লেখক হিসেবে সবারই সম্ভবত এমন একটা স্বপ্ন বা আশা থাকে মনে। যা লিখেছি বা যা লিখবো তা যেন মহাকালের স্রোতে হারিয়ে না যায়।
পৃথিবীর ইতিহাসে কতো গল্প, কতো উপন্যাস লেখা হয়েছে, তার কি কোনো হিসেব পাওয়া সম্ভব? সম্ভব না। হয়তো এমন সব লেখা আমরা হারিয়ে ফেলেছি, যা টিকে থাকার দাবিদার ছিল। হয়তো আমরা সেসব লেখার নামই কোনোদিন শুনিনি।
এই দায় কি তাহলে সেই লেখকের? নিজেকে আবিষ্কৃত হতে না দেবার জন্য দায়ী তো লেখকই, নাকি পাঠক? নাকি সময়?
আমার এই বিশ্বাস ছিল, ভালো লেখা তা যখনই হোক, যেভাবেই হোক ফুরিয়ে যাবে না। কোনো না কোনোভাবে পাঠকের কাছে হাজির হবে।
তবে ইদানীং মনে হচ্ছে, আসলে আমার এই বিশ্বাসে ত্রুটি আছে। কোন লেখা কিভাবে পাঠকপ্রিয় হবে, টিকে যাবে, তা বলা মুশকিল। খুব ভালো লেখা হলেই যে সেটা মানুষের চোখে পড়বে তা নয়। আর একটা লেখা যদি তার প্রকাশকালের একশ বছর পর তার প্রাপ্য সম্মান পায়, তাহলে সে পাওয়া দিয়ে লেখক কী করবেন?
এইসব ভাবতে ভাবতেই পরবর্তী লেখার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। অবশ্য আমার পরবর্তী লেখা বলে কিছু নেই। এতো লেখা জমে আছে, কবে কোনটা শেষ করবো, আদৌ করতে পারবো কিনা আমি নিজেও জানি না।
শরীফুল হাসান
২২ মে, ২০২৫
রাত ৩ টা
খন্দকার গলি, সিদ্দ্বেশ্বরী
ঢাকা
Published on May 21, 2025 13:58