প্রথম আলো ১ Quotes

Rate this book
Clear rating
প্রথম আলো ১ প্রথম আলো ১ by Sunil Gangopadhyay
2,450 ratings, 4.55 average rating, 111 reviews
প্রথম আলো ১ Quotes Showing 1-7 of 7
“তারপর ওরা হাত ধরে চুপ করে বসে রইলো । আর কোনো কথা নেই, সমস্ত কথার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে । ওরা বসেই রইলো । ঘাট ক্রমশ নির্জন হয়ে আসছে । বাতাস বইছে বেশ জোরে । বজরাগুলো ও ফিরে যাচ্ছে । সবাই ঘরে ফিরছে । এই দুজনের যেন কোনো ঘরবাড়ি নেই, কথাও ফিরতে হবেনা । এরকম একটি অনন্তকালের দৃশ্য হয়ে ওরা বসেই থাকবে ।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১
“বাঙালিরা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে, ধর্মসংস্কারের ব্যাপারে কেউ কিছু বললেই গেল গেল রব তোলে, কিন্তু এই বাঙ্গালিরাই ব্যক্তি জীবনে ধর্মের প্রায় কোন নির্দেশই মানে না। সততা, পবিত্রতা, সেবা এই সব ব্যাপারে তারা প্রায় অধার্মিক। বাঙালিরা খুব পরের সমালোচনা করে, পরনিন্দা করে কিন্তু আত্মসমালোচনা করে না। বাইরে খুব উদার মত প্রচার করে, নিজের পরিবারের মধ্যে অতি রক্ষনশীল। খবরের কাগজে তর্জন গর্জন দেখলে মনে হবে খুব সাহসী, আসলে অত্যন্ত ভীরু।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১
“মানুষই মানুষকে বাঁচায়, মানুষই মানুষকে মারে। মানুষই হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, আবার মানুষই এই বিভেদের রেখা মুছে ফেলতেও পারে।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১
“বিশ্বাসে-শ্রদ্ধায়-ভক্তিতে কেউ যখন নিমগ্ন থাকে তখন তাকে দেখতে বড় ভালো লাগে। চোখ বুজে কেউ ধ্যান করছে,এই দৃশ্যটা দেখলে আমার এখনও শ্রদ্ধা হয়, সে যারই ধ্যান করুক না কেন।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১
“অভিমান হল হৃদয়ের অতি গোপন প্রকোষ্ঠের ব্যাপার। যে কেউ সেখানে হাত ছোঁয়াতে পারেনা।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১
“যারা প্রথম কোনও সংস্কার ভাঙে, তাদের অনেক নিন্দাও সহ্য করতে হয়। যারা নতুন কোনও পথ দেখায়, তাদের তৈরি থাকতে হয় পথের অনেক বাধার জন্য। যারা মুক্তি অভিলাষী, তাদের খুলতে হয় অনেক বন্ধ দ্বার। আবার এ কথাও ঠিক, যারা পথিকৃৎ, তারা অত্যুৎসাহে কিছুটা বাড়াবাড়িও করে ফেলে, অনেক সময় তাদের স্বাধীন চেতনা ঔদ্ধত্যের মতন মনে হয়, প্রকট নতুনত্ব মনে হয় দৃষ্টিকটু।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১
“তাঁর অন্তরে এক ধরনের অসহায়তা ও তজ্জনিত ক্রোধ টগবগ করছিল কিন্তু বাইরে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই আবার তাঁর মেজাজ প্রশান্ত হল। নির্মল আকাশে ফুটে আছে দশমীর চাঁদ। তার থেকে যেন ফুলের রেণুর মতন ঝরে পড়ছে জ্যোৎস্না। মহারাজের মনে হল, ওই চাঁদ যেন জীবন্ত । পুরাণ কাহিনীতে চন্দ্র দেবতা একজন পুরুষ এবং দুর্বল ক্ষয়রােগী। কিন্তু মহারাজের তা মনে পড়ল না, তিনি দেখলেন এক হাস্যময় নারীর মুখ, যেন স্বর্গলােক থেকে তাঁরই দিকে চেয়ে আছে। এখনই যদি ওই চাঁদের একখানা ফটোগ্রাফ তােলা যায়, তা হলে সেই নারীর মুখ নিশ্চিত ফুটে উঠবে।”
Sunil Gangopadhyay, প্রথম আলো ১