আশ্চর্যময়ী, তোমাকে

আশ্চর্যময়ী, তোমাকেগল্প বলা খুব কঠিন একটা আর্ট ফর্ম। কতোভাবে কতো রকমে যে গল্প বলা যায়!
আমাকে অনেকে বলেন কয়েক লাইনে গল্পের সারাংশ বলে দিতে। আমি পারি না। আমার গল্পগুলো কয়েক লাইনে সারাংশ বলে দেয়া কঠিন। কারণ আমি আসলে সেভাবে গল্প হিসেবে গল্প লিখি না। আমি যা ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটতে পারে, তার একটা নমুনা তুলে আনার চেষ্টা করি মাত্র। আমার লেখায় কোনো জাদু বাস্তবতা থাকে না। দর্শন থাকলেও, কোনো বিখ্যাত দার্শনিকের তত্ত্বকথা থাকে না। কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিতর্ক থাকে না। সেই সাথে থাকে না আমাদের জৈবিক কার্যক্রমের অপ্রাসঙ্গিক বিবরণ। আমি এসব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। একদমই কি সফল হই? সবসময় হই না সম্ভবত।

'আশ্চর্যময়ী, তোমাকে' যেমন প্রেমের গল্প, তেমন আঁধারের গল্প। আমাদের বেড়ে উঠা, প্রেমে পড়া, জেগে উঠা আর কামনা-বাসনায় জর্জরিত জীবনকে
সহজভাবে তুলে আনার চেষ্টা ছিল এই উপন্যাসে।

রোদ্রময়ী সেন রুনুকে আমি দেখেছি, দূর থেকে। শাহেদকে সম্ভবত আমি চিনি। সোমা চক্রবর্তী কিংবা লাবনী, ওরাও আমার পরিচিত। আর জয়ন্ত, ফরিদ, বাদল, অনুপম এসব চরিত্ররা? কে জানে চিনি কিনা। নিশ্চয়ই চিনি। না হলে ওদের মনের আলো অন্ধকারের খেলাকে কিভাবে চিনলাম?

'আশ্চর্যময়ী, তোমাকে' আমার কাছে দীর্ঘ এক যাত্রার মতো ছিল। যদিও সেই দীর্ঘ যাত্রায় সমাপ্তি টেনেছি। কিন্তু লেখা শেষ হলেও রেশ রয়ে গেছে। এই রেশ না কাটা পর্যন্ত আবার কখন লেখায় হাত দিতে পারবো বলতে পারছি না।

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
4 likes ·   •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on February 16, 2025 12:39
No comments have been added yet.