যা দেখেছি যা শুনেছি Quotes

Rate this book
Clear rating
যা দেখেছি যা শুনেছি যা দেখেছি যা শুনেছি by Sashisekhar Bose
5 ratings, 4.20 average rating, 2 reviews
যা দেখেছি যা শুনেছি Quotes Showing 1-4 of 4
“গ্রামে এক বাড়িতে চার পুরুষ বুড়াে বর্তমান, একটির বয়স ৬০, তার বাপ ৮০, তার বাপ ১০০, তার বাপ ১২০। মাচা থেকে একটা প্রকাণ্ড কুমড়ো ধপ করে পড়লাে। ১০০ বছরের বুড়াে তাড়াতাড়ি উঠে কুমড়ো তুলতে গেল। ১২০ চেঁচিয়ে বললেন, ‘হাঁ হাঁ হাঁ তুই বুড়াে মানুষ পারবি না, সরে দাঁড়া, আমি কুমড়ো উঠাচ্ছি। আহা কি আশ্চর্য মায়া বাপের অন্তরে!”
শশিশেখর বসু, যা দেখেছি যা শুনেছি
“হর হর গঙ্গা পার্বতী, পাপ না রহে এক রতি।” পণ্ডিত হুঙ্কার ছাড়লেন, “কেয়া পাপ কিয়া সবােন কে সামনে বােলাে।” লজ্জার কথা।

পাপী বললে, “আম চোরি, জামুন চোরি, চাচীকে খেত সে ধান চোরি, আওর আওরত দেখা সড়ক কি; আওর ঝাঁকি ঝাঁকা”--

‘হর হর গঙ্গা! বুড়কি মারাে, পাঁচ পাপকে পাঁচেই রুপয়া দেও, বেশী নাই মাংতা।”

পাপী টাকা দিয়ে চলে যেতে উদ্যত। পণ্ডিত বললেন “কুছ ছিপায়া ত নেহি ? সব পাপ বোলাে।”

“হাঁ পণ্ডৎ জি !” বলে চলে গেল। পাঁচ মিনিট পরে ফিরে বললে, “পণ্ডৎ। এক পাপ কি খিয়াল উতার গিয়া।”

“বােলো, বােলো!”

“হাম কলকাতাকে হামেদিয়া হােটল মে সিককাবাব ভােজন কিয়া !”

“এ পরমাত্মা! এ সচ্চিদানন্দ! ই পাপীকো নরক মে ভি স্থান নেই দেও!”, পণ্ডৎ চেঁচিয়ে উঠলেন।

পাপী ভেউ ভেউ করে কাঁদতে লাগল, “পণ্ডৎ জি বুড়কি মারে ফিন?”

পণ্ডিত জিজ্ঞাসিলেন, “কেতনা সিককাবাব খায়া থা?”

“ছ হি ইঞ্চি (মাত্র ৬ ইঞ্চি।)”

“এ সচ্চিদানন্দ! ই পাপী কো আপ কেয়া হাল করেঙ্গে। হা কপার ! হা কপার!” বলে পণ্ডিত কপাল চাপড়াতে লাগলেন। যেন নিজেই পাপী। এত পাপী সত্যই ভয় খেয়ে গেল, কারণ, বেণীঘাট থেকে নরক স্পষ্ট দেখা যায়। হামেদিয়া হোটেল থেকে নয়।”
শশিশেখর বসু, যা দেখেছি যা শুনেছি
“কালীঘাটে সাদা পাঁঠা বলিদান দেবার পরামর্শ দিয়েছিলেন এক বিখ্যাত নেতা। উত্তর বিহারে এক অশ্বারোহী দুর্দান্ত প্ল্যানটার এক বৃদ্ধ আমীনকে ছড়ি মারে। অনেক লোক ছিল, কারও সাহস হ’ল না যে সাদা পাঁঠাকে পাল্টা মারে। বৃদ্ধ বললে, ‘হাম সিপাই মিউটিনি মে তরয়াল খেলায় থা।' মনকে প্রবােধ দেবার মত আর কি ছিল বল? ছেলেরা যখন পড়ে গিয়ে চোট লেগে কঁদে তখন মাতা বলেন, মাটিতে ক্যাঁৎ করে গােড়ালি মার! ছেলে মাটিতে লাথি মেরে মন বােঝায়। আমীন বুড়াের রােদে ঘােরবার জন্য একটা সােলা টুপি ছিল। সেটাকে পায়ে করে থেঁতলে ফেলল। একটা সাহেবের মুণ্ডপাত হ'ল।

অনুকম্পা দেখিয়ে আমীন বুড়োকে সকলে জিজ্ঞাসা করল, ‘ভূপচন্দ বাবু আপ মিউটিনি মে কয়ঠো সাহেব মারা থা?' বৃদ্ধ উত্তর দিলেন, করনেইল, জেনরেইল, কাপ্তান, সয়কড়োঁ সাব পাতা নেই চলতা।'

‘তব আপসোস কেয়া যায়?'

'কুছ ভি নেই, ছিনরি কে সাঁই শালা হারামীকা পুত। উসকে চাচা-নানাকো হাম পেহলেই খতম কর দিয়া।”
শশিশেখর বসু, যা দেখেছি যা শুনেছি
“পশ্চিমপ্রদেশীয়া অনেক রমণী তীর্থস্থান বলে পরদা পরিত্যাগ করে কচৌরি চিবােন ও বাঙ্গালী বউ-ঝিদের সঙ্গে কথা বলেন।

আর ঝগড়াও কচৌরি খেতে খেতে হয়। বাঙ্গালীবাবু খোট্টাকে বলেন, ‘আপ হামরা বউকে কেন দেখতা হায়, মুখের পানে হাঁ করে তাকাতা হায়? খােট্টা উত্তর দেন, “অন্ধের কিয়া বাবু? মেরে আওরত আপকো আওরতসে বহুত গােরী হেই, মালুম হোতা য্যায়সা রংমহলসে নিকলি হেই। ময় কেঁও আপকো কারি জরুকো লালচি আঁখ সে দেখুঙ্গা? মেরা অওরতকে তরফ আপ তাে পহলেই ঝাঁকি ঝাকা মারা। তব ময়নে থােড়িসি জরিমানা উসুল কিয়া।” ‘কারি’ মানে কালাে।”
শশিশেখর বসু, যা দেখেছি যা শুনেছি