Goodreads helps you follow your favorite authors. Be the first to learn about new releases!
Start by following Mahmudul Haque.
Showing 1-24 of 24
“এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়।
জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা..”
― কালো বরফ
জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা..”
― কালো বরফ
“আসলে জীবন মানেই শৈশব; জীবনভর মানুষ এই একটা ঐশ্বর্যই ভাঙ্গিয়ে খায়, আর কোনো পুঁজিপাট্টা নেই তার।”
― জীবন আমার বোন
― জীবন আমার বোন
“সকলের ভেতরেই বোধহয় এইরকম আরো একটা আলাদা সংসার পাতা থাকে, সেখানে সে তার খেলার পুতুলের জন্য নিজের যথাসর্বস্ব দ্যায়, এক টুকরো ভাঙা কাচের জন্য বুক ভরে কাঁদে, নিছক কাগজের নৌকা ডুবে গেলে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়...”
― কালো বরফ
― কালো বরফ
“লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর — লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!”
―
―
“বুকের ওপর দুটো হাত জড়ো করে মার খাওয়া মানুষ যখন বলে-- মুঠোয় কি আছে দেখতে চেও না, দোহাই তোমাদের, এ তোমাদের কোন কাজে লাগবে না, সারা জীবনের সঞ্চয় শুধু এইটুকুই, এই সামান্য স্বপ্নটুকুই...
তখন ধরে নিতে হয় সে বেঁচে আছে কেবল স্মৃতির ওপর!
তারচেয়ে নির্বিষ, তারচেয়ে নিরাপদ জানোয়ার আর কে?”
― কালো বরফ
তখন ধরে নিতে হয় সে বেঁচে আছে কেবল স্মৃতির ওপর!
তারচেয়ে নির্বিষ, তারচেয়ে নিরাপদ জানোয়ার আর কে?”
― কালো বরফ
“কারো জন্য মন খারাপ করার বিশ্রী ব্যাপারটা না থাকলে দুনিয়াটা সত্যিই একেবারে ফিকে পানসে হয়ে যেত।”
― জীবন আমার বোন
― জীবন আমার বোন
“সাহিত্যের জগৎটিকে আমি যেভাবে আবিষ্কার করেছি সেটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হয় নি। এ জগতের অধিকাংশ লোককে আমি যেভাবে চিনেছি সেটা আমার একেবারেই ভালো লাগে নি…আমি এই জগৎটির সঙ্গে এত গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম যে, বহু লেখকের হাঁড়ির খবর আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো। মানুষ হিসেবে যে এঁরা কতটা অসৎ, ভণ্ড, বদমাশ হতে পারে তা আমি দেখেছি।...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে, ধ্যান-মগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?”
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
“পাশে দাঁড়িয়ে মনি ভাইজান, মনি ভাইজানের জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দু:খ, যে দু:খে অনেক ভালোবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা...”
― কালো বরফ
― কালো বরফ
“আসলে ঈশ্বরের সর্বজনস্বীকৃত কোন ইন্টারপ্রিটেশন তো আজও তৈরি হয়নি, মানুষ তাকে কল্পনা করে নেয়। সবার কল্পনা যেহেতু একরকম নয়, একএকজনের ঈশ্বরও তাই একেকরকম। এজন্য ঈশ্বর সম্বন্ধে কোন ধারণার কথা বলা বিপদজনক। ধর্মগ্রন্থে ঈশ্বরের ধারণা খুব পরিষ্কারভাবে পাওয়া যায় না, যেটা পাওয়া যায় সেটা বিভ্রান্তিপূর্ণ। ঈশ্বর যে তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত আমি এ কথা বিশ্বাস করি, কারণ তাঁর কোন রূপ নেই, তাঁর কোন বাসস্থানও নেই। ঈশ্বর আকাশে বাস করেন এ কথা নিশ্চয় কেউ বলবে না! সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তিনি যেমন প্রকাশ করেন নিজেকে, তেমনি বসবাসও করেন সৃষ্টির মধ্যেই। তাই যদি হয়, তাহলে, মানুষের মধ্যে দিয়েও তিনি প্রকাশিত এবং বলা যেতে পারে মানুষের মধ্যে দিয়ে তিনি সর্বোত্তমরূপে প্রকাশ করেন নিজেকে এবং বাস করেন মানুষের মধ্যেই। এবং সেক্ষেত্রে তাঁকে মানুষের সমস্ত যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়, হয়েছে। মানুষের রোগ-শোক-দুঃখ-কষ্ট-হাসি-কান্না-সুখ-যন্ত্রণা এমনকি মৃত্যুর স্বাদও তাকে গ্রহণ করতে হয়েছে। যে মানুষের মধ্যে দিয়ে তিনি নিজেকে প্রকাশ করেছেন, সেই মানুষের মৃত্যুতে কি তাঁরও মৃত্যু ঘটে যায়নি? এভাবে বহুবার তাঁকে জন্ম ও মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে। আমার কাছে ঈশ্বরের ধারণাটি এমনই-তাকেও সমস্ত মানবিক অনুভূতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।”
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
“শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই।”
―
―
“রাজনীতি ব্যাপারটাই আগাপাস্তলা একটা জমকালো ছেনালি”
― জীবন আমার বোন
― জীবন আমার বোন
“আমার গদ্য বেশ খানিকটা কাব্যাক্রান্ত।”
―
―
“ডাক্তার নন্দী নামে এক ভদ্রলোক আমার মায়ের চিকিৎসা করতেন। খুব অদ্ভুত মানুষ ছিলেন তিনি। পশুপাখির সঙ্গে কথা বলতেন, মনে হতো তিনি ওদের ভাষা বোঝেন, অন্তত তাঁর কথা বলার ধরণটা ওইরকমই ছিলো। তাঁর পোষা কুকুর ছিলো, সেগুলোকে তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। আমি তখন টিয়েপাখি পুষতাম, তিনি আমাদের বাসায় এসেই আগে টিয়েকে আদর করতেন, কথাবার্তা বলতেন। তো ওই ভদ্রলোক আমার কাছ থেকে বই নিয়ে যেতেন পড়ার জন্য। একদিন তিনি বললেন-'আমার কি মনে হয় জানো? মনে হয় আমরা সময় কাটাবার জন্য, ক্লান্তি দূর করার জন্য এসব বইটই পড়ি, অথচ এগুলো যারা লেখেন তাঁদেরও একসময় আর এগুলো ভালো লাগে না। বুঝলে, ক্লান্ত লাগে ক্লান্ত লাগে।' তাঁর এই কথাটা আজকাল আমার খুব মনে পড়ে। আমারও এখন ক্লান্ত লাগে ক্লান্ত লাগে। জীবনটাকে ভীষণ অর্থহীন মনে হয়। আর তাছাড়া, লিখে কি হয়? লেখালেখি করে কি কাউকে কমিউনিকেট করা যায়? মিউজিক বরং অনেক বেশি কমিউনিকেটেবল ল্যাংগুয়েজ। লেখালেখিতে যা কিছু বলতে চাই তা বলা হয়ে ওঠে না, আমি অন্তত বলতে পারিনি। যেটুকু বলেছি তা-ও বোঝাতে পেরেছি বলে মনে হয় না। যাকে বলে ব্রেকডাউন অব কমিউনিকেশন সেটা আমাদের সবার জীবনে ঘটে, আমার জীবনেও ঘটেছে।”
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
“আমরা, যারা ষাটের দশকে বেড়ে উঠেছি, কবি বা গদ্যকার, সবার ওপরেই কমবেশি বোদলেয়ারের প্রভাব পড়েছে। এমনকি ইলিয়াসের ওপরও।”
―
―
“যত তুচ্ছ যত গোলমেলে কিংবা হেলাফেলার হোক না কেন, জীবন জীবনই, এর পরিমাপে স্বপ্নটপ্ন নিছক ফুটপাতে কেনা প্লাস্টিকের খেলনা।”
― পাতালপুরী
― পাতালপুরী
“বিয়ের আগে সে ভাবতো, প্রেম ছাড়া জীবন অচল, এখন মনে করে ওটা একটা ভোঁতা ধারণা, জীবনে এর কোনো প্রয়োজনই নেই, বরং একটা বিড়ম্বনা। বিড়ম্বনা এই জন্যেই, এর কোনো রয়ে-সয়ে চলার ক্ষমতা নেই, এ শুধু আড়ম্বর চায়, লোক দেখানো বৈভব চায়।”
― কালো বরফ
― কালো বরফ
“মনে হয় যেন লেখার সময় অন্য কারো করতলে ছিলাম।”
―
―
“মরে যাওয়া তো ভালোই। মরে গেলেই পাখি হয়ে যাবি। পাখি হলে কত মজা! যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবি। একবার বাঁশঝাড়ে বসবি, একবার আমড়া গাছে বসবি, একবার পেয়ারা গাছে বসবি, যখন যেখানে তোর খুশি...”
― কালো বরফ
― কালো বরফ
“জীবন জিনিসটা এমন, সামান্য একটা অভাব সেখানে সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে। এক একজনের কাছে এক একটা দিক বড়, সেখানে সে কোন ঘাটতির কথা ভাবতেই পারেনা, সূতোর সামান্য একটু টানে সবকিছু যেখানে হুড়মুড় করে ধসে পড়ে”
― কালো বরফ
― কালো বরফ
“একেকবার মনে হয় বেশ আছে হাবাকালারা। জগতের এই যে অপার বিস্ময় কজন পারে এর বোঝা বয়ে বেড়াতে। গাধা যদি জানতো মোদ্দাকথা সে ভারবাহী জন্তু, তাহলে সে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর চেয়েও রোগা হয়ে যেতো।”
― পাতালপুরী
― পাতালপুরী
“দেশভাগের সময় আমার বাবা এখানে চলে এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আমরা আসতে চাইনি। মা তো আসার ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী ছিলেন না। এখানে আসার আগে তিনি দুবার ঢাকায় এসেছিলেন বাবার সঙ্গে, এবং ফিরে গিয়ে বলেছিলেন ওটা বর্বরদের দেশ। কারণ কী জানো? যে দুবার তিনি এসেছিলেন কোনোবারই রাস্তাঘাটে কোন মেয়েকে চলাফেরা করতে দেখেননি। তখন তো ঢাকা শহরে মেয়েরা বাইরে বেরুতোই না, দু-একজন বেরুলেও রিকশা পর্দা দিয়ে ঘিরে বেরুতো। তো এইসব দেখে মা'র নাকি মনে হয়েছিলো, যে দেশে মেয়ারা বাইরে বেরুতে পারেনা সেটা একটা বর্বর দেশ। তিনি ব্যাপারটা এতই সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন যে, ফিরেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন-কিছুতেই তিনি পাকিস্তান যাবেন না। এমনকি ওখানে বাস করার জন্য নতুন বাড়ি পর্যন্ত বানানো শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা থাকতে পারিনি। আব্বা এখানে চলে আসার পর ওখানকার অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে, সবাই আমাদেরকে দেখতে থাকে সন্দেহের চোখে, এমনকি আমাদের সঙ্গে মেলামেশাও বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি একসময় এমন এক অবস্থায় পৌঁছায় যে আমরা চলে আসতে বাধ্য হই। এখন বলো, যে জন্মভূমি তার সন্তানদের দেশত্যাগে বাধ্য করে সেই জন্মভূমির প্রতি কোন প্রেম থাকে?”
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
― হিরন্ময় কথকতা : মাহমুদুল হকের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
“কোনো না কোনো একটা গুণ না থাকলে নিছক ছেনালিপনা করে কেউ বিশ্ববিখ্যাত ছেনালও হতে পারে না।”
― নিরাপদ তন্দ্রা
― নিরাপদ তন্দ্রা




