Arafat Rahman's Blog - Posts Tagged "মস-ত-ষ-ক-ঘ-ম-ও-স-বপ-ন"

হিপ্পোক্যাম্পাসকে কেন স্মৃতির লাইব্রেরিয়ান বলা হয়

অনেকেই জানতে চেয়েছেন "মস্তিষ্ক ঘুম ও স্বপ্ন" বইটার নতুন প্রিন্ট কবে বের হবে। দশ বছর আগে লেখা বইটা নিয়ে আবার কাজ শুরু করেছি, কলেবর বাড়ানোর জন্য লিখছি এখন। ছবিও তর্জমা করছি।

সেই সিরিজের নতুন লেখা বিজ্ঞান ব্লগে। হিপ্পোক্যাম্পাসকে কেন স্মৃতির লাইব্রেরিয়ান বলা হয়। আর হিপ্পোক্যাম্পাস কিভাবে মেমরি কনসলিডেশন করে। কিছু ছবি বাংলায় তর্জমাও করলাম।

ঘুম, যে কাজে আমরা জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় ব্যয় করি, বেঁচে থাকার জন্য তার অতীবগুরুত্ব ভূমিকা থাকতেই হবে। না হয় সে কাজ বিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে
বোধগম্য না।

ঘুমের অনেকগুলো জরুরী কাজের মধ্যে সম্ভবত অন্যতম প্রধান হলো স্মৃতি সংহতিসাধন (Memory consolidation)। নিউরোসায়েন্সের ভাষায় মেমরি কনসলিডেশন বলতে বোঝায় নতুন গঠিত হওয়া স্মৃতিকে দৃঢ়করণ, স্থিতিশীলতা বাড়ানো, ও স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি থেকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে স্থানান্তর।

মস্তিস্কে স্মৃতির সংহতিসাধন ঠিক কিভাবে হয়?
এ প্রক্রিয়াটি বোঝার জন্য মস্তিষ্কে দুইটি প্রধান খেলোয়ারের সাথে আমাদের পরিচিত হতে হবে। একটি হলো কর্টেক্স, যা মস্তিষ্কের প্রধান কার্যনির্বাহী কেন্দ্র। কর্টেক্সে আমাদের যাবতীয় চিন্তা ঘটে থাকে, এটি স্মৃতি ও ভাষার জায়গা। কর্টেক্সকে চিন্তা করা যায় একটা গুদামঘর, অথবা একটা বিরাট লাইব্রেরির সাথে। দ্বিতীয় খেলোয়ার হলো মস্তিষ্কের গভীরে থাকা হিপ্পোক্যাম্পাস, যার সাথে আমরা আগেই পরিচিত হয়েছি।

হিপ্পোক্যাম্পাস কর্টেক্সের সাথে গভীর সম্পর্কে সংযুক্ত। কর্টেক্স যদি লাইব্রেরি হয়, তাহলে হিপ্পোক্যাম্পাস হলো লাইব্রেরিয়ান। লাইব্রেরিতে নতুন কোন বই যুক্ত করতে হলে লাইব্রেরিয়ান যেমন সিদ্ধান্ত নেন যে বইটা কোথায় যাবে, দরকার হলে তাকে থাকা বইগুলো পুনর্বিন্যাস করেন, তেমনি হিপ্পোক্যাম্পাস নতুন স্মৃতিকে সংরক্ষণের জন্য কাজ করে থাকে। হিপ্পোক্যাম্পাস ও কর্টেক্সের মধ্যকার এই দ্বিমুখী যোগাযোগ তাই গবেষকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

বিস্তারিত: https://bigganblog.org/2023/11/হিপ্পো...
1 like ·   •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on November 08, 2023 10:33 Tags: মস-ত-ষ-ক-ঘ-ম-ও-স-বপ-ন

এনগ্রাম: স্মৃতি যেভাবে জমা থাকে

এনগ্রামকে বলা হয় স্মৃতি তৈরির গাঠনিক একক।এই লেখাতে আমরা এনগ্রাম নামক একটা ধারণার সাথে পরিচিত হবো। এর পরের লেখায় স্মৃতি তৈরির প্রক্রিয়ার পেছনে যে জীববিজ্ঞান ও নিউরো-কম্পিউটেশন আছে, সেটা সম্পর্কে জানবো।

স্মৃতি নিয়ে গবেষণা করতে গেলে আমাদের দুইটা জিনিস লাগবে – একটি আচরণগত কাজ, আরেকটি হলো সে কাজ করার সময়ে মস্তিষ্কে যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা অনুসরণ করার কোন পদ্ধতি। একমাত্র মানুষদের সাথে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার সময়ে আপনি তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারেন যে ভাই, আপনি কি এই ঘটনা মনে করতে পারছেন? তবে ওই প্রশ্ন করার সময়ে ওই ব্যক্তির স্নায়ু-সংযোগে কি পরিবর্তন হচ্ছে তা দেখতে হলে রীতিমতো ব্রেন-সার্জারি করতে হবে, যেটা করার প্রশ্নই আসে না। অন্যদিকে গবেষণাগারে ইঁদুরের মস্তিষ্কে সরাসরি পরীক্ষা করা সম্ভব যে একক-স্নায়ুকোষে কী হচ্ছে। সমস্যা হলো, ইঁদুর তো কথা বলতে পারে না, সে পরীক্ষককে বলতে পারবে না যে “আমার সব মনে পড়ছে”!

এই ত্রিশঙ্কুদশা থেকে উত্তরণের জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন চতুর পদ্ধতি অবলম্বন করেন।

সেই গবেষণাপদ্ধতিগুলো কি কি? বিস্তারিত বিজ্ঞান ব্লগে। লিঙ্ক: bigganblog.org/2023/12/এনগ্রাম-স্মৃতি...

image:
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 04, 2023 12:01 Tags: মস-ত-ষ-ক-ঘ-ম-ও-স-বপ-ন