কল্পবিলাস

প্রথমদিনই আমার সম্ভাব্য রুমমেটকে দেখে খানিকটা হকচকিয়ে গিয়েছিলাম।উসকো খুসকো চুল, চোখদুটো লাল হয়ে থাকে সারাক্ষণ। চোখ লাল হয়ে থাকবার কারণটা অবশ্য আমি পরে জানতে পেরেছিলাম। খোঁচাখোঁচা দাড়িতে অনেক ছেলেকে ভাল দেখালেও শুভকে দেখাত বন্য বন্য।প্রথম দেখাতেই ধারনা হয়ে গিয়েছিল ছেলেটা নেশাখোর।মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় পড়তে এসে একজন নেশাখোরকে রুমমেট হিসেবে পাওয়া সুখকর কিছুনা। ছাত্র রাজনীতির নোংরামোতে না জড়ানোয় হোস্টেলে সিট পাইনি। আমি তখন প্রায় দিশেহারা। একা একটা রুম নিয়ে থাকব সে আর্থিক সঙ্গতিও আমার ছিলনা। আমার এক দুসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়িতে সাতদিনের জন্য উঠেছি।ঢাকায় ওই দুসম্পর্কীয় আত্মীয় ছাড়া পরিচিত আর কেউই নেই আমার।এক একটা দিন কমছে আর সেই সঙ্গে আনুপাতিক হারে আমার দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। এমনসময় এক বন্ধু শুভর খোঁজ দিল।সুমন জানালো শুভ নামে একটা ছেলে একরুমের একটা মেসে থাকে।মেস না বলে একরুমের একটা বাসাও বলা চলে।বাথরুম, কিচেন, ব্যালকনি সবই আছে। দুজন মানুষ অনায়াসেই থাকতে পারবে।একমাত্র বেডরুমটাও বেশ বড়।শুভ একাই থাকে ওখানে। একদিন সুমন বলল, 'চল, শুভকে বলে দেখি রুম শেয়ার করতে রাজি হয় কিনা।হবেনা বোধহয়।বড়লোকের ছেলেতো, সামান্য টাকা বাঁচাবার জন্য খাল কেটে কুমির আনবে বলে মনে হয়না! ' 'কি বললি? আমাকে কি কুমিরের মত দেখা যায়? ' সুমন আমার কথার জবাব না দিয়ে বলল, 'ওইতো শুভ বসে আছে। চল গিয়ে কথা বলি। ' আমি সুমনের দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখলাম ক্যাম্পাসের মাঠে রোদের মধ্যে একটা ছেলে বসে আছে।স্রেফ বসে আছে।চোখে কেমন উদভ্রান্তের দৃষ্টি। আমি আর সুমন গিয়ে ওর পাশে বসলাম। 'কেমন আছ শুভ? ' 'ভাল, 'আমাদের দিকে না তাকিয়েই বলল অদ্ভুত ছেলেটা।তখনই আমি ধরে নেই এই ছেলে নির্ঘাত নেশা করে।বড়লোকের ছেলে,করতেই পারে। সুমন আমার ব্যাপারে সব খুলে বলল শুভকে।আমি মোটামুটি নিশ্চিত শুভ রাজি হবেনা। কেন হবে?উটকো একজন এসে রাজত্ব দখল করবে এটা মেনে নেয়ার কোনো কারণই নেই।তারওপর ছেলেটা করে নেশা।আমি থাকলে সমস্যা তো কিছু হবেই। সুমনের কথা শেষ হতে এই প্রথমবারের মত আমার দিকে মনোযোগ দিল শুভ।এমনভাবে আমার আপাদমস্তক দেখতে লাগল যেন তার অন্তর্ভেদী দৃষ্টি দিয়ে আমার একেবারে ভেতরটা পর্যন্ত দেখে নেবে। আমি চুপ করে রইলাম।আমাকে এবং সুমনকে অবাক করে দিয়ে শুভ বলল, 'কবে উঠতে চাও? ' আমি খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।এরপর তড়িঘড়ি করে জবাব দিলাম, 'সমস্যা না হলে আজই।'শুভকে আসলে আমার কি সম্বোধন করা উচিৎ সেটা বুঝতে পারছিলামনা,তাই ভাববাচ্যে কথাটা বললাম। 'ওকে, মালপত্র নিয়ে সন্ধ্যায় উঠে পড়ো।আমি সন্ধ্যায় নাও থাকতে পারি। এই নাও চাবি। ' আমি পুরোপুরিই নিশ্চিত হয়ে গেলাম, ছেলেটা নেশা করে। কালরাতে বোধহয় "মালটা "একটু বেশিই টেনে ফেলেছে। হ্যাংওভার কাটেনি এখনো। টাকা পয়সা কত কি দিতে হবে, ওর সাথে থাকতে হলে কি কি নিয়ম মানতে হবে,এসব কিচ্ছুনা।অপরিচিত একটা ছেলের হাতে নিজের ঘরের চাবি তুলে দিল? আজব তো ছেলেটা! তবে কথা না বাড়িয়ে চাবিটা হাতে নিলাম।সেদিনই আমার যৎসামান্য জিনিসপত্র নিয়ে উঠে গেলাম শুভর বাসায়।শুভ ওর কথামত গায়েব। উত্তেজনার প্রাথমিক ধাক্কা কেটে যেতেই মনে হল, কাজটা কি ঠিক হল? একটা নেশাখোরের সাথে একছাদের নীচে থাকা কোনো কাজের কথা না। তবে আমার আশংকা কিছুদিনের মধ্যেই অমূলক প্রমাণিত হল।খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম শুভ খুবই মেধাবী এবং ওর ডিপার্টমেন্টের সেরা ছাত্র।নেশা তো দুরের কথা, সিগারেট পর্যন্ত খায়না। আর চেহারা সুরত এমন উদভ্রান্তের মত হয়ে থাকবার কারণটা অন্য,শুভ রাতে ঘুমায়না।কেন ঘুমায় না সে ব্যাপারে পরে আসছি। মানুষ হিসেবেও খুব ভাল ছেলেটা।কারও সাতে পাঁচে নেই। ও কেমন ভাল, সেটা বুঝতে পারলাম একমাস পর যখন বাসার ভাড়া বাবদ কিছু টাকা ওর হাতে দিতে গেলাম। 'কিসের টাকা এটা? ' 'ইয়ে মানে . . .বাসা ভাড়া। ' 'বাসা ভাড়া মানে? আমি কি বাড়িওয়ালা নাকি? ' আমি ভাবলাম, টাকার পরিমাণ বোধহয় কম হয়ে গেছে। মুখ কাচুমাচু করে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম তার আগেই শুভ বলে উঠল, 'দেখো, তোমাকে আমার ভাল লেগেছে বলে আমার সাথে থাকতে বলেছি, ভাড়া দেইনি,আন্ডারস্ট্যান্ড? ' আমি বললাম, 'কেন? ' 'কী কেন? ' 'আমাকে ভাল লাগার কারণ কি তোমার? ' 'সেটা তো কখনো ভেবে দেখিনি। যদি ভাবতে বলো, তাহলে আরো অনেক কিছুই ভেবে দেখতে হবে।অঝোর বৃষ্টি কেন ভাল লাগে, বিশাল আকাশে মেঘের লুকোচুরি দেখলে কেন বুকটা দুলে ওঠে, পাখির রংয়ে কেন মুগ্ধ হই,ইত্যাদি ইত্যাদি।এত ভাবার সময় আছে? ' আমি সেদিন আর কোনো কথা বলিনি। এর কিছুদিন পর শুভ সম্পর্কে নতুন একটা তথ্য জানা গেল। শুভ নাকি অসাধারণ কবিতা লেখে।মানে লিখত আরকি।কি এক অজ্ঞাত কারণে এখন আর লিখতে দেখা যায়না ওকে। আমার এই বিশাল হৃদয়ের অধিকারী রহস্যময় বন্ধুর সাথে ভালই দিন কেটে যাচ্ছিল। উঁহু ভুল বললাম, ভালই না, অসাধারণ কেটে যাচ্ছিল।এক বুয়া এসে রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করে দিয়ে যায়।আমি অবসর সময়টুকু বই পড়ে কাটিয়ে দেই।খাওয়া ঘুম আর পড়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই।আমাকে বিরক্ত করার মতও কেউ নেই।শুভ খুবই চাপা স্বভাবের ছেলে। প্রায় দুমাস হতে চলল ওর সাথে আছি, এখন পর্যন্ত ওর পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনা।এমনিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে টুকটাক কথা হলেও ওর পারিবারিক বিষয় উঠলেই একেবারে মুখে কুলুপ এঁটে নিত। তবে আমারও খুব বেশি সমস্যা হচ্ছিল না।ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিজেও অন্তর্মুখী।বই পড়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতে পারি। বলা যেতে পারে আমি না, শুভই আমার সাথে থাকতে এসেছে! সারাদিন বাইরে বাইরেই থাকত। শুধু রাতে আসত ঘুমাতে। আরেকটা ভুল বলে ফেললাম।শুভ রাতে ঘুমাতে নয়, ফোনে কথা বলতে আসত। হুমম্,সারারাত চাপা স্বরে কথা বলত কার সাথে যেন।কথা শুনে অবশ্য ফোনের ওপাশের মানুষটার সাথে ওর সম্পর্ক খানিকটা আঁচ করা যেত। কোনো কোনো রাতে ঘুম ভেঙে যেত আমার।অন্যায় জেনেও কান পাততাম।শুনতে শুনতে হঠাৎ হঠাৎ বুকের কোথাও চিন চিন করে উঠত। শুভ ফোনের সাউন্ড একেবারেই কমিয়ে কথা বলত।রাতের নিস্তব্ধতাও কখনো ভেঙে পড়তনা ওপাশের রিনঝিন হাসির শব্দে।আমি অবশ্য ওপাশের মানুষটার কথা শুনতে তেমন আগ্রহী ছিলামনা।শুভর মৃদুগলায় বলা কথাগুলো শুনতেই ভাল লাগত।আমি শুভর কথা শুনে শুনে ওপাশের কথাগুলো কল্পনা করে নিতাম।এ যেন এক মজার খেলা। খেলাটার নমুনা দেয়া যাক। শুভ প্রতিদিন ফোন ধরেই বলত, 'ওয়ালাইকুম আসসালাম। ' আমি বুঝতাম মেয়েটা ওপাশ থেকে সালাম দিয়েছে। সালামের উত্তর দিয়ে শুভ বলত, 'কেমন আছ? ' ওপাশঃ 'ভাল, তুমি? ' শুভঃ 'ভাল।রাতে খেয়েছে? ' ওপাশঃ'হুমম।তুমি খেয়েছ? ' শুভঃ 'হুমম। ' ওপাশঃ'কী দিয়ে খেলে? ' শুভঃ'ব্যাচেলর মানুষ আর কি দিয়ে খাবে? ' ওপাশঃ 'মানে? ' শুভঃ 'একটা বউ থাকলে তো ভালমন্দ রেঁধে খাওয়াত। ' এরপর ওদের খুনসুটি শুরু হয়ে যেত।আমি কখনো শুনতাম, কখোনো শুনতামনা। মাঝমধ্যে কোনো এক রসিকতায় হেসে উঠত দুজনেই। আমি শুধু শুভর উচ্ছল হাসি শুনতে পেতাম।আর ওপাশেরটা আমাকে কল্পনা করে নিতে হত। কখনো কখোনো ঘটত সম্পুর্ন বিপরীত ঘটনা।মাঝরাতে উঠে আমি কাঁদতে দেখতাম শুভকে।ছোটবাচ্চাদের মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদত।জানিনা কেন, তখন আমার বুকটাও দুমড়ে যেতে চাইত। আবার কখনো একেবারেই নীরব হয়ে যেত শুভ।ওর গভীর শ্বাস প্রশ্বাস দেখে ধারণা করতাম ওপাশের কণ্ঠটাও এ মূহুর্তে স্তব্ধ।একজনের গভীর নিশ্বাস ইথারে ভেসে চলে যাচ্ছে আরেকজনের কাছে। সেই সময়টাতে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমি ঘুমানোর আয়োজন করতাম। কখনো বা আবার ওদের কথা চলে যেত চুড়ান্ত রোমান্টিকতার দিকে। আমি তখন কানে বালিশ চাপা দিয়ে পাশ ফিরে শুতাম! শুভ কখনোই এববিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলেনি আর আমিও কখনো এবিষয়ে ওকে কিছু বলিনি। হয়ত ভয় কাজ করত, ওকে জানালে আমার "কল্পবিলাস " খেলা বন্ধ হয়ে যাবে। ও ভাল কথা, আমি এই খেলাটার একটা নামও দিয়েছি, "কল্পবিলাস "। আমি আমার পড়াশোনা, বই পড়া আর "কল্পবিলাস "খেলা নিয়ে ভালই কাটিয়ে দিচ্ছি সময়। *** সেদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার।বর্ষণ হবার জন্য মুখিয়ে আছে। এমন মেঘলা দিনে আমার মত ঘরকুঁনো মানুষের জন্য কাঁথার নীচে শুয়ে শুয়ে ভুতের গল্প পড়ার মত আনন্দ আর কিছুই হতে পারেনা। তবে এই আনন্দ বিসর্জন দিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে পা বাড়াতে হল।আজ খুবই গুরুতপূর্ণ একটা ক্লাস আছে। সামনেই পরীক্ষা,এ অবস্থায় ক্লাসটা মিস করা কিছুতেই উচিৎ হবেনা। ক্লাস শেষ করে বের হতেই শুরু হল এতক্ষণ ধরে থমকে থাকা আকাশের বর্ষণ।তুমুল বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো বাতাস মনে করিয়ে দিল, সময়টা বৈশাখ! বছরের প্রথম কালবৈশাখী। বিকেলের দিকে বৃষ্টির দমক খানিকটা কমল। আমি ভার্সিটি থেকে বের হব এমন সময় মনে পড়ল আমাদের বুয়াটা দেশের বাড়ি গেছে।গত দুদিন ধরে বাইরে থেকে খাবার আনতে হচ্ছে।দুপুর তো কোনমতে কেটে গেল, রাতের ব্যবস্থাটা করতে হবে। শুভকে ফোন দিয়ে জানা দরকার খাবারের ব্যবস্থা কি ওই করবে নাকি আমি নিয়ে যাব। ফোন দিচ্ছি, সুইচড অফ। প্রায় দশবারো বার ফোন দিয়েও একই অবস্থা।বাসার দিকে যেতে যেতে ভাবলাম, খাবার নিয়েই যাই। বাঁচলে কাল সকালে ব্যবস্থা করা যাবে। বাসায় গিয়ে দেখি শুভ রুম অন্ধকার করে শুয়ে আছে।কারেন্ট নেই। 'কি ব্যাপার, তোমার ফোন বন্ধ কেন? 'বললাম আমি। 'ফোনে চার্জ নেই। ' 'কারেন্ট গেছে কখন? ' 'বিকেলে। লাইনে কি একটা সমস্যা হয়েছে, আজ রাতে কারেন্ট নাও আসতে পারে।' 'সর্বনাশ! ' আমি আর কথা না বাড়িয়ে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। শীতল পরিবেশ শুতে না শুতেই ঘুম পাড়িয়ে দিল। মাঝরাতে ঘুমটা ভেঙে গেল আমার।চারদিকে ঘুটঘুটে আঁধার।দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়। পাশের খাট থেকে শুভর গলা শুনতে পেলাম।ওপাশের কন্ঠটার সাথে কথা কি নিয়ে যেন কথা বলছে।মনে হচ্ছে বৃষ্টি বিষয়ক আলোচনা চলছে। আমি আমার "কল্পবিলাস"খেলা শুরু করতে যাব এমনসময় বুকটা কেঁপে উঠল ভয়ঙ্করভাবে।মাথাটা ঝিমঝিম করে লাগল।বিদ্যুৎ চমকের মত একটা কথা মনে পড়ে গেছে আমার। চারপাশটা এখনও অন্ধকার। তারমানে কারেন্ট এখনো আসেনি।তাহলে শুভ কথা বলছে কিভাবে? ওর মোবাইলটা না চার্জের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে? আমি সন্তর্পনে আমার ফোনটা হাতে নিলাম।কাঁথার নীচ থেকেই ডায়াল করলাম শুভর নাম্বারে। নারী কন্ঠের আওয়াজ ভেসে এল স্পীকার থেকে, 'দুঃখিত, এই মূহুর্তে আপনার কাঙ্ক্ষিত নাম্বারে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা. . . পরিশিষ্টঃ এঘটনার পর আমি শুভর পুরনো বন্ধু বান্ধবদের খুঁজে বের করি। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি,একটা মেয়েকে ভালবাসত শুভ। প্রতিদিন রাতে কথা হত ওদের দুজনের। গত একবছর আগে মেয়েটার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শুভর। এরপর থেকেই মানসিক বৈকল্য দেখা দেয় ওর মধ্যে। এমনিতে সবসময় স্বাভাবিক থাকলেও রাতের বেলায় ওর অডিটরি হ্যালুসিনেশন হতে লাগল।সারারাত কাল্পনিক কোনো একজনের সাথে কথা বলত।খেলত "কল্পবিলাস"। তবে বহু চেষ্টা করেও জানতে পারিনি সেই মেয়েটার পরিচয় কী। কেনই বা যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল ওদের মধ্যে। হতে পারে মেয়েটা এখন অন্য কারো "কল্পবিলাসী "। কিংবা সে এখন এমন এক জগতের বাসিন্দা যেখান থেকে যোগাযোগের একটাই উপায়,"কল্পবিলাস "।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on October 05, 2013 21:22
No comments have been added yet.