চারমূর্তি Quotes

Rate this book
Clear rating
চারমূর্তি (টেনিদা, #1) চারমূর্তি by Narayan Gangopadhyay
950 ratings, 4.46 average rating, 74 reviews
চারমূর্তি Quotes Showing 1-6 of 6
“তখন হঠাৎ আমার মনটা কেমন উদাস হয়ে গেল। কেমন স্বর্গীয় স্বর্গীয় মনের ভাব এসে দেখা দিলে। ব্যাপারটা কী রকম জানাে? মনে করো, তুমি অঙ্কের পরীক্ষা দিতে বসেছ। দেখলে, একটা অঙ্কও তোমার দ্বারা হবে না - মানে তোমার মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। তখন প্রথমটায় খানিক দরদরিয়ে ঘাম বেরুল, মাথাটা গরম হয়ে গেল, কানের ভেতর ঝিঝি পোকা ডাকতে লাগল আর নাকের ওপরে যেন ফড়িৎ এসে ফড়াৎ ফড়াৎ করে উড়তে লাগল। তারপর আস্তে আস্তে প্রাণে একটা গভীর শান্তির ভাব এসে গেল। বেশ মন দিয়ে তুমি পাতায় একটা নারকোল গাছ আঁকতে শুরু করে দিলে। তার পেছনে পাহাড় -- তার ওপর চাঁদ - অনেকগুলো পাখি উড়ছে, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মানে সব আশা ছেড়ে দিয়ে তুমি তখন আর্টিস্ট হয়ে উঠলে।”
Narayan Gangopadhyay, চারমূর্তি
“ক্যাবলা বললে, ধ্যাৎ, আলু-কাবলি কেন ? পােলাও-মুরগি-চিংড়ির কটিলেট-আনারসের চটিনি'_দই-রসগােল্লা...

টেনিদা বললে, ইস, ইস,-আর বলিসনি ! এমনিতেই পেট চুঁইচুঁই করছে তার ওপরে ওসব বললে একদম হার্টফেল করব I

ক্যাবলা হেসে বললে, হার্টফেল করলে তুমিই পস্তাবে I আজ রাত্তিরে আমাদের বাড়িতে এ-সবই রান্না হচ্ছে কিনা! আর মা তোমাদের তিনজনকে নেমন্তন্ন করতে বলে দিয়েছেন।

শুনে আমরা তিনজনেই এক্কেবারে থ ! পুরো তিন মিনিট মুখ দিয়ে একটা রা বেরুলো না I

তারপর তিড়িংং করে একটা লাফ দিয়ে টেনিদা বললে, সত্যি বলছিস ক্যাবলা-সত্যি বলছিস ? রসিকতা করছিস না তো ?

ক্যাবলা বললে, রসিকতা করব কেন ? রাঁচি থেকে মেসোমশাই এসেছে যে। তিনিই তো বাজার করে আনলেন।

-আর মুরগি ? মুরগি আছে তো ? দেখিস ক্যাবলা - বামুনকে আশা দিয়ে নিরাশ করিসনি I পরজম্মে তাহলে তােকে কিন্তু মুরগি হয়ে জন্মাতে হবে-খেয়াল থাকে যেন!

-- ভাবনা নেই। আধ্-ডজন দড়িবাঁধা মুরগি উঠনে ক্যাঁ - ক্যাঁ করছে দেখে এলাম।

ট্রিম্-ট্রিম-ট্রা-লা-লা-লা-লা

টেনিদা আনন্দে নেচে উঠল ৷ সেইসঙ্গে আমরা তিনজন কােরাস ধরলাম I গলি দিয়ে একটি নেড়ি-কুকুর আসছিল, সেটা ঘ্যাঁক করে একটা ডাক দিয়েই ল্যাজ গুটিয়ে উলটোদিকে ছুটে পালাল।”
Narayan Gangopadhyay, চারমূর্তি
“বললে, ধ্যাৎ, আলু-কাবলি কেন? পােলাও-মুরগি-চিংড়ির কটিলেট-আনারসের চাটনি'-দই-রসগােল্লা...

টেনিদা বললে, ইস, ইস,-আর বলিসনি! এমনিতেই পেট চুঁইচুঁই করছে তার ওপরে ওসব বললে একদম হার্টফেল করব।

ক্যাবলা হেসে বললে, হার্টফেল করলে তুমিই পস্তাবে। আজ রাত্তিরে আমাদের বাড়িতে এ-সবই রান্না হচ্ছে কিনা! আর মা তোমাদের তিনজনকে নেমন্তন্ন করতে বলে দিয়েছেন।

শুনে আমরা তিনজনেই এক্কেবারে থ! পুরো তিন মিনিট মুখ দিয়ে একটা রা বেরুলো না।

তারপর তিড়িং করে একটা লাফ দিয়ে টেনিদা বললে, সত্যি বলছিস ক্যাবলা-সত্যি বলছিস? রসিকতা করছিস না তো?

ক্যাবলা বললে, রসিকতা করব কেন? রাঁচি থেকে মেসোমশাই এসেছে যে। তিনিই তো বাজার করে আনলেন।

-আর মুরগি? মুরগি আছে তো? দেখিস ক্যাবলা - বামুনকে আশা দিয়ে নিরাশ করিসনি। পরজম্মে তাহলে তােকে কিন্তু মুরগি হয়ে জন্মাতে হবে-খেয়াল থাকে যেন!

-- ভাবনা নেই। আধ্-ডজন দড়িবাঁধা মুরগি উঠনে ক্যাঁ - ক্যাঁ করছে দেখে এলাম।

ট্রিম্-ট্রিম-ট্রা-লা-লা-লা-লা

টেনিদা আনন্দে নেচে উঠল। সেইসঙ্গে আমরা তিনজন কােরাস ধরলাম। গলি দিয়ে একটি নেড়ি-কুকুর আসছিল, সেটা ঘ্যাঁক করে একটা ডাক দিয়েই ল্যাজ গুটিয়ে উলটোদিকে ছুটে পালাল।”
Narayan Gangopadhyay, চারমূর্তি
“হাবুল বললে, তোমার প্যাটে ভস্মকীট ঢুইক্যা বসছে!”
Narayan Gangopadhyay, চারমূর্তি
“হাবুল বললে, তবেমার প্যাটে ভস্মকীট ঢুইক্যা বসছে!”
Narayan Gangopadhyay, চারমূর্তি
“সে কী গান!
আমাদের চারজনের গলাই সমান চাঁছাছোলা'-টেনিদার তো কথাই নেই l একবার টেনিদা নাকি অ্যায়সা কীর্তন ধরেছিল যে তার প্রথম কলি শুনেই চাটুজ্যেদের পােষা কোকিলটা হার্টফেল করে।”
Narayan Gangopadhyay, চারমূর্তি