জোনাকিদের বাড়ি Quotes
জোনাকিদের বাড়ি
by
Smaranjit Chakraborty248 ratings, 3.90 average rating, 36 reviews
জোনাকিদের বাড়ি Quotes
Showing 1-13 of 13
“দূরের বাড়িঘরের জানলায় জানলায় জ্বলে উঠছে সার-সার টিপটিপে আলো। ওসব কাদের গল্পের আলো? কাদের জীবনের ফুলকি? কারা ভালোবাসায়-বেদনায় সাজিয়েছে এই সব আলোর সংসার? সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, বুকে করে, কারা ঝড়বাদলেও আগলে রাখছে এইসব আলোর ফোঁটা? এই সব বাড়িঘর - এসব কাদের বাসস্থান? কারা থাকে এখানে? কারা ক্রমাগত মরে গিয়েও বেঁচে ওঠে আবার! ভালোবাসে আবার! বিশ্বাস করে আবার! আবার ঝুলন সাজায়। এ কাদের ঝুলন-শহর? কাদের এই বাড়ী? এ কি সত্যিই জোনাকিদের বাড়ী?”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“মানুষের মধ্যে লয়ালটি আর ডিভোশন কমে যাচ্ছে। এই সব সোশ্যাল সাইটের জন্যই হোক বা কমিউনিকেশনের বাড়বাড়ন্তর জন্যই হোক, মানুষকে সে অপশন ভেবে ফেলছে! লোকের একটা রিলেশনে টিকছে না বেশিদিন! সারাক্ষণ তাদের ‘কী নেই কী নেই’-টা যেন বেড়ে গেছে।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“পেখম মাকে বোঝাতে পারে না, মানুষ বেশির ভাগ সময় অন্যের মৃত্যুতে কাঁদে না! কাঁদে নিজের মৃত্যুশোকে!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“অধিকাংশ মানুষ আসলে ভালবাসতে চায়, কিন্তু সেটার জন্য যে-একাগ্রতা, ডেডিকেশন আর সততার দরকার হয় সেটা তাদের থাকে না। দু’মিনিটের চাউমিন খেতে খেতে সব কিছুই আসলে দু’মিনিটের কনসেপ্টের মতো হয়ে গেছে।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“শীতের চেয়ে আর ভাল কিছু হতেই পারে না আইকা! ইট ব্রিংস পিপল হোম!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“আমাদের যারা ভালবাসে, তাদেরও একবার সুযোগ দিতে হয়! তাদেরও একবার বলতে হয়, ‘রাজি!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“সব হারিয়ে যায়। ভালবাসা হারিয়ে যায়। বিশ্বাস হারিয়ে যায়। কথা হারিয়ে যায়। সময়ের দুর্লঙ্ঘ্য খাদে তলিয়ে যায় স্মৃতি। সোনাঝুরির এই হাওয়ায়, এই আলোয়, এই অন্ধকারে অমোঘ নিয়মে একদিন হারিয়ে যাবে কাজুও। কেউ ওকে মনে রাখবে না। পেখম ওকে মনে রাখবে না আর।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“স্মরণ ভাঙা গাড়িটার গায়ে হেলান দিল এবার। আর-এক মুঠো ফুল হাতে তুলে নিয়ে বলল, “এই দ্যাখো, ঝরা ফুল। গাছ কি আর একে নিজের ফুল ভাবে? ভাবে না! তুমিও ওকে বন্ধু ভেবো না। মানুষের সম্পর্কগুলো এমনই হয়। তারা আসে ঝরে পড়ার জন্যই। এমন করে মনখারাপ করার মানে নেই নোঈ।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“মানুষের মূল্যবোধ বলে ব্যাপারটাই আর নেই। অবশ্য থাকবেই-বা কী করে? বোধেরই কোনও মুল্য নেই আর! কী করে যে সবটাই এমন টাকা আর শো অফ-এর পৃথিবী হয়ে গেল কে জানে!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“মানুষের জীবনে এমন কেন হয়? যাকে সে চায়, তাকে না পেলে এমন ভেঙে যায় কেন সব? সব কিছু অর্থহীন হয়ে পড়ে কেন?”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“গতকাল ঘাসে শুয়ে বইয়ের দিকে চোখ থাকলেও সেই গন্ধটা আচমকা ভেসে এসেছিল বিকেলের রোদে। আর কাজু না তাকিয়েও বুঝতে পারছিল কে এসে দাঁড়িয়েছে মাথার কাছে। লেবু-হলুদ শাড়ি আর ঘন সবুজ ব্লাউজ় পরেছিল পেখম। গায়ে পাতলা একটা চাদর জড়ানো। উঠে বসেছিল কাজু। বইটা ভাঁজ করে ঢুকিয়ে রেখেছিল পাশের ঝোলায়। বুকের ভেতরে তিতির পাখি কাঁপছিল কাজুর! পেখমকে দেখলেই এমন একটা কাঁপন টের পায় ও। পেখম বসেছিল ঘাসে। শীতের মফস্সলে বিকেল নামছিল ধীরে। আকাশ বেয়ে গড়িয়ে পড়া সূর্য দিগন্তের দিকে যেতে-যেতে আরও কমলা হয়ে উঠছিল যেন। আর হাওয়া আসছিল। শেষ শীতের দিক থেকে বসন্তের দিকে যেতে-যেতে হাওয়া সোনাঝুরি ছুঁয়ে যাচ্ছিল একটু-একটু করে। কাজুর মনে হচ্ছিল এই বিকেলটা যেন সারা জীবন ধরে চলে। “বলো!” পেখমের স্বরে অজস্র প্রজাপতি ছড়িয়ে গিয়েছিল সোনাঝুরির হাওয়ায়। কাজু তাকিয়ে ছিল সেই সব প্রজাপতির দিকে। কথা বলতে পারছিল না একটুও। মনে হচ্ছিল ওর গলার আওয়াজ পেলেই সব প্রজাপতি মিলিয়ে যাবে নিমেষে। “আরে! খালি তাকিয়ে থাকে!” পেখম সামান্য লজ্জা পেয়ে আলতো করে চিমটি কেটেছিল কাজুর হাতে। কাজু হেসেছিল। কথা, শব্দ, বাক্য মাঝে মাঝে অর্থহীন হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দৃষ্টিপাতের চেয়ে সহজ কথোপকথন আর কিছু হয় না।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“পুশকিনের কারও সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ওর কেবল এক ক্লান্তি আছে। মনের মধ্যে সহস্র বছরের জমে থাকা এক ঘুম আছে। ওর মাঝে মাঝে মনে হয় একদিন সব ছেড়ে ও দূরে কোনও ঠান্ডা পাহাড়ি শহরে চলে যাবে। সেখানে নির্জন একটি ঘরে বসে দেখবে আকাশ থেকে নেমে আসা ক্যান্ডিফ্লসের মতো তুষারের চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে এক ছোট্ট নিশ্চুপ জনপদ।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“এক-একদিন থাকে যখন কিছুই ভাল লাগে না। রোদের রং, হাওয়ার ওড়না, আকাশ থেকে নেমে আসা আলো, সবেতেই কেমন একটা মনখারাপ লেগে থাকে যেন। যেন মনে হয় সবই অনর্থক! সবই শূন্য! সব কিছুই কেবল থাকার জন্যই রয়েছে!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
