ফাদার দ্যতিয়েন যার প্রকৃত নাম পল দ্যতিয়েন একজন অবাঙ্গালী লেখক যিনি বাঙলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি একজন বেলজিয়ান এবং মূলতঃ ব্রাসেলস শহরে বসবাস করলেও দীর্ঘদিন খ্রীস্ট ধর্মপ্রচারক হিসেবে বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতবর্ষে অবস্থান করেছেন। এসময় তিনি ভালভাবেই বাংলাভাষা রপ্ত করেছেন। ফরাসী তাঁর মাতৃভাষা হলেও তিনি স্বচ্ছন্দ্যে বাংলা বলতে এবং লিখতে পারেন। তাঁর রচনা দীর্ঘকাল যাবৎ ভারতের দেশ পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর রচনারীতিতে সংস্কৃত ভাষার সুস্পষ্ট প্রভাব আছে। ডায়েরির ছেঁড়া পাতা গ্রন্থটির জন্যে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের ‘নরসিংহ দাস’ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে বেলজিয়ামের রশফর নামীয় ছোট শহরে পল দ্যতিয়েনের জন্ম হয়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি খ্রিস্টান ধর্মেরফাদার দ্যতিয়েন যার প্রকৃত নাম পল দ্যতিয়েন একজন অবাঙ্গালী লেখক যিনি বাঙলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি একজন বেলজিয়ান এবং মূলতঃ ব্রাসেলস শহরে বসবাস করলেও দীর্ঘদিন খ্রীস্ট ধর্মপ্রচারক হিসেবে বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতবর্ষে অবস্থান করেছেন। এসময় তিনি ভালভাবেই বাংলাভাষা রপ্ত করেছেন। ফরাসী তাঁর মাতৃভাষা হলেও তিনি স্বচ্ছন্দ্যে বাংলা বলতে এবং লিখতে পারেন। তাঁর রচনা দীর্ঘকাল যাবৎ ভারতের দেশ পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর রচনারীতিতে সংস্কৃত ভাষার সুস্পষ্ট প্রভাব আছে। ডায়েরির ছেঁড়া পাতা গ্রন্থটির জন্যে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের ‘নরসিংহ দাস’ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে বেলজিয়ামের রশফর নামীয় ছোট শহরে পল দ্যতিয়েনের জন্ম হয়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি খ্রিস্টান ধর্মের প্রচারের অভীপ্সা নিয়ে ধর্মীয় জীবনে সম্পৃক্ত হন। যাজক হিসেবে তাঁর আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে। তিনি জেযুইট বর্গের একজন খ্রিস্টান যাজক। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারত প্রতিষ্ঠা হওয়ার অল্প পরেই তিনি কোলকাতায় আগমন করেন। সেই থেকে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় দিন দশক তিনি ভারতে অবস্থান করেন। কোলকাতায় আসার পূর্বে বেলজিয়ামের নামুরে তিনি সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন। তাতে বাংলা ভাষা শিখতে সুবিধা হয়ছিল। ভারতে আসার পর কোলকাতা, শ্রীরামপুর ও বিশ্বভারতী সহ বিভিন্ন স্থানে তিনি বাংলা ভাষা শিক্ষা করেছেন। ভারতে অবস্থানকালে পরম নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি সৃজন প্রকাশনা • পরম্পরা • ডায়েরির ছেঁড়া পাতা (১৯৭৩) • আটপৌরে দিনপঞ্জি • রোজনামচা (১৯৭১) • সম্পাদনা: উইলিয়াম কেরির ইতিহাসমালা সম্মাননা ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে বেলজিয়াম ফাদর দ্যতিয়নকে ক্রিস্তফ প্লানতিন পুরস্কারে ভূষিত করে। যে সকল বেলজিয়ান নাগরিক শুদ্ধু বিদেশের মাটিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কারণে প্রসিদ্ধি লাভ করেন কেবল তাদেরই এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। মৃত্যু দীর্ঘ দিনের ভারতপ্রবাস শেষ করে তিনি ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে স্বদেশ বেলজিয়ামে প্রত্যাবর্তন করেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন। এ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসা কালে তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ৩১মে অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৬টায় তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর নিকট তিনি বলেছিলেন যেন তাঁর শেষকৃত্যকারে রবি ঠাকুরের ‘‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে গানটি বাজানো হয়। ...more