Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
জাফর ইকবাল সাহেবের মেজাজটাই বিগড়ে গেল,যখন ত্রিশ টাকার ভাড়া স্কুটারওয়ালা চাইল পঁয়ত্রিশ টাকা।শুরু হলো তুমুল ঝগড়া, হঠাৎ করেই ঝগড়াতে বাগড়া দিল যন্ত্রপাতি হাতে অদ্ভুত এক মেয়ে, ক্যালকুলেটর টিপে বলে দিল স্কুটারওয়ালা মোটেও মিথ্যা কথা বলে নি!!যাওয়ার সময় জাফর সাহেবের হাতে হাবিজাবি লেখা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে গেল মেয়েটা,জাফর ইকবাল তখনও জানেন না,এই মেয়েটার নাম সায়রা এবং ইনি একজন সায়েন্টিস্ট!! .
জাফর ইকবাল সাহেব ভেজিটেবল টাইপের মানুষ,জগত সমন্ধে তার জানার আগ্রহ বা ইচ্ছা কোনটাই নাই।এই যুগেও উনি ই-মেইলকে মেইল ট্রেন জাতীয় কিছু একটা মনে করেন।এই কথা শুনে বিল্টুর লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার মতো অবস্থা!!আর এরকম অথর্ব মামার জন্য কারই বা লজ্জা হবে না??বিল্টুর কাছে গিয়ে জাফর সাহেব আবিষ্কার করলেন,ঐ হাবিজাবি লেখা কার্ড আসলে ই-মেইল অ্যাড্রেস,যে অ্যাড্রেস ব্যবহার করে বিল্টু সায়রা সায়েন্টিস্ট এর নাড়িনক্ষত্র বের করে ফেলল।জাফর ইকবালও পরিচিত হলেন বিজ্ঞানকে ভালোবাসা অদ্ভুত মেয়েটির সাথে!!
তিনটি নভেল্লা আছে এই বইয়ে। সেগুলো হল~ ১. জরিনি ইঁদুর ২. মোল্লা গজনফর আলি ৩. মালিশ মেশিন প্রথম এবং তৃতীয় লেখাদুটো সবই ভালো। শেষেরটা পড়ে প্রচুর হেসেছি।
সায়রা সায়েন্টিস্ট পড়ার সময় শুধু একটা কথাই মনে হয়েছে, সায়রার মত এমন একটা আউলা ঝাউলা মাথা খারাপ করা বিজ্ঞান মনষ্ক মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারতাম! :p
সায়েরা সায়েন্টিস্ট একটা সায়েন্স ফিকশন গল্প সংকলন।গল্পগুলো হলোঃ ১. জরিনি ইঁদুর ২. মোল্লা গজনফর আলি ৩. মালিশ মেশিন বইটা পড়ার সময় অন্য একটা বই এবং একটা সিরিজের(বই) কথা খুব মনে পড়ছিল। বইটা জাফর ইকবাল স্যারেরই অন্য একটা বই, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার। লেখক নিজেই বলেছেন সায়েরা সায়েন্টিস্ট সফদর আলী থেকে অনুপ্রাণিত।লেখালেখিতে একটা গ্রহণযোগ্য চরিত্র সৃষ্টি হয়ে গেলে তাকে নিয়ে আরো লেখালেখি করার প্রচলিত পধতি অনুসরণ করতে চান না বলেই পাঠকদের চাপে সফদর আলীর ফিমেল ভার্সন সায়েরা সায়েন্টিস্ট এর অবতারণা করেছেন। যদিও এ নীতি থেকে বর্তমানে সরে এসে তিনি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু লিখে যাচ্ছেন। এটা আগে থেকে করলে হয়ত সফদর আলী অসাধারণ একটা সিরিজ হয়ে যেত। প্রথমে যে সিরিজটার কথা বলেছিলাম আপনারা হয়ত অনেকে সেটা বুঝতে পেরেছেন। সেটা সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত শঙ্কু সমগ্র। মূল ফরমেটে মিল থাকলেও গল্পের ধাঁচ, লেখনী সবকিছুই সতন্ত্র।
এবার ছোট্ট করে পাঠপতিক্রিয়া বলে যাই। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে মোল্লা গজনফর আলী। রিভেঞ্জ স্টোরি আমার এমনিতেই ভালো লাগে, এটা তো আরো এককাঠি সরেস! আর মালিশ মেশিন গল্পটা পড়ে প্রচন্ড হেসেছি। জরিনি ইঁদুর গল্পটাও ভালো।
সম্ভবত এটাই আমার পড়া প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। ক্লাস এইটের জেএসসি পরীক্ষা শেষে বইটা পড়েছিলাম। বৈজ্ঞানিক বেশ ইন্টারেস্টিং এবং হাস্যরসাত্মক ব্যাপার নিয়েই বইটা। বেশ ভালো লেগেছিল। :)
বইটা এখনতখন মানিক রতন, বিজ্ঞানী অনিক লম্বা আর সফদর আলীর মহামহা আবিষ্কার বইগুলোর আগে পড়লে হয়তো বেশি মজা পেতাম। এই টাইপ গল্প প্রথম যখন পড়েছিলাম দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। অনুভূতি থিতু হয়ে গেছে। এখন সেইম জিনিসে আর আগের মতো আর সেই দারুণ অনুভূতি হয় না। ডোজ বাড়াতে হবে মনে হচ্ছে 😄।
২০০৩ এ যখন প্রথম বইটা বের হয় তখন কম্পিউটারে আমার হাতেখড়ি। ইমেইল, মেসেঞ্জার, গুগল সম্পর্কে নতুন ধারণা হচ্ছিল। তাই বইয়ে লেখা কল্পবিজ্ঞান তখন অনেক হাসির মনে হলেও এতবছর পরে এসে যখন মালিশ চেয়ার দেখি তখন এই বইটার কথাই মনে পড়েগিয়েছিল। যদিও বইয়ের নাম ভুলে গিয়েছিলাম। বইটাতে বাচ্চাদের উপযোগি করে বিবর্তনবাদ নিয়েও বলা আছে।
অনেকদিন পরে লেখকের বই পড়লাম। বইটা ২০০৩ এর বইমেলা থেকে কিনেছিলাম। ঢাকায় আমার প্রথম বইমেলায় যাওয়া। বইটা হারিয়ে গিয়েছিল। এতদিন পরে আবার দেখে দ্রুতই পড়ে ফেললাম। ঠিক প্রথমবার পড়ার মতই অনুভূতি হল।
বইটা পড়েছিলাম স্কুলের লাইব্রেরি থেকে নিয়ে, 2014 এর মে জুন মাস হবে। স্কুল থেকে ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষে বিকেলে বই হাতে ছাদে গিয়েছিলাম। এক বিকেলেই প ড়া শেষ ! এখনো মনে আছে ওইদিনের গোধূলির আকাশ ছিল অসম্ভব সুন্দর, লাল বেগুনি গোলাপি, হাহা স্যার যেমনটা বলেন nitrogenous sky! সুন্দর স্বর্নালি এক সন্ধ্যায় তবু বারবার মনে হচ্ছিল আহ কি সুন্দর এই জীবন অতচ কত দ্রুত সময় হারিয়ে যাচ্ছে। দিনগুলি মোর সোনার খাচায় রইল না, রইল না সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি।
9/10 বছর পর যে ঠিক সায়রা নামেই কাউকে বন্ধু হিসেবে পাবো, ঘূর্ণাক্ষরেও তা কখনও ভাবিনি।
আমার মনে করে পড়া প্রথম গল্পের বই এটা। জাফর ইকবাল, গল্পের বই নাকি আমার জীবনেরও শুরু ছিল সেটা?
একটা বাচ্চার ইম্যাজিনেশন আর মজা দেবার যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা জাফর ইকবাল স্যারের ছিল, সেটা কেউই অস্বীকার করবেন না হয়ত। এই বয়সে পড়লে তিন স্টারই হয়ত দিতাম, কিন্তু এই রেটিং আর রিভিউ একটা ক্লাস টুর বাচ্চার দেওয়া।
বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, যাকে সায়েন্স ফিকশন বলি, তার কথা বললে যে নামটা অবধারিতভাবেই সবার আগে আসবে, তিনি হলেন ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল।কোনো এক মায়াবী ছোঁয়াতেই বোধহয় সিলেটে জন্ম নেওয়া সাদা চুলো আর সাদা গোঁফ ওয়ালা এই লোকটার চমকপ্রদ রচনায় বুঁদ হয়ে থাকে কিশোর-তরুণ পাঠকসমাজ ।আমিও স্যারের তেমন ই এক গুণমুগ্ধ পাঠক ,চেষ্টা করছি তার এক অসাধারণ রচনার পাঠ-প্রতিক্রিয়া,পোশাকি ভাষায় "রিভিউ" লেখার। "সায়রা সায়েন্টিস্ট" শীর্ষক গল্পটি লেখক লিখেছেন নিজের জবানিতে। তিনি নিজে এই গল্পের এক অপরিহার্য চরিত্র। গল্পের মূল কাহিনী শ্রীমতী সায়রা, যিনি সায়রা সায়েন্টিস্ট বলে খ্যাত, তাকে নিয়ে। মগবাজার মোড়ে লেখকের সাথে যখন তার প্রথম আলাপ হয়, যখন তিনি ফিল্ড টেস্ট করছিলেন নিজের তৈরি করা ভয়েজ সিন্থেসাইজারটির ,যেটি ভোকাল কর্ডের ফ্রিকুয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক দিয়ে ডিটেক্ট করতে পারে একজন বক্তা রাগ করেছে ,না কি করেনি অথবা সে মিথ্যা বলছে না কি সত্যি বলছে ।উৎসুক লেখক(যিনি নিজেকে "মান্ধাতার আমলে"র বলে উল্লেখ করেছেন এ গল্পে) তার "স্মার্ট" এবং "মডার্ন" ভাগ্নে বিল্টুর সহায়তায় যোগাযোগ করেন শ্রীমতী সায়রার সাথে, একদিন উপস্থিত হন সায়রার বাসায়, তথা "ল্যাবে". সায়রার অভিনব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার জেনেটিকালি মডিফায়েড ইঁদুর "জরিনি", যার আইকিউ ১২০ এর কাছাকাছি, নারী সমাজকে রন্ধনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ডাল রাঁধার মেশিন(যা পরে ডিম ভাজার এবং ভাত রাঁধার যোগ্যতা অর্জন করে) লেখককে হতবাক করে। এরপর জরিনির বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়ে যাওয়া, তাকে হত্যা করতে সায়রার বহুমুখী বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ, বল্টুর সহায়তায় জরিনিকে উদ্ধার , পরবর্তীতে বল্টুর কাছে জরিনির থাকা --- এভাবে এগিয়েছে গল্পের কাহিনী । এর পরের অংশে এসেছে সায়রা র আরেক আবিষ্কার ট্রান্সক্রেনিয়াল স্টিমুলেটর,যা দিয়ে ব্রেইনের বিশেষ অংশে স্টিমুলেশন দিয়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যাবে যেকোনো অনুভূতি। এ অদ্ভুত যন্ত্রে লেখকের গিনিপিগ হওয়া, মজার কিছু এক্সপেরিমেন্ট, পত্রিকায় প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ, এ সংক্রান্ত বিড়ম্বনা এবং পরিশেষে পুনরায় বিজ্ঞান এর সহায়তায় সকল রহস্য উদ্ঘাটন--- পাঠকের জন্য বড় চমক নিয়ে অপেক্ষা করছে। শেষ অংশে এসেছে "মালিশ মেশিন" এর কথা, যা শুধু মালিশ করে লেখককে আরাম ই দেয় নি, একসময় রক্ষা করেছে চোরের হাত থেকে। পুরো গল্পে একদিকে লেখক যেমন হাস্যরস, সমকালীন সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেছেন, তেমনি বিবর্তন,রেডিয়েশন এর মাধ্যমে কৃত্রিম নির্বাচন, ম্যাগনেটিক ফিল্ড, স্টিমুলেশন,নিউরন,স্বাদ এর বৈজ্ঞানিক রূপ সহ নানাবিধ বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় অতি সহজ আর ঝরঝরে ভাষায় উঠে এসেছে এ লেখায়।আবার প্রতারণা- অন্যায় এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের কার্যকর প্রয়োগ ও উঠে এসেছে এ গল্পে, যখন সায়রা জনসমক্ষে ফাঁস করে দিয়েছে মোল্লা গজনফর আলীর অসৎ কর্মকাণ্ডকে, গল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ বোধকরি ঐটিই। এ জাতীয় নানা মাত্রার আর আর নানা স্বাদের ঘটনাবহুল সমন্বিত চিত্র "সায়রা সায়েন্টিস্ট", যা বোধহয় বিজ্ঞান-ফ্যান্টাসি আর হৃদয়রসের সংবন্ধনে মানবীয়, স্বপ্নভারাতুর হয়ে কল্পকাহিনীর অদ্ভুতত্ব ছাড়িয়ে চলে গেছে বহুদূর। 😇😇
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির কথা বলতে গেলে প্রথমেই যার নাম আসবে, তিনি মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর অনবদ্য বিশ্লেষণ দক্ষতা, খটমটে বিজ্ঞানকে সহজ ভাষায় তুলে ধরার সাবলীল ধারা পাঠককে সহজেই আকৃষ্ট করবে। সায়রা সায়েন্টিস্ট জাফর ইকবালের তেমনি একটি হাস্যরসাত্মক মজার সাইন্স ফিকশন বই।
সায়রা একজন মেয়ে সায়েন্টিস্ট, যার কাজ ই হচ্ছে প্রাত্যহিক জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য মজার সব আবিষ্কার নিয়ে মেতে থাকা। প্রতিটি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সাফল্য আসলেও বিপত্তি ঘটে বোকাসোকা এই লেখকের সাথে। নিরেট সহজ সরল এই লেখকের জীবনে ঘটে যাওয়া কয়েকটি মজার সাইন্টিফিক আবিষ্কারের উপাত্ত নিয়ে এই বইটি রচিত।
এরমধ্যে প্রথম গল্পটি হচ্ছে "জরিনি ইঁদুর"। সায়রা কথা বলতে পারা ইঁদুর আবিষ্কার করেছেন। বিবর্তনের ধারা ঠিক রেখে রেডিয়েশন দিয়ে মিউটেশন করে ইঁদুরের বুদ্ধি ভিত্তিক পরীক্ষা ই এর উদ্দেশ্য। সায়রা সে কাজে সফল হলেও দেখা দিলো এক মজার সমস্যা। কি সেই সমস্যা? লেখক মূলত দেখাতে চেয়েছেন বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ি কখনো সখনো ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।
বইটিতে আরো পাবেন "মোল্লা গজনফর আলী" এবং "মালিশ মেশিন" এর মতো মজার সব হাস্যরসাত্মক গল্প।
এটা নিতান্তই বাচ্চাদের জন্য, বড়ো বয়সে পড়ে ঠিক ততটা মজা পেলাম না।তবে মালিশ মেশিন অধ্যায় টি পড়ে তবু মজা পেয়েছি। বাচ্চা থেকে কিশোর বয়সিদের জন্য বেশ মজার একটা রসদ।
এখানে মূল চরিত্র দুটি সায়রা ও জাফর ইকবাল সাহেব। সায়রা এক জুনিয়ার সায়েন্টিস্ট বলা যায়। নানান যন্ত্রপাতি তৈরি করতে থাকে। এই সায়রাকে নিয়েই বেশ কটি গল্প আছে - ❇️ জরিনি ইঁদুর : আমার কিন্তু জরিনিকে বেশ দুষ্টু মিষ্টি লেগেছে। জরিনি এক ধুরন্ধর, বুদ্ধিমতী নেংটি ইঁদুরী। সেই ইঁদুরীকে নিয়েই মজার গল্প। ❇️ মোল্লা গজনফর আলী : সায়রা আবিষ্কার করে রান্না করার মেশিন আর ট্রান্সকেনিয়াল স্টিমুলেটর -যার মাধ্যমে এক এক রকম অনুভুতি জাগিয়ে তোলা যায়।আর এই যন্ত্রটা মোল্লা গজনফর আলী ঠকিয়ে চুরি করে এবং পরে তার শাস্তিও ভোগ করে। ❇️ মালিশ মেশিন : সায়রা জাফর ইকবাল সাহেবের জন্য মালিশ মেশিন তৈরি করে। *চোরের সাথে ইকবাল সাহেবের আলাপটি বেশ হাস্যকর লেগেছে।😄
আমার পড়া জাফর ইকবাল স্যারের দ্বিতীয় বই এটি। প্রথম পড়েছিলাম মেকু কাহিনী। তখন খুব সম্ভবত ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে পড়তাম। মামা-খালামনি য়্যুনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় আমার জন্য দুই একটা করে বই নিয়ে আসতেন। এবং সেগুলো ছিল আমার কাছে যক্ষের ধনের থেকেও বেশি মূল্যবান।
বইটি পড়ে এতো চমৎকৃত হয়েছিলাম যে স্কুলেও নিয়ে গেছিলাম। এক বান্ধবী ধার নিয়েছিল পড়ার জন্য। এতদিন পরেও সে বইটি আমাকে ফেরত দেয়নি :') সেবার থেকে আমি কাউকে আর বই ধার দিই না, দিলেও পইপই করে ফেরত নিই। এখনও বইটিকে খুব মিস করি। ধার দেয়ার আগে যে কতবার পড়েছি। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই। তখন থেকেই জাফর ইকবাল স্যারের লিখার প্রেমে পড়ে গেছিলাম। এখন যদিও তেমন একটা পড়া হয় না কিন্তু সম্পূর্ণ শৈশব-কৈশোর জুড়ে তার একেকটা গল্পের বর্ণিল বিস্তরণ ছিল। আমি তপু, টুকুনজিল, মেকু কাহিনী, হাত কাটা রবিন, দিপু নম্বর টু, বিজ্ঞানী সফদর আলির মহা মহা আবিষ্কার.... আহা শৈশব!!
যখন ত্রিশ টাকার ভাড়া স্কুটারওয়ালা চাইল পঁয়ত্রিশ টাকা তখন জাফর ইকবাল সাহেবের মেজাজটাই বিগড়ে গেল।হঠাৎ করেই বাগড়া দিল যন্ত্রপাতি হাতে অদ্ভুত এক মেয়ে, ক্যালকুলেটর টিপে বলে দিল স্কুটারওয়ালা মোটেও মিথ্যা কথা বলে নি!যাওয়ার সময় জাফর সাহেবের হাতে হাবিজাবি লেখা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে গেল,তিনি তখনও জানেন না,এই মেয়েটা সায়রা সায়েন্টিস্ট। জাফর ইকবাল সাহেব ভেজিটেবল টাইপের মানুষ।এই যুগেও উনি ই-মেইলকে মেইল ট্রেন জাতীয় কিছু মনে করেন।এই কথা শু���ে বিল্টুর লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার মতো অবস্থা।বইটি সাইন্স ফিকশন হলেও মূলত ছোটোদের জন্য।
খুবই প্রিয় একটি বই। টেনিদার বাইরে আর কোনো বই পড়ে এতটা হেসেছি বলে মনে হয়না। পরতে পরতে হাসি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল নিজেকে এমন হাস্যরসাত্নক ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বলার মত না। সেই সাথে মহিলা বিজ্ঞানী সায়েরা সায়েন্টিস্টও বাংলা সাহিত্যে এক দারুণ সংযোজন। ছোটোবেলার স্মৃতি। আবার ঝালিয়ে নিলাম। আমার সারাজীবনে পড়া সেরা দশ বইয়ের মাঝে এটি থাকবে।
পাগল টাইপের একটা মেয়ে।কিন্তু কি বুদ্ধি।আর কি প্রতিবাদ।এমনই প্রতিবাদ যে মেয়েদের যাতে ঘরে বসে রান্না করতে না হয় সেজন্য একটা রান্না করার যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেললো!মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যদি সায়রা হতাম, তা হলে কি মজা হতো!
প্রথমে 'বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার' পড়েছিলাম। এরপর 'সায়রা সায়েন্টিস্ট' পড়েছি। প্রথম বই খুব ভালো লাগলেও দ্বিতীয় বই পড়ে হতাশ হয়েছি। সায়রা সায়েন্টিস্ট বইয়ের অনেক গল্প বিজ্ঞানী সফদর আলীর গল্পের সাথে মিলে যায়।
বরাবরের মতোই ভিন্ন ভিন্ন কিছু খন্ড ঘটনা দিয়ে বিজ্ঞানের কিছু খন্ড দিক মজার সাথে উপস্থাপন করেছেন প্রিয় লেখক। মাস্ট রিড বলছি না। তবে অবসর সময় খারাপ যাবে না।
WE NEED Women In STEM representation and you've given us some. Not only is she a scientist, but SHE'S A MAD SCIENTIST. A mixture of Simone Giertz, Diana the Physics girl, Olga Romanoff, Mad Mathésis, Camille Schrier (Miss Virginia 2019) and Dr. Louise G. Robinovitch and she's perfect. 🤩 The author writing this in first person using his (can you believe it) actual name greatly downgrading his IQ level brings on a layer of comedy gold. 👌🏽 Give us more. We need it. It is time. 🥂Here's to more Saira Scientist. Both in fiction and in real life. 🥂
This entire review has been hidden because of spoilers.