বই লাভার'স পোলাপান (Boi lover's polapan) discussion

This topic is about
১৯৫২
আর্কাইভ ২০১৫ (পুরনো টপিক)
>
Monthly Group Read (বাংলা) January 2015 - ১৯৫২ by মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
date
newest »


Auyon wrote: "এই বইয়ের কি পিডিএফ লিঙ্ক পাওয়া যাবে? দেশের বাইরে থেকে বইটা যোগাড় করা খুব কঠিন হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।"
ভাইয়া গ্রুপ রুলস এ অনুরোধ করা হয়েছে বই ডাইনলোড লিংক না খোজার/শেয়ার করার জন্য। আমাদের ফেসবুক গ্রুপ তো আছেই সেটার জন্যে। Goodreads admin এর রুলস রেগুলেশন এন্ড মনিটরিং সিস্টেম থাকতে পারে এসবের জন্য, সো কোন রিস্ক না নেই আমরা। আর আমাদের একটা প্ল্যাটফর্ম তো আছেই, ফেসবুক গ্রুপ, সেই উদ্দ্যেশের জন্য।
ভাইয়া গ্রুপ রুলস এ অনুরোধ করা হয়েছে বই ডাইনলোড লিংক না খোজার/শেয়ার করার জন্য। আমাদের ফেসবুক গ্রুপ তো আছেই সেটার জন্যে। Goodreads admin এর রুলস রেগুলেশন এন্ড মনিটরিং সিস্টেম থাকতে পারে এসবের জন্য, সো কোন রিস্ক না নেই আমরা। আর আমাদের একটা প্ল্যাটফর্ম তো আছেই, ফেসবুক গ্রুপ, সেই উদ্দ্যেশের জন্য।

ভাইয়া গ্রুপ রুলস এ অনুরোধ করা হয়েছে বই ডাইনলোড লিংক না খোজার/শেয়ার করার জন্য। আমাদে..."
আমার জানা ছিল না রুলস এর কথা। ধন্যবাদ।
Auyon wrote: "Bookish wrote: "Auyon wrote: "এই বইয়ের কি পিডিএফ লিঙ্ক পাওয়া যাবে? দেশের বাইরে থেকে বইটা যোগাড় করা খুব কঠিন হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।"
ভাইয়া গ্রুপ রুলস এ অনুরোধ করা হয়েছে বই ডাইনলোড লিংক না খোজার/শেয়ার ..."
:)
ভাইয়া গ্রুপ রুলস এ অনুরোধ করা হয়েছে বই ডাইনলোড লিংক না খোজার/শেয়ার ..."
:)


Fariha wrote: "Md.Nazimuddin er best thriller legeche etake.ektu beshi lomba,but kahinita valo"
কত সময় লেগেছে শেষ করতে? দিনে ২ ঘন্টা করে পড়লে কতদিন লাগবে? ৩/৪ দিন? না আরো বেশি।
কত সময় লেগেছে শেষ করতে? দিনে ২ ঘন্টা করে পড়লে কতদিন লাগবে? ৩/৪ দিন? না আরো বেশি।

এমনিতে লেখকের ভাষা বেশ প্রাঞ্জল, মোটামুটি তরতরিয়ে পড়ে যাওয়া যায়। কিন্তু প্রথম প্যারাতেই ছন্দপতন হলো। কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম ছাড়া প্যারাটা লিখে লেখক হয়তো একটা চমক দিতে চেয়েছেন পাঠককে, কিন্তু আমার কাছে খুব খটোমটো মনে হলো - যেন জোর করে গেলানোর চেষ্টা! এর পরে অবশ্য লেখক মোটামুটি ফিরেছেন তাঁর তালে, কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খেয়ে তার জের টানতে হলো বেশ কিছুদূর। প্রথম অধ্যায়ে (বইয়ের শুরু হয়েছে মুখবন্ধ দিয়ে, যদিও কেন তা আমি বুঝতে পারিনি!) এসেও আবার একই ব্যপার। এখানে এসে আর চমক দেয়ার প্রচেষ্টাটা ভালো লাগেনি, বরং বিরক্ত লেগেছে।
লেখকের সময় প্রকাশের ধরণটাও বেশ বিরক্তিকর ঠেকেছে। যেমন " টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে সাড়ে ন'টা বাজে"। আরো কয়েকটা জায়গায় এভাবে সময় প্রকাশ করা হয়েছে যেটা বাকি লেখার সাথে বেমানান। কোন চরিত্রের মুখ থেকে এমন কথা বেরোলে মেনে নেয়া যেতো, কিন্তু লেখক যেখানে বর্ণনা দিচ্ছেন সেখানে এমন শব্দবন্ধ দৃষ্টিকটু ঠেকে বৈকি!
কাহিনি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। বেশ কয়েকটা টুইস্ট আছে কাহিনিতে, যদিও প্রথমটা ছাড়া কোনটাই তেমন সরেস নয়। তারপরও আমি কাহিনিকে মোটামুটি চলনসই বলবো। কাহিনির মূল দূর্বলতা অতিমাত্রায় কাকতালী্য়তা টেনে আনা। মনে হচ্ছিল লেখক আর কোন উপায় না পেয়ে কাকতালীয়তার আশ্রয় নিয়েছেন। শেষের টুইস্টটা লেখক বড় চমক হিসেবে সামনে আনতে চেয়েছেন, কিন্তু সচেতন পাঠকের কাছে এটা আগেই ধরা পড়ে যাবার কথা, আর সে ক্ষেত্রে পুরো কাহিনিটাই রূপ নেয় বিবর্ণ ম্যাড়মেড়ে গল্পে।
(view spoiler)
তবু শেষ পর্যন্ত যে পড়া গেছে বইটা, সেটাই লেখকের বড় কৃতিত্ব।
চরিত্র চিত্রণের ক্ষেত্রে বলবো লেখক যেমন মুন্সিয়ানার সাথে দুই নায়ক আর ভিলেনের ডানহাতকে এঁকেছেন, বাকিদের জন্য তার কণামাত্রও খরচ করেননি। তরুণী চরিত্রগুলো ঠিক যেন এক ছাঁচে গড়া! ইনফ্যাক্ট এই চরিত্রগুলো না এলেও গল্পের কোন হেলদোল হতো না। এমনকি যত্ন নেন নি মিশু চরিত্রটার প্রতিও! ঠিক তেমনি অরিনকে যে কেন এনেছেন তার কোন কারণ খুঁজে পাইনি। আসলে, হাতে গোণা পাঁচ ছয়টি চরিত্র বাদে বাকিগুলো না থাকলেও কিছু আসতো যেতো না, বরং লেখার কলেবর আরেকটু কমে বইটা আরো উপভোগ্য হতো।
মোটকথা ১৯৫২ থ্রিলারটা আমার কাছে পাতে দেয়ার যোগ্য থ্রিলার বলে মনে হয়নি। লেখক এর পিছনে শ্রম দিয়েছেন বলেও মনে হয়নি। তবে যেহেতু লেখক বেশ সহজাত একটা টানে লিখে যেতে পারেন, সে কারণে বইটা পড়ে শেষ করা গেছে। আমি এটার রেটিং দেবো ১০ এ ২।
Auyon wrote: "আচ্ছা, এখানে দেয়া মন্তব্য কি আমি গুডরিডসে বইয়ের রিভিউ হিসেব দিতে পারি?"
অবশ্যই ভাইয়া! আমাদের গ্রুপের সদস্যদের বাইরেও যারা বাংলা বইয়ের পাঠক আছেন তারাও একটা ধারনা পাবেন বইয়ের।
এই পুরো পোস্ট টা আমার বুক রিভিউ সেকশন এ ট্রান্সফার করার ইচ্ছা আছে, যদি আরো কিছু ডিটেইলস এ লেখা রিভিউ কেউ লেখেন এখানে।
অবশ্যই ভাইয়া! আমাদের গ্রুপের সদস্যদের বাইরেও যারা বাংলা বইয়ের পাঠক আছেন তারাও একটা ধারনা পাবেন বইয়ের।
এই পুরো পোস্ট টা আমার বুক রিভিউ সেকশন এ ট্রান্সফার করার ইচ্ছা আছে, যদি আরো কিছু ডিটেইলস এ লেখা রিভিউ কেউ লেখেন এখানে।

অবশ্যই ভাইয়া! আমাদের গ্রুপের সদস্যদের বাইরেও যারা বাংলা বইয়ের পাঠক আছেন তারাও একটা ধারনা পাবেন বইয়ের।
এই পুরো..."
Thank You.

কত সময় লেগেছে শেষ করতে? দিনে ২ ঘন্টা করে পড়লে কতদিন লাগবে? ৩/৪ দিন? না আরো বেশি।"
Ami boita jokhon porechilam tokhon chuti cholchilo.tai 2 diner mddhe sesh hoye giyechilo.But boi lomba ache,4-5 din lagte pare
Fariha wrote: "Bookish wrote:
কত সময় লেগেছে শেষ করতে? দিনে ২ ঘন্টা করে পড়লে কতদিন লাগবে? ৩/৪ দিন? না আরো বেশি।"
Ami boita jokhon porechilam tokhon chuti cholchilo.tai 2 diner mddhe sesh hoye giyechilo.But boi lom..."
Thanks :) আমি আজকে পড়া শুরু করলাম, ইচ্ছা আছে ২/৩দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলার।
কত সময় লেগেছে শেষ করতে? দিনে ২ ঘন্টা করে পড়লে কতদিন লাগবে? ৩/৪ দিন? না আরো বেশি।"
Ami boita jokhon porechilam tokhon chuti cholchilo.tai 2 diner mddhe sesh hoye giyechilo.But boi lom..."
Thanks :) আমি আজকে পড়া শুরু করলাম, ইচ্ছা আছে ২/৩দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলার।

অবশেষে পড়া শেষ করলাম ১৯৫২ by মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রায় ৪ বছর পর আমার এটা প্রথম বাংলা বই পড়া হল। ইয়েস ইয়েস আই নো, শেম অন মি! :p
যাইহোক বইটি কেমন লাগলো বলি। প্রথমেই পজিটিভ দিকগুলো অর্থাৎ যা ভালো লেগেছে সেগুলো বলছি।
কাহিনী পটভূমিঃ
আমাদের দেশের এখনকার বাস্তব সময়ের চিত্র খুব ই ভালো মত ব্যবহার করেছেন লেখক এই গল্পে। রাজনৈতিক, সরকারী অ্যাডমিনিস্ট্রিভ এবং সামাজিক অনেক সমস্যা কে গল্পে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন আমার একবারো মনে হয়নি এ শুধু বলার জন্য বলা, বরং সেগুলো ছিল গল্পের প্রয়োজনে বলা। কোন ফ্যান্টাসি রহস্যোপন্যাস যা আপনি মজা পেয়ে পড়বেন ঠিকই কিন্তু গল্পের সাথে বাসস্তবতার যে কোন মিল নেই সেটাও ভালো মতো বুঝবেন।
রহস্যঃ
রহস্যোপন্যাস আমার মতে দুই প্রকারের বেসিক প্লটের হয় - এমন রহস্য যা পাঠক কিছুতেই আন্দাজ করতে পারেননা বইয়ের একেবারে শেষ দিক না পড়া পর্যন্ত, আরেকটা হচ্ছে পাঠক শুরু থেকেই বুঝতে পারেন রহস্যটার বিভিন্ন দিক লেখকের গল্পের মধ্যে দেয়া বিভিন্ন ক্লু এর মাধ্যমে। আমার মতে ১৯৫২ ছিল ২য় ধরনের রহস্যোপন্যাস। এ ধরনের রহস্যোপন্যাস এর মজা আমি তখন ই পাই যখন লেখক কাহিনী কে এক গতিতে একই দিকে না এগিয়ে বিভিন্ন ভাবে টুইস্ট ব্যবহার করে পাঠক কে ইন্টারেস্টেড রাখেন। আমি বুঝতে পারছিলাম কালপ্রিট কে হতে পারে, লেখক মোটামুটি বুঝিয়েই দিচ্ছিলেন কে হবে মেইন কালপ্রিট এবং কাহিনীটির মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার যোগসূত্র কি। কিন্তু পুরো রহস্য কিভাবে সলভ হবে তার পুরোটুকু অন্তত আমি বুঝতে পারিনি একদম বইয়ের শেষ পর্যন্ত। এবং শেষেও যে আরেকটা টুইস্ট ছিল সেটা একেবারে খোলাসা না করার একটু আগে পর্যন্তও আমি আন্দাজ ও করতে পারিনি এমন কিছু হবে।
চরিত্রঃ
প্রধান ২ চরিত্রকেই আমার ভালো লেগেছে। গোলাম মাওলা – নামকরণ টা বেশি পছন্দ হয়েছে কারণ এটাকেই বেশি বাস্তব লেগেছে। সায়েম মোহাইমেনের নাম কি উনি জারনালিস্ট বলেই একটু মডার্ন ধাঁচের পেলেন কিনা জানিনা। অপরাধীর থেকে আমার এর সহযোগী চরিত্র গুলোকে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে (view spoiler) সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কোন চরিত্র বলবো? Any guess?............... (view spoiler)
এবার বলি নেগেটিভ জিনিসগুলো যেগুলোর দিকে লেখক খেয়াল করলে আমার মতে এটা আমার জন্য বেস্ট মিস্ট্রি থ্রিলার হতো।
কাহিনীর শুরুঃ
খুব ই শেকি ছিল যা সেই লেভেলের বিরক্তির জন্ম দিয়েছিল আমার মধ্যে। নাম উহ্য রেখে শুধু সর্বনাম দিয়ে কোন চরিত্র কে পাঠকের সামনে আনা - বিদেশি লেখকদের বই পড়াতে এই স্টাইল এর সাথে পরিচিত কিন্তু সমস্যা হল ওনারা এটা ব্যবহার করেন কোন মিস্টেরিয়াস ক্যারেক্টার কে রিডার এর কাছে লুকিয়ে রাখতে। আর এমনি কোন চরিত্র introduce করতে কখনো এক প্যারার বেশি নাম উহ্য রেখে সর্বনাম এর ব্যবহার টানা হয়না তাদের বইতে। এটা একটু বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে কারণ উনি সেম স্টাইল সায়েম এবং গোলাম মাওলা ২ টি চরিত্রকেই introduce করতে ব্যবহার করেছেন। পরপর চারটি অধ্যায় লিখে গেছেন শুধু চারটি চরিত্রকে introduce করার জন্য। পরে ওনার সাবলীল লেখার ভঙ্গি দেখে বুঝলাম শুরুটা আরো ভালো হতে পারতো।
বাড়ম্বরতাঃ
চরিত্র এবং পেশার নাম অদলবদল করে বলা - যেমন গোলাম মাওলা কে একবার গোলাম মাওলা এবং পরের প্যারাতেই আবার গুলশান-বনানীর এসি , একই জিনিস সায়েম মোহাইমেনের ক্ষেত্রে। নিশুকে যে উনি অবশেষে ছোকরা টাইপ বলা বন্ধ করেছিলেন আই উইশ কি উনি সেটা প্রধান ২ চরিত্রের বেলাতেও করতেন – আই মিন চরিত্র এবং পেশার নাম অদলবদল করে গল্প বলাটা। আমার বিরক্তি এমনই লেভেলের ছিল, বইটা যদি হার্ডকপি হত আর আমার হাতে একটা পেন থাকতো, কেউ “গুলশান-বনানীর এসি” এই শব্দগুচ্ছ কে আমার কপিটিতে আর খুঁজে পেতনা (-_-)।
দুর্বল নারী চরিত্রঃ
ন্যাকামী চরিত্র কিন্তু শুধু ছেলেদের না যেকোন ম্যাচিউরড মানুষের জন্যই বিরক্তিকর। আমি গল্পে এদের প্রয়োজনকেও ঠিক বুঝতে পারলামনা। তিনটি নারী চরিত্রের মধ্যে লক্ষণীয় মিল আছে – রেগে গিয়ে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলা, ফোন রিসিভ না করলেই আবেগী হয়ে কান্না শুরু করা, যুক্তিগত চিন্তা করতে একদমই অক্ষম হওয়া। বাকি ২ নারী চরিত্রও পছন্দ করার মত কিছু ছিলনা। এর কারণ হিসেবে আমার লেখক সম্পর্কে ২টি কথা মনে হয়েছে – ১. উনি নারী চরিত্র কে স্টাডি করে গল্পে এদেরকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে এবং গল্পের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে এখনো দক্ষ নন। ২. নারীদের সম্পর্কে ওনার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন তার লেখা গল্পেও নারীদের চরিত্র সেভাবেই দেখানো হয়েছে। সেটা হলে এটা খুবই দুঃখজনক। ২য় পয়েন্টে আমি জোর দিয়ে এখনো কিছু বলবো না ওনার আরো কিছু বই না পড়া পর্যন্ত। যদি এই পয়েন্ট কে সাপোর্ট করার মতো আরো কিছু বাকি বইগুলোতেও পাই, স্যাডলি স্পিকিং, আই উইল স্টপ রিডিং হিজ বুক।
আরো কিছু ব্যাপার চোখে পড়েছে। যেমন - (!) চিহ্নের অতি এবং অনেকক্ষেত্রেই ভুল জায়গায় ব্যবহার আমার মতে। কিছু বিষয়ের বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিলনা কারণ পাঠকরা এখন অনেক পরিপক্ক যে তারা নিজেরাই অনেক কিছু ব্যাখ্যা না দিলেও বুঝে নেয়। শুরুতে একবার ব্যাখ্যা করার পর খুনে ব্যবহৃত পিস্তলের গুলিটি কেন দুর্বল ছিল সেই ব্যাখ্যা আবার দেয়া হয়েছে শেষের দিকে। উপসংহার এবং উপসংহারের আগের অংশ আগে পরে হলে যথাযথ হতো বলে মনে হয়। গল্পে প্রধান চরিত্রদের লাভ ইন্টারেস্ট পার্ট টুকুর গল্প আরো ভালো হতে পারতো যেহেতু উনি Happy Ending হিসেবে একে ব্যবহার করেছেন।
বইটিকে Goodreads এর রেটিং সিস্টেম অনুযায়ী ৩ স্টারস দিচ্ছি – যার মানে হচ্ছে “I liked it”.
রিভিউ টা শেষ করছি বইয়ের একটি ছোট অংশ তুলে দিয়ে যেটা আমাকে ব্যাপক বিনোদন দিয়েছে :p –

P.S. রুডি নামের Ice Age 2 animation movie থেকে এক মহিলা ডাইনোসরের কথা মনে পড়ছে এখন আমার বার বার! হাহাহা...["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>
যাইহোক বইটি কেমন লাগলো বলি। প্রথমেই পজিটিভ দিকগুলো অর্থাৎ যা ভালো লেগেছে সেগুলো বলছি।
কাহিনী পটভূমিঃ
আমাদের দেশের এখনকার বাস্তব সময়ের চিত্র খুব ই ভালো মত ব্যবহার করেছেন লেখক এই গল্পে। রাজনৈতিক, সরকারী অ্যাডমিনিস্ট্রিভ এবং সামাজিক অনেক সমস্যা কে গল্পে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন আমার একবারো মনে হয়নি এ শুধু বলার জন্য বলা, বরং সেগুলো ছিল গল্পের প্রয়োজনে বলা। কোন ফ্যান্টাসি রহস্যোপন্যাস যা আপনি মজা পেয়ে পড়বেন ঠিকই কিন্তু গল্পের সাথে বাসস্তবতার যে কোন মিল নেই সেটাও ভালো মতো বুঝবেন।
রহস্যঃ
রহস্যোপন্যাস আমার মতে দুই প্রকারের বেসিক প্লটের হয় - এমন রহস্য যা পাঠক কিছুতেই আন্দাজ করতে পারেননা বইয়ের একেবারে শেষ দিক না পড়া পর্যন্ত, আরেকটা হচ্ছে পাঠক শুরু থেকেই বুঝতে পারেন রহস্যটার বিভিন্ন দিক লেখকের গল্পের মধ্যে দেয়া বিভিন্ন ক্লু এর মাধ্যমে। আমার মতে ১৯৫২ ছিল ২য় ধরনের রহস্যোপন্যাস। এ ধরনের রহস্যোপন্যাস এর মজা আমি তখন ই পাই যখন লেখক কাহিনী কে এক গতিতে একই দিকে না এগিয়ে বিভিন্ন ভাবে টুইস্ট ব্যবহার করে পাঠক কে ইন্টারেস্টেড রাখেন। আমি বুঝতে পারছিলাম কালপ্রিট কে হতে পারে, লেখক মোটামুটি বুঝিয়েই দিচ্ছিলেন কে হবে মেইন কালপ্রিট এবং কাহিনীটির মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার যোগসূত্র কি। কিন্তু পুরো রহস্য কিভাবে সলভ হবে তার পুরোটুকু অন্তত আমি বুঝতে পারিনি একদম বইয়ের শেষ পর্যন্ত। এবং শেষেও যে আরেকটা টুইস্ট ছিল সেটা একেবারে খোলাসা না করার একটু আগে পর্যন্তও আমি আন্দাজ ও করতে পারিনি এমন কিছু হবে।
চরিত্রঃ
প্রধান ২ চরিত্রকেই আমার ভালো লেগেছে। গোলাম মাওলা – নামকরণ টা বেশি পছন্দ হয়েছে কারণ এটাকেই বেশি বাস্তব লেগেছে। সায়েম মোহাইমেনের নাম কি উনি জারনালিস্ট বলেই একটু মডার্ন ধাঁচের পেলেন কিনা জানিনা। অপরাধীর থেকে আমার এর সহযোগী চরিত্র গুলোকে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে (view spoiler) সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কোন চরিত্র বলবো? Any guess?............... (view spoiler)
এবার বলি নেগেটিভ জিনিসগুলো যেগুলোর দিকে লেখক খেয়াল করলে আমার মতে এটা আমার জন্য বেস্ট মিস্ট্রি থ্রিলার হতো।
কাহিনীর শুরুঃ
খুব ই শেকি ছিল যা সেই লেভেলের বিরক্তির জন্ম দিয়েছিল আমার মধ্যে। নাম উহ্য রেখে শুধু সর্বনাম দিয়ে কোন চরিত্র কে পাঠকের সামনে আনা - বিদেশি লেখকদের বই পড়াতে এই স্টাইল এর সাথে পরিচিত কিন্তু সমস্যা হল ওনারা এটা ব্যবহার করেন কোন মিস্টেরিয়াস ক্যারেক্টার কে রিডার এর কাছে লুকিয়ে রাখতে। আর এমনি কোন চরিত্র introduce করতে কখনো এক প্যারার বেশি নাম উহ্য রেখে সর্বনাম এর ব্যবহার টানা হয়না তাদের বইতে। এটা একটু বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে কারণ উনি সেম স্টাইল সায়েম এবং গোলাম মাওলা ২ টি চরিত্রকেই introduce করতে ব্যবহার করেছেন। পরপর চারটি অধ্যায় লিখে গেছেন শুধু চারটি চরিত্রকে introduce করার জন্য। পরে ওনার সাবলীল লেখার ভঙ্গি দেখে বুঝলাম শুরুটা আরো ভালো হতে পারতো।
বাড়ম্বরতাঃ
চরিত্র এবং পেশার নাম অদলবদল করে বলা - যেমন গোলাম মাওলা কে একবার গোলাম মাওলা এবং পরের প্যারাতেই আবার গুলশান-বনানীর এসি , একই জিনিস সায়েম মোহাইমেনের ক্ষেত্রে। নিশুকে যে উনি অবশেষে ছোকরা টাইপ বলা বন্ধ করেছিলেন আই উইশ কি উনি সেটা প্রধান ২ চরিত্রের বেলাতেও করতেন – আই মিন চরিত্র এবং পেশার নাম অদলবদল করে গল্প বলাটা। আমার বিরক্তি এমনই লেভেলের ছিল, বইটা যদি হার্ডকপি হত আর আমার হাতে একটা পেন থাকতো, কেউ “গুলশান-বনানীর এসি” এই শব্দগুচ্ছ কে আমার কপিটিতে আর খুঁজে পেতনা (-_-)।
দুর্বল নারী চরিত্রঃ
ন্যাকামী চরিত্র কিন্তু শুধু ছেলেদের না যেকোন ম্যাচিউরড মানুষের জন্যই বিরক্তিকর। আমি গল্পে এদের প্রয়োজনকেও ঠিক বুঝতে পারলামনা। তিনটি নারী চরিত্রের মধ্যে লক্ষণীয় মিল আছে – রেগে গিয়ে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলা, ফোন রিসিভ না করলেই আবেগী হয়ে কান্না শুরু করা, যুক্তিগত চিন্তা করতে একদমই অক্ষম হওয়া। বাকি ২ নারী চরিত্রও পছন্দ করার মত কিছু ছিলনা। এর কারণ হিসেবে আমার লেখক সম্পর্কে ২টি কথা মনে হয়েছে – ১. উনি নারী চরিত্র কে স্টাডি করে গল্পে এদেরকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে এবং গল্পের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে এখনো দক্ষ নন। ২. নারীদের সম্পর্কে ওনার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন তার লেখা গল্পেও নারীদের চরিত্র সেভাবেই দেখানো হয়েছে। সেটা হলে এটা খুবই দুঃখজনক। ২য় পয়েন্টে আমি জোর দিয়ে এখনো কিছু বলবো না ওনার আরো কিছু বই না পড়া পর্যন্ত। যদি এই পয়েন্ট কে সাপোর্ট করার মতো আরো কিছু বাকি বইগুলোতেও পাই, স্যাডলি স্পিকিং, আই উইল স্টপ রিডিং হিজ বুক।
আরো কিছু ব্যাপার চোখে পড়েছে। যেমন - (!) চিহ্নের অতি এবং অনেকক্ষেত্রেই ভুল জায়গায় ব্যবহার আমার মতে। কিছু বিষয়ের বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিলনা কারণ পাঠকরা এখন অনেক পরিপক্ক যে তারা নিজেরাই অনেক কিছু ব্যাখ্যা না দিলেও বুঝে নেয়। শুরুতে একবার ব্যাখ্যা করার পর খুনে ব্যবহৃত পিস্তলের গুলিটি কেন দুর্বল ছিল সেই ব্যাখ্যা আবার দেয়া হয়েছে শেষের দিকে। উপসংহার এবং উপসংহারের আগের অংশ আগে পরে হলে যথাযথ হতো বলে মনে হয়। গল্পে প্রধান চরিত্রদের লাভ ইন্টারেস্ট পার্ট টুকুর গল্প আরো ভালো হতে পারতো যেহেতু উনি Happy Ending হিসেবে একে ব্যবহার করেছেন।
বইটিকে Goodreads এর রেটিং সিস্টেম অনুযায়ী ৩ স্টারস দিচ্ছি – যার মানে হচ্ছে “I liked it”.
রিভিউ টা শেষ করছি বইয়ের একটি ছোট অংশ তুলে দিয়ে যেটা আমাকে ব্যাপক বিনোদন দিয়েছে :p –

P.S. রুডি নামের Ice Age 2 animation movie থেকে এক মহিলা ডাইনোসরের কথা মনে পড়ছে এখন আমার বার বার! হাহাহা...["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>["br"]>

চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন। এবার আপনার "Poison Princess" এর রিভিউ এর অপেক্ষায় থাকলাম।
Auyon wrote: "Bookish wrote: "অবশেষে পড়া শেষ করলাম ১৯৫২ by মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। ..."
চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন। এবার আপনার "Poison Princess" এর রিভিউ এর অপেক্ষায় থাকলাম।"
অনেকখানি লিখেছি, আজকের মধ্যে শেষ করবো। বইটির সাথে জাস্টিস হয় এমন ভাবে ভেবে চিন্তে লিখতে সময় লাগছে। তাছাড়া এটার কাহিনী ১৯৫২ থেকে অনেক জটিল তাই ভাবনা গুলো গুছোতে সময় নিতে হচ্ছে। :)
চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন। এবার আপনার "Poison Princess" এর রিভিউ এর অপেক্ষায় থাকলাম।"
অনেকখানি লিখেছি, আজকের মধ্যে শেষ করবো। বইটির সাথে জাস্টিস হয় এমন ভাবে ভেবে চিন্তে লিখতে সময় লাগছে। তাছাড়া এটার কাহিনী ১৯৫২ থেকে অনেক জটিল তাই ভাবনা গুলো গুছোতে সময় নিতে হচ্ছে। :)

যাইহোক বইটি কেমন লাগলো বলি। প্রথমেই পজিটিভ দিকগুলো অর্থাৎ যা ভালো ..."
Nice review.Shobkichu onek shundor kore guchiye bolso.Amar sathe tomar onk kotha mile giyeche :)
Fariha wrote: "Nice review.Shobkichu onek shundor kore guchiye bolso.Amar sathe tomar onk kotha mile giyeche :)"
Thanks apu :)
Thanks apu :)
বইটি কেমন লাগলো - নিজের মতামত, অনুভুতি শেয়ার করুন। কাহিনী বলতে গিয়ে Spoiler ইউজ করলে অবশ্যই Spoiler কোড ইউজ করুন, [কিভাবে এটি ইউজ করতে হয় জানতে এই লিংক এ যান - comment formatting tips] নয়তো কমেন্ট এর শুরুতেই ***Spoiler Alert*** লিখুন। অনুরোধ করছি সবার কাছে নিয়মটি মেনে চলতে।
***সবার নিজের নিজের মতামত থাকবে, কারো বইটি ভালো লাগবে, কারো হয়তো ভালো লাগবেনা। সবার অনুভুতি এবং মতামত এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করুন। গঠনমূলক বিতর্ক চলুক - কিন্তু অহেতুক ঝগড়ার অথবা ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে যেন না চলে যায় সেটা খেয়াল রাখুন। আপনার প্রিয় লেখক অথবা বইকে পছন্দ না করা মানে আপনাকে অপছন্দ করা নয় - এই কথাটা সবাই মাথায় রাখি।
***IMPORTANT: USE OF SPOILER ALERT
সবাইকে ধন্যবাদ। :)
হ্যাপি রিডিং!