্দুই আগের মতই দুর্দশায় ছিল।
লেখক নির্দ্বিধায় ইন্ডিয়ান অনুগত, তাই অনেককেই দস্যু, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধ, গোঁড়া হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না, আজকে মুসলিমরা তাদের সম্মানের সাথে স্মরণ করে। আজ থেকে ২০০ বছর আগে দলিল দস্তাবেজ খুঁজে যে এইরকম একটা বই লেখা সম্ভব তা ভাবাই যায় না। এত পুরানো হওয়া সত্ত্বেও ভাল কোন অনুবাদ নেই। ইংরেজি বই ও সহজে পাওয়া যায় না। আশা রাখি original text থেকেও এই বই আরও এক বার পড়তে পারবো।
1757 - battle of Plassey 1764 - battle of Buxar 1765 - treaty of allahabad
Now, brits have the diwani rights in Bengal. Right to collect taxes
But it was 1828 when they started taking lands from muslim landlords who were given lands as patronage from nawab of Bengal.
Till 1835, brits minted coin with the name of the mughal king.
Brits alloted some money for propagation of local languages, because of bad state of Arabic and Persian it was during 1847-52, when those languages saw steep decline.
1856 - Brits annexed awadh. Awadh was the last and most prosperous nawab in North India. And he was exiled in Bengal.
1857 - The revolt happens.
It was not the first war of independence. It was muslims fighting for their lost Kingdom. That's why the leader of the revolt was bahadur Shah Zafar. If they had won, they would have been worse than any muslim kingdom that India saw before. Because at this time they had gone full wahabbi. Wahabbi network was all through north india (it was all over in India but north region contributed the most). Patna was the preaching capital. Money and people were collected and sent to north west frontier for training. At first their target was the Sikh empire. Prince Sher singh killed their leader, Syed Ahmad, in balakot. Till date, balakot trains the faithful to fight infidels. Native Indian kings fought for themselves because they had all lost their kingdom. Even the likes of savarkar called it the first war of independence. We can see it's practical purpose, but it was very misguided as we see now, they distorted history beyond comprehension to integrate muslims in India. In theory it makes sense but now we see it just did the opposite.
After this Brits went on campaigns and appeasements to solve this problem. 1863 - frontier (north west frontier) war 1864 - ambala trial 1865 - patna trial 1868 - campaign on the black mountains 1870 - maldah trial
Appeasements got them division of Bengal in 1905. Muslim league in 1906 and eventually Pakistan. They won. Because they were violent and violence made Brits realise it's a serious threat. Nothing is serious till it's violent, when you are fighting with someone. Meanwhile the great genius gandhi kept us non violent with his soul force.
উপনিবেশ আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আড়ালে ব্রিটিশদের চক্রান্তের স্বীকার হয়ে পরাধীনতায় ডুবে গিয়েছিল এ উপমহাদেশ। এর প্রধান একটি কারন ছিল কৌশলে জনগনের নিয়ন্ত্রন নিয়ে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি করে রাখা, অধিকার বঞ্চিত করে বঞ্চিতদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে রাখা। তাদের এহেন স্বভাবের জন্য তারা ইতিহাস বিখ্যাত বলেই দুই শতাব্দীর মত অস্তমিত ছিল উপমহাদেশের স্বাধেনতা। তারা এ কাজটি কি ভাবে করে তার একটি নমুনা এই বইটি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশকে মুক্ত করার লক্ষে যারা আন্দোলন ও লড়াই শুরু করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কথার প্যাচ দিয়ে ভিন্ন স্রোতে ইতিহাস লেখা যেমন অন্যায় ঠিক সেরকমের আশ্রয়ে লেখক লেখক উইলিয়াম হান্টার যারা ব্রিটিশ উপনিবেশ এর অন্যায়-অত্যাচার এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ও লড়াই সূচনা করেছিল তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রচেষ্টাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহের চেষ্টা করেছেন। তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন ভারত উপমহাদেশের মানুষকে ব্রিটিশ মহান জাতি সভ্যতার ছোঁয়ায় রাঙাতে এসেছেন আর তাদের এই মহৎ কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন উপমহাদেশের মুসলিম জনসাধারণ। লেখক কৌশলে সত্যের সঙ্গে মিথ্যের প্রলেপ দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসে থেকে শুরু করে হিন্দু-মুসলিমের মাঝেও বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছেন। ঘটনার কাটছাঁট ও জোড়াতালির মাধ্যমে জনমনে স্থান পেতে চেয়েছেন। এহেন দাবীকে ডুবিয়ে দিয়ে লেখক সত্যন সেন তার 'বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের ভূমিকা' বইতে চমৎকার জবাব দিয়েছেনঃ
" বস্তুতঃপক্ষে ১৮৫৭ সালে মহা বিদ্রোহের আগেই স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়ে গিয়েছিল। বর্তমান উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলীর সৈয়দ আহমেদের নেতৃতে মুজাহিদ বাহিনী ১৮২৬ সাল থেকে অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যে জেহাদ চালিয়ে আসছিল, তাকে অবশ্যই স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা বলতে হবে। বিদেশী ইংরেজদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।"
তিনি আরও বলেন " এ কথা বললে ভুল হবেনা যে নানা কারনে এই বিদ্রোহ মোটামুটি সর্ব-সাধারনের সমর্থন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। "
ব্রিটিশদের অত্যাচারের মাত্রা দেখে বিখ্যাত লেখকগনের কলমও কেপে উঠেছিল। এমনকি বিখ্যাত আমেরিকান লেখক Will Durant উনিশো ত্রিশের দশকে এক গবেষণার কাজে ভারতে এসে ব্রিটিশদের অত্যাচার দেখে গবেষণা বন্ধ করে কলম ধরতে বাধ্য হন এবং তার কিছু ভয়াবহ বর্ণনা আমরা তার বিখ্যাত বই 'The Case for India' তে দেখতে পাই।
ইংরেজ শাসনামলে মুসলমানদের অবস্থা ও বিদ্রোহের কারন জানতে চেয়ে উইলিয়াম হান্টারকে দায়িত্ব দেয়া হলে উনি যে রিপোর্ট দেন, সেটারই হার্ডকভার এই বইটি। মুসলমানদের প্রতি সর্বোচ্চ বায়াসড হয়ে এই বইটি তিনি লিখেছেন। যদিও বইটিকে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে মনে করা হয়, আসলে এখানে লেখক ইতিহাসের চরম অবমাননা করেছেন।