Goodreads helps you follow your favorite authors. Be the first to learn about new releases!
Start by following Buddhadeb Guha.
Showing 1-9 of 9
“ভালোলাগা আর ভালোবাসাতো এক নয়। ভালোবাসা অত্যন্ত ব্যক্তিগত আশীর্বাদ অথবা অভিশাপ সম্পৃক্ত এক ঘটনা। একের সঙ্গে অন্যের মধ্যে যা ঘটে যায়। কিন্তু ভালোলাগা চাঁপা ফুল ফোটার শব্দহীন গন্ধের মতো অথবা বসন্তোৎবের সময়ে শালবীথিতে শালফুলের দৃশ্যমান গন্ধর মতো। সকলেরই তাতে সমান ভাগ, সমান খুশি। সে কোনো বিশেষ কারো নয়, অথচ তবু সকলেরই।”
― অববাহিকা
― অববাহিকা
“যে-কোনো গভীর আনন্দই গভীর দুঃখ থেকে জন্মায়। গভীরতা না থাকলে দুঃখ বা সুখ কোনোদিনই তেমন করে নিজেকে আচ্ছন্ন করে না বলেই মনে হয়।”
― একটু উষ্ণতার জন্য
― একটু উষ্ণতার জন্য
“মহাষ্টমীর সকালটা যে অভীষ্ট সিদ্ধির সকাল নয়, এ যে মঙ্গলকামনার সকাল, এইটে ভেবেই ভীষণ আনন্দ হল। আমিও মাঝে মাঝে বড় হতে পারি। এ জানা যে কত বড় জানা, সে কী করে বোঝাব!”
― হলুদ বসন্ত
― হলুদ বসন্ত
“আমরা, এই আধুনিক মানুষেরা, বিজ্ঞানমনস্করা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সত্যিই উন্নত হয়েছি ? বেশি সুখে আছি ? এই তথাকথিত জীবনযুদ্ধে আমরা কি প্রত্যেকেই অবসাদগ্রস্ত ছিন্নভিন্ন নই?
যা আমরা পেয়েছি, আমাদের সভ্যতার, আধুনিকতার পরিবর্তে শুধুমাত্র এই কি প্রার্থিত ছিলো ? যে গন্তব্যে আমরা এসে পৌঁছেছি এবং অদূর ভবিষ্যতে পৌঁছবো তাই কি আমাদের প্রার্থিত ছিলো ? মানুষ হিসেবে, মনুষ্যত্বর বিচারে, ভালোত্বর বিচারে, আমরা কি অনেকই ছোট, লোভী, স্বার্থপর, বিবেকরহিত, অপরিণামদর্শী হয়ে যাইনি ?
ঈশ্বর আমাদের কাছে উপহাসের বস্তুও। কেন? তা তলিয়ে ভাবার সময়, অবকাশ এবং গভীরতা আমাদের বেশীরভাগেরই নেই। ঈশ্বরবোধ যে আমাদের ভেতরের শুভ, সত্য এবং শাশ্বত বোধগুলিকে জাগরূকই করে, আমাদের পাশববৃত্তিগুলিকে শাসন করতে উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের এক সুন্দর প্রার্থিত নিষ্কলুষ জীবনের দিকে ধাবিত করায়, তা কি আমরা মনে রেখেছি ?”
― ইলমোরাণ্দের দেশে
যা আমরা পেয়েছি, আমাদের সভ্যতার, আধুনিকতার পরিবর্তে শুধুমাত্র এই কি প্রার্থিত ছিলো ? যে গন্তব্যে আমরা এসে পৌঁছেছি এবং অদূর ভবিষ্যতে পৌঁছবো তাই কি আমাদের প্রার্থিত ছিলো ? মানুষ হিসেবে, মনুষ্যত্বর বিচারে, ভালোত্বর বিচারে, আমরা কি অনেকই ছোট, লোভী, স্বার্থপর, বিবেকরহিত, অপরিণামদর্শী হয়ে যাইনি ?
ঈশ্বর আমাদের কাছে উপহাসের বস্তুও। কেন? তা তলিয়ে ভাবার সময়, অবকাশ এবং গভীরতা আমাদের বেশীরভাগেরই নেই। ঈশ্বরবোধ যে আমাদের ভেতরের শুভ, সত্য এবং শাশ্বত বোধগুলিকে জাগরূকই করে, আমাদের পাশববৃত্তিগুলিকে শাসন করতে উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের এক সুন্দর প্রার্থিত নিষ্কলুষ জীবনের দিকে ধাবিত করায়, তা কি আমরা মনে রেখেছি ?”
― ইলমোরাণ্দের দেশে
“রাজর্ষি কোমর ছাপানো খুলে দেওয়া নগ্না ঋতির দিকে চেয়ে ওরকম পুজো করারই ভঙ্গীতে বসে বললো, তুমি সন্ধাতারার চেয়েও বেশি স্নিগ্ধ এবং উজ্জ্বল, পূর্ণিমার রাতে যে মসৃণ পালকের ডানা মেলা হলুদ পাখি চাঁদের দিকে উড়ে যায় তুমি সেই পাখির চেয়েও মসৃণ; তুমি পরমা-প্রকৃতি, নারী ঋতি; তোমাকে প্রণাম...”
― সবিনয় নিবেদন
― সবিনয় নিবেদন
“নিজের হৃদয়ের উষ্ণতায়, নিজের মধ্যের জেনারেটরে তাপ সঞ্চারণ করে এই ঠাণ্ডা নির্দয় পৃথিবীতে যে বাঁচতে না পারে, তার বাঁচা হয় না। তার জন্য এই পৃথিবী একটি চলমান প্রাগৈতিহাসিক হিমবাহ।”
― একটু উষ্ণতার জন্য
― একটু উষ্ণতার জন্য
“এই আধুনিক সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে এই যে আমরা যেটাকে ঠিক বলে জানি সেটাই যে একমাত্র ঠিক এই বিশ্বাসে ভর করেই বেঁচে থাকি। আমার ব্লাড-সুগার বা ব্লাড-কোলেস্টেরোলই অন্য সকলের সুস্থতা বা অসুস্থতার মানদণ্ড। আমাদের ভালোটাই পৃথিবীর সব মানুষের পক্ষে অবশ্যই ভালো। সে সম্বন্ধে আমাদের কোনোই দ্বিমত নেই। এটাও দুঃখের।”
― ইলমোরাণ্দের দেশে
― ইলমোরাণ্দের দেশে
“পা ফেললে এখানে কোনো শব্দ হয় না। পাতার নরম আর্দ্র গালচেয় পা পড়ে। ভুরভুর করে আতরের মত বনজগন্ধ ওঠে। এখনও হু হু করে হাওয়া বইছে, ভেজা জঙ্গল — পাহাড়ের প্রভাতী গন্ধ বয়ে — সেই পরিষ্কার, নির্মল শীতল হাওয়া ফুসফুসের হয়ত হৃদয়েরও যা কিছু কালিমা সব সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিচ্ছে।”
― একটু উষ্ণতার জন্য
― একটু উষ্ণতার জন্য
“পরনির্ভরতার মত অর্বাচীনতা আর বুঝি কিছু নেই।”
― একটু উষ্ণতার জন্য
― একটু উষ্ণতার জন্য




