Goodreads helps you follow your favorite authors. Be the first to learn about new releases!
Start by following Smaranjit Chakraborty.
Showing 1-23 of 23
“দূরের বাড়িঘরের জানলায় জানলায় জ্বলে উঠছে সার-সার টিপটিপে আলো। ওসব কাদের গল্পের আলো? কাদের জীবনের ফুলকি? কারা ভালোবাসায়-বেদনায় সাজিয়েছে এই সব আলোর সংসার? সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, বুকে করে, কারা ঝড়বাদলেও আগলে রাখছে এইসব আলোর ফোঁটা? এই সব বাড়িঘর - এসব কাদের বাসস্থান? কারা থাকে এখানে? কারা ক্রমাগত মরে গিয়েও বেঁচে ওঠে আবার! ভালোবাসে আবার! বিশ্বাস করে আবার! আবার ঝুলন সাজায়। এ কাদের ঝুলন-শহর? কাদের এই বাড়ী? এ কি সত্যিই জোনাকিদের বাড়ী?”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“মানুষের মধ্যে লয়ালটি আর ডিভোশন কমে যাচ্ছে। এই সব সোশ্যাল সাইটের জন্যই হোক বা কমিউনিকেশনের বাড়বাড়ন্তর জন্যই হোক, মানুষকে সে অপশন ভেবে ফেলছে! লোকের একটা রিলেশনে টিকছে না বেশিদিন! সারাক্ষণ তাদের ‘কী নেই কী নেই’-টা যেন বেড়ে গেছে।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“পেখম মাকে বোঝাতে পারে না, মানুষ বেশির ভাগ সময় অন্যের মৃত্যুতে কাঁদে না! কাঁদে নিজের মৃত্যুশোকে!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“জীবনে মানুষ মাত্র একবারই ঠিক মানুষকে খুঁজে পায়। আর কোনও কারণে যদি সে চলে যায়, মানুষ বাকি জীবনটা অন্য কেউ হয়ে বাঁচে। তার নিজস্ব কিছু থাকে না আর। ইরা ভাবল, আজকের পরে ও নিজেও কি অন্য কেউ হয়ে যাবে?”
― ক্রিস ক্রস
― ক্রিস ক্রস
“মানুষের মূল্যবোধ বলে ব্যাপারটাই আর নেই। অবশ্য থাকবেই-বা কী করে? বোধেরই কোনও মুল্য নেই আর! কী করে যে সবটাই এমন টাকা আর শো অফ-এর পৃথিবী হয়ে গেল কে জানে!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“আমাদের যারা ভালবাসে, তাদেরও একবার সুযোগ দিতে হয়! তাদেরও একবার বলতে হয়, ‘রাজি!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“সব হারিয়ে যায়। ভালবাসা হারিয়ে যায়। বিশ্বাস হারিয়ে যায়। কথা হারিয়ে যায়। সময়ের দুর্লঙ্ঘ্য খাদে তলিয়ে যায় স্মৃতি। সোনাঝুরির এই হাওয়ায়, এই আলোয়, এই অন্ধকারে অমোঘ নিয়মে একদিন হারিয়ে যাবে কাজুও। কেউ ওকে মনে রাখবে না। পেখম ওকে মনে রাখবে না আর।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“আমরা জানি না জীবনের কোন মুহূর্তে কীভাবে আমাদের বেঁচে থাকার গতিপথ বদলে যায়! জানি না কী থাকে কোনও এক মুহূর্তে যে সেটাই নিভৃতে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের বাকিটা জীবন!”
― দোয়েল সাঁকো
― দোয়েল সাঁকো
“সত্যি, মানুষের মন কীরকম যেন। এই মুহূর্তে একরকম আর পরের মুহূর্তেই অন্যরকম!”
― দোয়েল সাঁকো
― দোয়েল সাঁকো
“স্মরণ ভাঙা গাড়িটার গায়ে হেলান দিল এবার। আর-এক মুঠো ফুল হাতে তুলে নিয়ে বলল, “এই দ্যাখো, ঝরা ফুল। গাছ কি আর একে নিজের ফুল ভাবে? ভাবে না! তুমিও ওকে বন্ধু ভেবো না। মানুষের সম্পর্কগুলো এমনই হয়। তারা আসে ঝরে পড়ার জন্যই। এমন করে মনখারাপ করার মানে নেই নোঈ।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“প্রশ্ন। সত্যি, জীবনে উত্তরের চেয়ে প্রশ্নগুলো চিরকালই বেশি। তাই হয়তো উত্তর খোঁজার জন্য রোজ সকালে আকাশে বেরোয় পাখিরা, মানুষ বেরোয় জীবনে। এই উত্তর খুঁজতে-খুঁজতেই হয়তো রাগ, কষ্ট, সন্দেহ আর অভিমানের আড়াল থেকে সে খুঁজে পায় আনন্দ, খুঁজে পায় ভালবাসা, খুঁজে পায় নিজের ভিতরের পাখিটিকে!”
― পাখিদের শহরে যেমন
― পাখিদের শহরে যেমন
“পুশকিনের কারও সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ওর কেবল এক ক্লান্তি আছে। মনের মধ্যে সহস্র বছরের জমে থাকা এক ঘুম আছে। ওর মাঝে মাঝে মনে হয় একদিন সব ছেড়ে ও দূরে কোনও ঠান্ডা পাহাড়ি শহরে চলে যাবে। সেখানে নির্জন একটি ঘরে বসে দেখবে আকাশ থেকে নেমে আসা ক্যান্ডিফ্লসের মতো তুষারের চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে এক ছোট্ট নিশ্চুপ জনপদ।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“শীতের চেয়ে আর ভাল কিছু হতেই পারে না আইকা! ইট ব্রিংস পিপল হোম!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“মানুষের জীবনে এমন কেন হয়? যাকে সে চায়, তাকে না পেলে এমন ভেঙে যায় কেন সব? সব কিছু অর্থহীন হয়ে পড়ে কেন?”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“আমার খুব একটা ভাল লাগত না। ছোট থেকেই ভিড় আমার পছন্দ নয়।। মা জিজ্ঞেস করত, “সবাই বেরোতে চায়, তুই চাস না কেন?” আমি বলতাম, “জানি না। আমার ভাল লাগে না।” মা রাগ করত, “এত ঘরকুনো কেন তুই? কেন ভাল লাগে না?”
― দোয়েল সাঁকো
― দোয়েল সাঁকো
“এই যেমন ওই ক্যামেরা হাতে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে দাঁড়ানো ছেলেটাকে সুন্দর মতো মেয়েটা যে জড়িয়ে ধরল, তার ছবি ছাপানো যায় না? ওই যে মেয়েটা বলল, “তুমি যতক্ষণ না আসছ, ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতাম আমি, সারাজীবন দাঁড়িয়ে থাকতাম তোমার জন্য।”
― ক্রিস ক্রস
― ক্রিস ক্রস
“কেন জানি না সব সময় মনে হত রিয়ান আমায় ছেড়ে চলে যাবে। মনে হত এই যে পাঁচ বছর বয়স থেকে আমরা দু’জন দু’জনকে চিনি সেটা একসময় ভেঙে যাবে। একটা সময় আসবে যখন এই পৃথিবীতে রিয়ান থাকবে, রাজিতাও থাকবে। কিন্তু ওদের আর দেখা হবে না কোনওদিন!”
― দোয়েল সাঁকো
― দোয়েল সাঁকো
“অধিকাংশ মানুষ আসলে ভালবাসতে চায়, কিন্তু সেটার জন্য যে-একাগ্রতা, ডেডিকেশন আর সততার দরকার হয় সেটা তাদের থাকে না। দু’মিনিটের চাউমিন খেতে খেতে সব কিছুই আসলে দু’মিনিটের কনসেপ্টের মতো হয়ে গেছে।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“গতকাল ঘাসে শুয়ে বইয়ের দিকে চোখ থাকলেও সেই গন্ধটা আচমকা ভেসে এসেছিল বিকেলের রোদে। আর কাজু না তাকিয়েও বুঝতে পারছিল কে এসে দাঁড়িয়েছে মাথার কাছে। লেবু-হলুদ শাড়ি আর ঘন সবুজ ব্লাউজ় পরেছিল পেখম। গায়ে পাতলা একটা চাদর জড়ানো। উঠে বসেছিল কাজু। বইটা ভাঁজ করে ঢুকিয়ে রেখেছিল পাশের ঝোলায়। বুকের ভেতরে তিতির পাখি কাঁপছিল কাজুর! পেখমকে দেখলেই এমন একটা কাঁপন টের পায় ও। পেখম বসেছিল ঘাসে। শীতের মফস্সলে বিকেল নামছিল ধীরে। আকাশ বেয়ে গড়িয়ে পড়া সূর্য দিগন্তের দিকে যেতে-যেতে আরও কমলা হয়ে উঠছিল যেন। আর হাওয়া আসছিল। শেষ শীতের দিক থেকে বসন্তের দিকে যেতে-যেতে হাওয়া সোনাঝুরি ছুঁয়ে যাচ্ছিল একটু-একটু করে। কাজুর মনে হচ্ছিল এই বিকেলটা যেন সারা জীবন ধরে চলে। “বলো!” পেখমের স্বরে অজস্র প্রজাপতি ছড়িয়ে গিয়েছিল সোনাঝুরির হাওয়ায়। কাজু তাকিয়ে ছিল সেই সব প্রজাপতির দিকে। কথা বলতে পারছিল না একটুও। মনে হচ্ছিল ওর গলার আওয়াজ পেলেই সব প্রজাপতি মিলিয়ে যাবে নিমেষে। “আরে! খালি তাকিয়ে থাকে!” পেখম সামান্য লজ্জা পেয়ে আলতো করে চিমটি কেটেছিল কাজুর হাতে। কাজু হেসেছিল। কথা, শব্দ, বাক্য মাঝে মাঝে অর্থহীন হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দৃষ্টিপাতের চেয়ে সহজ কথোপকথন আর কিছু হয় না।”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“মন এক অদ্ভুত জিনিস! যা ভাবলে আমাদের কষ্ট হবে সেগুলোই যেন বারবার আমাদের সামনে নিয়ে আসে আমাদের মন। যে স্মৃতি সবচেয়ে বেশি ক্ষত তৈরি করে সেগুলোই যেন বারবার চোখের সামনে সিনেমার মতো তুলে আনে।”
― দোয়েল সাঁকো
― দোয়েল সাঁকো
“এত আলো, রোশনাই, এত ঝলমলানো দিন, এতে কি সত্যি আনন্দ হয় কারও? আমার নিজের জীবন তো রাশিয়ান নভেলের মতো। ঠান্ডা, অন্ধকার আর ময়াল সাপের মতো ধীর! আমি কেন এই সব আলো থেকে আনন্দ খুঁজে পাই না! আমি কি ফোটো-সেনসিটিভ নই?”
― মোম-কাগজ
― মোম-কাগজ
“এক-একদিন থাকে যখন কিছুই ভাল লাগে না। রোদের রং, হাওয়ার ওড়না, আকাশ থেকে নেমে আসা আলো, সবেতেই কেমন একটা মনখারাপ লেগে থাকে যেন। যেন মনে হয় সবই অনর্থক! সবই শূন্য! সব কিছুই কেবল থাকার জন্যই রয়েছে!”
― জোনাকিদের বাড়ি
― জোনাকিদের বাড়ি
“সম্পর্ক কি? খুব শীতের মধ্যে দু’হাত দিয়ে ধরে থাকা গরম চায়ের গেলাস ? জৈষ্ঠ্যের দুপুরে পাঁচ টাকার অরেঞ্জ আইসক্রিম ? নাকি ঐ সামনে বসা ছেলেটা ও মেয়েটার বহুদিন পর একসঙ্গে হাসির মুহুর্ত ?
মানুষ কি বড্ড জটিল করে ফেলে না এই সম্পর্কগুলোকে ? কম্প্রোমাইজ, ফিলিংস, আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইত্যাদি নানা জটিল কথা বলে সে কি ঘোলাটে করে দেয় না দৃষ্টি ?”
― পাখিদের শহরে যেমন
মানুষ কি বড্ড জটিল করে ফেলে না এই সম্পর্কগুলোকে ? কম্প্রোমাইজ, ফিলিংস, আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইত্যাদি নানা জটিল কথা বলে সে কি ঘোলাটে করে দেয় না দৃষ্টি ?”
― পাখিদের শহরে যেমন




