ড্রিম রেডিয়েটিং থ্রু আয়িস
চোখের পাতারা যেন ক্রমশ নিজেদের কাছাকাছি টেনে নিচ্ছিলো দু’টো খাবি খাওয়া মাছের মতন। স্বপ্নে দেখলাম বন্য ভেড়ার দলের তৃণভূমিতে বিচরণ, মৃত্যুর বিলাপে ক্রন্দনরত। তাদের রক্তের পলেস্তারায় মুড়ে থাকা চোখ যেন সংবেদনশীল। কিছুটা সময় পরপর জানান দিচ্ছে কেউ এখানে মৃয়মান, তারার মত জ্বলছে, নিভছে। যার হৃদয় ব্লুবেরির মত বেগুনি রক্তে জমাট বাঁধা, অতীতের বিস্মৃতিতে বিমোহিত।
স্বপ্ন এবার জানান দিলো নিঃসঙ্গ এক মেষপালক এক পাল ভেড়ার পাহারায় সজাগ। কথিত আছে, উইলো থেকে জন্মানো পোঁকার দলেরা খেয়ে ফেলেছে তাকে। ইতোমধ্যে খুঁজতে শুরু করেছি আমি তাকে। কারণ শোনা কথায় কান লাগাতে নেই!
চোখের পাতাটা যেন ক্রমশ আরো কুঁকড়ে যাচ্ছিলো একে ওপরের দিকে। আমি দেখতে পেলাম অন্তঃসারশূন্য অতল গভীর এক কূপ। যেখানের প্রতিবার আমার নিঃশ্বাস এর প্রতিধ্বনি উঠে আসছে শূন্য হাতে। যেন কেউ প্রাচীনকালের কোনো প্রাসাদের অশুভ আত্নায় অধ্যুষিত। লেপ্টে আছে পাজরের সবগুলো হাড় জুড়ে।
আমি আরো দেখলাম এক ভয়াল গ্রাম। কঠিন এক রোগে হতবিহব্বল। এ যেন শেষ হবার নয়। গ্রামজুড়ে অসুস্থ বোটকা গন্ধ কালো আকাশে ছেয়ে গেছে। তবে অতল সেই কূপ এবার তল খুঁজে পেয়েছে। যে তলে ঠাই পেয়েছে রক্ত, মাংস আর গোঙানি।
খানিকক্ষণ বাদেই আবিষ্কার করলাম, স্বপ্নে দেখা সেই কূপ রুপান্তরিত হয়ে উঠেছে পুরনো মলিন এক গোলকধাঁধায়। চোখের পাতারা যখন সরিয়ে দিচ্ছে নিজেদের একে অপরের থেকে ছদ্মবেশধারী এক আয়না এসে উপস্থিত হলো তখন। বিচ্ছুরণ করছে একের পর এক সুরাহাহীন স্বপ্নের। আমি আয়নাটা স্পর্শ করলাম। ঘুমপাড়ানি ছড়ার দলেরা ভাসতে লাগলো। যত কর্কশ সে কন্ঠ তত বলিষ্ঠ তার সুবাস! এমন সুর যেন কোনো আধ খাওয়া সিগ্রেট থেকে মৃত কোনো আত্না ভেসে বেড়াচ্ছে। ভেসে বেড়াচ্ছে। ভেসে বেড়াচ্ছে…
সকাল দশটা বেজে পঞ্চান্ন মিনিট। ঘুম থেকে উঠেই বুঝে উঠতে পারছি না কোথায় আছি, কোথায় ছিলাম। সুরাহাহীন স্বপ্নগুলোর ছেদ করতে কষ্ট হচ্ছে খুব। চোখে মুখে পানি দিয়ে ব্রেকফাস্ট শেষে বাইরে যেতে চাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা ফোন কল আসলো। একটা রেড এলার্ট। “এন্ড এন এপিডেমিক”।
Shoroli Shilon's Blog
- Shoroli Shilon's profile
- 8 followers
