অসমাপ্ত আত্মজীবনী Quotes
অসমাপ্ত আত্মজীবনী
by
Sheikh Mujibur Rahman1,314 ratings, 4.26 average rating, 145 reviews
অসমাপ্ত আত্মজীবনী Quotes
Showing 1-9 of 9
“আমাদের বাঙ্গালিদের মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হল 'আমরা মুসলমান, আর একটা হল আমরা বাঙালি।' পরশ্রীকাতরতা আর বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধহয় দুনিয়ার কোন ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবেনা, 'পরশ্রীকাতরতা'। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে 'পরশ্রীকাতর' বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন,সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙ্গালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয়না। এই জন্যই বাঙালি জাতির সকল রকম গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“আমার নিজের একটা অসুবিধা হয়েছিলো। আমার অভ্যাস, নিজে দাড়ি কাটি। নাপিত ভাইদের বোধহয় দাড়ি কাটতে কোনোদিন পয়সা দেই নাই। ব্লেড আমার কাছে যা ছিলো শেষ হয়ে গেছে। ব্লেড কিনতে গেলে শুনলাম, ব্লেড পাওয়া যায়না। বিদেশ থেকে ব্লেড আনার অনুমতি নাই। পিকিংয়েও চেষ্টা করেছিলাম পাই নাই। ভাবলাম,তিয়েন শিং-এ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। এত বড় শিল্প এলাকা ও সামুদ্রিক বন্দর! এক দোকানে বহু পুরানা কয়েকখানা ব্লেড পেলাম, কিন্তু তাতে আর দাড়ি কাটা যাবেনা। আর এগুলো কেউ কিনেও না। চীন দেশে যে জিনিস তৈরি হয়না, তা লোকে ব্যবহার করবে না।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“অনেক সময় দেখা গেছে, একজন অশিক্ষিত লোক লম্বা কাপড়, সুন্দর চেহারা, ভাল দাড়ি, সামান্য আরবি ফার্সি বলতে পারে, বাংলাদেশে এসে পীর হয়ে গেছে। বাঙালি হাজার হাজার টাকা তাকে দিয়েছে একটু দোয়া পাওয়ার লোভে। ভাল করে খবর নিয়ে দেখলে দেখা যাবে এ লোকটা কলকাতার কোন ফলের দোকানের কর্মচারী অথবা ডাকাতি বা খুনের মামলার আসামি। অন্ধ কুসংস্কার ও অলৌকিক বিশ্বাসও বাঙালির দুঃখের আর একটা কারণ।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“জনগণকে ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্ম ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দেবেনা।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কোনো কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন বাংলাদেশ দখল করে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় তখন বাংলার এত সম্পদ ছিল যে, একজন মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী গোটা বিলাত শহর কিনতে পারত। সেই বাংলাদেশের এই দুরবস্থা চোখে দেখেছি যে, মা মরে পড়ে আছে, ছোট বাচ্চা সেই মরা মার দুধ চাটছে। কুকুর ও মানুষ একসাথে ডাস্টবিন থেকে কিছু খাবার জন্য কাড়াকাড়ি করছে। নিজের ছেলেমেয়েকে বিক্রি করতে চেষ্টা করছে।কেউ কিনতে ও রাজি হয় নাই। বাড়ির দুয়ারে এসে চিৎকার করছে, মা বাঁচাও, কিছ খেতে দাও মরে তো গেলাম, আর পারি না, একটু ফেন দাও।” এই কথা বলতে বলতে ঐ বাড়ির দুয়ারের কাছেই মরে পরে গেছে।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“একদিনের একটা ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে দিয়েছিল, আজও সেটা ভুলি নাই। আমার এক বন্ধু ছিল ননীকুমার দাস। একসাথে পড়তাম, কাছাকাছি বাসা ছিল, দিনভরই আমাদের বাসায় কাটাত এবং গোপনে আমার সাথে খেত। ও ওর কাকার বাড়িতে থাকত। একদিন ওদের বাড়িতে যাই। ও আমাকে ওদের থাকার ঘরে নিয়ে বসায়। ওর কাকীমাও আমাকে খুব ভালবাসত। আমি চলে আসার কিছু সময় পরে ননী কাঁদো কাঁদো অবস্থায় আমার বাসায় এসে হাজির । আমি বললাম ‘ননী কি হয়েছে?' ননী আমাকে বলল, “তুই আর আমার বাসায় যাস না। কারণ তুই চলে আসার পর কাকীমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে আনার জন্য এবং সমস্ত ঘর আবার পরিষ্কার করেছে পানি দিয়ে ও আমাকেও ঘর ধুতে বাধ্য করেছে ।” আমি বললাম, “যাব না, তুই আসিস।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“বোধহয় দুনিয়ার কোন ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবে না, 'পরশ্রীকাতরতা'। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয়, তাকে 'পরশ্রীকাতর' বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ, সকল ভাষায়ই পাবেন, সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
“মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।”
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
― অসমাপ্ত আত্মজীবনী
