Arunesh Ghosh
|
জীবনানন্দ
|
|
|
কবিতার অন্ধকার যাত্রা
|
|
|
নগ্ন পরিবার
—
published
2022
|
|
* Note: these are all the books on Goodreads for this author. To add more, click here.
“স্বপ্ন শোকগাথা
...................
বয়স্কের হাড়ে
লোলচর্ম বৃদ্ধের ভেতরে
কালকের সেই সব দ্রোহী বালিকারা
আজকের এই সব ন্যাংটো স্রোতধারা
যে কুয়াশা ঢুকে গেছে
যে শীতের বাতাস গিয়ে কামড়ে ধরেছে
তারই সাথে যুদ্ধ করে -- করে করে --- ঝরে পড়ে লালা
তরল, আঠালো, তিক্ত -- তীব্র জ্বালা, তবু সে তো বহমান ধারা
যদি কোনও অর্থ হয় --- সেই অর্থ লুপ্ত-হওয়া হোগলা বন
ফের এও বলা যায় -- ছুটে গিয়ে পান করি মুগ্ধ মৃত্যুস্তন
আমরা তো জেনেও জানি না
বৃদ্ধ ও বালিকা
আগুনের স্ত্রী
ক্ষুধার নিবৃত্তি
তারই পৌরুষজাত শিখা
কে কার ঔরসজাত -- জেনে নিয়ে, ছিন্ন হয়ে একা !
সে আগুন নিভু-নিভু আজ
ফুঁ দিয়ে উসকে দ্যায় উষ্ণতর হাত
কোন এক অবোধ জঘন
মোম হয়ে গলে-গলে পোড়ে আদি নগ্নটুকু
আত্মা -- দুটি স্তন
মুঠো করে ধরতেই আঠালো উদ্বেগ
উচ্ছ্রিত করবে তারা, করবেই, জেদ আর হাঁটু পেতে বসে
মুখে পুরে নিয়ে হোক --- কিংবা বুকে ঘসে”
―
...................
বয়স্কের হাড়ে
লোলচর্ম বৃদ্ধের ভেতরে
কালকের সেই সব দ্রোহী বালিকারা
আজকের এই সব ন্যাংটো স্রোতধারা
যে কুয়াশা ঢুকে গেছে
যে শীতের বাতাস গিয়ে কামড়ে ধরেছে
তারই সাথে যুদ্ধ করে -- করে করে --- ঝরে পড়ে লালা
তরল, আঠালো, তিক্ত -- তীব্র জ্বালা, তবু সে তো বহমান ধারা
যদি কোনও অর্থ হয় --- সেই অর্থ লুপ্ত-হওয়া হোগলা বন
ফের এও বলা যায় -- ছুটে গিয়ে পান করি মুগ্ধ মৃত্যুস্তন
আমরা তো জেনেও জানি না
বৃদ্ধ ও বালিকা
আগুনের স্ত্রী
ক্ষুধার নিবৃত্তি
তারই পৌরুষজাত শিখা
কে কার ঔরসজাত -- জেনে নিয়ে, ছিন্ন হয়ে একা !
সে আগুন নিভু-নিভু আজ
ফুঁ দিয়ে উসকে দ্যায় উষ্ণতর হাত
কোন এক অবোধ জঘন
মোম হয়ে গলে-গলে পোড়ে আদি নগ্নটুকু
আত্মা -- দুটি স্তন
মুঠো করে ধরতেই আঠালো উদ্বেগ
উচ্ছ্রিত করবে তারা, করবেই, জেদ আর হাঁটু পেতে বসে
মুখে পুরে নিয়ে হোক --- কিংবা বুকে ঘসে”
―
“আচ্ছন্ন ঢেউয়ের সাথে মেতে উঠি আমি
ঝিনুক ও নুড়ির কাছে যাই – জলের যোনিতে
বারান্দায় বয়ে আনা হয় তাকে - এলোমেলো শাড়ি
বিশৃঙ্খল রেখাগুলি অভ্যন্তর থেকে ভেঙ্গে পড়ে ...
কেউ এসে পেটিকোট খুলে দিয়েছিল
ফলের শাঁসের মত বুক - হাঁটু গেড়ে স্পর্শ করি
হাতের তালুতে, ত্রিপুরার অচেনা শহরে আমি
মদ নিয়ে বসি অন্ধদের সাথে, ঘুরে ফিরে একই গান
একই অন্ধ গান টুকরো টুকরো কোরে গাওয়া হয়
একই শবের ভেলায় উঠে বসি, নীচে থেকে
আরও হাত উঠে আসে, ‘আমাকেও তুলে নাও...’
এই যে উলঙ্গ হয়ে বসে আছি আরও এক মগ্নতার
ভয়ংকর বুকে, শূন্যতার ভিন্ন এক স্তরে গিয়ে – জানি
ঝুলে থাকা হাত তার উঠে বসে, আমাকে জড়াবে ...”
―
ঝিনুক ও নুড়ির কাছে যাই – জলের যোনিতে
বারান্দায় বয়ে আনা হয় তাকে - এলোমেলো শাড়ি
বিশৃঙ্খল রেখাগুলি অভ্যন্তর থেকে ভেঙ্গে পড়ে ...
কেউ এসে পেটিকোট খুলে দিয়েছিল
ফলের শাঁসের মত বুক - হাঁটু গেড়ে স্পর্শ করি
হাতের তালুতে, ত্রিপুরার অচেনা শহরে আমি
মদ নিয়ে বসি অন্ধদের সাথে, ঘুরে ফিরে একই গান
একই অন্ধ গান টুকরো টুকরো কোরে গাওয়া হয়
একই শবের ভেলায় উঠে বসি, নীচে থেকে
আরও হাত উঠে আসে, ‘আমাকেও তুলে নাও...’
এই যে উলঙ্গ হয়ে বসে আছি আরও এক মগ্নতার
ভয়ংকর বুকে, শূন্যতার ভিন্ন এক স্তরে গিয়ে – জানি
ঝুলে থাকা হাত তার উঠে বসে, আমাকে জড়াবে ...”
―
“-এই নদীর সঙ্গে সহবাস হয়েছে অরুনেশ?
-আমি আবিষ্কার করেছি জলের নাভিদেশ!
-কোথায় তোদের সন্তানেরা, এতো শুধু বালি আর বালি!
-অগুন্তি সন্তানকে খেয়ে ফেলেছে তাদের মা আর
বাকি কয়েকজনকে আমি
-বাহ্ এই কি বাবা-মায়ের দায়বদ্ধতা, করণীয়?
-যদি আমরা ওদের গ্রাস না করতাম, ওরা আমাদের
একদিন না একদিন কুরে কুরে খেয়ে নিতো!
নদীর বাতাস এসে ডেকে তোলে আস্তাকুর থেকে
ভোররাত্রিবেলা
দেবীরা এখানে আসেন আর আসে ঘেয়ো পাগলেরা
সস্নেহে বুলায় হাত শিশ্নে ও শ্মশ্রুতে, জলে ও জ্যোৎস্নায় মিশে
সুদূর উর্বশী
হাসে, বলে, হাজার লক্ষ-কোটি ধর্ষণ আমি
আত্মস্থ করেছি
দেবীর পাগলজাত শিশু কেঁদে ওঠে, যে-কোন এক মানবীর স্তন পেতে চায়
তখনই কাকেরা কা কা ক’রে ডেকে ওঠে, পূর্ণিমার চাঁদ অস্ত যায়!
-তুইও কী তাদেরই একজন নোস্, মিথ্যা, অসম্ভব?
-আমার জন্মের সময় মা ছিলেন শব
-তুইও কী পাগলের ঔরসজাত, মেনকা অথবা উর্বশীর?
-আমাকে কুড়িয়ে পায়, পেয়ে ঘেন্না হয় গ্রাম্য রমণীর
-তবু তো তোকে সে দিয়ে গেছে স্তন
-আজ নদী এসে বলে গেল, খুন ও ধর্ষণই করতে হবে, চল্
-চুপ কর্ মাতৃগামী, পিতৃহন্তারক…
-শান্ত হও। ঐ দেখো জলাশয়ে প্রশ্নকর্তা বক…
যে তুমি, আমাকে পাঠালে পাগলদের ধারা ধরে … লও নমস্কার
যে তুমি, একই যোনিতে জন্ম ও উপগত শিখিয়েছো … ধরো বেদনা আমার
যে তুমি, দেবীদের এনেছো ডেকে, পাগলকে ঘুমহীন স্বপ্ন দিলে ধার
যে তুমি, আমাকে স্বাধীন করলে, অনুমতি দিলে, একই নদীতে স্নান করবার
যে তুমি, সময় কিংবা সময় হীনতা, আমার ও নদীর নাও—আনত প্রণাম!”
―
-আমি আবিষ্কার করেছি জলের নাভিদেশ!
-কোথায় তোদের সন্তানেরা, এতো শুধু বালি আর বালি!
-অগুন্তি সন্তানকে খেয়ে ফেলেছে তাদের মা আর
বাকি কয়েকজনকে আমি
-বাহ্ এই কি বাবা-মায়ের দায়বদ্ধতা, করণীয়?
-যদি আমরা ওদের গ্রাস না করতাম, ওরা আমাদের
একদিন না একদিন কুরে কুরে খেয়ে নিতো!
নদীর বাতাস এসে ডেকে তোলে আস্তাকুর থেকে
ভোররাত্রিবেলা
দেবীরা এখানে আসেন আর আসে ঘেয়ো পাগলেরা
সস্নেহে বুলায় হাত শিশ্নে ও শ্মশ্রুতে, জলে ও জ্যোৎস্নায় মিশে
সুদূর উর্বশী
হাসে, বলে, হাজার লক্ষ-কোটি ধর্ষণ আমি
আত্মস্থ করেছি
দেবীর পাগলজাত শিশু কেঁদে ওঠে, যে-কোন এক মানবীর স্তন পেতে চায়
তখনই কাকেরা কা কা ক’রে ডেকে ওঠে, পূর্ণিমার চাঁদ অস্ত যায়!
-তুইও কী তাদেরই একজন নোস্, মিথ্যা, অসম্ভব?
-আমার জন্মের সময় মা ছিলেন শব
-তুইও কী পাগলের ঔরসজাত, মেনকা অথবা উর্বশীর?
-আমাকে কুড়িয়ে পায়, পেয়ে ঘেন্না হয় গ্রাম্য রমণীর
-তবু তো তোকে সে দিয়ে গেছে স্তন
-আজ নদী এসে বলে গেল, খুন ও ধর্ষণই করতে হবে, চল্
-চুপ কর্ মাতৃগামী, পিতৃহন্তারক…
-শান্ত হও। ঐ দেখো জলাশয়ে প্রশ্নকর্তা বক…
যে তুমি, আমাকে পাঠালে পাগলদের ধারা ধরে … লও নমস্কার
যে তুমি, একই যোনিতে জন্ম ও উপগত শিখিয়েছো … ধরো বেদনা আমার
যে তুমি, দেবীদের এনেছো ডেকে, পাগলকে ঘুমহীন স্বপ্ন দিলে ধার
যে তুমি, আমাকে স্বাধীন করলে, অনুমতি দিলে, একই নদীতে স্নান করবার
যে তুমি, সময় কিংবা সময় হীনতা, আমার ও নদীর নাও—আনত প্রণাম!”
―
Is this you? Let us know. If not, help out and invite Arunesh to Goodreads.

