Nabila Tabassum Chowdhury’s Reviews > নিন্দিত নন্দন > Status Update
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 140 of 248
"এখন থেকে আমি নিয়মিতভাবে প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণের শিকার হয়ে চলেছি। রাতের বেলা ঘুমের ঘোরে বসে থাকি। বিছানায় গেলে ঘুম হয় না। প্রতিদিনই শুনতে পাই নদীর পার থেকে ভেসে আসা কেমন যেন করুন সুর বাঁচাও বাঁচাও। মনে মনে ভাবি দুঃসময়ে, দুর্যোগে বেঁচে আছি। বুকের মধ্যে সমুদ্র পরিমান দুঃস্বপ্ন।”
— Jul 06, 2015 04:13AM
Like flag
Nabila’s Previous Updates
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 175 of 248
"১৬ ডিসেম্বর দুপুর একটা।...পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পোড়ামাটি নীতি প্রয়োগ করে শেষ মুহূর্তে লেকের দু'ধারে অসংখ্য মানুষ মেরে ফেলেছে।সদ্য হত্যাকৃত লাশগুলো একের পর এক মাইল জুড়ে পরে আছে।কত যে লাশ গণনা করা বা বুঝিয়ে বলা অসম্ভব।...
...পিছনে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখতে পাই একতলা বাড়ির সমান উচ্চতায় দুটি পাহাড়ের মত স্তম্ভ, যার উপর থেকে নিচ পাদদেশ পর্যন্ত কঙ্কাল,মাথার খুলি, হাত,বুকের পাঁজরের দৃশ্যমান পাহাড়।গত ন'মাসের অপকীর্তি বিশেষ।"
— Jul 07, 2015 11:28AM
...পিছনে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখতে পাই একতলা বাড়ির সমান উচ্চতায় দুটি পাহাড়ের মত স্তম্ভ, যার উপর থেকে নিচ পাদদেশ পর্যন্ত কঙ্কাল,মাথার খুলি, হাত,বুকের পাঁজরের দৃশ্যমান পাহাড়।গত ন'মাসের অপকীর্তি বিশেষ।"
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 168 of 248
"মূল অফিসের সামনে একটা রিকশা ছিল,আমি উঠে পড়েই বলি খুব তাড়াতাড়ি সামনে এগোতে থাকো।কয়েকগজ এগোতেই দেখি আমার সহকর্মী আনোয়ার ভাই জানালেন অফিসে চাবি দিয়ে তিনিও চলে যাচ্ছেন।আমি মেইন গেটের কাছে এগোতেই মিলিশিয়া চিৎকার করে জ্বলে উঠে,তুমি ভেগে যাচ্ছো,তখনই তো আনোয়ারকে মেরে দিল।...ওরা আমাকে হত্যা করতে এসেছিল।আমি পাঁচ মিনিট আগে উঠে পড়াতে বেঁচে যাই,আনোয়ার ভাই চাবি দিতে গিয়ে ওদের হাতে ধরা পড়েছে এবং সেখানেই মৃত্যু ঘটেছে আনোয়ার ভাইয়ের"
— Jul 07, 2015 11:17AM
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 161 of 248
"বাসে ফিরে আসছিলাম। নোয়াপাড়া থেকে রাজাকার সাবদুল্লা উঠেছে সালোয়ার কামিজ পরা।...আর কোমরে পিস্তল, হাতে বন্দুক।
আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে বাসের দরজার সামনে পর্যন্ত এনে নামার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। না নামলে সে পিস্তল উঁচু করে আমাকে ভয় দেখায়। শহীদ মিনারের দিকে তর্জনী তুলে বলে, ওই যে শহীদ মিনার চেয়ে দেখেন, দু'টি মুণ্ডু কেটে এইমাত্র ঝুলিয়েছি, আরও দুটি ঝুলিয়ে দিলে বেশ মানানসই হবে"
— Jul 07, 2015 11:04AM
আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে বাসের দরজার সামনে পর্যন্ত এনে নামার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। না নামলে সে পিস্তল উঁচু করে আমাকে ভয় দেখায়। শহীদ মিনারের দিকে তর্জনী তুলে বলে, ওই যে শহীদ মিনার চেয়ে দেখেন, দু'টি মুণ্ডু কেটে এইমাত্র ঝুলিয়েছি, আরও দুটি ঝুলিয়ে দিলে বেশ মানানসই হবে"
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 159 of 248
"অনেক রাত,...আমার উপর তখন চলছিল নিদারুন নির্যাতন। ...বুঝতে পারলাম ওরা যশোর ক্যান্টনমেন্টের দিকে যাচ্ছে।...
ওরা আমাকে অফিসার্স ক্লাবের ছোট্ট একটি রুমে বসতে দিলো।...মুখটি ভাল করে ধুয়ে চেয়ারে এসে বসলাম। কেননা ওরা হইস্কি ভরে, মাঝে মাঝে মনের উল্লাসে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে আমার মুখে কুলি করে ছিটিয়ে দিচ্ছিলো। পাটের গুদামের পাশে গাড়ি রেখে একের পর এক নির্যাতন করছিল। আমি অজ্ঞানের মতো নিথর দেহে পড়ে ছিলাম।..."
— Jul 07, 2015 10:56AM
ওরা আমাকে অফিসার্স ক্লাবের ছোট্ট একটি রুমে বসতে দিলো।...মুখটি ভাল করে ধুয়ে চেয়ারে এসে বসলাম। কেননা ওরা হইস্কি ভরে, মাঝে মাঝে মনের উল্লাসে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে আমার মুখে কুলি করে ছিটিয়ে দিচ্ছিলো। পাটের গুদামের পাশে গাড়ি রেখে একের পর এক নির্যাতন করছিল। আমি অজ্ঞানের মতো নিথর দেহে পড়ে ছিলাম।..."
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 158 of 248
"তখন অক্টোবর মাস, বুঝতে পারি শুনতে পাই, আমাদের স্বাধীনতা আসন্ন।...হঠাৎ একদিন প্রায় ভোর চারটা, আমার বাসার নিচে চার পাঁচটি গাড়ি এসে থেমেছে।...গাড়িগুলোতে সামরিক অফিসার বোঝাই। এরমধ্যে একজনকে চিনেছিলাম বেঙ্গল ট্রেডার্সের মালিক ইউসুফ (খুলনা)...
...বুঝতে পারলাম কোনো রকম প্রটেকশন মিল কর্তৃপক্ষ আমাকে দেবে না। আমাকে ওদের হাতে ধরা দিতে হল।..."
— Jul 07, 2015 10:45AM
...বুঝতে পারলাম কোনো রকম প্রটেকশন মিল কর্তৃপক্ষ আমাকে দেবে না। আমাকে ওদের হাতে ধরা দিতে হল।..."
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 157 of 248
"ফিদাই আমাকে চারজন অফিসারের সাথে পরিচয় করালেন। একজন ক্যাপ্টেন ইমতেয়াক, ক্যাপ্টেন সাবের, আরেকজনের নাম মনে পড়ছে না। অন্যজন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার সিনিয়র এডিট্র মিস্টার ওআরসি (ওয়ার্সি)। ওদের কথার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে বাড়িটি ওদের একজন বড়লোক বন্ধু রাজা হোসেনের যিনি তখন বিদেশ অবস্থান করছেন। সেইদিন এইসব অফিসাররা নির্দয়ভাবে আমার উপরে পাশবিক নির্যাতন করে।"
— Jul 07, 2015 10:37AM
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 151 of 248
"বারান্দা পেরিয়ে ড্রয়িং রুমে ঢুকে একজন আগুন্তককে বসে থাকতে দেখি...শান্তি কমিটির সেক্রেটারি...
...ভদ্রলোক আমাকে বসতে বলে বললেন, '...আপনাকে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাকে আমি বিয়ে করতে চাই। প্রয়োজনে আমার স্ত্রীর অনুমতি নিব। সাঈদী ভাই এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন।'...আমি তখন মওলানা সাঈদীকে চিনতাম না। মাধেমধ্যে নাম শুনতাম। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরন্তর কাজ করছেন। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী একজন ব্যক্তি।"
— Jul 07, 2015 10:31AM
...ভদ্রলোক আমাকে বসতে বলে বললেন, '...আপনাকে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাকে আমি বিয়ে করতে চাই। প্রয়োজনে আমার স্ত্রীর অনুমতি নিব। সাঈদী ভাই এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন।'...আমি তখন মওলানা সাঈদীকে চিনতাম না। মাধেমধ্যে নাম শুনতাম। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরন্তর কাজ করছেন। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী একজন ব্যক্তি।"
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 149 of 248
"হঠাৎ দেখতে পাই সেন্ট্রি যেন কাকে হাত ধরে নিয়ে এল। অতি বিষ্ময়ে চেয়ে দেখতে পাই একেবারে বিধস্ত চেহারা, চেনা যাচ্ছে না, ফরিদকে নিয়ে এসেছে। মেজর সাহেব কী যেন দুই এক কথা জিজ্ঞেস করলো ফরিদকে। 'আওর কাভি মুক্তি মে নেই জানা। ঠিক হ্যায়? ওয়াদা'...
... এ সময়ে একরাম আমাকে বলতে শুরু করে, 'তুমি খুবই ভাল সময়ে এসে পৌঁছেছো। লে.কুরবান কেবলই ওর পা উপরে ঝুলিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল... কুরবান এই শাস্তিগুলো ভাল দিতে পারে'।"
— Jul 06, 2015 05:23AM
... এ সময়ে একরাম আমাকে বলতে শুরু করে, 'তুমি খুবই ভাল সময়ে এসে পৌঁছেছো। লে.কুরবান কেবলই ওর পা উপরে ঝুলিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল... কুরবান এই শাস্তিগুলো ভাল দিতে পারে'।"
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 140 of 248
“এর মধ্যে একদিন জেগে বসে থেকে সহসা শুনতে পাই, বাঁচাও!বাঁচাও! কার করুণ আকুতি? শোবার খাটের সাথেই জানালা দিয়ে দেখা যায় ভৈরব নদী।নদীর পাড়ে দু-একটা বড় নৌকা। বাতি জ্বলছে টিমটিম করে।বার্জ। দুটো বিশাল লরি দাঁড়ানো। কিছু মানুষের মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা।তারা ট্রাক থেকে মুখ বাঁধা লোকগুলোকে পাট কাটার মেশিনে মাথা ঢুকিয়ে ঘ্যাচাং করে দ্বিখণ্ডিত করে মৃতদেহ ও মাথা নদীতে ফেলে দিচ্ছে। এমন দু-তিনটি হত্যাকাণ্ড দেখে খাটের মধ্যে মাথা লুকালাম।"
— Jul 06, 2015 04:16AM
Nabila Tabassum Chowdhury
is on page 112 of 248
"...দিশাহারা হয়ে ফিরে এসেছি। কিছুক্ষণ পর বাড়ির একেবারে পিছনের উঠোনে একটা গর্ত দেখতে পাই। ওটার মধ্যে তিনটি মানুষের মাথা। পোকা কিলবিল করছে। এদিন, ২৫ মার্চের পর এই প্রথম, ৭ এপ্রিল আমি প্রথম এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ পাই।...
...গাড়ির বহরটি মুনশী বাড়ির সামনে থামল। আমাদের বাড়ির সামনের বাড়ি। পরিবারের সব সদস্যরা আওয়ামী লীগ করে। এই অপরাধে ওদের বাড়ির ১৮ জন সদস্যকে আমাদের চোখের সামনে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলে চলে যায়।..."
— Jul 06, 2015 01:39AM
...গাড়ির বহরটি মুনশী বাড়ির সামনে থামল। আমাদের বাড়ির সামনের বাড়ি। পরিবারের সব সদস্যরা আওয়ামী লীগ করে। এই অপরাধে ওদের বাড়ির ১৮ জন সদস্যকে আমাদের চোখের সামনে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলে চলে যায়।..."

