Bimugdha Sarker's Blog

 

প্রথম বই : দ্য থিভিং ম্যাগপাই

জুন ও জুলাই ১৯৮৪

 

 

 

 

 

 

 

 

1

মঙ্গলবারের চাবি -দেয়া পাখি

.

ছয় আঙ্গুল ও চার স্তন

 

ফোনটা যখন বাজতে শুরু করেছিলো, আমি তখন রান্নাঘরে। স্প্যাগেটি সেদ্ধ করতে করতে রেডিওতে ব্রডকাস্ট করা রসিনি এর ‘থিভিং ম্যাগপাই’ রেকর্ডের তালে তালে শিস বাজাচ্ছিলাম। পাস্তা রান্না করার সময় কেন জানি এই গানটা একদম নিখুঁতভাবে মানিয়ে যায়। 

ফোনটা ধরতে মন চাচ্ছিলো না। প্রথমত, স্প্যাগেটি প্রায় সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, রেডিওতে ক্লডিও আব্বাডো* তার লন্ডন সিম্ফোনি’র একদম ক্লাইম্যাক্সে চলে এসে...

সৌন্দর্যের উৎপত্তি (Origin of beauty)

লেখক- এদুয়ার্দো গ্যালিয়ানো

 

ঐ তো, তারা ওখানেই, গুহার দেয়ালে ও ছাদে চিত্রিত অবস্থায় রয়েছে।

বাইসন, এলক, ভালুক, ঘোড়া, ঈগল, নারী, পুরুষ- শ্বাশ্বত, কালজয়ী সব প্রতিকৃতি। হাজার হাজার বছর আগে তাদের প্রত্যেকের জন্ম। কিন্তু কেউ যখন তাদের দিকে তাকায়, তাদের যেন নবজন্ম ঘটে।

আমাদের পূর্বপুরুষেরা কীভাবে এতটা সূক্ষ্মভাবে আঁকতে শিখেছিলো? যে বর্বর পুরুষ নিজের খালি হাত দিয়ে বন্যপশুর সাথে লড়াই করত, সেই হাত দিয়েই সে কীভাবে এতটা মমতা দিয়ে ছবি আঁকতে পারতো? তাঁর আঁকিবুঁকিগুলো কীভ...

৯.


সকাল পর্যন্ত কিয়োমির অবস্থা আগের মতই থাকলো।দুপুর হওয়া শুরু হতেই তার ব্লাড প্রেশার দ্রুত গতিতে কমে যেতে শুরু করলো। একটা বাজে সেটা নামতে নামতে ৯৫ তেপৌঁছে গিয়েছিলো।আর একঘন্টা পরে সেটা ৮০তে গিয়ে দাঁড়ালো। আইসিইউ তে ডাক্তাররা ভিড় করা শুরু করলো।নার্সদের ছোটাছুটিতে গোটা আইসিইউ সরগরম হয়ে উঠল। তারা তোশিয়াকি আর তার শ্বশুরকে সেখান থেকে বের করে দিলেন।ব্রেন ডেথের পরীক্ষা হবে এখন।
“সিসিএইচ(CCH) ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিম আড়াইটার মধ্যেই এখানে এসে পৌঁছাবে।” ডাক্তারদের একজন ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে তাদের জানালেন। “ক্যা...

[image error]


৭.

ডক্টর তাকাশি ইয়োশিজুমির সাথে ওদাগিরি সাড়ে এগারটার দিকে যোগাযোগ করেছিল।তাকে জানানো হয়েছিল যে, ইউনিভার্সিটিহাসপাতালে একটা ডোনার পাওয়া গিয়েছে।ইয়োশিজুমি তখন রোগীদের ফাইল পড়ছিলেন। ‘ডোনার’ শব্দটাঅবশেষে তার মনোযোগ কেড়ে নিতে পারলো।
“ডোনার ২৫বছর বয়সের একজন নারী। ইন্ট্রাসেরেব্রাল হেমোরেজ হওয়ার ফলে এখন ব্রেন ডেড পর্যায়ে আছে। আজকেই তাদের পরিবারের সাথে আমার কথা হয়েছে এবং তারা ডোনার হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।”
কোঅর্ডিনেটরের প্রতিটাকথায় সায় দিয়ে ইয়োশিজুমি সংক্ষেপে কথাগুলো তার মেমো প্যাডে টুকে নিলেন।আজুসা ওদাগিরি গ...

                                                ৫.
ওয়ার্ড ডিউটির পাট চুকিয়ে কুনিও শিনোহারা ক্লিনিকাল রিসার্চ সেন্টার এরপাঁচতলায় অবস্থিত সার্জারি ডিপার্টমেন্টে ফিরে এলেন। এলিভেটরে করে নিচে নেমে হাতের ডানদিকে গিয়ে নিজের অফিসের দরজাটা খুললেন।
নিজের কাঁধটা ম্যাসাজ করতে করতে প্রাণহীন ঘরটা পার করে নিজের ডেস্কে গিয়ে বসে পড়লেন। আড়চোখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন, ঘড়িতে তখন ৫:৩০ বাজে।
তার সেক্রেটারি ডেস্কে দুটো মেমো রেখে গিয়েছে।তিনি একটা মেডিকেল আর্টিকেল পড়তে চেয়েছিলেন( কিন্তু সেটা পাওয়া যায়নি), আরেকটা মেমো রেখ...

৩.
ছটার দিকে তাদের আইসিইউতে ঢুকতে দেবার অনুমতি দেয়া হল।
ঘরটাতে ঢুক্তেই তাদের বলা হল ধূসর রঙের স্টেরিলাইজড গাউন আর স্পেশাল মাস্ক পরে নিতে।একই সাথে তাদের হাত পাধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতেও বলা হল। তোশিয়াকির কাছে ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়। তাকে এক্সপেরিমেন্টের জন্য এভাবে অনেকবার প্রস্তুত হতে হয়েছে। তাই ব্যাপারটাতার কাছে বেশ ভালোভাবেই পরিচিত।কিয়োমির বাবাও সার্জন হওয়ার কারনে তার কাছে ব্যাপারটা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। একমাত্র কিয়োমির মায়ের কাছে ব্যাপারটা বিরক্তিকর লাগলো।অনেকটা রাগে গজগজ করতে করতে তিনি গাউনট...

ভূমিকা



আচমকা কিয়োমি নাগাশিমার চোখের সামনে থেকে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে গেল।

আসলে কি যে ঘটেছে, তা সম্পর্কে তার কোনো ধারনাই ছিল না। একমুহূর্ত আগেও তিনি প্রত্যেকদিন যেসব বাড়িকে পাশ কাটিয়ে যেতেন, সেগুলো তার গাড়ির উইন্ডশিল্ডে প্রতিফলিতহচ্ছিল। আরএকটু সামনেই যে রাস্তা ঢালু হয়ে নিচে নেমে গিয়েছে, সেটাও তার অপরিচিত ছিল না। রাস্তাটা ডান দিকে একটু সরে গিয়েছে, সেখানেএকটা ট্রাফিক লাইট রয়েছে। চোখের সামনে থেকে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগে তিনি দেখতে পেলেন, ট্রাফিক লাইটটামাত্র হলুদ রঙে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে।

কিয়োমি চোখে...

দয ইমরটাল লাইফ অব হেনরিয়েটা লযাকসরেবেকা সকলুট








...

হেলপিং হযানডকলডিন গরিগস

আলেকসানডরিয়া সটিফেনস এর আগেই জানা ছিল, সে হিমশীতল, নিষঠুর মহাশূনযে খুব ধীরে ধীরে মারা যাবে। সে তার কযাপসুলের পনের মিটার ওপর ভাসছিলো। কযাপসুলটা একজন আরোহীর জনয তৈরি এক সপেস শাটল, যা পৃথিবীর উঁচু কিংবা নিচু অকষে খুব সহজেই চালানো যায়।  
                      ...

১৯৬৯-১৯৭৩

ভীনদেশের গলপ শুনতে একসময় আমি বেশ পাগল ছিলাম। অনেক আবেগী ছিলাম তখন।
একটা সময়, কাঁটায় কাঁটায় দশ বছর আগে, আমি যাকে সামনে পেতাম, তার গায়ে চুমবকের মত লেগে যেতাম তার জনমসথান সমপরকে জানার জনয। সে সময়ে কারো দুঃখ কষটের গলপ শোনার মত শরোতা কেউ ছিল না, তাই লোকজন আমার সামনে তাদের গলপের ঝাঁপি খোলা শুরু করল। জনমসথান বাদেও আরো অনেক কিছু এসে যেত গলপগুলোতে। যেসব মানুষকে আমি চিনতামও না, তারাও কোনোভাবে আমাকে খুঁজে বের করল। শুধুমাতর শরোতা বানানোর জনয তারা এত কষট করতে রাজি ছিল।
তারা যেন শুকনো এক কুয়ো তে ঢ...