“ভালোবাসা এক অলঙ্কৃত অসুখের নাম...”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
“গায়ে বুনোমাটির গন্ধওয়ালা বয়সে বেশ খানিক ছোট বা বড় ছেলেগুলো ভীষণ শান্ত, অথচ রাগী প্রকৃতির হয়, আদ্যোপান্ত সিগারেটে ডুবে থাকে সারাক্ষণ। কপালের প্রতিটা ভাঁজে ছেলেবেলায় ফেলে আসা কাঠের উনুন, ভাতের থালা, মায়ের সবজি কাটার বঁটি, স্টুডিওতে তোলা পাসপোর্ট ছবি ও বাবার হাওয়া ভরা সাইকেল রাখা থাকে।
নিজের কথাটুকু গুছিয়ে বলতে পারেনা, মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলেই তোতলায়, হাত কাঁপে, বারবার ঢোক গেলে...
ওদের বুকের কাছে মাথা রাখলে খুব সস্তার একটা পারফিউমের স্মেল পাই, ব্র্যান্ডেড নয় কোনো, এভেলেবেল সবার কাছেই। স্রেফ তার চমৎকার কার্যকরী ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নয়..
ঝিমধরানো নেশার দিঘি গোটা শরীরটা। আমাদের শুধু ডুবে যাওয়ার রাস্তা জানা, উঠে আসার নয়...”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
নিজের কথাটুকু গুছিয়ে বলতে পারেনা, মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলেই তোতলায়, হাত কাঁপে, বারবার ঢোক গেলে...
ওদের বুকের কাছে মাথা রাখলে খুব সস্তার একটা পারফিউমের স্মেল পাই, ব্র্যান্ডেড নয় কোনো, এভেলেবেল সবার কাছেই। স্রেফ তার চমৎকার কার্যকরী ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নয়..
ঝিমধরানো নেশার দিঘি গোটা শরীরটা। আমাদের শুধু ডুবে যাওয়ার রাস্তা জানা, উঠে আসার নয়...”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
“একটা চেয়ার নিয়ে বসে আছি মাঝরাস্তায়, মাকালী বলছি চেয়ারটাকে কিছুতেই সরাতে পারছিনা, শালা হেব্বি হারামি, মালিকের কথা শোনেইনা মালটা।
ঝুঁকে পড়া সন্ধের যেমন রং হয়, ঠিক...ঠিক সেই রঙের ড্রেস পরে বাচ্চাগুলো রাস্তা পার হচ্ছে, প্রত্যেকের পিঠেই ব্যাগ নয় একটা মস্ত বড় ঘড়ি টাঙানো। টিকটিক কাঁটাগুলো সমানে ঘুরে চলেছে, নিশ্চই কোনো দৈব শক্তি ভর করেছে বা দূর থেকে আঙ্গুল নাড়িয়ে কোনো জাদুকর ম্যাজিক করছে, জানিনা, বুঝতে পারছিনা।
একটা লক্ষ্যনীয় ব্যাপার ওদের প্রত্যেকের গাল ঝুলে গেছে, চোখের তলা কোঁচকানো, সব্বার নাকে অক্সিজেন মাস্ক পরানো, কথা বলতে গিয়ে হাঁপাচ্ছে। ওরা জুতোর তলায় মাড়িয়ে দিচ্ছে ইচ্ছে করেই নিরীহ ঘাস...”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
ঝুঁকে পড়া সন্ধের যেমন রং হয়, ঠিক...ঠিক সেই রঙের ড্রেস পরে বাচ্চাগুলো রাস্তা পার হচ্ছে, প্রত্যেকের পিঠেই ব্যাগ নয় একটা মস্ত বড় ঘড়ি টাঙানো। টিকটিক কাঁটাগুলো সমানে ঘুরে চলেছে, নিশ্চই কোনো দৈব শক্তি ভর করেছে বা দূর থেকে আঙ্গুল নাড়িয়ে কোনো জাদুকর ম্যাজিক করছে, জানিনা, বুঝতে পারছিনা।
একটা লক্ষ্যনীয় ব্যাপার ওদের প্রত্যেকের গাল ঝুলে গেছে, চোখের তলা কোঁচকানো, সব্বার নাকে অক্সিজেন মাস্ক পরানো, কথা বলতে গিয়ে হাঁপাচ্ছে। ওরা জুতোর তলায় মাড়িয়ে দিচ্ছে ইচ্ছে করেই নিরীহ ঘাস...”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
“ছেড়ে যাওয়ার জন্য জড়িয়ে ধরাটা প্রয়োজন। যারা জড়ায়নি কখনো, তাদের একটা সময়ের পর ভুলে যাওয়াটা খুব সহজ, সাবানের গ্যাজার মতো। থিতিয়ে পড়লেই বুদবুদ শেষ, কিসসা খতম...
যে গাছের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কমে আসে, সে গাছের ডালে চিরকাল কাঠুরিয়া ঘর করে...
আর যারা কসমসে জাপটে ধরে, তারা নির্মোহ ঘুমের ভেতর প্রচ্ছন্ন যন্ত্রনা হয়ে জেগে থাকে গোটা জীবন। যে ব্যথাটাকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যায়, অবসরে নখ দিয়ে খুঁটে ক্ষতটাকে গভীর করা যায়...
আউলবাউল প্রেমের নেশায় ডুবতে থাকে শরীর,
তোমরা ভাবো জ্বর,
বুকের পারদ গললে পরেই,
বুঝবে সবাই কেই বা আপন, কেই বা পর!
ঘাড়ের ঠিক দুই ইঞ্চি নীচে গুণে গুণে পাঁচ মিনিট ধরে ফেলা কয়েকটা মুহূর্তের উষ্ণ নিঃশ্বাস, এই মরে মরে বেঁচে থাকা তুচ্ছ বেকার লাইফটাকে চির শ্বাশত করে দিয়ে যায়...
কৃপা বসু”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
যে গাছের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কমে আসে, সে গাছের ডালে চিরকাল কাঠুরিয়া ঘর করে...
আর যারা কসমসে জাপটে ধরে, তারা নির্মোহ ঘুমের ভেতর প্রচ্ছন্ন যন্ত্রনা হয়ে জেগে থাকে গোটা জীবন। যে ব্যথাটাকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যায়, অবসরে নখ দিয়ে খুঁটে ক্ষতটাকে গভীর করা যায়...
আউলবাউল প্রেমের নেশায় ডুবতে থাকে শরীর,
তোমরা ভাবো জ্বর,
বুকের পারদ গললে পরেই,
বুঝবে সবাই কেই বা আপন, কেই বা পর!
ঘাড়ের ঠিক দুই ইঞ্চি নীচে গুণে গুণে পাঁচ মিনিট ধরে ফেলা কয়েকটা মুহূর্তের উষ্ণ নিঃশ্বাস, এই মরে মরে বেঁচে থাকা তুচ্ছ বেকার লাইফটাকে চির শ্বাশত করে দিয়ে যায়...
কৃপা বসু”
― দ্রাঘিমা ও প্রত্নবালিকা
Dev’s 2024 Year in Books
Take a look at Dev’s Year in Books, including some fun facts about their reading.
More friends…
Polls voted on by Dev
Lists liked by Dev



