Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.
Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.
Works: Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.
As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).
Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.
Death: Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.
Awards & Honours: He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).
অনেক অনেক কাল আগের কথা। সেই সময়, প্রথম আলো পড়া হয়ে গেছে। পূর্ব-পশ্চিম পড়বো। কাগুজে বইয়ের অভাবে পিডিএফ। ফোনে বেশিদূর পড়া হলো না। তার পর এত মোটা ফিকশন দেখে আরো অনেকদিন দূরে সরে থাকলাম। অবশেষে এখন পড়ছি।
তো এই বইয়ের একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র, পিকলু আবার আমার প্রেমিকার ক্রাশ। যেনতেন ক্রাশ না, সিরিয়াস ক্রাশ। সেটাও হয়ত এড়ানোর একটা সাবকনশাস কারণ যদিও আমি স্বীকার করতে চাই না।
যাহোক, সুনীলের লেখা আমি পড়তে ভালোবাসি কিন্তু লেখনির কোন গুণে ভালোবাসি তা বলা কঠিন। সুনীল খাটতেন, স্টাডি করতেন, জানতেন, অন্তর্দৃষ্টি ছিল, এগুলো ঠিক। তবে এগুলো থেকে 'বুকে দুটো বাতাবিলেবু' মার্কা উপমাও সহ্য করা যায় কিনা ভাবার বিষয়। তবে সেটাও হয়ে গেলো আরকি। চুপসানো ফুটবলও সহ্য হয়ে গেছে বাই দি ওয়ে...
অনেকদিন ধরে বইটা রেখে দিয়েছিলাম কিছুটা পড়ে। শেষ করে বড্ড শান্তি লাগছে। আবার খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় খন্ড হাতে পাওয়া প্রয়োজন। লেখক সময় ট্রিলজির বাকি দুটো বইয়ে যেভাবে সুন্দর করে আস্তে ধীরে চরিত্র বিল্ডআপ করেছেন, এখানেও তজই। প্রতাপ,অতীন,অলি, তুতুল যেন আমারই জীবনের মানুষ। কি অসাধারণ ভাবে আবেগের বহিঃপ্রকাশ লেখায়।
দেশ ভাগাভাগির সময় পূর্ব বাংলার অনেক মানুষ নিজেদের বাড়িঘড় ছেড়ে পশ্চিম বাংলায় চলে যায়, সেখানেই তাদের জীবন গড়ে ওঠে। পূর্ব বাংলা বা বাংলাদেশের স্মৃতি, নাগরিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুন্দর একটি বই......
The past is a foreign country. They do things differently there.
এই বইটা আমাকে নস্টালজিক করে দিয়েছে এমন একটা সময়ের জন্য যে সময়ে আমার অস্তিত্বই ছিল না। বার বার মনে হয়েছে যে রাস্তায় আমি আজ হেটে বেড়াই সেই একই রাস্তায় একদিন প্রতাপ, ত্রিদিব, বিমান, পিকলু, বাবলু, মামুন, তুতুল, অলি আর বুলারা হেটে বেড়িয়েছিল। চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল স্বাধীনতার মূল্য আর তার সাথে জুড়ে থাকা দীর্ঘশ্বাস। অনুভব করেছি নিজ শেকড় ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া মানুষের হাহাকার। পূর্ব-পশ্চিম স্বাধীনতার গল্প, পূর্ব-পশ্চিম দেশভাগের গল্প, পূর্ব-পশ্চিম সে সময়ের রাজনীতির গল্প। সুনীল বাবুর লেখার গুনে উপন্যাসটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। কি নেই এতে?পরিবার, এলাকা, দেশ, প্রেম, রাজনীতি সবকিছু অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে তৈরি করেছেন লেখক। পড়ার সময় মনে হয় আমি যেন এই চরিত্রগুলোর মধ্যেই কেউ একজন। লেখক ধীর লয়ে একজন তুখোড় শিল্পীর দক্ষতায় প্রতিটি চরিত্রকে জীবন্ত করতে সক্ষম হয়েছেন । আমি যারপরানাই মুগ্ধ। ৭৫৩ পেজের অসাধারণ উপন্যাস শেষ করলাম এইমাত্র৷ বুকের উপর নিয়ে বসে আছি দ্বিতীয় খন্ড। আশা করি পরের খন্ড নিরাশ করবে না।
বড় উপন্যাস বিশেষত ইতিহাস ভিত্তিক উপন্যাস পড়বার পড়ার অসুবিধা হল-মাঝে অনেক ভালো সময় গেলেও -যে চরিত্রকে ঘিরে পুরো উপন্যাস টি আবর্তিত হয়, যৌবনপর্ব শেষে তা বৃদ্ধ হয়ে যেন আমাদের কাদিয়ে চলে যায়। সেই যে প্রতাপ, তার মা সুহাসিনী, প্রথম থেকে তারা কলকাতার অধিবাসী হলেও তাদের সেই কিশোর কাল তো সেই বাংলায়। সেই আটচালা বাড়ি, সেই আম গাছ,মাছের পুকুর। বাবা যেন খড়ম পাকিয়ে আসবেন। মাঝে বাংলাদেশ স্বাধীন হল, বাবুল,মামুন এরা যেন যুদ্ধের স্মৃতি হয়ে রইল। কিন্তু দিনশেষে প্রতাপের মত আমিও যেন চাচ্ছিলাম সেই দেশে ফিরে যাব। অসাধারন যুদ্ধের বর্ননা, সেটাকে পুরোপুরি সঠিক বললে ভুল হবেনা। রুমি-জাহানারা ঈমাম, সেই নিয়াজী, অনমনীয় ইন্দিরা গান্ধী সবাই তো ইতিহাসের অংশ। সবসময় তো ইতিহাসের বই পড়ি, কখনো সেই ঝোপে বসে যুদ্ধ দেখা হয় নি, সেই বিজয়ের মাঠে বসে থাকা হয়নি। উপন্যাসে সেই কল্পনাপ্রসূত সৌভাগ্য হয়েছে বৈকি।
অবশেষে শেষ করলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর পূর্ব পশ্চিম ০১.. প্রায় ৫/৬ মাস সময় নিয়ে ফেলেছিলাম এই একটা বই শেষ করতে, শেষ করে অনেকটা ভারমুক্ত লাগছে নিজেকে। শেষের ৫০/৬০ পৃষ্ঠা কিছুটা বোরিং ছিল। কিন্তু প্রথম থেকে অবশ্য মন্দ লাগে নাই, মোটের উপর, ইতিহাসের উপর, দেশ বিভাগের উপর দারুণ একটা বই! থ্যাঙ্কস Atoshi, এই বইটা পড়ার জন্যে এত্ত লাফালাফি করার জন্যে !
One of the richest Bengali novels of all time, Purba-Paschim stands on the ground of partition of Bengal, Naxallist Movement and the transforming Bengali society, love for the nation, and not the least, love for oneself.
The book is an epic in expansion, yet the reader can not, not for once, get bored as the flow is smooth and intoxicating.
One of the few books which must not be missed if you can read Bengali alphabet.
রোযার ছুটিতে প্রথম পর্বটা শেষ করলাম। প্রতাপ, মমতা, বাবলু, তুতুল, অলি এদের সাথে কয়েকদিন থাকতে থাকতে একটা অভ্যাস হয়ে গেছে বুঝতে পারছি। বড় উপন্যাস পড়ার এটাই মজা। মনে হচ্ছে যেন কয়েকদিন যাবৎ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। ঘোর কাটতে সময় লাগবে। চরিত্রগুলোর মধ্যে তুতুল আমার খুবই পছন্দের। এছাড়া মঞ্জু, মামুন, বাবুল, অলি, প্রতাপ, মমতা সবার আচরণ ও প্রেক্ষাপট অত্যন্ত যৌক্তিক। অর্থাৎ উপন্যাসের গাথুনি মজবুত। দ্বিতীয় পর্বটা এখনই ধরতে চাচ্ছি না। পছন্দের চরিত্রগুলো বেঁচে আছে এই নিয়ে কিছুদিন ভালো থাকি।
সেই সময় আর প্রথম আলো পড়া শেষ। অগত্যা অধীর আগ্রহে পূর্ব-পশ্চিম-এর অপেক্ষায় ছিলাম। প্রথম খন্ডটা একরকম হুট করেই হাতে আসলো। বলা যায়- গিলে ফেলেছি! এখন দ্বিতীয় খন্ডের অপেক্ষা....
সব দেশের মধ্যেই পূর্ব-পশ্চিম আছে। আমাদের পৃথিবীটাও পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত, উত্তর দক্ষিণে নয়, এমনকী, ভালো করে ভেবে দ্যাখো, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেও একটা করে প��র্ব-পশ্চিম আছে। পূর্বের চেয়ে পশ্চিম অনেক বেশি বর্ণাঢ্য, কারণ ধ্বংসের আগে কিংবা অস্তাচলে যাবার আগে আভাটা বেশি হয়। এরপর পৃথিবীতে ফিরে গিয়ে পুবের আকাশ ও পশ্চিমের আকাশের দিকে তাকিয়ে লক্ষ করো। ফ্র্যঙ্কি, তুমি কি নৈরশ্যবাদী? অ্যাঁ? না, না, আমি কখনওই নৈরাশ্যবাদী হতে চাই না। তবে আমি কোনও আপ্ত বাক্য অর্থাৎ অন্যের প্রচারিত আদর্শবাদই বিনা যুক্তি-তর্কে গ্রহণ করতে রাজি নই। যাই হোক, জিমি, এখন আমাদের আশাবাদ নিবদ্ধ থাক আমাদের আশু সাফল্যের প্রতি। জেমিনি ৬ আর কত দূর? মানুষে মানুষে যতই বিভেদ থাক, দুই মহাকাশযানের মিলন সার্থক করতেই হবে। আজ আমরা সার্থক হবই। আমি স্বপ্নে দেখেছি, রুষিদের আগে আমরাই চাঁদের মাটিতে পা দিয়েছি। এবার বোরম্যান মৃদু হাস্য করে লোভেলের কাঁধ চাপড়ে দিয়ে বলল, এতখন পর তোমার ভেতর থেকেও বেরিয়ে এসেছে আসল মানুষটা! কেন জিমি, সোভিয়েট দেষের কেউ আগে চন্দ্র জয় করলে কী ক্ষতি আছে? সেও তো মানুষেরই জয়!
Tolstoyian in scope and ambition, this massive work captures the throbs of a nation parted in two , and the breakaway and creation of a third nation. The political , social class struggles of a long , complex geopolitical bifurcation and its myriad problems are shown through the evolution of few memorable characters across three decades. Stunning.
মন খারাপ করে ফেললাম। আমাদের ইতিহাস নিয়ে যতই জানি ততই কষ্ট পাই। হতাশ হই। দ্বিতীয় খন্ড ধরলাম না, কিছুদিন পরে পড়ব। দেশভাগের ইতিহাস পড়ে বুকের ভেতর মোচড় দিল আমার। ও যে আমার পূর্বপুরুষ, আমার আত্মীয়র থেকে আমাকে জোর করে ছাড়িয়ে নিলো।
ধর্মের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজন হল এই কথা সবাই কম বেশি জানি।তারপরে কী হল!!তার সুন্দর বর্ণনা রয়েছে পূর্ব-পশ্চিম উপন্যাসে।আমার পড়া বই গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম ভালোলাগার বই এটি।শুধু ধর্মকে কেন্দ্র করে ভাগ হয়ে গেল সমগ্র বাংলা দুটো ভাগে।পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের আর পশ্চিম বাংলা ভারতের অংশ হয়ে গেল। -মুসলমানদের জন্য পূর্ব বাংলা আর হিন্দুদের জন্য পশ্চিম বাংলা। হাজার হাজার হিন্দু বাধ্য হল তাদের পিতৃপুরুষ এর ভিটেমাটি ছেড়ে পশ্চিম বাংলা সহ ভারতের অন্য জায়গায় চলে যেতে কারণ তাদের এই ভূমি পড়েছে অন্য দেশের (পাকিস্তান) মধ্যে।যে মাটি তাদের পিতৃপুরুষের আজ শুধু দেশবিভাগের জন্য তারা তা রেখে অন্য জায়গা যাচ্ছে মানে অন্য দেশ ভারতে। ঠিক একই ভাবে পশ্চিম বাংলার অনেক মুসলমান শুধু অত্যাচারীত হয়ে বাধ্য হয়ে পূর্ব বাংলাতে আশ্রয় নিয়েছে। তারপরে
এইসব মানুষ কেমন ছিল তার বিশদ বিবরণ এই উপন্যাসে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছন। এই জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন প্রতাপ আর মামুন নামের দুটো শক্তিশালী চরিএ।কোন এক সময় এই দুজন প্রাণের বন্ধু ছিলেন তাদের পিতৃভূমি ছিল পূর্ব বঙ্গে কিন্তু দেশভাগের সময় প্রতাপ চলে গেল পশ্চিম বাংলাই আর মামুন রয়ে গেল পূর্বে।দুজনের জীবনের টানাপোড়ন একসাথে দেখিয়ে গেছেন লেখক।শুধু তারা নয় তাদের আশেপাশের মানুষজনের জীবন,সমসাময়িক রাজনীতি সবকিছু যেন সমান্তরাল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই উপন্যাসে।পড়ার সময় বারবার মনে হয় আমার চোখের সামনে সব হচ্ছে এই জন্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনশৈলীর প্রশংসা না করলেই নয়!
পূর্ব-পশ্চিম বাঙালী জীবনের আধুনিক গদ্য মহাকাব্য,সুনীলের বিখ্যাত ট্রিলজির শেষ বই(যদিও সুনীল একে ট্রিলজি আখ্যা দেন নি)।এতে ফুটে উঠেছে দেশভাগ,দুই বাংলার রাজনীতি,ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ,বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা।প্রায় সবকিছুই আবর্তিত হয়েছে একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে। সেই সময়,প্রথম আলোর পর পূর্ব-পশ্চিম সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের বই।আগের দুই উপন্যাসের ভিত্তি ছিল বাংলা সাহিত্যের বিকাশ কিন্তু এই উপন্যাসে তার উপস্থিতি খুবি কম।ভারতের রাজনীতি আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেলেও দেশভাগই ছিল গোটা উপন্যাসের সারাংশ যা গল্পের প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে।সমরেশের অধিকাংশ লেখায় বিপ্লব,নকশাল,বামপন্থি,কম্যুনিস্ট থাকার কারণটা বুঝতাম না,এই বই পড়ে সেটা পরিষ্কার হল।ছোটবেলার অতীনকে ভাল লেগেছিল কারন তার মনোজগতের সাথে নিজের কিছু মিল খুঁজে পেয়েছিলাম,তবে যুবক অতীনের একগুঁয়ে,বদরাগী,বিশ্বাসঘাতক চরিত্রকে ভাল লাগে নি।মাঝেমধ্যে ভাইবোনদের মধ্যে যে সম্পর্ক দেখানো হয়েছে সেটাও কেমন জানি লেগেছে।তবে এই উপন্যাসের প্রধান শক্তি এর তথ্যসম্ভার।অনেক অজানা জিনিস এর মাধ্যমে জেনেছি। সুনীলের এই ট্রিলজির নায়িকারা অধিকাংশ সময়ই তাদের মনের মানুষকে পায় নি,পেলেও তা অনেক কষ্টের মাধ্যমে।ভূমিসুতা-ভরত,বিন্দুবাসিনি-গঙ্গানারায়ন,প্রতাপ-বুলা,অতীন-অলিদের দেখলেই সেটা বুঝা যায়।সুনীল-মারগারিটের মত এদের নিঃস্বার্থ প্রেমও তাই চিরকাল মাথায় গেঁথে থাকবে।
এই বই সম্পর্কে এত কথা শুনেছি যে এটা অবশ্য পাঠ্য হয়ে গিয়েছিল আমার জন্য। আমি ১৪ সালের দিকে প্রথম আলো পড়েছি। এর পর পূর্ব-পশ্চিম পড়ার কথা অনেকেই বলেছিল। মুশকিল হল আমি সে সময় পড়িনি। সব মিলিয়ে ভজঘট অবস্থা। হার্ড কাভার বই পেয়েই এই বইটা পড়েছি। ইতিহাস এবং কল্পনা মিলিয়ে পঞ্চাশের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত একটা সময় ভ্রমন করেছেন লেখক।
দুই খন্ডের এই বইয়ে প্রথম খন্ডে ছিল বাংলা ভাগের যন্ত্রনা। একটি পরিবারের দেশ ছেড়ে কোলকাতা গিয়ে দিন খাপ খাইয়ে নেবার চেস্টা। অনেক চরিত্র রয়েছে প্রথম খন্ডে। মুল চরিত্র প্রতাপ, বুলা, মামুন, মমতা, পিকলু, বাবলু, অলি, হারিত মন্ডল। এরা বিভিন্ন ভাবে পূর্ব পশ্চিম এর প্রতিনিধিত্ব করেছে। এছাড়া কিছু ঐতিহাসিক চরিত্র সরাসরি এসেছে অল্প সময়ের জন্য যেমন শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানী, জওহরলাল নেহেরু।
দ্বিতীয় খন্ডে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পশ্চিম বাংলার নকশালপন্থী আন্দোলনের কথা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। প্রথম খন্ডের অনেক চরিত্র দ্বিতীয় খন্ডে নেই। বাবুল চৌধুরী, রুমি, জাহানারা ইমাম, সিদ্ধার্থ, সিরাজুল এই সব চরিত্র গুলো উপন্যাসের কাহিনি বিন্যাসে গতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৩০০-১৪০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস জুড়ে রয়েছে পারিবারিক বন্ধন আর ঘরে ফেরার গল্প। পূর্ব থেকে পশ্চিমে যারাই যাক না কেন যতই আধুনিক জীবন যাপন করুক না কেন শিকড় কেউ ভুলতে পারে না।
কেন এতদিন পড়িনি ভাবছি... last 2 মাস ধরে পড়লাম আর আমার সব সময়েই মনে হতো চেনা কারুর কথা পড়েছি. ঐসব character কে সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম মনে হতো and বোধহয় বেশ কিছু দিন এদের মনে থাকবে... প্রি��় characters প্রতাপ (আমার কাছে প্রতাপ এই গল্পের hero), মমতা (অপূর্ব সুন্দর করে লেখা চরিত্র), সুপ্রীতী মামুন আর অলী। ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস আমি আবছা জানতাম ভেবে লজ্জা লাগে... কি অপূর্ব সুন্দর লেখা আর কি ঠাস বুনোট গল্পের... From undivided India to East Pakistan to Bangladesh and finally United States... নদীর মতো গল্প নিয়ে গেলো আমাদের... জানা হলোনা বুলা র কি হল, হারিৎ , চন্দ্রা আর সুচরিত এর কি হল... বাবুল এর চরিত্র বড় কষ্ট দিলো...
Sunil Ganguly wrote a history of the Bengali people in the disguise of three novels- Sei Samay, Pratham Aalo and this book. I am thankful to him. Thankful for his undertaking this.
জন্মভূমির, তার মানুষের সাথে যে আত্মিক সম্পর্ক আর সেখানেই ফিরতে না পারার যে তীব্র বেদনা তা দুটি ভিন্ন কালের মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে এই বইয়ে যা মানুষকে হয়তো নতুন ভাবে ভাবতে শেখাবে এই যুগেও।
প্রচুর চরিত্র। এর আগে প্রথম আলো পড়েও আজকের মত চিন্তা করছিলাম। এভাবে মাঝরাতে ঘুম ঘুম চোখে রিভিউ লেখা যাবে না। সময় নিয়ে ফ্রেশ মস্তিস্কে গুছিয়ে লিখতে হবে। পূর্ব-পশ্চিমও পড়া শেষ হয়ে গেল। ওই রিভিউ এখনও লেখা হয় নি। এটার রিভিউও লেখা না হয়ে, মস্তিষ্কের মধ্যেই যে মরে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি। পাঁচ-ছয় বছর আগে যেগুলো উপন্যাস পড়েছি। ভালো করে চরিত্রের নাম, গল্প কিছুই মনে করতে পারি না।
পূর্ববঙ্গ, বর্তমান বাংলাদেশের একটা জায়গার নাম মালখানগর। ঢাকার আশেপাশেই এটা বোঝা যায়। তবে স্পেসিফিকলি কোন জেলা বা কোথায় বইয়ে উল্লেখ নাই। গুগল সার্চে জানলাম, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় মালখানগর নামে একটা ইউনিয়ন আছে। যাইহোক, এই মালখানগর নামের জায়গাটিতে প্রতাপ মজুমদার নামের এক ভদ্রলোকের জন্ম। যিনি মাধ্যমিকের পর থেকে কলকাতায় থাকেন পড়াশোনার তাগিদে। ছুটিছাটায় যেটুকু দেশের বাড়ি যাওয়া হতো, সাতচল্লিশের দেশ ভাগের পর একেবারেই আর একদিনের জন্যও তিনি এই বাংলায় আসেন নি। খুবই ইমোশনাল, বলিষ্ঠ, সেনসিটিভ এবং ব্যক্তিত্ববান একটি চরিত্র। পশ্চিমবঙ্গে ভাগ্যের পরিহাসে এবং জীবিকার তাগিদে থাকতে হলেও জন্মস্থানের জন্য তার সবসময়ই মন পোড়ায়। সমস্ত অনুভুতি, ভালোলাগা যেন তার মালখানগরের স্মৃতিকে ঘিরেই। তার স্ত্রী, মমতার দেশও পূর্ববঙ্গ হলেও, তারমধ্যে সেটা লক্ষ করা যায় না। প্রতাপের এই অনুভুতিটা স্ত্রীর কাছে তেমন স্থান পায় না, মূল্য পায় না। যেটা অনেক সময়ই প্রতাপের কাছে মনোকষ্টের কারণ। খুব সংক্ষেপে লিখে শেষ করতে চাই, তাই যেসব চরিত্র বেশিক্ষণ আগায় নি, সেগুলো বাদ রাখছি আপাতত। অন্য কোনোদিন এডিট করে লেখা গেলে লিখতে হবে। প্রতাপ কতটা সৎ তা প্রকাশের জন্য এসেছে কানু চরিত্র। তার সৎ ভাই। অসততার জন্য তাকে প্রতাপ ত্যাগ করে বলা চলে। কানু চরিত্রের আর তেমন গুরুত্ব দেখি না। প্রতাপের দুই বোন। সুপ্রীতি, শান্তি। সুপ্রীতি দেশবিভাগের পর পর পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুদের নকশালবাড়ি আক্রমণের ফলশ্রুতিতে বিধবা হয়ে পড়ে। তারপর তার স্থান হয় কলকাতায় ছোটভাই প্রতাপের বাড়িতে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই বাড়িতেই ছিলেন। প্রতাপের স্ত্রী মমতার সংসারের কর্ত্রী হিসেবে। মমতার স্বাধীনতা হরণ নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ ছিল। ছোটবোন শান্তি তার মায়ের সাথে দেওঘরে থাকত। দেওঘরে তাদের মা সুহাসিনীর নামে ছোট একটা বাড়ি কেনা ছিল সেখানে। জামাই তেমন কাজ করত না। গান গাইত। সেটা দিয়ে পেট চলত না। ঘরজামাই বলা চলে। কিছুদিন পর মা মারা যায়। জামাইয়ের যক্ষা আগে থোকেই। অভাব অনটনে তাদের সন্তান টুনটুনিকে প্রতাপের বাসায় জামাই বিশ্বনাথ গুহ রেখে যান। কিছুদিন পর শান্তি মারা যায়। জামাই বিশ্বনাথ গুহের গল্প আর আগায় না। তবে তার মৃত্যু সংবাদ উপন্যাসটিতে পাওয়া যায় নি। প্রতাপের দুই ছেলে এক মেয়ে। পিকলু, বাবলু, মুন্নী। পিকলু কলেজে পড়ার সময় গঙ্গায় ডুবে মারা যায়। ভীষন মেধাবী ছিল সে। বাবলু সেরকম না। ডানপিটে, উশৃঙ্খল। তবে পরীক্ষার আগের রাতে দরজা জানলা বন্ধ করে উলঙ্গ হয়ে পড়ে সব কাভার দিতে পারে এবং মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করতে পারে। বাবলুর ভালো নাম অতীন মজুমদার। এই চরিত্র শেষ পর্যন্ত গল্পের মধ্যমণি হয়ে থাকে। অতীন মজুমদার সেই সময়ের নামকরা কমিউনিস্ট। তার নেতা মানিকদা, চারু মজুমদার। বন্ধু কৌশিক, পমপম। বাবলুর বাবা প্রতাপের খুব কাছের একজন বন্ধু বিমান বিহারী। বিমানের মেয়ে অলি। যার সাথে বাবলুর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। যে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত পরিণয়ের সাধ পায় নি। বাবলু তার আগেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিজেকে ভাসিয়ে ধাতস্থ হতে গিয়ে শর্মিলা নামের এক মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। সেটাই এক সময় পরিণয় পায়। বাবলু কমিউনিস্ট মুভমেন্টের সময় গুরু মানিকদাকে বাঁচাতে গিয়ে একজনকে খুন করে বাঁচার তাগিতে লন্ডন, লন্ডন থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। সেখানেই গল্পের শেষ পর্যন্ত থাকেন। অতীন-শর্মিলার সংসারে এক কন্যা, এক পুত্রের জন্ম হয়। প্রতাপের যেমন শরীর থাকে পশ্চিমে, আর মন থাকে পূর্বে। প্রতাপের পুত্র অতীনেরও একই। থাকে আমেরিকায়, পশ্চিমে। মন পড়ে থাকে পূর্বের ইন্ডিয়ায়। উপন্যাসের নামকরণের স্বার্থকতা। পূর্ব-পশ্চিম। আরেকটা চরিত্র ছাড়া পড়ে যাচ্ছে প্রতাপের বোন সুপ্রীতির একমাত্র সন্তান তুতুল। অতীনরা ডাকে ফুলদি। মামার বাড়িতে প্রচুর আদ্মসম্মান নিয়ে নিজের মত পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়। তারপর ভাগ্য তাকে বিলেতে নিয়ে যায়। সেখানে এক মুসলমান যুবক আলমকে বিয়ে করে। আলম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিল। আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের এখনও উল্লেখ হয় নি। মামুন। কবিটাইপ লোক। প্রতাপের কলেজ ফ্রেন্ড। কলেজ জীবনে দুইজনেই এক ব্রাক্ষ্মণ মেয়ে, বুলাকে সমানভাবে ভালোবাসতেন। বাড়ি কুমিল্লার দিকে। নজরুল ভক্ত। দেশপ্রেমিক। রাজনীতিবিদ। দেশভাগের পরে শেরে বাংলা ফজলুল হকের কথামত রাজা রামমোহন হওয়ার তাগিদে গ্রামে গ্রামে সেবামূলক কাজ করর বেড়ান। এক সময় আলতাফ নামক এক তরুণ রাজনীতিবিদের খপ্পরে পড়ে গ্রাম ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে বড় মেয়ে হেনাকে নিয়ে ঢাকায় আসে। ঢাকায় তার বোন থাকত। বোনের মেয়ে মঞ্জুকে তিনি মাত্রাতিরিক্ত স্নেহ করতেন। কবি হিসেবে ভাগনীর রূপপূজারি ছিলেন। একসময় তার ঘটকালিতেই আলতাফের ছোট ভাই বাবুল চৌধুরীর সাথে মঞ্জুর বিয়ে হয়। বাবুল চৌধুরী মেয়ের এত স্নেহ সহ্য করতে পারত না। যাইহোক, এই বাবুল চৌধুরী আরেক শক্তিশালী চরিত্র। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তুমুল সাহসিকতার পরিচয় দেন এবং গাজী হিসেবে যুদ্ধ শেষ করেন। বাবুলের আবিষ্কার সিরাজুল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক হিসেবে গল্পে অংকিত হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো কার���ে বাবুলের সাথে মঞ্জুর সম্পর্ক টিকে না। জাহানারা ইমাম, রুমির গল্প কয়েক অনুচ্ছেদ স্থান পেয়েছে। সরাসরি সোহওয়ার্দি, ভাসানী, মুজিব, যুদ্ধকালীন অন্থায়ী সরকার, ইন্দিরা গান্ধী, দুই পাশের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনগণসহ সর্বোপরি দেশভাগ পরবর্তী রাজনীতি-মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা এবং মুক্তিযুদ্ধ গল্প আকারে বলা আছে। রাত অনেক হয়েছে। আমার লেখার ধৈর্য শেষের পৃষ্ঠায়। আজ আর লিখতে পারছি না। সময়-সদিচ্ছা জাগলে পরে কোনো দিন।
বইটার প্রথমাংশ শেষ করেছি বেশ আগে। রাত্রি দুটো নাগাদ। পিকলুর চলে যাওয়া মাথার উপর দিয়ে গেলো,মন মানতে চাইলো না পিকলু নেই। ধরেই নিয়েছিলাম,পিকলু আর তুতুলকে বইয়ের শেষ অব্দি পাবো। পাই নি। পিকলু চলে গেলো। অদ্ভুতভাবে চলেই গেলো। পড়তে পড়তে কতোবার ভেবেছি পিকলু ফিরবে,ফিরলোই না! পূর্ব পশ্চিম প্রথম খন্ড আমার কাছে ইতিহাসের চেয়ে অনেকটুক সামাজিক উপন্যাস হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছে। কেন? ভারতবর্ষ ভাগ হবার পর যেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটার অস্তিত্বই নেই। আমিও আগ্রহ বোধ করি নাই। প্রথম আলো পড়ে ইতিহাস নিয়ে যেমন একটা কৌতূহলের সাড়া পরে গিয়েছিলো মনে,এবার ত্যামন হোলো না। মনে হলো এ যেন একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ ঝুটঝামেলা। জেদী আদরশবাদী প্রতাপ মজুমদারের সংসার নিয়েই আমি বেশি ব্যস্ত ছিলাম। অলি যেনো ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসের মতো । অতীন!অতীন মজুমদারকে নিয়ে কিছু এখন বলতে ইচ্ছাই করছে না! একেবারে শেষ করেই বলি!
দেশভাগ নিয়ে যা পড়েছি আজ অবধি তার মধ্যে অন্যতম সেরা লেখা তো বটেই, তবে সেটা যত না ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের জন্য তার চাইতে অনেকটা বেশী মানবিক কারণে। দেশভাগের কারণ, সার্বিক যন্ত্রণার উপাখ্যান নতুন কিছু নয়, কিন্তু সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনে তার প্রভাব সম্পর্কে এই যে সুবিশাল উপন্যাস তা বেশ অনন্য। অনেক জায়গায় কিছু বিস্তারিত বর্ণনা অনাবশ্যক মনে হয়েছে, ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেছে, তাও গল্পের খাতিরে পড়ে ফেলা যায়। লেখা একেবারে ঝরঝরে, মেদহীন, তাই পড়তে সময় খুব বেশী লাগেনি। দ্বিতীয় খন্ডে হাত দেব খুব শীঘ্রই আশা করি।
বিজ্ঞানীরা টাইম মেশিন এখনো বানাতে না পারলেও সুনীল বেশ একখানা বানিয়েছেন! ৪৭ থেকে ৬৭ পর্যন্ত বেশ ঘুরে আসলাম দুই বাংলায় প্রতাপ, মমতা, পিকলু, বাবলু, অলি, মামুন, বাবুল, মঞ্জু প্রমুখ সহ আরো অনেকের সাথে। এমনকি টুটুলের সাথে লন্ডনও ঘুরা হলো।
প্রথম খন্ডে মূলত সূচনা আর যৌবন পর্ব। তবে তুই পর্বের সমাপ্তিতেই আশ্চর্য এবং আশাহত হয়েছি।
A reminder of the history of pre-british and post-british India/Bengal. Not only it points out the critical darkness of the society but also it clearly drew a picture of efforts of all the reformers to bring it back to the light.
বিশাল বই মাঝখানে বেশ কয়েকবার ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছিলো। এর আগের দুটো (সেই সময় ও প্রথম আলো) বই যতোটা দ্রুত গড়িয়েছিল, সেই তুলনায় এটা অনেকটাই স্লথ। আগের দুটোয় যতোটা আমাকে যতোটা টেনেছিলো এটা ততোটা পারেনি।