লেখালেখি # কড়চা ০১

ঠিক কেন লিখতে হয় সেটাই আমার জানা নেই। কিন্তু লিখি, মনের আনন্দে না বিষাদে বা অন্য কোনো শোকে/ সুখে, সেটা জানা বেশ মুশকিলের ব্যাপার। এগুলো বেশ ভাবের কথা। লেখক মাত্রই একটু ভাবের কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। আমিও একটু বললাম, এই আর কী!

একজন ন'টা ছ'টা অফিস করা মানুষ, যার কাজই হবে নানা রকম সংযোগ তৈরি করা, আর নানা রকম ফন্দি ফিকির করে এই টাকা ওড়ার শহরে কিছু টাকা ধরার বন্দোবস্ত করা। তা না করে মনের সুখে কিংবা অসুখে, কিংবা দুঃখে-আনন্দে লেখালেখি করে যাই কেন, জানি না।

পাঠকের আনন্দ দেখার জন্যই কি লেখক লেখেন? পাঠককে জ্ঞান দেয়ার উদ্দেশ্যেই কী লেখা হয়?
হতে পারে। আনন্দ দেয়া উদ্দেশ্য হতে পারে, জ্ঞান দেয়া উদ্দেশ্য হতে পারে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। এগুলোর কোনোটাই অবশ্য আমার উদ্দেশ্য নয়।

আমার উদ্দেশ্য তাহলে কী?

আমার থ্রিলার পড়তে ভালো লাগে। ছোটোদের বই পড়তে ভালো লাগে। সামাজিক উপন্যাস পড়তে ভালো লাগে। ভূত আছে কিনা নেই, তা গল্প পড়ে জানতে ইচ্ছে করে।

আমি অতো বিদগ্ধ পাঠকও নই যে বইটা নোবেল পাবে আগামী কয়েক বছরে, তা এখনই আমি পড়ে ফেলেছি, তা গ্যারান্টিসহ বলে দিতে পারবো এখনই।

রিডিং লিস্টি যে লম্বা, তাতে মাঝে মাঝে এতো চমৎকার সব মণিমুক্তা চলে আসে, তাতে মনে হয়, এলোমেলো পড়ার আনন্দই এখানে।

দেশে সব ভালো ফিকশন লেখা হচ্ছে। এইসব ফিকশনের অভিযাত্রা বহুমুখি এবং যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে সবাই সবাইকে বাতিল করে দেয়ার চেষ্টায় রত। আর না হলে দলবদ্ধভাবে/ একজোট হয়ে নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টায় ব্যস্ত। অনেকটা নির্বাচনে যেমন রাজনৈতিক জোট হয়, তেমনটা।

আমি কোনো জাদুবাস্তবতা/ থ্রিলারগোষ্ঠি/ সমকালীন সাহিত্যগোষ্ঠি/ লিটল ম্যাগ- কারো সাথেই পায়ে পা, হাতে হাত রেখে চলি না। তবে লিখতে লিখতে কাছের কিছু মানুষ তৈরি হয়েছে, যারা পাশে থাকলে মনে হয় দীর্ঘ এই যাত্রায় আমি একা নই।

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বইমেলার সমাপ্তি ঘটবে। পাঠক যারা আমার নতুন উপন্যাস 'আশ্চর্যময়ী, তোমাকে' পড়ছেন বা পড়বেন, তাদেরকে আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ থাকবে। যারা পড়বেন না, তারা ভবিষ্যতে কোনো এক সময় সময়-সুযোগ বা ইচ্ছে থাকলে পড়বেন, এই আশা রাখি।
3 likes ·   •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on February 27, 2025 12:27
No comments have been added yet.