Goodreads helps you follow your favorite authors. Be the first to learn about new releases!
Start by following Bhaskar Chakraborty.
Showing 1-11 of 11
“এইসব সারেগামা পেরিয়ে তোমার কাছে দু-দণ্ড বসতে ইচ্ছে করে ।
আমার তৃতীয় চোখ হারিয়ে গিয়েছে ।
সিঁড়ি দিয়ে যে উঠে আসছে আজ আমি তার মুখও দেখিনি ।
তোমাকে দু:খিত করা আমার জীবনধর্ম নয়
চলে যেতে হয় বলে চলে যাচ্ছি, নাহলে তো, আরেকটু থাকতাম ।”
― ভাস্কর চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা
আমার তৃতীয় চোখ হারিয়ে গিয়েছে ।
সিঁড়ি দিয়ে যে উঠে আসছে আজ আমি তার মুখও দেখিনি ।
তোমাকে দু:খিত করা আমার জীবনধর্ম নয়
চলে যেতে হয় বলে চলে যাচ্ছি, নাহলে তো, আরেকটু থাকতাম ।”
― ভাস্কর চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা
“প্রতি সন্ধ্যায়
কে যেন ইয়ার্কি করে ব্যাঙের রক্ত
ঢুকিয়ে দেয় আমার শরীরে- আমি চুপ করে বসে থাকি- অন্ধকারে
নীল ফানুস উড়িয়ে দেয় কারা, সারারাত বাজি পোড়ায়
হৈ-হল্লা- তারপর হঠাৎ
সব মোমবাতি ভোজবাজীর মত নিবে যায় একসঙ্গে- উৎসবের দিন
হাওয়ার মত ছুঁটে যায়, বাঁশির শব্দ
আর কানে আসে না- তখন জল দেখলেই লাফ দিতে ইচ্ছে করে আমার
মনে হয়- জলের ভেতর- শরীর ডুবিয়ে
মুখ উঁচু করে নিঃশ্বাস নিই সারাক্ষণ- ভালো লাগে না সুপর্ণা, আমি
মানুষের মত না, আলো না, স্বপ্ন না- পায়ের পাতা
আমার চওড়া হয়ে আসছে ক্রমশঃ- ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনলেই
বুক কাঁপে, তড়বড়ে নিঃশ্বাস ফেলি, ঘড়ির কাঁটা
আঙুল দিয়ে এগিয়ে দিই প্রতিদিন- আমার ভালো লাগে না- শীতকাল
কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব”
― ভাস্কর চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা
কে যেন ইয়ার্কি করে ব্যাঙের রক্ত
ঢুকিয়ে দেয় আমার শরীরে- আমি চুপ করে বসে থাকি- অন্ধকারে
নীল ফানুস উড়িয়ে দেয় কারা, সারারাত বাজি পোড়ায়
হৈ-হল্লা- তারপর হঠাৎ
সব মোমবাতি ভোজবাজীর মত নিবে যায় একসঙ্গে- উৎসবের দিন
হাওয়ার মত ছুঁটে যায়, বাঁশির শব্দ
আর কানে আসে না- তখন জল দেখলেই লাফ দিতে ইচ্ছে করে আমার
মনে হয়- জলের ভেতর- শরীর ডুবিয়ে
মুখ উঁচু করে নিঃশ্বাস নিই সারাক্ষণ- ভালো লাগে না সুপর্ণা, আমি
মানুষের মত না, আলো না, স্বপ্ন না- পায়ের পাতা
আমার চওড়া হয়ে আসছে ক্রমশঃ- ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনলেই
বুক কাঁপে, তড়বড়ে নিঃশ্বাস ফেলি, ঘড়ির কাঁটা
আঙুল দিয়ে এগিয়ে দিই প্রতিদিন- আমার ভালো লাগে না- শীতকাল
কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব”
― ভাস্কর চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা
“ঠিক সময়ে ঠিক কথা বলার দাম এক টাকা, ঠিক সময়ে চুপ করে থাকার দাম দু'টাকা।”
―
―
“এসেছি জোয়ারজলে ভেসে
ভাটায় আবার ফিরে যাবো
শুধু মধ্যে বোবা হয়ে দেখি :
প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুগ আসে
প্রতিশ্রুতি ভেঙে চলে যায়।”
― আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে
ভাটায় আবার ফিরে যাবো
শুধু মধ্যে বোবা হয়ে দেখি :
প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুগ আসে
প্রতিশ্রুতি ভেঙে চলে যায়।”
― আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে
“এই যে এসেছে দিন আমি খুব ভয়ে-ভয়ে থাকি।
এই যে এসেছে সন্ধ্যা
সে আমার কাছে এসে অযথা তোমার কথা বলে।
ভুলে যেতে গিয়ে আমি বারবার
তোমাকে ভোলার কথা ভুলে যাই।
চলেছে নদীর জল একা-একা, চলেছে মানুষ একা আরো।”
― এসো, সুসংবাদ এসো
এই যে এসেছে সন্ধ্যা
সে আমার কাছে এসে অযথা তোমার কথা বলে।
ভুলে যেতে গিয়ে আমি বারবার
তোমাকে ভোলার কথা ভুলে যাই।
চলেছে নদীর জল একা-একা, চলেছে মানুষ একা আরো।”
― এসো, সুসংবাদ এসো
“আমার কেটেছে দিন আমার কেটেছে রাত—স্বপ্নহীন—শুধু স্বপ্ন নিয়ে
শীতের বাতাস এসে তছনছ করেছে কি তোমাকে কখনো?”
― এসো, সুসংবাদ এসো
শীতের বাতাস এসে তছনছ করেছে কি তোমাকে কখনো?”
― এসো, সুসংবাদ এসো
“জীবন কি কচ্ছপের পিঠে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা?”
― স্বপ্ন দেখার মহড়া
― স্বপ্ন দেখার মহড়া
“আমি চোখ বুজি, চোখে খুলে যায় আমার ভেতর থেকে—
একলা থাকতে থাকতে, থাকতে থাকতে
আমার গায়ে সবুজ শ্যাওলা গজিয়ে উঠবে একদিন
পোড়ো বাড়ির মতো আমি অদ্ভুত দাঁড়িয়ে থাকবো একদিন গম্ভীর জঙ্গলের
মধ্যে—”
― শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা
একলা থাকতে থাকতে, থাকতে থাকতে
আমার গায়ে সবুজ শ্যাওলা গজিয়ে উঠবে একদিন
পোড়ো বাড়ির মতো আমি অদ্ভুত দাঁড়িয়ে থাকবো একদিন গম্ভীর জঙ্গলের
মধ্যে—”
― শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা
“রাত্রিবেলা চৈত্রের আকাশ আজ কিছু কথা বলতে চাইছে।
বাংলা কবিতার মতো নির্জনতা ছুঁয়ে
এখন দাঁড়িয়ে আছি—জানালায়—এখন চোখের জল নেই।
আমার চোখের জল নিজেই দালাল হয়ে বিক্রী করেছি।”
― আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে
বাংলা কবিতার মতো নির্জনতা ছুঁয়ে
এখন দাঁড়িয়ে আছি—জানালায়—এখন চোখের জল নেই।
আমার চোখের জল নিজেই দালাল হয়ে বিক্রী করেছি।”
― আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে
“যেইখানে ঘনিষ্ঠতা সেইখানে আঁধার ঘনায়।”
― রাস্তায় আবার
― রাস্তায় আবার
“আমি রাস্তায় বেরোই আর শুনি অবসাদ আর দুশ্চিন্তার চেঁচামেচি
আমি রাস্তায় বেরোই আর দেখি নিঃসঙ্গতার ফাঁস
হালকা হাওয়ার পিঠে চেপে এসো এবার নম্র কাঠবিড়ালী,
এসো, এবার গান ধরো চড়ুই
পাশ ফিরে শুলে, কী আশ্চর্য, চিন্তাগুলোও পাশ ফেরে
জ্যোৎস্নার ভেতর দিয়ে দেখা যায় আততায়ীর পা!”
― আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে
আমি রাস্তায় বেরোই আর দেখি নিঃসঙ্গতার ফাঁস
হালকা হাওয়ার পিঠে চেপে এসো এবার নম্র কাঠবিড়ালী,
এসো, এবার গান ধরো চড়ুই
পাশ ফিরে শুলে, কী আশ্চর্য, চিন্তাগুলোও পাশ ফেরে
জ্যোৎস্নার ভেতর দিয়ে দেখা যায় আততায়ীর পা!”
― আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে




